হোয়াটসঅ্যাপ এমন একটি অ্যাপের নাম যা বাংলাদেশের কোনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী কখনো শোনেননি বলে মনে হয় না। অনেকেই নতুন ফোন কিনে প্রথম যে অ্যাপটি ইনস্টল করে থাকেন সেটি হোয়াটসঅ্যাপ। তাৎক্ষণিক বার্তা (instant messaging) আর হোয়াটসঅ্যাপ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াতেই প্রায় সমার্থক হয়ে গিয়েছে। তাৎক্ষণিক বার্তা আদান প্রদানের অন্যান্য অনেক মাধ্যম এসেছে, আবার হারিয়েও গিয়েছে। তাতে হোয়াটসঅ্যাপের দাপট এতদিন কমেনি। কিন্তু ২০২১ সালের প্রথম মাসেই প্রথমবারের মতো একটা পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী। তার পেছনে মূল কারণ ফেইসবুক-মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা।
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার চিত্র
ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘সোনার হরিণ’। আমরা যখন ফেইসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক মাধ্যমে যোগদান করি, তথ্যের নিরাপত্তার কথা খুব কমই মাথায় আসে। আমরা ধরেই নিই যে, যদি এগুলোর সেটিংসের মাধ্যমে কোনো তথ্য বা ছবি কারও কাছ থেকে গোপন রাখতে চাই, তাহলে তা-ই থাকবে। এছাড়া এসব মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতারা প্রায়ই আমাদের তথ্য বিষয়ক নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকেন। তাহলে ভয়ের কী আছে? কিন্তু আমরা যেটা ভুলে যাই সেটা হল অধিকাংশ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম তাদের ব্যবসা চালু রাখে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে। কোটি কোটি পণ্যের ভীড়ে আপনাকে আপনার চাহিদামতো পণ্য দেখানোর জন্য ফেইসবুক এবং গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান আপনার তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
এর কিছুটা বাহ্যিকভাবেই চোখে পড়ে। আপনি ফেইসবুকে যেসব পোস্টে লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার করবেন, হয়তো তার একটু পরেই সেই পোস্টের সাথে সম্পর্কিত কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। এখানেই শেষ হয়। ফেইসবুক অ্যাপ ফোনে থাকলে অ্যাপটি চেষ্টা করে আপনি অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহারের সময় কী করছেন সেটাও জানতে। কম্পিউটারে আপনি যে ওয়েব ব্রাউজার থেকে ফেইসবুক ব্যবহার করবেন, সেই একই ব্রাউজার থেকে অন্যান্য যেসব ওয়েবসাইটে যাবেন, ফেইসবুক সেগুলি টুকে রাখবে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার বোধহয় ফেইসবুক মেসেঞ্জার। এটি আমাদের দেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রায় হোয়াটসঅ্যাপের মতোই জনপ্রিয়। ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য ফেইসবুকের নিজস্ব তাৎক্ষণিক বার্তা ব্যবহারের শর্তাবলি প্রথমবার পড়ার পর আপনি মোটামুটি নিশ্চিতভাবে চমকে উঠবেন। মেসেঞ্জারে ব্যক্তিগত আলাপে পাঠানো তথ্যাবলি ফেইসবুক খোলাখুলিভাবেই দেখে থাকে। আমাকে একাধিক বন্ধু বলেছেন তারা সামনাসামনি বা ফোনে কারও সাথে কিছু একটা নিয়ে কথা বলার পর ফেইসবুক সেই জিনিসের বিজ্ঞাপন দেখিয়েছে। এগুলি কাকতালীয় হওয়া সম্ভব নয়।
হোয়াটসঅ্যাপ যেভাবে সমালোচনায়
