জার্মানি, ১৯৪৫ সালের মাঝামাঝি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়। ব্রিটিশ বন্দীশালা থেকে একদিন হঠাৎ করে পালিয়ে গেলেন উচ্চপদস্থ এক জার্মান নারী এসএস অফিসার। তার পলায়নের সংবাদ পাওয়ামাত্রই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেপ্তারের সময় তোলা ছবিগুলোর কপি পাঠিয়ে দিল আশেপাশের প্রতিটি মিলিটারি পুলিশ স্টেশনে। কিন্তু ব্রিটিশদের অজান্তে ঐ পলাতক এসএস অফিসারের দুই কপি ছবি সংগ্রহ করে সেগুলোর ভিত্তিতে ব্রিটিশদের আগেই তাকে খুঁজে বের করে ফেলল জার্মানিতে সক্রিয় ইহুদীদের গুপ্ত সংগঠন ‘গমুল। তাদের মূল ঘাঁটিটি ছিল ঐ বন্দীশালার কাছেই।
গমুল (Gmul) ছিল ফিলিস্তিনে বসবাসরত ইহুদীদের সশস্ত্র প্রতিরক্ষামূলক সংগঠন হাগানার একটি বিশেষ শাখা। এদেরকে নিয়োগ করা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদী গণহত্যার সাথে জড়িত উচ্চপদস্থ নাৎসি অফিসারদেরকে খুঁজে বের করে হত্যা করার জন্য। গমুল সংগঠিত হয়েছিল ব্রিটিশদের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা ইহুদী ব্রিগেডের সৈন্যদের সমন্বয়েই, ফলে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও তারা খুব সহজেই জার্মানিতে তৎপরতা চালিয়ে যেতে পারছিল। বন্দীশালার পাশেই তাদের মূল ঘাঁটি অবস্থিত হওয়ায় গমুলের গোয়েন্দারা সহজেই এসএস অফিসারের দুটি ছবি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। ব্রিটিশদের চোখ এড়িয়ে তারা জার্মানির শরণার্থী শিবিরগুলোতে অনুসন্ধান চালাতে শুরু করে এবং কিছুদিনের মধ্যেই একটি শিবিরে ঐ এসএস অফিসারের সন্ধান পেয়ে যায়।
গমুলের গোয়েন্দারা যখন পলাতক অফিসারটির কাছে গিয়ে জার্মান ভাষায় তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইল, তখন ভদ্রমহিলা জার্মান ভাষা না বোঝার ভান করে নিজেকে হাঙ্গেরিয়ান ইহুদী হিসেবে পরিচয় দিলেন। গমুলের সদস্যরা সে যাত্রা ফিরে গেল ঠিকই, কিন্তু শীঘ্রই তারা এক হাঙ্গেরিয়ান কিশোরকে পাঠিয়ে মহিলাকে জানাল, হাঙ্গেরিয়ান ইহুদীদেরকে নিয়ে একটি জাহাজ শীঘ্রই ফিলিস্তিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। ভদ্রমহিলার জন্য জার্মানি ছেড়ে পালানোর এরচেয়ে সুবর্ণ সুযোগ আর কিছু হতে পারত না। ফলে কোনো সন্দেহ না করেই তিনি জাহাজ ধরার জন্য চড়ে বসলেন একটি পিকআপ ট্রাকে। ট্রাকটির ড্রাইভারসহ তিনজন আরোহীই ছিল গমুলের সদস্য।
ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন ইসরায়েল কার্মি, আর পেছনে বসেছিলেন শ্যালম গিলাদি এবং মায়ার জোরিয়া, যিনি পরবর্তীতে আইডিএফের জেনারেল এবং নেসেট সদস্য হয়েছিলেন। ট্রাকটি মূল রাস্তা ছেড়ে একটু নিরিবিলিতে যাওয়ার পর যখনই কার্মি হর্ন বাজালেন, ঠিক তখনই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গিলাদি এবং জোরিয়া ঝাঁপিয়ে পড়লেন অফিসারটির উপর। তাদের ধস্তাধস্তিতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে গেলেন বিস্মিত এসএস অফিসারটি। