ফুটবল টুর্নামেন্ট এর ফাইনালগুলো অথবা নক আউট পর্বের খেলায় যদি নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার পরে খেলা ড্র অবস্থায় থাকে তখন বিজয়ী নির্বাচন করা হয় পেনাল্টি শ্যুটআউটের মাধ্যমে। এটি টাইব্রেকার নামে বহুল পরিচিত। জনসাধারণের মাঝে একটি কথা প্রচলিত আছে টাইব্রেকার মানেই হচ্ছে ভাগ্য। কিন্তু আসলেই কি তাই? কথাটি কিছুটা সত্য হলেও পুরোপুরি সত্য নয়। প্রতিপক্ষ পেনাল্টিটেকার এবং গোলকিপারকে বিশ্লেষণ করে একটি ট্রাইবেকারে ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনা সম্ভব। এটি করিয়েও দেখিয়েছে কয়েকটি দল।
ইতালি এবং জুভেন্টাস গোলকীপার বুফনের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিলো ২০০৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনাল। নির্ধারিত ৯০ মিনিট এবং অতিরিক্ত ৩০ মিনিট শেষে ১-১ গোলে ড্র থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর মাত্র ৫ টি পেনাল্টি শ্যুটআউট, তারপরেই জয়োল্লাসে মেতে উঠবে জিদানের ফ্রান্স অথবা বুফনের ইতালি। ট্রাইবেকারের আগে ইতালির কীপার বুফন মোটেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। টাইব্রেকার সম্পর্কে বুফন পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে,
“আমার চারপাশে যা হচ্ছিলো আমি মোটেও ভালো মুডে ছিলাম না, আমার মনে হচ্ছিলো ফ্রান্স ২০০০টি পেনাল্টি নিলেও সবগুলোই গোল করতে পারবে”
বিশ্বকাপে চুমু দিচ্ছেন বুফন ছবিসূত্রঃ Italian Football Daily
বুফন এমন কীপার না যে প্রতিপক্ষ পেনাল্টিটেকারকে বিশ্লেষণ করে, বরঞ্চ সে নিজের অনুমানের উপরেই বেশি নির্ভর করে। তারপর ২য় পেনাল্টি নিতে আসে বুফনের ক্লাব সতীর্থ জুভেন্টাস এবং ফ্রান্স স্ট্রাইকার ডেভিড ত্রেজেগে। ক্লাব সতীর্থ হওয়ায় তারা একে অপরকে খুব ভালোভাবেই জানতো। অনেক সময় ট্রেনিং এর শেষে তারা একসাথে পেনাল্টি শ্যুটআউট ও অনুশীলন করতো। ত্রেজেগে যখন পেনাল্টি নিতে আসে তখন ভাবতে থাকে বুফনের বিপক্ষে গোল দেয়ার জন্য আমাকে বারের বাম কোনে একদম ঠিক উপরে কঠিন একটি পেনাল্টি কিক করতে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ, বল কিক করে বামসাইডে একদম কোনায় কিন্ত দুর্ভাগ্যবশত বল চলে যায় কয়েক সেন্টিমিটার উপরে ফলে বুফন উল্টো দিকে লাফ দিলেও বারে লেগে বল চলে আসে সামনে। ত্রেজেগের এই পেনাল্টি মিসের কারনেই বুফন তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় পুরস্কার বিশ্বকাপ জিতে নেয়।
পেনাল্টি মিসের পর হতাশারত অবস্থায় ত্রেজেগে ছবিসূত্রঃ getty images
