টেবিলের উপর রখা মুঠোফোনে সেনেগালিজ ভাষায় সুমিষ্ট গান বাজছে, আর ৩৫ বছর বয়স্ক মারি ডিউফ নিরিবিলি তার অফিসিয়াল কাজে মগ্ন। টেবিলে সাজিয়ে রাখা লবণের ফাইলগুলো উল্টে-পাল্টে দেখছেন। তার শরীরে আফ্রিকার বিখ্যাত বউবো (boubo) পোশাক; পোশাকটির রঙ লাল; লালের ভেতর বুক বেয়ে নেমে গেছে একটি ধবধবে সাদা, ঐতিহ্যবাহী কারুকাজ।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। অফিসের কাজ শেষ করে সরেজমিনে শ্রমিকদের কাজকর্ম পরিদর্শন করতে এসেছেন তিনি। তখন প্রচণ্ড পেশিশক্তির অধিকারী কিছু যুবক লবণের মন্ডগুলোতে ক্রমাগত আঘাত করে দিনের শেষ কাজগুলো দ্রুত ঘুচিয়ে ফেলছে। এসব পর্যবেক্ষণ করতে করতে মারি ডিউফ বলেন,
আমি যখন দেখেছিলাম, অন্য পুরুষদের নিজস্ব ভূমি আছে, তখন আমি নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম- ‘আমার কেন নিজস্ব ভূমি নেই?
মারি যখন এই কথাগুলো বলছিলেন, তখন তার চোখে-মুখে এক অসাধারণ সরলতা ও সাফল্যের ছাপ ফুটে উঠছিল। নিজের মধ্যকার সুপ্ত বাসনাকে তিনি বাস্তবে রূপদান করেছেন। সেই আনন্দে প্রাচীন বোব্যাব গাছগুলো যেন নুয়ে পড়ে মারিকে কুর্নিশ করছিল; আর ভুট্টার শুষ্ক গাছগুলো বাতাসের কাছে তার সাফল্যের গীত শোনাচ্ছে। এই ধুসর গ্রামেই মারির বেড়ে ওঠা। গ্রামটির নাম এনডিমউ। স্থানীয় ভাষায় ‘এনডিমউ’ মানে হচ্ছে ‘লবণ’।
২০০০ সালে যখন সেনেগালের সরকার প্রথমবারের মতো অত্র অঞ্চলে ব্যক্তিপর্যায়ে জমি ক্রয়ের অনুমতি প্রদান করে, তখন মারি ডিউফ ছিলেন প্রথম নারী, যিনি এই ভূমিতে বিনিয়োগ করেন। এটি ছিল পশ্চিম আফ্রিকার কোনো দেশের প্রেক্ষাপটে এক দুঃসাহসী ঘটনা। কেননা, সেখানে সম্পত্তিতে নারীদের অধিকার খুবই সীমিত। যদিও দেশটির কৃষিখাত ও লবণ উৎপাদন শিল্পে প্রচুর সংখ্যক নারী শ্রমিক কাজ করে।
লবণ শিল্পে শ্রমিক হিসেবে তাদের অবদান অনেক। লবণ সংগ্রহের মূল সময় তথা ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রায় নারী শ্রমিকরা লবণ প্রস্তুতের কাজ করেন। লবণের স্তুপ থেকে ময়লা দূর করে তা ঝুড়িতে নিয়ে, মাথায় বহন করে নির্দিষ্ট স্থানে জমা রাখেন। এতদসত্ত্বেও তাদের শ্রমের কোনো অর্থনৈতিক মূল্য নেই। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কিংবা পরিবারের পুরুষ কর্তার হাতে চলে যায় পারিশ্রমিক। কিন্তু নারীদের প্রতি এই বৈষম্য মেনে নিতে পারেননি মারি ডিউফ। তাই নিজেই হয়ে উঠেছেন উদ্যোক্তা। তবে সেই পথ মসৃণ ছিল না। তিনি বলেন,
আমি যখন প্রথম এই কাজ শুরু করি, তখন পুরুষরা বলতে শুরু করলো, আমার দ্বারা এই ব্যবসা হবে না। কিন্তু জবাবে আমি তাদের বলতাম, যে কাজ পুরুষরা পারে, সে কাজ নারীরাও পারে।
আজ সেই মারি ডিউফের লবণ শিল্পেই কয়েক ডজন নারী ও পুরুষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন; তার স্বামীও এখানে কাজ করেন। তার এই ক্ষুদ্র শিল্পে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ টন লবণ উৎপাদিত হয়, যা পার্শ্ববর্তী নদীর পানি নিষ্কাশন করে সংগ্রহ করা হয়। সরলতার সাথে হেসে দিয়ে মারি ডিউফ বলেন,
ঘরের মধ্যে আমার স্বামী আমার বস, কিন্তু লবণের ফ্যাক্টরিতে আমিই তার বস।