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার অচেতন শরীর লক্ষ্য করে গুলি চালালেন ইসরায়েল কার্মি। এরপর মৃতদেহটি রাস্তার পাশে ফেলে যাওয়ার আগে তিনজন মিলে অফিসারটির পোশাক-আশাক এবং আশেপাশের জিনিসপত্র এমনভাবে এলোমেলো করে রেখে গেলেন, যেন মনে হয় কেউ তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে ইহুদী গুপ্ত সংগঠনগুলোর দ্বারা সংঘটিত শত শত প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ডের মধ্যে এটি ছিল মাত্র একটি। ফিলিস্তিন থেকে প্রায় ৩৮ হাজার ইহুদী সৈন্য ব্রিটিশদের অধীনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। সে সময় তাদের অনেকেই ইউরোপ জুড়ে বিভিন্ন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে ইহুদী বন্দীদের উপর নাৎসি বাহিনীর গণহত্যার ভয়াবহতার সাক্ষী হয়েছিল। কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পগুলো থেকে বেঁচে ফেরা ইহুদীদের কাছ থেকে তাদের উপর নির্যাতনের ভয়াবহ বিবরণ শুনে তাদের অনেকেই সেসময় শপথ করেছিল, তারা যে শুধু এই গণহত্যার প্রতিশোধ নেবে, তা-ই না, বরং তারা এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে, যেখানে ইহুদীদের উপর কেউ আক্রমণ করার সাহস পাবে না। এরকম একজন সৈন্য ছিল মোরদেখাই গিকেন, যার হাত ধরেই পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইসরায়েলের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স।
সে সময় ফিলিস্তিনের ইহুদী সম্প্রদায় তথা ইশুভের নেতা ছিলেন ডেভিড বেন গুরিয়ন, যার সম্পর্কে এবং যার নেতৃত্বাধীন সংগঠন হাগানা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছিল এ সিরিজের পূর্ববর্তী পর্বে। বেন গুরিয়ন ছিলেন অত্যন্ত বাস্তববাদী এবং দূরদর্শী একজন নেতা। তিনি জানতেন, ফিলিস্তিনের ইহুদীদের জন্য ইসরায়েল নামক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার যে দীর্ঘমেয়াদী জায়নবাদি পরিকল্পনা তাদের আছে, তার জন্য সকল ক্ষেত্রে রক্তের বদলে রক্তের নীতি ভালো ফলাফল না-ও বয়ে আনতে পারে। তাই ইহুদীদের উপর গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার সংবাদ জানার পরেও তিনি বলেছিলেন, প্রতিশোধের এখন আর কোনো জাতীয় মূল্য নেই। যে ষাট লাখ ইহুদীকে হত্যা করা হয়েছে, প্রতিশোধের মাধ্যমে তাদেরকে ফিরে পাওয়া যাবে না।
তবে প্রকাশ্যে এই দাবি করলেও বেন গুরিয়ন এবং হাগানার অন্যান্য নেতারা ঠিকই প্রতিশোধের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তারা বুঝতে পারছিলেন, যেসব ইহুদী সৈন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সরাসরি ইহুদীদের উপর চলা নির্যাতন প্রত্যক্ষ করেছিল, তাদের সন্তুষ্টির জন্য, একধরনের ঐতিহাসিক বিচার লাভের জন্য এবং ভবিষ্যতে ইহুদীদের উপর আক্রমণের প্রচেষ্টা বন্ধ করার জন্য হলেও তাদেরকে কিছু কিছু প্রতিশোধমূলক অপারেশনের অনুমোদন দিতে হবে। ফলে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই বেন গুরিয়ন এবং হাগানার অন্যান্য নেতারা মিলে ব্রিটিশদের অজান্তে, ব্রিটিশদের অধীনস্থ ইহুদী সৈন্যদের সমন্বয়ে একটি গুপ্ত সংগঠন সৃষ্টি করেন। সংগঠনটির নাম দেওয়া হয় গমুল (Gmul), যার অর্থ ক্ষতিপূরণ, তবে যার প্রকৃত লক্ষ্য ছিল প্রতিশোধ গ্রহণ।