আগের দিনে দলগুলো টাইব্রেকার ভাগ্যর উপর ছেড়ে দিলেও বর্তমান ফুটবল বিশ্বে টাইব্রেকারে বিজ্ঞানের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। যাবতীয় অন্য সবকিছুর সাথে এখানেও হস্তক্ষেপ করেছে বিজ্ঞান। ট্রাইবেকারে তথ্যবিজ্ঞানের ব্যবহার খুব বেশিদিন আগের নয়। পেনাল্টি শ্যুটআউট বিজ্ঞানের প্রথম ব্যবহার হয় ২০০৮ সালে মস্কোতে ম্যাঞ্চেটার ইউনাইটেড এবং চেলসির মধ্যকার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল খেলাতে। চেলসির কোচ আব্রাহাম গ্রান্ট সাহায্য নেয় ইগনাসিও হুয়েরতা নামে স্প্যানীশ এক অর্থনীতিবিদের। ইগনাসিওর কাছে ছিলো বিশ্বের সেরা পেনাল্টিটেকার এবং কীপারদের অতীত পেনাল্টির এক বিশাল ডাটাবেজ। একজন সেরা পেনাল্টিটেকার কোথায় বল মারবে অথবা কীপার কোন সাইডে ঝাঁপ দেবে কেউ জানতো না কিন্তু ইগনাসিও অন্য যে কারো চেয়ে বেশি অনুমান করতে পারতো তার ডাটাবেজ ব্যাবহার করে। ইগনাসিও খেলার আগে চেলসি কোচকে একটি রিপোর্ট লিখে দেয় সেখানে সে চারটি উপদেশ দিয়েছিলো চেলসি কীপার এবং পেনাল্টিটেকারদেরকে-
১। ইউনাইটেডে কীপার ভ্যান ডার সার বেশিরভাগ সময়েই কিকারদের ন্যাচারাল সাইডে ঝাঁপ দেয়। পেনাল্টিটেকার যদি রাইটফুটেড প্লেয়ার হয় তাহলে সে ঝাঁপ দেবে নিজের ডান দিকে আর লেফটফুটেড হলে বাম দিকে। সুতরাং, চেলসি প্লেয়ারদের গোল করার চান্স বেশি থাকবে যদি তারা তাদের ন্যাচারাল সাইডের উল্টো দিকে কিক মারে।
২। হুয়েরতার ডাটাবেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ভ্যান ডার সার যেসব পেনাল্টি সেভ করেছে তার বেশিরভাগ মিডিয়াম হাইটে (মাটি থেকে ১-১.৫ মিটার)। তাই চেলসি প্লেয়াররা যদি একদম নিচ দিয়ে পেনাল্টি কিক মারে অথবা উঁচুতে মারে তাহলে গোল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
৩। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য স্পেশাল এডভাইস ছিলো হুয়েরতার। রোনালদো যদি কিক মারার আগে থেমে যায় তাহলে ৮৫% সময়ে দেখা গিয়েছে সে ডান সাইডে কিক মারে। কিন্তু হুয়েরতা এ-ও সাবধান করে দেয় রোনালদোর লাস্ট মুহূর্তে সাইড চেঞ্জ করার প্রবণতা আছে। তাই কীপারকে আগেই জায়গা থেকে সরার জন্য মানা করে। যদি কীপার তাড়াতাড়ি জায়গা থেকে সরে তাহলে রোনালদো সবসময়েই গোল করে।
৪। যেই টিম টসে জিতে তাদের সু্যোগ থাকে আগে নাকি পরে পেনাল্টি মারবে সেটি ঠিক করার। ইগনাসিওর উপদেশ ছিলো টসে জিতলে যেনো অবশ্যই আগে মারার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রিসার্চ এ দেখা যায়, যারা আগে পেনাল্টি মারে তাদের জেতার হার ৬০%, যেটি প্রায় ২০% বেশি যারা পরে পেনাল্টি মারে তাদের তুলনায়।
ইগনাসিও টিভিতে বসে ফাইনাল ম্যাচ দেখছিলো। সে তখনো নিশ্চিত ছিলোনা চেলসি তার দেয়া রিপোর্ট ব্যবহার করবে কি করবে না। কিন্তু পেনাল্টি শুটাউট দেখে সে নিশ্চিত হয় চেলসির প্লেয়ারা তার দেয়া উপদেশ মেনে চলছিলো একজন ছাড়া, আর সে হচ্ছে আনেলকা।
ম্যাচ ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর খেলা গড়ায় ট্রাইবেকারে। টসে জিতে ইউনাইটেড প্রথমে শুট করার সিধান্ত নেয় তার মানে ইউনাইটেডের জেতার হার ২০% বেড়ে যায়।
