সবার হাতে স্মার্টফোনের এই যুগে ম্যাসেজিং অ্যাপগুলো আমাদের নিত্যসঙ্গী। বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে এই অ্যাপগুলোর কারণেই। অধিকাংশ ম্যাসেজিং অ্যাপই টেক্সট ম্যাসেজ, ভয়েস কল, ভিডিও কল, ছবি পাঠানোসহ মৌলিক কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। এর বাইরেও বিভিন্ন অ্যাপের রয়েছে নিজস্ব কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য। চলুন জেনে নিই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু ম্যাসেজিং অ্যাপ এবং তাদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
হোয়াটসঅ্যাপ
হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ১০০ কোটি মানুষ এর মাধ্যমে ৫ হাজার ৫০০ কোটি বার্তা আদান-প্রদান করে। ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক এই অ্যাপটি ২০০৯ সালে চালু হলেও পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ফেসবুক এটিকে ১৯.৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয়। পূর্বে অ্যাপটি এক বছরের বেশি ব্যবহার করতে হলে একটি সাবস্ক্রিপশন ফি প্রদান করতে হতো। বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।
হোয়াটসঅ্যাপ মূলত টেক্সট ম্যাসেজ আদান প্রদানের উদ্দেশ্যে তৈরী একটি অ্যাপ, যা শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোন এবং সিম কার্ড থাকলেই চালু করা যায়। বর্তমানে এতে টেক্সট ম্যাসেজের পাশাপাশি, সরাসরি ভিডিও কল করা, ছবি, ভিডিও, রেকর্ড করা অডিও বার্তা এবং বিভিন্ন ধরনের ফাইল আদান-প্রদানসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা আছে। এর ম্যাসেজগুলো এনক্রিপ্টেড। অর্থাৎ তা সুরক্ষিত, যা শুধুমাত্র প্রেরক এবং গ্রাহকই দেখতে পারবে।
এটি একটি মাল্টি প্লাটফর্ম ম্যাসেজিং অ্যাপ। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমে এটি ব্যবহার করা যায়। এর কম্পিউটার সংস্করণও আছে। শুরুর দিকে হোয়্যাটস অ্যাপে একজন ব্যবহারকারী আরেকজন ব্যবহারকারীর সাথে বার্তা আদান-প্রদান করতে পারলেও পরবর্তীতে গ্রুপ চ্যাটের সুবিধা যুক্ত করা হয়। শীঘ্রই এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন সেবা প্রদান করতে পারবে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার
ম্যাসেঞ্জার (Messenger) হচ্ছে ফেসবুক চ্যাটেরই একটি সংস্করণ। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে স্বয়ংসম্পূর্ণ অ্যাপ হিসেবে রিলিজ দেয়। হোয়াটসঅ্যাপের মতোই এতে টেক্সট ম্যাসেজ, হাই কোয়ালিটির অডিও-ভিডিও কল এবং বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করা যায়। এছাড়াও এতে অন্যের ম্যাসেজের উপর বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানানো যায়, ম্যাপের মাধ্যমে যেকোনো স্থানের ঠিকানা পাঠানো যায় এবং অর্থ আদান-প্রদান করা যায়। অ্যাপটির মাধ্যমে অবসরে গেমও খেলা যায়।
হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপের সাথে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের একটি বড় পার্থক্য হলো, এতে পরিচিত কারো ফোন নাম্বার জানা না থাকলেও শুধুমাত্র তার ফেসবুক ব্যবহার করেই তাকে সরাসরি কল করা যায়। অ্যান্ড্রয়েডে অ্যাপটির ‘ফ্লোটিং চ্যাটহেড‘ ব্যবহার করে অন্য যেকোনো কাজ করার ফাঁকে ফাঁকেও ম্যাসেজ আদান-প্রদান করা যায়। সাধারণভাবে ম্যাসেজগুলো সুরক্ষিত না হলেও ইচ্ছে করলেই যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সুরক্ষিত বার্তা আদান-প্রদান করা যায়।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন অ্যাপটি ব্যবহার করে অন্তত ৭০ কোটি ব্যবহারকারী। অ্যাপটির প্রায় সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের উপযোগী সংস্করণ আছে। অপেক্ষাকৃত কম সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এর একটি হালকা (লাইট) সংস্করণও আছে, যা কম ক্ষমতাসম্পন্ন মোবাইল ফোনে ব্যবহার উপযোগী।
ভাইবার