২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হোয়াটসঅ্যাপকে ২০১৪ সালে ফেইসবুক অধিগ্রহণ করে। আগে থেকেই তথ্য সুরক্ষা নিয়ে ফেইসবুকের প্রশ্নসাপেক্ষ ভূমিকার কারণে বেশ কিছু ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপ তখনই বর্জন করেন। ২০১৯ সালে বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী হ্যাকিংয়ের স্বীকার হন। এসব কিছুর পর ২০২১ এর জানুয়ারির শুরুতে ফেইসবুক ঘোষণা করে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের কিছু তথ্য ফেইসবুকের সাথে শেয়ার করা হবে। এর আগে এটি বাধ্যতামূলক ছিল না, কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ জানায় নতুন শর্তাবলি কার্যকর হওয়ার পর প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে অবশ্যই রাজি হতে হবে, নয়ত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না।
খুব সম্ভবত এর বড় কোনো প্রতিক্রিয়া হবে এমনটা ফেইসবুক আশা করেনি। কিন্তু ব্যবহারকারীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ইলন মাস্ক এবং এডওয়ার্ড স্নোডেনের মতো ব্যক্তিদের কথা জনমনে বড় একটি প্রভাব ফেলে। অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে সিগনাল এবং টেলিগ্রাম তাৎক্ষণিক বার্তার অ্যাপ ইনস্টল করেন। জানুয়ারির প্রথম তিন সপ্তাহেই টেলিগ্রাম ২.৫ কোটি এবং সিগনাল ৭৫ লক্ষ নতুন ব্যবহারকারী পায়। এর আগে তথ্য সুরক্ষা নিয়ে বিশ্বব্যাপী কম সংখ্যক মানুষই মাথা ঘামিয়েছে, এবং এতে ফেইসবুকের মতো তথ্য নিয়ে ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠানের লাভ বেড়েই চলেছে। ফেইসবুক-নিয়ন্ত্রিত হোয়াটসঅ্যাপ থেকে অধিকতর নিরাপদ মাধ্যমে আসার এই গণজোয়ার নিঃসন্দেহে অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক একটি ঘটনা।
তবে শুধু হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেইসবুক মেসেঞ্জার থেকে বের হয়ে এলেই কি অনলাইনে আমাদের তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে? উত্তর: না। অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্যের শতভাগ সুরক্ষা পাওয়া মোটামুটি অসম্ভব। তবে এই বিষয়ে যেহেতু আমাদের চোখ খুলতে শুরু করেছে, আসুন দেখা যাক আমরা ইন্টারনেট, বিশেষ করে ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত আলাপচারিতাকে সত্যিই ব্যক্তিগত রাখতে আর কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি।
সার্বিকভাবে ফেইসবুক বর্জন
ছবি প্রকাশের জন্য বহুল জনপ্রিয় অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম। ২০১২ সালে ফেইসবুক এটি অধিগ্রহণ করে। ইনস্টাগ্রামের ব্যবহার নীতিমালা ও শর্তাবলি নিয়েও ২০২০ সালের শেষ দিকে আলোড়ন উঠেছিল। তবে সেটি এতটা গণমানুষের কাছে পৌঁছায়নি। ২০২০ এর সেপ্টেম্বরে ফেইসবুকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এতে বলা হয় ফেইসবুক-মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ আইফোনের ক্যামেরা চালু রেখে ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি করছিল। ফেইসবুকের পক্ষ থেকে এটিকে যান্ত্রিক ত্রুটি বলা হলেও তারা অভিযোগ অস্বীকার করতে পারেনি। কাজেই বুঝতেই পারছেন, আপনার ফোনের ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ হাতে থাকা ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করাটা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ।