কার্লোস তেভেজ ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম গোল করার পর মাইকেল বালাক চেলসির প্রথম গোল করে ভ্যান ডার সারের বাম সাইডে উপরের দিকে। জুলিয়ানো বেলেত্তি কিক মারে বাম সাইডে একদম মাটি ঘেঁষে। ইগনাসিও তার রিপোর্টে এভাবেই ডান পায়ের প্লেয়ারদেরকে বাম দিকে মারতে বলেছিলো কিন্তু সে তখনো নিশ্চিত ছিলো না চেলসি প্লেয়াররা তার বাতলে দেয়া কৌশল কাজে লাগাচ্ছিলো কিনা।
পরবর্তীতে ইগনাসিও এক সাক্ষাৎকারে বলেণ,
“মজার বিষয় হচ্ছে আমি যখন রিপোর্টটি বানাচ্ছিলাম আমার স্ত্রী বিশ্বাসই করতেই পারছিলো না এটি কাজ করবে। সে রিপোর্টটির দিকে ঘুরেও তাকায়নি। তারপর খেলা ড্র হয় এবং ট্রাইবেকারে যায়, সে তখনো সন্দিহান।”
তারপর পেনাল্টি নিতে আসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইগনাসিও তার বউকে বলছিলো সে কী উপদেশ দিয়েছে রোনালদোর জন্য তার দেয়া রিপোর্টে।
“কীপারের আগে আগে জায়গা থেকে সরা যাবে না, আর রোনালদো যদি কিক নেয়ার আগে দৌড়ে আসার টাইমে একটু থেমে যায় তাহলে বুঝতে হবে সে কীপারের ডান দিকে কিক মারবে”
চেলসি কীপার পিওতর চেক একদম জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে এবং ইগনাসিওর উপদেশমতো তার ডান দিকে ঝাঁপ মারে এবং পেনাল্টি সেভ করে ফেলে।
টিভির সামনে ইগনাসিও তখন একদম নিশ্চিত হয়ে যায় চেলসি তার দেয়া রিপোর্ট কাজে লাগাচ্ছে। তার ভাষায়-
“আমি বিশ্বাস করতে শুরু করি তারা আমার উপদেশ খুব ভালোভাবেই মেনে চলসিলো। আর আমার স্ত্রী মনে হচ্ছিলো ধাক্কা খেয়েছে”
তারপরে চেলসির চার পেনাল্টি টেকারই একে একে ল্যাম্পারড, এশলে কোল, জন টেরি এবং সালোমন কালু ভ্যান ডার সারের বাম সাইডে পেনাল্টি মারে বালাক এবং বেলেত্তির মতই। এদের মাঝে শুধু এশলে কোল ইগনাসিওর উপদেশ শুনেনি। কোল লেফটফুটেড এবং কিক ও মারে বাম সাইডে। কিন্তু ইগনাসিওর উপদেশ ছিলো লেফটফুটেড হইলে ডান সাইডে মারার। ভ্যান ডার সার বাম দিকে ঝাপ দিলেও বল একদম গ্রাউন্ডে আর ভালো পজিশনমত মারায় সেভ করতে পারেনি। ইগনাসিও উপদেশ ভালোমতোই কাজ করছিলো এখনো পর্যন্ত, ৬ বারের মাঝে ৪ বারই ভ্যান ডার সার শুটারদের ন্যাচারাল সাইডে ঝাঁপ মেরেছিলো এবং ভ্যান ডার সার একটি পেনাল্টিও সেভ করতে পারেনি। চেলসির ৬ জন শুটারের মাঝে ৫ জনই গোল করে শুধু জন টেরি ছাড়া। টেরি বাম সাইডে কিক মারলেও ভেজা ঘাসে স্লিপ খাওয়ায় বল গোলবারের সাথে লেগে চলে যায় বাইরে।
জন টেরির স্লিপ ছবিসূত্র: konbini.com
চেলসির হয়ে ৭ম পেনাল্টি নিতে আসে আনেলকা। কিন্তু ততক্ষনে ইউনাইটেড শিবিরের কেও অথবা ভ্যান ডার সার নিজেই চেলসির কৌশল বুঝে যায়। যেহেতু চেলসির সবাই বাম দিকে কিক মেরেছিলো , আনেলকা যখন কিক মারতে আসে তখন ভ্যান ডার সার তার দুইহাত দুইদিকে ছড়িয়ে তার বাম দিকে ইঙ্গিত করে আর মুখভঙ্গিমায় বোঝায়,
“ তোমরা সবাই বামদিকেই কিক করছো তাই না?”