হোয়াটসঅ্যাপের মতোই ভাইবারও (Viber) একটি ফ্রি ম্যাসেজিং এবং ভিওআইপি অ্যাপ, যা মোবাইল ফোন নাম্বারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে এর মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিমাসে অন্তত ২৬ কোটি মানুষ এটি ব্যবহার করে। এটি মূলত হাই কোয়ালিটি অডিও এবং ভিডিও কলের জন্যই বেশি জনপ্রিয়। তবে এছাড়াও এতে টেক্সট ম্যাসেজ, ছবি, রেকর্ড করা অডিও পাঠানো যায়।
ভাইবার সম্পূর্ণ ফ্রি একটি অ্যাপ। ২০১০ সালে ইসরায়েল ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান প্রথম এই অ্যাপটি তৈরি করে। তবে পরবর্তীতে ২০১৪ সালে জাপান ভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি রাকুতেন (Rakuten) এটি কিনে নেয়। অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন, উইন্ডোজ ফোন সহ পিসি থেকেও এটি ব্যবহার করা যায়। ভাইবারের সাম্প্রতিক সংস্করণগুলোতে সুরক্ষিত বার্তা আদান-প্রদানের সুবিধা চালু করা হয়েছে।
মোবাইলে ভাইবার ইনস্টল করার সাথে সাথে এটি মোবাইল ফোনের কন্টাক্টের সাথে নিজেকে সুসঙ্গত করে নেয়। ফলে মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত যেকোনো নাম্বার যদি ভাইবার ব্যবহার করে, তবে তাকে সহজেই বিনামূল্যে কল করা যায়। ‘ভাইবার আউট‘ নামে ভাইবারের একটি বিশেষ সুবিধা আছে, যার মাধ্যমে ভাইবার নেই এরকম যেকোনো নাম্বারে অথবা ল্যান্ডলাইনে স্বল্পমূল্যে ফোন করা যায়।
উইচ্যাট
উইচ্যাট (WeChat) চীন ভিত্তিক অত্যন্ত জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ, যার ব্যবহারকারীদের শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি চীনে অবস্থিত। এর বাইরে ১২টি ভাষায় বিশ্বের ১৫টি দেশে স্বল্প পরিমাণে অ্যাপটি ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন অন্তত ৯০ কোটি মানুষ এই অ্যাপটি ব্যবহার করে। প্রতিদিন গড়ে ৩৮০ কোটি ম্যাসেজ আদান-প্রদান করা হয় এই অ্যাপটির মাধ্যমে।
নতুন বন্ধু খুঁজে পাওয়ার জন্য উইচ্যাটের একটি অদ্ভুত ফিচার আছে, যা ‘শেক’ নামে পরিচিত। এই ফিচারের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দুই প্রান্তে দুজন ব্যবহারকারী যদি একই মুহূর্তে উইচ্যাট ব্যবহার করা অবস্থায় তাদের ফোন ঝাঁকি দেয়, তাহলে তাদের পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হবে এবং তারা ম্যাসেজ আদান-প্রদান করতে পারবে।
উইচ্যাট প্রথম অবমুক্ত হয় ২০১১ সালে। অ্যাপটির বিপুল সংখ্যক ফিচার এবং এর অধীনে থাকা হাজার হাজার ছোট ছোট অ্যাপের কারণে একে চীনের ‘সুপার অ্যাপ’ এবং ‘সর্ববিষয়ের অ্যাপ’ বলা হয়। এ বছর জানুয়ারি মাসে উইচ্যাটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দিয়েছে, তাদের অ্যাপটির অধীনে রেকর্ড সংখ্যক ৫ লক্ষ ৮০ হাজার মিনি অ্যাপ আছে।
উইচ্যাট ছাড়াও চীন ভিত্তিক আরেকটি জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ আছে, যার নাম কিউ কিউ (QQ)। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৮৭ কোটি। তবে চীনের বাইরে এটি তেমন ব্যবহৃত হয় না বললেই চলে।
স্কাইপ
স্কাইপ (Skype) প্রধানত ভিডিও কলিং এর জন্যই বেশি জনপ্রিয়। অন্যান্য ম্যাসেজিং অ্যাপের মতোই এর মাধ্যমেও টেক্সট ম্যাসেজ, ছবি এবং বিভিন্ন ফাইল আদান-প্রদান করা যায়। ২০০৩ সালে অ্যাপটি প্রথম কম্পিউটার সফটওয়্যার হিসেবে চালু হয়। সুইডেন এবং ডেনমার্কের দুজন উদ্যোক্তা প্রথমে সফটওয়্যারটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে ই-বে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এবং ২০১১ সালে মাইক্রোসফট ৮.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এটি কিনে নেয়।
স্কাইপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩০ কোটিরও অধিক। পিসি, ল্যাপটপ, অ্যান্ড্রয়েড, আইফোনসহ বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে এটি ব্যবহার করা যায়। স্কাইপ থেকে স্কাইপে ভিডিও কল সম্পূর্ণ ফ্রি। এর বাইরে সরাসরি মোবাইল ফোনে বা ল্যান্ডলাইনে ফোন করতে চাইলে কার্ড ক্রয় করতে হবে।
স্ন্যাপচ্যাট
