১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের ওপর পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আমেরিকা শক্তি প্রদর্শনের যে পথে হেঁটেছে, বিশ্বের বেশ কিছু দেশও সেই পথে এগোচ্ছে। পৃথিবীর অস্থিতিশীল এই অবস্থায় যেকোনো সময় শুরু হতে পারে তৃতীয় মহাযুদ্ধ যার পরিণাম হতে পারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ। শ্রেষ্ঠত্বের আসনে টিকে থাকতে হলে দরকার পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ। আর মানবজাতিকে নিমিষেই ধ্বংস করার জন্য রাশিয়ার তৈরি শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক মিসাইলই যথেষ্ট।
একদিকে রাশিয়া, অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্ররোচনা সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের Fire and Fury মন্তব্য আভাস দিচ্ছে অনাহূত অস্থিতিশীলতার। সর্বশেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর চীন, রাশিয়া এবং ইরানের সমালোচনার মুখে পড়েছে। যদিও তাদের সবার দখলেই রয়েছে পারমাণবিক বোমা। সুতরাং পৃথিবীর কোন কোন দেশের কাছে আমাদের ভবিষ্যৎ জিম্মি হয়ে আছে এবং কোন দেশের অস্ত্র মজুদ কতখানি- এই ব্যাপারে জানানো হবে আজ। Federation of American Scientists থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রধারী শীর্ষ দেশের তালিকাটি দেখে নেয়া যাক।
১. রাশিয়া
প্রায় ৭,০০০ পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে প্রথম রাশিয়া তাদের পারমাণবিক স্থাপনা চালু করে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেন, তার সংগ্রহে থাকা অস্ত্র দিয়ে আমেরিকায় আঘাত আনা সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ানদের হাতে এখন এমন কিছু মিসাইল আছে যার সাহায্যে বিশ্বের যেকোনো স্থানে সহজেই আঘাত হানতে পারবে তারা। পুরাতন মডেলের ক্রুজ মিসাইল যেখানে ৬০০ মাইলের বেশি ভ্রমণ করতে পারতো না সেখানে নতুন এই মডেলটির সাহায্যে রাশিয়ায় বসেই যেকোনো দেশে আঘাত করা যাবে এমনটাই জানিয়েছেন পুতিন সাম্প্রতিককালে তার নির্বাচন পূর্ববর্তী জনসভায়। অতি দ্রুতগতির এই মিসাইল যেকোনো সময় মার্কিন অথবা ইউরোপীয় মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে পুতিনের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মার্কিনরা জানায় তারাও প্রস্তুত আছে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য।
২. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পারমাণবিক যুগ শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করেছিল তারা নতুন প্রযুক্তির পারমাণবিক অস্ত্রের উপর একচেটিয়া অধিকার বজায় রাখতে পারবে। কিন্তু যতই গোপনীয়তা রক্ষা করা হোক না কেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি শীঘ্রই অন্যান্য দেশগুলোর কাছেও ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৪৫ সালের জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষায় তাদের তৈরি বোমার বিস্ফোরণ পরিচালনা করে এবং ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে দুটি পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করে।
মাত্র চার বছর পর সোভিয়েত ইউনিয়নও তাদের প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র সরেজমিনে পরীক্ষা করে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পর যুক্তরাজ্য ১৯৫২ সালে, ফ্রান্স ১৯৬০ সালে এবং চীন ১৯৬৪ সালে সরকারিভাবে পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণা চালু করে। বিশ্বের ১,৫০,০০ পারমাণবিক অস্ত্রের প্রায় ৯২ শতাংশ এখন রাশিয়া ও আমেরিকার দখলে। ৬,৮০০ এর মতো মিসাইল আছে আমেরিকার মজুদে। রাশিয়ার পরেই তার অবস্থান। রাশিয়ান অস্ত্রের মানের সাথে না পারলেও আমেরিকার রয়েছে শক্তিশালী সেনাবাহিনী। রাশিয়া সহ অন্যান্য দেশের তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের SLBM (Submarine-Launched Ballistic Missile) এবং ICBM (Intercontinental Ballistic Missile) মিসাইলের সংখ্যা বেশি।
৩. ফ্রান্স
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স এবং তাদের রয়েছে মোট ৩০০টি পারমাণবিক অস্ত্র। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে একটি, কিন্তু সাম্প্রতিককালে সন্ত্রাসী হামলার সম্মুখীন হচ্ছে।