যদিও ভ্যান ডার সার চেলসির কৌশল পুরোপুরি বুঝেনি তাও আনেলকা রাইটফুটেড প্লেয়ার হওয়ায় ইগনাসিওর উপদেশ অনুসারে তার মারার কথা কীপারের বাম দিকে। কিন্তু ভ্যান ডার সার জানে আনেলকা বাম দিকেই মারবে। আনেলকা বাম সাইডে মারবে নাকি ডান সাইডে মারবে এই দোটানায় পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বল মারে ডান দিকেই সবই ঠিক ছিলো কিন্ত বল মারে মিডিয়াম উচ্চতায়। ইগনাসিও সবাইকে মিডিয়াম উচ্চতায় না মারার জন্য সতর্ক করেসিলো। ভ্যান ডার সার আনেলকার পেনাল্টি সেভ করে আর চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতে নেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
আনেলকার পেনাল্টি সেভের আগ মুহূর্তে ভ্যান ডার সার ছবিসূত্রঃ Squawka
পেনাল্টি শুটাউটে ডাটার ব্যাবহার তারপরে থেকে বহুল প্রচলিত হয়ে যায়। ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে আবারো চেলসি, প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ। এইবার চেলসির আর ইগনাসিওর সাহায্য নিতে হয়নি। চেলসির ডাটা টিম বায়ার্ন মিউনিখের গত ৫ বছরের সব পেনাল্টি এনালাইসিস করে দুই ঘন্টার একটি ভিডিও দেয় পিওতর চেককে ফাইনাল ম্যাচের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য। সে রাতে চেলসি কীপার চেক ৬ টি পেনাল্টির মুখোমুখি হয় এবং প্রতিটি পেনাল্টির ক্ষেত্রে সে সঠিক দিকেই ঝাঁপ দিয়েছিলো। চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতে নেয় চেলসি।
তবে বিপক্ষ টিমকে এনালাইসিস করে সেটি কাজে লাগিয়ে টাইব্রেকারে ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে মুখোমুখি হয় রিয়াল মাদ্রিদ এবং সিটি রাইভাল এটলেটিকো মাদ্রিদ। টাইব্রেকারে টসে জিতেই এটলেটিকো মাদ্রিদ একটি মস্ত বড় ভুল করে বসে। টসে জেতার পরেও তারা সেকেন্ডে শুট করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। ইগনাসিওর রিসার্চ এ দেখায় যায় যারা আগে শুট করে তাদের জেতার হার ৬০% আর যারা পরে শুট করে তাদের জেতার হার ৪০%। এর একটি ব্যাখ্যা হচ্ছে প্রথম শুটার গোল করলে পরের শুটারকে গেমে টিকে থাকার জন্য গোল করতেই হবে এরকম একটি মানসিক চাপ থাকে। এইরকম ভুল বুফন নিজেই করেসিলো একবার। ২০০৮ সালের ইউরো কোয়াটার ফাইনালে টাইব্রেকারে টসে জিতে পরে শুট করার সিদ্ধান্ত নেয়। হয়তো এটিই গড়ে দিয়েছিলো টাইব্রেকারের ভ্যাগ, সেবার ইউরো জিতে নেয় স্পেন।
মস্কোর মতোই সাধারণ দর্শকদেরকেও খেয়াল করেনি কীভাবে রিয়াল মাদ্রিদ টাইব্রেকারে জিতেছিলো এটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। ফাইনালের কয়েকদিন পর পিয়েটার জোয়ারট নামে এক ডাচ ফুটবল এনালিস্ট ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে এই শিরোনামে, “Did Real Madid know what Jan Oblak was going to do?”
ফাইনালে পেনাল্টি কিক নিচ্ছে রোনালদো ছবিসূত্রঃ getty images
ভিডিওতে দেখা যায় পেনাল্টিটেকার শুট করার আগে এটলেটিকো কীপার অবলাক যে দিকে ঝাঁপ দেবে সেদিকে একটি স্টেপ আগে থেকেই দেয়। এটি করে কারন তার এতে কোন সাইডে ঝাঁপ দেবে এটি ঠিক করতে সুবিধা হয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ অবলাককে ভালোমতো পড়াশুনা করেছিলো এবং মাদ্রিদ প্লেয়াররা এতে আগে থেকেই বুঝতে পারে সে তার কোন সাইডে ঝাঁপ দেবে। মাদ্রিদের ৫ জন শুটারের ৪ জনকেই দেখা যায় অবলাক স্টেপ নেয়ার পর তার উল্টো দিকে ধীরেসুস্থে কিক নিতে।
চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ট্রফি হাতে রিয়াল মাদ্রিদ প্লেয়ারদের উল্লাস ছবিসূত্রঃ EuroSport
বুফনের মত ওল্ড স্কুল কীপাররা হয়তো আধুনিক এইসব কলাকৌশলের চেয়ে নিজের অনুমানকেই বেশি প্রাধান্য দিতে পছন্দ করে তবে ফুটবল এখন অনেক আধুনিক এবং বিজ্ঞানের ব্যবহার হারহামেশাই হচ্ছে। টাইব্রেকার বিজ্ঞান নাকি ভাগ্য? সেটার উত্তর না হয় আপনার জন্যই তোলা থাক।
তথ্যসূত্রঃ
Book – SOCCERECONOMICS by Simon Kuper and Stefan Szymanski
ESPN article – The science of penalty shootouts by Simon Kuper
Feature Photo Source: Shaun Botterill/Getty Images