স্ন্যাপচ্যাট (Snapchat) মূলত তরুণদের মধ্যে এবং তারকাদের মধ্যে অধিক জনপ্রিয় একটি ম্যাসেজিং অ্যাপ। এর বৈশিষ্ট্য হলো, এতে বার্তা, ছবি বা ভিডিও, যা-ই পাঠানো হোক না কেন, তা কয়েক সেকেন্ড পরেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়। এই স্বল্পকালীন বার্তাগুলোই এক একটি স্ন্যাপ হিসেবে পরিচিত। স্ন্যাপচ্যাটের জনপ্রিয়তার আরেকটি প্রধান কারণ এর মাধ্যমে ছবি এবং ভিডিওতে বিচিত্র ধরনের ইফেক্ট এবং ফিল্টার ব্যবহার করা যায়।
স্ন্যাপচ্যাটের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি। প্রতিদিন গড়ে ১৮.৭ কোটি ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করে। এবং প্রতিদিন এর মাধ্যমে গড়ে ৩৫০ কোটি স্ন্যাপ আদান-প্রদান করা হয়। ২০১১ সালে চালু হওয়া এই অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন থেকে ব্যবহার করা যায়।
লাইন
লাইন (Line) অ্যাপটি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয় একটি ম্যাসেজিং এবং ভয়েস ও ভিডিও কলিং অ্যাপ। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক এই অ্যাপটি প্রথম চালু হয় ২০১১ সালে। এটি জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ। এর নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬০ কোটির বেশি, তবে নিয়মিত মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২১ কোটি। জাপান ছাড়াও তাইওয়ান, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ায় এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
লাইন অ্যাপটিতে চমৎকার কিছু ফিচার আছে। এতে ফেসবুকের মতো একটি টাইমলাইন আছে, যেখানে পোস্ট করা যায় এবং পোস্টের নিচে কমেন্টও করা যায়। ব্যবহারকারীরা ছবি পাঠানো ছাড়াও ছবির অ্যালবাম তৈরি করতে এবং তা শেয়ার করতে পারে। টুইটারের মতো এতে বিখ্যাত ব্যক্তিদেরকে অনুসরণ করা যায়। এতে গেম খেলার সুবিধাও আছে।
ব্ল্যাকবেরি ম্যাসেঞ্জার
২০০৫ সালে চালু হওয়া ব্ল্যাকবেরি ম্যাসেঞ্জার (Blackberry Messenger) বা সংক্ষেপে BBM হোয়াটসঅ্যাপ চালুর পূর্ব পর্যন্ত অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। পূর্বে শুধুমাত্র ব্ল্যাকবেরি ফোন থেকে এটি ব্যবহার করা গেলেও ২০১৩ সাল থেকে এর অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন সংস্করণ চালু করা হয়। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি। এটি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ, যেখানে প্রায় ৮৭.৫% ফোন ব্যবহারকারীই এই অ্যাপটি ব্যবহার করে।
টেক্সট ম্যাসেজ, ভয়েস ও ভিডিও কল, ছবি ও ভিডিও পাঠানো ছাড়াও ব্ল্যাকবেরি ম্যাসেঞ্জার এর বেশ কিছু অনন্য নিরাপদ ম্যাসেজিং সুবিধার জন্য বিখ্যাত। এর মাধ্যমে বার্তা বা ছবি পাঠানোর পরেও তা উভয় প্রান্ত থেকে মুছে ফেলা যায়। আবার প্রতিটি বার্তা বা ছবির জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দেওয়া যায়, যে সময়ের পরে ঐ বার্তা বা ছবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে।
টেলিগ্রাম
ম্যাসেজিং জগতে টেলিগ্রাম (Telegram) অনেকটাই নতুন। এটি একটি ক্লাউডভিত্তিক ম্যাসেজিং অ্যাপ, যেখানে তথ্যগুলো ক্লাউডে সংরক্ষিত থাকে এবং সেখান থেকে ব্যবহারকারীর যেকোনো ডিভাইসে লোড হতে পারে। প্রচলিত ম্যাসেজিং অ্যাপগুলোর মতো এখানে কোনো অডিও বা ভিডিও কলের সুবিধা ছিল না, যদিও পরবর্তীতে ভয়েস কল সুবিধা যুক্ত করা হয়। এতে ছবি, অডিও, ভিডিও সহ যেকোনো ধরনের ফাইল আদান-প্রদান করা যায়।
টেলিগ্রাম রাশিয়ান তরুণ কোটিপতি পাভেল দুরোভ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক ওপেন সোর্স অ্যাপ। ২০১৩ সালে চালু হওয়া অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে এবং বছরে ৫০% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টেলিগ্রামের গ্রুপগুলোতে ৫ হাজার পর্যন্ত সদস্য যুক্ত করা যায় এবং এর চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে অসীম সংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে বার্তা প্রচার করা যায়।
ফিচার ইমেজ- teks.co.in