মারি ডিউফ যে বছর জমি লিজ নেন, ঠিক সে বছরই দেশটির রাষ্ট্রপতি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে সকল লবণ কারখানায় লবণের সাথে আয়োডিন মিশ্রণের আদেশ জারি করেন। কেননা সেনেগালের নাগরিকদের মধ্যে তীব্র আয়োডিনের সঙ্কট রয়েছে। দেশের জনসম্পদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এটি ছিল রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে একটি উত্তম পদক্ষেপ।
যদিও এটি খুব একটা ব্যায়বহুল কোনো প্রকল্প নয়, প্রতি টন লবণে মাত্র ৬ আউন্স আয়োডিন মিশ্রণ করতে হয়, যার বাজার মূল্য মাত্র ৩৪০ টাকা। তবুও লবণ কারখানাগুলো অধিক মুনাফার লোভে লবণে আয়োডিন মিশ্রণ থেকে বিরত থাকে। তবে বিশ্বের প্রায় সকল উন্নত দেশ এক শতক আগেই আয়োডিনের অভাব দূর করে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে খুব একটা শোনা যায় না যে, কারো দেহে আয়োডিনের অভাব দেখা দিয়েছে। কিন্তু সেনেগালের অবস্থা ভিন্ন।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশসমূহের মধ্যে সেনেগালেই সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদিত হয় (বছরে প্রায় ৫,০০,০০০ টন), তবুও আয়োডিনের অভাব দেশটিকে এখনো নাকাল করে রেখেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে লবণের মান নিয়ন্ত্রণ করাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মারি ডিউফ বর্তমানে দেশটির মোট উৎপাদনের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ লবণ উৎপাদন করেন এবং তিনি সরকার নির্ধারিত পদ্ধতির মধ্যে অর্থাৎ পর্যাপ্ত আয়োডিন মিশ্রণ করেই লবণ বাজারজাত করেন। কিন্তু এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা ক্ষুদ্রস্বার্থের আশায় এই মান সংরক্ষণের ব্যাপারে যত্নশীল নয়।
এ কারণে ‘আয়োডিন গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’, ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন’ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক পক্ষগুলো সেনেগাল সরকারকে নাগরিকদের জন্য আয়োডিন সেবা নিশ্চিত করতে চাপ ও সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। তারা লবণের পাশাপাশি প্রস্তুতকৃত খাদ্য, মশলা ও চাটনির সাথেও আয়োডিন সংযুক্ত করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।
২০১৫ সালে পরিচালিত এক জাতীয় জরিপে দেখা যায়, সেনেগালের মাত্র ৩৭ শতাংশ মানুষ পর্যাপ্ত আয়োডিন গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। গ্রাম্য এলাকায় এই চিত্র বেশ ভয়াবহ। সেখানে খুব কম সংখ্যক মানুষ আয়োডিন গ্রহণ করে থাকে। যেখানে ২০১৩ সালের এক আন্তর্জাতিক জরিপে দেখা যায়, সারা বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যেই পর্যাপ্ত আয়োডিন গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
আয়োডিন গর্ভাবস্থায় এবং শৈশবে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৫ সালের এক জরিপে দেখা যায়, দেশটির ৩০ শতাংশ নারী গর্ভবতী অবস্থায় আয়োডিনের সঙ্কটে ভোগেন। এর ফলে তারা ত্রুটিপূর্ণ সন্তান প্রসব করেন। অনেক সময় প্রতিবন্ধী কিংবা স্নায়বিক দুর্বলতা সম্পন্ন সন্তান প্রসব করেন। এমনকি আয়োডিনের সামান্য অভাবে একজন শিশুর মানসিক দক্ষতা ১০-১৫ শতাংশ কমে যেতে পারে।