ব্রিটিশদের তত্ত্বাবধানে ইহুদী ব্রিগেডের নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গমুলের সদস্যরা ছদ্মবেশে নাৎসি শিকারের কাজ করত। মোরদেখাই গিকেন, যিনি ছিলেন গমুলের অত্যন্ত সক্রিয় একজন এজেন্ট, তিনি দুটি ভিন্ন ছদ্মবেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। কখনো জার্মান বেসামরিক নাগরিকের ছদ্মবেশে তিনি জার্মানদের সাথে মিশে গিয়ে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য আদায় করার চেষ্টা করতেন বা গেস্টাপোদের ফেলে যাওয়া ফাইলপত্র ঘেঁটে তাদের অফিসারদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করতেন। আবার কখনো ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মেজর সেজে সন্দেহভাজনদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেন, যুগোশ্লাভ সম্প্রদায়ের কাছ থেকে নাৎসি অফিসারদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করতেন। এ সময় মার্কিন গোয়েন্দাবাহিনীর ইহুদী কর্মকর্তারাও গোপনে ফিলিস্তিনি ইহুদীদের কাছে পালিয়ে যাওয়া নাৎসি অফিসারদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য হস্তান্তর করত, যেন তারা তাদের উপর প্রতিশোধ নিতে পারে।
১৯৪৫ সালের জুন মাসে গমুলের সদস্যরা এক পোলিশ-জার্মান দম্পতির সন্ধান পায়, যারা জার্মানির ত্রাভিসিওতে বসবাস করত। ঐ দম্পতির স্ত্রীলোকটি অস্ট্রিয়া এবং ইতালি থেকে ইহুদীদের কাছ থেকে দখল করা সম্পত্তি জার্মানিতে পাচার করার কাজে জড়িত ছিল। আর তার স্বামী ছিল স্থানীয় গেস্টাপো অফিসের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। গমুলের সদস্যরা তাদেরকে তুলে নিয়ে আসে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্ব পড়ে ইসরায়েল কার্মির উপর, যার কথা উপরে আলোচিত হয়েছে এবং যিনি পরবর্তীতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মিলিটারি পুলিশ বিভাগের একজন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেছিলেন।
কার্মি এবং তার সহকর্মীরা জার্মান দম্পতিটিকে দুটি অপশন দিলেন- হয় তাদের পরিচিত সকল গেস্টাপো এবং এসএস অফিসারের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং জার্মান বাহিনীতে তাদের ভূমিকার তালিকা তৈরি করে দিতে হবে, অথবা নিশ্চিত মৃত্যুকে বরণ করে নিতে হবে। দম্পতিটি প্রথম অপশনটিই বাছাই করল। তাদের তৈরি করা তালিকা ধরে ধরে গমুল একের পর এক অভিযান চালিয়ে যেতে লাগল এবং পালিয়ে বেড়ানো নাৎসি অফিসারদেরকে খুঁজে বের করতে লাগল, যাদের অনেকেই বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে অথবা হাসপাতালে ভিন্ন পরিচয়ে দিন অতিবাহিত করছিল।
একটি নাম নিশ্চিত করার পর শুরু হতো গমুলের অপারেশনের দ্বিতীয় ধাপ- ঐ নামের ব্যক্তিটিকে খুঁজে বের করা, তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা এবং তার জীবনযাত্রার ছক তৈরি করা, যেন সুবিধাজনক সময়ে তাকে অপহরণ করে আনা যায়। এই কাজটির দায়িত্ব অধিকাংশ সময়ই পড়ত মোরদেখাই গিকেনের উপর। ফিলিস্তিনে যাওয়ার আগে তিনি ছোটকালে জার্মানিতেই বেড়ে উঠেছিলেন, ফলে তার জার্মান ছদ্মবেশ ছিল সম্পূর্ণ নিখুঁত। অনেক সময় তিনি সাধারণ জার্মান নাগরিকের ছদ্মবেশে সরাসরি গিয়ে সন্দেহভাজনদের সাথে কথা বলে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতেন। তাদের আসল নাম ধরে ডাকার পর যদি তারা সাড়া দিত, তাহলে তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যেত। আর যদি তারা চমকে গিয়ে নীরব হয়ে যেত, তাহলেও বোঝা যেত তারা আসল পরিচয় গোপন করে ছদ্ম পরিচয়ে বসবাস করছিল।