১৯৫০ সালে ফ্রান্স একটি বেসামরিক পারমাণবিক গবেষণা কর্মসূচী শুরু করেছিল যার কাজ ছিল প্লুটোনিয়াম তৈরি করা। ১৯৫৬ সালে ফ্রান্স পারমাণবিক শক্তিকে সামরিক কাজে ব্যবহার করতে একটি সিক্রেট কমিটি প্রতিষ্ঠা করে। একই বছর যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সুয়েজ সংকটে হস্তক্ষেপ করেছিল। ফরাসিরা এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয় যে, দেশটির নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্রব্যবস্থা প্রয়োজন যাতে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হিসাবে তার অবস্থান সংরক্ষণ করতে পারে। তাই ১৯৫৮ সালে ফরাসি রাষ্ট্রপতি হিসাবে চার্লস দে গৌলের নির্বাচনের পর পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আলজেরিয়ার মরুভূমিতে রেগানের কাছাকাছি ১৯৬০ সালে প্রথম ফরাসি পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। পরবর্তীতে ফ্রান্স ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ২১০টি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালায়। এই পরীক্ষাগুলো প্রশান্ত মহাসাগরে ফ্রেঞ্চ সাহারা ও পলিনেশিয়াতে করা হয়েছিল। ১৯৮০ সাল পযর্ন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা পেয়েছিল ফ্রান্স। ২০১০ সালে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য দুটি যৌথ পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনা করতে সম্মত হয়। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু পরীক্ষা-নিষেধাজ্ঞা চুক্তিতে (CTBT) যুক্ত হওয়ার পর ১৯৯৬ সালে ফ্রান্স তার শেষ পারমাণবিক পরীক্ষাটি পরিচালনা করে এবং সমস্ত স্থলো ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র সাইট বন্ধ করে। স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে ফরাসি অস্ত্রাগারে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
৪. চীন
উদ্ভুত মহাশক্তি হিসেবে পরিচিত চীনের আছে ২৬৪টি পারমাণবিক অস্ত্র এবং অবস্থান চতুর্থ। ১৯৬৪ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু অস্ত্র-বিস্তার রোধ চুক্তি বা Non Proliferation Treaty (NPT) অনুযায়ী স্বীকৃত পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হচ্ছে মাত্র ৫টি- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও চীন। স্নায়ুযুদ্ধের অবসান হলে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও ব্রিটেন তাদের পরমাণু অস্ত্র সংখ্যা কমাতে শুরু করে। অন্যদিকে চীন তাদের অস্ত্র সংখ্যা বাড়িয়ে চলছে। ২০০৬ সালে যেখানে তাদের অস্ত্র সংখ্যা ছিল ১৩০-২০০, সেখানে এখন দখলে থাকা অস্ত্রের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭০-এ।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ জনবহুল এই দেশটি এতদিন তাদের জনগণের নিরাপত্তার কথা ভেবে পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণা সীমিত পরিসরে রেখেছিল, কিন্তু বিগত বছরগুলোতে তাদের এহেন মতের পরিবর্তন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশ চিন্তিত। যদিও চীন ‘প্রথম ব্যবহার’ নীতিতে নয়, বরং শত্রুপক্ষের আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নীতিতে এতদিন বিশ্বাসী ছিল, কিন্তু এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রথম শ্রেণীর আগ্রাসী জাতির বিরুদ্ধে ‘সংগ্রাম ও যুদ্ধ জয়’ করার জন্য তাদের প্রচলিত বাহিনীকে আধুনিকায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৫. যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্য শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় ৫ম স্থানে অবস্থান করছে। মোট মিসাইল সংখ্যা ২২৫। ১৯৫২ সালে যুক্তরাজ্য সরকারিভাবে তাদের পরমাণু কর্মসূচী চালু করে।
৬. পাকিস্তান
ভারত, চীন, আফগানিস্তান ও ইরানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর মাঝে পড়ে স্যান্ডউইচ হওয়া পাকিস্তান নিজস্ব নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ভুগছে। আর এই নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকেই তারা ক্রমাগত তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বিস্তৃত করে যাচ্ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশগুলোর তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান ষষ্ঠ স্থানে। পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তি সম্পর্কে এক মার্কিন গবেষণায় বলা হয়েছে, ৪টি প্লুটোনিয়াম উৎপাদনের চুল্লি স্থাপন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণসহ আরও ক্ষেপণাস্ত্র, বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সরঞ্জামের কারখানা বানানোর মাধ্যমে পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে।