লবণ ছাড়াও সামুদ্রিক খাবার, দুগ্ধজাত পণ্য ও খাদ্যশস্যে প্রচুর পরিমাণ আয়োডিন থাকে। যদিও মাটির ভিন্নতার কারণে শস্যে আয়োডিনের পরিমাণে ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু সেনেগালের গ্রামীণ জনপদের মানুষদের পক্ষে নিয়মিত এসব খাদ্যও গ্রহণ করা সম্ভব নয়। বিশেষত যখন দেশটির একটি বড় অংশ দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে জীবনযাপন করছে।
মারি ডিউফ তার দেশের জনগণকে এই অবস্থা থেকে মুক্ত করার ব্রত গ্রহণ করেছেন। এজন্য তিনি সংযুক্ত হয়েছেন কানাডাভিত্তিক ‘নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি এনজিওর সাথে। এই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তিনি ঘরে ঘরে গিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। তিনি আয়োডিনের প্রয়োজনীয়তা ও এর উৎস সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করছেন। ইতিমধ্যেই তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী নারী ও জনসচেতনতা প্রচারের কারণে স্থানীয় মানুষের কাছে ভালোবাসার পাত্র হয়ে উঠেছেন। এজন্য জনগণ তাকে খেতাব দিয়েছে ‘দ্য কুইন অফ সল্ট’ বা ‘লবণের রানী’ হিসেবে।
তার প্রচেষ্টায় লবণ চাষের এলাকায় দ্রুত আয়োডিন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লবণ চাষের এলাকায় বসবাসরতদের মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ আয়োডিন যুক্ত লবণ গ্রহণ করে থাকেন। যেখানে দেশটির শহুরে বাসিন্দাদের ৫৩ শতাংশ আয়োডিন যুক্ত লবণ গ্রহণ করেন। মূলত যে সকল এলাকায় লবণ চাষ হয়, সেসব এলাকার মানুষ অপরিশোধিত, তথা আয়োডিন মুক্ত লবণ গ্রহণ করে থাকেন। এ বিষয়ে সরকারের ‘সর্বজনীন লবণ আয়োডিনকরণ প্রকল্পের’ আঞ্চলিক প্রতিনিধি আদামা নগুরানে বলেন,
এর পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে, তবে প্রধান কারণ হলো আয়োডিন সম্পর্কে মানুষের যথাযথ জ্ঞানের অভাব। যেখানে তারা বিনামূল্যে চাষ প্রকল্প থেকে লবণ সংগ্রহ করতে পারেন, সেখানে তাদের আয়োডিনযুক্ত লবণ সংগ্রহের ব্যাপারে রাজি করানো বেশ কঠিন।
এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রকল্পে মারি ডিউফের মতো আরও নারীকে সংযুক্ত করা কঠিন। অথচ দেশটির জনগণের অর্ধেকই কিন্তু নারী। এর কারণ হলো, নারীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্য প্রস্তুত ও সন্তানদের লালন পালন করা নিয়েই ব্যাস্ত থাকেন। এছাড়া মারি ডিউফের মতো সকল ব্যবসায়ী লবণে পর্যাপ্ত আয়োডিন মিশ্রণেও যত্নশীল নয়। আদামা নগুরানে বলেন,
আমি বিশ্বাস করি, আমরা আমাদের দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য অচিরেই এসব সমস্যার সমাধান করতে পারবো। আমাদের শিশু ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এখনই এসব সমস্যার সমাধান করা জরুরি। এক্ষেত্রে মারি ডিউফ আমাদের জন্য একজন অনুপ্রেরণাদায়ী আদর্শ। আমরা তার দেখানো পথ ধরেই সমাধানে পৌঁছাতে চাই।
বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি বিশেষজ্ঞ মেনো মুলডের সিবান্দা, যিনি দীর্ঘদিন সেনাগাল সরকারের সাথে কাজ করছেন, বলেন,
আয়োডিনের অভাব দূর করা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্যও খুব জরুরি। এজন্য সেনেগাল সরকার লবণ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিশেষ প্রণোদনা দিতে আগ্রহী। সেবামূলক ব্যাবসায়িক মডেল ও লবণ শিল্পে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন,