মোরদেখাই গিকেন কারো পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর অপারেশনের তৃতীয় ধাপ শুরু করত গমুলের গুপ্তঘাতক বাহিনী। প্রতিটি দলে চার-পাঁচ জনের বেশি সদস্য থাকত না। অধিকাংশ সময়ই তারা ব্রিটিশ মিলিটারি পুলিশের ইউনিফর্ম করে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে তাদের সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তুলে নিয়ে আসত। এরপর অনেক সময় উপরে বর্ণিত নারী এসএস অফিসারের মতো চলতি পথেই তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়ে চলে যেত। আর অনেক সময় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাদের মুখ থেকে আরো নাৎসি অফিসারের নাম-ঠিকানা বের করত। অবশ্য সব তথ্য দিয়ে দেওয়ার পরেও তাদেরকে একই পরিণতি বরণ করতে হতো।
গমুলের এই অপারেশনগুলোর স্থায়িত্বকাল ছিল মাত্র তিন মাস, ১৯৪৫ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই তারা এক থেকে দুইশ জার্মান অফিসারকে হত্যা করেছিল। তবে অনেক গবেষকের মতে, তাদের হত্যাকাণ্ডের শিকারদের অনেকেই আসলে নাৎসি অফিসার ছিল না, ছিল নিরপরাধ জার্মান নাগরিক। তাদের মতে, অপরাধীদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য গমুল যে কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করত, তা সঠিক ছিল না। ফলে অনেক সময়ই তারা ভুল লোককে তুলে নিয়ে যেত। আবার কখনো কখনো তারা যাদের কাছ থেকে তথ্য পেত, তারা ব্যক্তিগত শত্রুতা চরিতার্থ করার জন্য মূল অপরাধীদের পরিবর্তে অন্য কারো নাম-ঠিকানা ধরিয়ে দিত।
একের পর এক সাবেক জার্মান অফিসারদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা খুব বেশি দিন চাপা দিয়ে রাখতে পারেনি গমুল। ব্রিটিশরা বুঝতে পেরেছিল ঘটনাগুলোর পেছনে ইহুদীরাই দায়ী। ঘটনাগুলোর কোনো তদন্ত না করলেও তারা ইহুদী ব্রিগেডকে জার্মানি থেকে বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডে স্থানান্তর করে। ততদিনে হাগানা থেকেও নির্দেশ আসে, প্রতিশোধমূলক অপারেশন বন্ধ করে বরং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইহুদী পরিবারগুলোকে সাহায্য করার জন্য, তাদেরকে ফিলিস্তিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য এবং সেই সাথে ফিলিস্তিনের ইহুদী সম্প্রদায় তথা ইশুভের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করার জন্য। কারণ হাগানার কাছে তখন ঘটে যাওয়া যুদ্ধের প্রতিশোধের চেয়ে বরং ভবিষ্যতে ঘটতে যাওয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তথ্যসূত্র
Rise and Kill First: The Secret History of Israel’s Targeted Assassinations
এই সিরিজের অন্যান্য পর্ব
(১) সন্ত্রাসী সংগঠন লেহি’র গুপ্তহত্যা, (২) উগ্র জায়নবাদের উত্থান, (৩) ইহুদীদের নৈশ প্রহরী হাশোমারের ইতিহাস, (৪) আইডিএফের পূর্বসূরি হাগানার উত্থান, (৬) ফিলিস্তিন থেকে জার্মানদেরকে উচ্ছেদ
ফিচার ইমেজ: Youtube