হোয়াটসঅ্যাপ ফেইসবুকের একটি অংশমাত্র। মূল সমস্যা ফেইসবুকেই। তাহলে কী করা যাবে? অনেকের জন্যই ফেইসবুক পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রের যোগাযোগও এই মাধ্যমে হয়, এছাড়া এখানে আমাদের এমন অনেকের সাথে যোগাযোগ হয় যাদের সাথে অন্য কোথায় যোগাযোগ হয় না। কাজেই কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। আজই আপনার বন্ধু ও সহকর্মীদের নতুন কোনো সামাজিক মাধ্যমের কথা বলুন। এমন একটি মাধ্যম যেটি আপনার তথ্য নিয়ে ব্যবসা করবে না, আপনার অনুমতি না নিয়ে আপনার ছবি ও ভিডিও নিয়ে নেবে না, যেটি মুক্ত বা ওপেন সোর্স হওয়ার কারণে ভেতরে ভেতরে তথ্য পাচারের কোনো সম্ভাবনা নেই।
কিন্তু এমন সোনায় সোহাগা জিনিসের কি আদৌ অস্তিত্ব আছে? আছে! এর নাম Minds (www.minds.com)। তবে একটি সমস্যা হল এটি নিতান্তই নতুন এবং স্বল্প-পরিচিত মাধ্যম। এতে আপনি এবং আপনার বন্ধুদের যদি যোগদান করাতে সমর্থ হন, তবে আস্তে আস্তে আপনাদের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে, এবং নতুন মানুষও যুক্ত হতে থাকবে। সুবিধা হলো, Minds দেখতে ও ব্যবহার করতে অনেকটাই ফেইসবুকের মতো, কাজেই ফেইসবুক থেকে এসে এটি ব্যবহার করতে তেমন বেগ পেতে হবে না।
এনক্রিপশনের মাধ্যমে তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
সামাজিক যোগাযোগের যেরকম বিকল্প আছে, তাৎক্ষণিক বার্তার ক্ষেত্রে কী করা যাবে? হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেইসবুক মেসেঞ্জার বাদ দিয়ে যোগাযোগের নতুন মাধ্যম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। অ্যাপলের আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য শত শত তাৎক্ষণিক বার্তার অ্যাপ রয়েছে। কাজেই যে অ্যাপটি ব্যবহার করা হবে সেটি সত্যিই তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে কি না তা যাচাই বাছাই করে নিতে হবে। এছাড়া মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের স্বরূপ কেমন তাও দেখার বিষয়।
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন শর্তাবলি জারির প্রস্তাবনা আসার পর অনেকেই টেলিগ্রাম ও সিগনাল নামের অ্যাপ ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। তার কারণও আছে। এই দু’টি অ্যাপই তথ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বেশ কঠোর। তবে সার্বিকভাবে টেলিগ্রাম ও সিগনালের মধ্যে সিগনাল অধিকতর গ্রহণযোগ্য। ব্যক্তিগত বার্তা আদান-প্রদানে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তির কৌশলগত ব্যবহার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে আপনি যখন আরেকজনকে বার্তা পাঠাবেন, ঐ ব্যক্তি যে যন্ত্রের মাধ্যমে (ফোন বা কম্পিউটার) মেসেজটি পাবেন, সেটি ছাড়া আর কোথাও ঐ বার্তাটি পাঠ করা সম্ভব নয়, এমনকি যারা অ্যাপ বানিয়েছে তারাও নয়।
টেলিগ্রামে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের সুবিধা থাকলেও এটি শুরু থেকেই চালু থাকে না, চালু করে নিতে হয়। সিগনালে শুধু যে এটি চালু থাকে তা নয়, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বন্ধ করারও কোনো উপায় নেই। তাছাড়া সিগনালের ব্যবহারবিধি ও চেহারা দেখতে অনেকটাই হোয়াটসঅ্যাপের মতো বলে নতুন ব্যবহারকারীদের সুবিধা হবে। এতে অডিও এবং ভিডিও ফোন (গ্রুপ কল সহ) রয়েছে, যা বার্তার মতোই এনক্রিপ্টেড।