এটি হলো একটি নৈতিক ব্যাপার, আমরা যদি সকলে নিজ দায়িত্বে এগিয়ে আসি তাহলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। কেননা, সেনেগালের মতো দেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে এটা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক যে, আমরা এখনো তেমন কোনো অগ্রগতির দিকে অগ্রসর হতে পারিনি।
তবে স্থানীয় এনডিমউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাপে কোউম্ব নদফিন ফেই জানান, মারি ডিউফের তৎপরতা ও সেবা ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এতে শিশুদের মেধা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন,
মারি ডিউফের এই প্রজেক্ট শুরু হওয়ার পর শিশুরা আয়োডিন যুক্ত লবণ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। এর ফলে তাদের মানসিক সক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমাদের স্কুলের ফলাফলেরও দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের স্কুল অত্র অঞ্চলের স্কুলসমূহের মধ্যে ৩১ তম স্থানে উঠে এসেছে।
নদফিন ফেই ২০০৪ সাল থেকে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন,
আমি যদি পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো আমরা ক্রমোন্নতি সাধন করেছি।
মারি ডিউফের একমাত্র কন্যা ফাতউয়ের বর্তমান বয়স ১৩ বছর। ফাতউ ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ের লেখাপড়া শেষ করে মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন সকালে প্রায় ২.৫ মাইল পথ পায়ে হেঁটে স্কুলে যায় সে। মারি ডিউফ চান তার মেয়ে বড় হয়ে একজন দক্ষ সিইও বা কূটনীতিবিদ হোক, অথবা দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোক।
মারি ডিউফের এই প্রত্যাশা হয়তো উচ্চাভিলাষী, তবে অসম্ভব নয়। এক্ষেত্রে কিছু কাকতালীয় ব্যাপারও কাজ করতে পারে; কেননা সেনেগালের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মেকি সাল ফাতউয়ের শহর এনডিমউ থেকে মাত্র ৫ মাইল দূরে ফাটিক শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
এ শহরেই তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মেয়র ছিলেন। স্থানীয় জনগণের মধ্যে তার তুমুল জনপ্রিয়তাও রয়েছে, কিন্তু তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার পর এলাকার কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি; সেনেগালের দরিদ্র জনতার ভাগ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।
তবে মেকি সালের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রশংসার দাবিদার। ইতিমধ্যেই তিনি ফাটিক থেকে ডাকারের মধ্যে একটি উন্নত সড়ক ও অবকাঠামো গড়ে তুলছেন। এছাড়া তিনি দীর্ঘমেয়াদী ‘উঠতি সেনেগাল পরিকল্পনা’ গ্রহণ করেছেন। পরিকল্পনানুসারে ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশটি দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সড়ক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সক্ষমতা অর্জন করবে।
এ বাস্তবতা মেনে নিয়েই মারি ডিউফ স্বপ্ন দেখতে চান। তিনি মনে করেন,
মেকি সাল তো আর অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আমরা চাই, আমাদের সন্তানরা তার অসমাপ্ত কাজকে সামনে এগিয়ে নেবে। তাই আমরা আমাদের সন্তানদেরকে প্রস্তুত করছি।