মোট ১২০-১৩০টি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বর্তমানে পাকিস্তানের। ভারতের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার শুরুর দিনগুলো থেকেই, ১৯৫০ সালের দিকে পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচী চালু হয়। রাষ্ট্রপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৬৫ সালে বলেছিলেন-
যদি ভারত বোমা তৈরি করে, আমরা ঘাস বা পাতা খেয়ে থাকবো, এমনকি ক্ষুধার্তও থাকব, তবুও আমরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হলেও বোমা বানাব।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের কাছে পরাজয় তাদের পারমাণবিক কর্মসূচী দ্রুততর করেছে। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি ভুট্টো দেশটির শীর্ষ ৫০ বিজ্ঞানীকে একত্রিত করে এবং উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে পাকিস্তানের জন্য পারমাণবিক কর্মসূচী শুরু করার।
৭. ভারত
৭ম পদমর্যাদাধারী দেশ ভারতের রয়েছে ১০০টি পরমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র। ভারত সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালের মে মাসে Smiling Buddha সাংকেতিক নামক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এই উপমহাদেশের মধ্যে প্রথম পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ভারত অবশ্য জানিয়েছে, তারা আগে কোনো দেশকে আঘাত করবে না। আর যেসব দেশের পরমাণু বোমা নেই, সেসব দেশের বিরুদ্ধে তারা এ ধরনের বোমা ব্যবহার করবে না।
পারমাণবিক অস্ত্র ও পারমাণবিক জ্বালানি উভয় ক্ষেত্রেই ভারত বেশ এগিয়ে। ভারত ও পাকিস্তান এখনো পরমাণু অস্ত্র-বিস্তার রোধ চুক্তি (NTP) ও সমন্বিত নিউক্লিয়ার টেস্ট নিষিদ্ধ চুক্তি (CTBT) উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি এবং নিজেদের পারমাণবিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তাদের পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্রের জন্য যে প্লুটোনিয়াম দরকার তা সংগ্রহ করে থাকে তাদের তৈরি ৪০ মেগাওয়াট ও ১০০ মেগাওয়াটের CIRUS ও DHRUVA নামক দুটি নিউক্লিয়ার রিএক্টর থেকে।
৮. ইসরায়েল
ইসরায়েলের মোট ৮০টি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে। ইসরায়েল অবশ্য নিজের দেশের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে তেমন কিছু জনসমক্ষে প্রকাশ করে না। তবে ২০১৬ সালে ফাঁস হওয়া ইমেইল হতে জানা যায় যে, ইসরায়েলের কাছে প্রায় ২০০টির মতো অস্ত্র জমা আছে। যদিও এই সংখ্যাটি অতিরঞ্জিত বলে মনে হয়, তাতে সন্দেহ নেই ইসরায়েল একটি ছোট কিন্তু শক্তিশালী পারমাণবিক স্টকপাইল আছে এবং এই পারমাণবিক গবেষণার লক্ষ্য একটাই আর তা হলো ইহুদি রাষ্ট্রের ধ্বংস প্রতিরোধ।
৯. উত্তর কোরিয়া
১০টিরও কম পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে উত্তর কোরিয়া ৯ম স্থানে রয়েছে। NPT চুক্তি থেকে উত্তর কোরিয়া বেরিয়ে আসে ২০০৩ সালে। তারা ২০০৬ সালে প্রথমবার পারমাণবিক ক্ষমতা পরীক্ষা করে এবং পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে একটি হয়ে ওঠে। ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে তারা পারমাণবিক অস্ত্রের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পরীক্ষা চালায়। এখন তাদের কাছে অনেক ক্ষুদ্র পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে, কিন্তু এখনও তাদের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ১০টিরও কম পারমাণবিক অস্ত্র আছে। বিশ্বে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ধোঁয়াশা আছে।
১০. ইরান
ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রশ্ন তুললেও এই যাত্রা শুরু হয়েছিল আমেরিকার সরাসরি সহায়তায়। দেশটিতে পরমাণু তৎপরতা শুরু হয়েছিল ইসলামী বিপ্লবের অনেক আগেই। ১৯৫৬ সালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পরমাণু গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে ইরান। শুরুটা অনেক আগে হলেও মাঝখানে দীর্ঘদিন পারমাণবিক গবেষণা বন্ধ ছিল কিন্তু ইরান সাম্প্রতিককালে আবারো তাদের কর্মসূচী চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যদিও তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মোট সংখ্যাটি স্পষ্ট নয়।
ফিচার ইমেজ: trofire.com