এছাড়া এই অ্যাপটি সার্ভার ও ক্লায়েন্ট দুই পক্ষ থেকেই পুরোপুরি মুক্ত সফটওয়্যার বা ওপেন সোর্স। এর সোর্ড কোড উন্মুক্ত বলে গোপনে অ্যাপের ভেতর কোনো অবাঞ্ছিত তথ্য চুরি সম্ভব নয়। পুরোপুরি অনুদানের উপর নির্ভরশীল অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের তৈরি বলে কোনো বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছে সিগনাল বিক্রি হয়ে যাওয়াও সম্ভব নয়। এসব দিক বিচারে বাজারের অন্যান্য (কিছু বিনামূল্যের, কিছু বাণিজ্যিক) তাৎক্ষণিক বার্তা বিনিময়ের অ্যাপের তুলনায় সিগনাল অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। তাছাড়া যেহেতু হোয়াটসঅ্যাপের কেলেঙ্কারির পর প্রচুর মানুষ টেলিগ্রাম ও সিগনাল ব্যবহার করতে শুরু করেছেন, নতুন ব্যবহারকারী হিসেবে অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগ করতে বিশেষ বেগ পেতে হবে না।
দৈনন্দিন অন্যান্য ক্ষেত্রে তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা
গুগল আরেকটি বড় প্রতিষ্ঠান যেটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে উপার্জন করে থাকে, এবং স্বভাবতই তথ্য সুরক্ষা ইস্যুতে গুগলও একাধিকবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তবে ভরসার কথা হলো গুগলের সেবাগুলো একেবারে ছেড়ে না দিয়েও গুগল আপনার কী কী তথ্য পাবে সেগুলো আপনার অ্যাকাউন্ট সেটিংসে গিয়ে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। কাজেই আজই গুগলে আপনার লোকেশন, ওয়েব ও ইউটিউব অ্যাক্টিভিটি সেটিংসগুলি দেখে নিন!
আরেকটি গুরুতর যে বিষয়ের কথা না বললেই না সেটি হল অপারেটিং সিস্টেম। অধিকাংশ মানুষ ব্যক্তিগত ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ কম্পিউটারে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যবহার করে থাকেন। উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারের শর্তগুলির একটি হলো আপনার ইমেইল সহ অন্যান্য যোগাযোগের তথ্য, প্রাইভেট ফোল্ডারে রাখা ফাইল ইত্যাদি সার্বিক ব্যক্তিগত জিনিস মাইক্রোসফট উইন্ডোজ দেখতে পারবে, অন্য কাউকে দেখাতে পারবে এবং সংরক্ষণ করতে পারবে। এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ সীমিত আকারে বন্ধ করা গেলেও উইন্ডোজ ব্যবহারে তথ্য পাচারের ঝুঁকি রয়েই যায়।
কাজেই কম্পিউটারে বিকল্প কোনো অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে আগের মতোই অনেক বেশি নিরাপত্তা পাওয়া সম্ভব মুক্ত ও ওপেন সোর্স বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে, যেমন লিনাক্স। ফোনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এমন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করা উচিত যাতে নির্মাতারা স্বচ্ছতার সাথে নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে, অথবা যেসব ডিভাইসে নিরাপদ কোনো অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা সম্ভব।
সবচেয়ে বড় কথা, যখনই নতুন কোনো সেবা বা সার্ভিসে যোগদান করবেন, তার আগে তাদের নীতিমালা ও শর্তগুলি একবার পড়ে নিন। সেসবে যদি আপনার একেবারে কোনো আপত্তি না থাকে তবেই যোগদান করুন, নয়তো নয়।
ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা প্রত্যেকের অধিকার। ব্যবসায়ী ও অসাধু প্রতিষ্ঠানের হাতে আমাদের ছবি, ভিডিও ও কথাবার্তা তুলে দেবার কোনো কারণ নেই। আসুন আমাদের তথ্য নিয়ে সচেতন হই, আমাদের পরিবার ও বন্ধুদেরও সচেতন করি এবং নিরাপদ ও সুস্থ যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করি।