Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

লুণ্ঠিত ঐতিহাসিক নিদর্শনের গল্প: কোহিনূর, শাহজাহানের সুরাপাত্র ও অন্যান্য

ইতিহাস কখনো রোমাঞ্চের যোগান দেয়, কখনো আলোকিত করে সত্য, আবার কখনো বা ঘনীভূত করে রহস্যকেও। নানা ঘটনার সমৃদ্ধ ভান্ডার যেমন ইতিহাস, তেমনি নানান ক্ষমতার পালাবদল, রক্তক্ষয়, নতুন যুগের সূচনারও সাক্ষীও ইতিহাস। ইতিহাসের পাতার এই রদবদলের খেলার ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে এমন সব ঐতিহাসিক বস্তুবিশেষ যেগুলো সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত অর্থবহ। এরকম কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন বিদ্যমান যেগুলো কাল ও ক্ষমতার পালাবদলে লুণ্ঠিত কিংবা হারিয়ে যায় এবং এদের কতকগুলির বর্তমান মালিকানা নিয়েও বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। এই লেখনীর পরিসীমা সেসব ঐতিহাসিক বস্তুকে ঘিরেই, যেগুলোর নেপথ্যের ইতিহাস, হাতবদলের কাহিনী ও সৌন্দর্যের ছটা আপনাকে মোহমুগ্ধ না করে ছাড়বে না।

এলজিন মার্বেলস, গ্রীস

মার্বেল নির্মিত এই প্রাচীন গ্রীক মূর্তিগুলোকে পার্থেনন মার্বেলসও বলা হয়। এই মূর্তিগুলো নিয়ে অনেকদিন ধরে গ্রীস এবং ব্রিটিশ মিউজিয়াম এর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে অটোম্যান সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রদূত হিসেবে গ্রীসে থাকার সময় লর্ড এলজিন (থমাস ব্রুস, ৭ম আর্ল অফ এলজিন) এথেন্সের এক্রোপলিস থেকে এই মূর্তিগুলো ব্রিটিশ মিউজিয়ামে স্থানান্তর করেন। ১৮১৬ সাল থেকে এই পুরাকীর্তি ব্রিটিশ মিউজিয়ামের এক অনবদ্য অংশ হয়ে আছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মূর্তিগুলো গ্রীসে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, মূর্তিগুলো ব্রিটিশ মিউজিয়ামের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে এই দুই দেশকে একটি মধ্যস্থতায় এসে এ বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে বলা হয়।

রোসেট্টা স্টোন, মিশর

আনুমানিক ২,২০০ বছরের পুরনো এই কালো রঙা ব্যাসল্ট পাথরটি ১৭৯৯ সালে মিশরের রোসেট্টায় একজন ফরাসী সেনা অফিসার খুঁজে পান। হায়ারোগ্লিফিক, লৌকিক ও গ্রীক ভাষায় খোদাই করা এই পাথরটিকে হায়ারোগ্লিফিকের মর্মোদ্ধারের চাবিকাঠি হিসেবে ধরা হয়, সেই সাথে মিশরের ইতিহাস উদঘাটনেরও। এই অসামান্য পুরাকীর্তিটি ব্রিটিশদের হাতে চলে যায় ১৮০১ সালে, যখন ফরাসীরা ব্রিটিশদের কাছে যুদ্ধে হেরে যায়। অতঃপর ১৮০২ সালে পাথরটির জায়গা হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামে। তখন থেকে এটি সেখানেই আছে। যদিও মিশরের দিক থেকে কয়েকবার এটিকে ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে, ব্রিটিশ মিউজিয়াম তা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

রোসেট্টা স্টোন

কোহিনূর, ভারত

কোহিনূর (আদিঃ কোহ-ই-নূর) সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। ১০৫.৬০ ক্যারেটের জগদ্বিখ্যাত এই হীরেটি যে ভারতবর্ষেরই সম্পদ, এটাও আমাদের অবিদিত নেই। কোহিনূরের আসল নাম সামন্তিক মণি এবং প্রথমে এটি ছিল ৭৯৩ ক্যারেটের। গোলকুণ্ডার কল্লুর খনির রায়ালসীমা হীরকখনি থেকে এটিকে পাওয়া যায় কাকাতিয়া বংশের আমলে।

মালওয়ার রাজপরিবারে কয়েক প্রজন্ম ধরে থাকার পর এটিকে ১৩০৬ (মতান্তরে ১৩১০ কিংবা অন্যান্য মতবাদও বিদ্যমান) সালে কেড়ে নেন আলাউদ্দিন খিলজি। নানা পরিক্রমায় সেটি ইব্রাহিম লোদীর হাতে এসে পৌঁছায়। পরবর্তীতে বাবর পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে হারিয়ে দিলে লোদীর মা তাদের পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এটি বাবরপুত্র হুমায়ুনকে দেন। আবার অনেকের মতে গোয়ালিয়রের রাজঘরানা থেকে হুমায়ুনকে হীরেটি উপহার হিসেবে দেয়া হয়। কোহিনূরকে তাই বাবরের হীরেও বলা হয়। ১৭৩৯ সালের আগ অব্দি এটিকে সেই নামেই ডাকা হত।

পরবর্তীতে হুমায়ুন ভারতবর্ষে তার শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পারস্যের শাহ তামাস্পের সাহায্য প্রত্যাশা করেন এবং তাকে হীরেটি উপহারস্বরূপ দেন। শাহ তামাস্প সেটিকে উপহার হিসেবে ডেকান রাজ্যে পাঠিয়ে দেন।

কোহিনূর

ঐতিহাসিক এই হীরেটি নানা হাত ঘুরে আবারো মুঘল শাহী বংশে ফেরত আসে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আমলে। মীর জুমলা নামক পারসি হীরে ব্যবসায়ীর মাধ্যমে হীরেটি আবারো মুঘলদের কাছে আসে এবং ১৭৩৯ সালের আগ পর্যন্ত সেটি মুঘলদের কাছেই ছিল। এরপর নাদির শাহ ভারবর্ষ আক্রমণ করে কোহিনূর সাথে করে পারস্যে নিয়ে যান।

কথিত আছে যে, পারস্য সম্রাট নাদির শাহ কোনোভাবে জেনে যান মুঘল বাদশাহ মোহাম্মদ শাহ তার পাগড়ির ভেতর হীরেটি লুকিয়ে রাখেন। তাই তিনি দুই সাম্রাজ্যের লোক দেখানো সহযোগিতাপূর্ণ বন্ধনের সম্মানে একটি গতানুগতিক পাগড়ি বিনিময়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এরপর মুহম্মদ শাহ এর পাগড়িটি হস্তগত হলে তিনি তার ভেতরে হীরেটি পেয়ে যান এবং এর জ্যোতি দেখে তার মুখ দিয়ে বেড়িয়ে যায়- ‘কোহ-ই-নূর’ শব্দটি, যার অর্থ আলোর পাহাড়। সেই থেকে এটি কোহ-ই-নূর নামেই পরিচিত যাকে কালের পরিক্রমায় বর্তমানে কোহিনূর বলা হয়।

১৭৪৭ সালে নাদির শাহ এর মৃত্যুর পর হীরেটি আহমাদ শাহ আবদালীর হস্তগত হয়, তার প্রয়াণের পর আফগানরা এটি শিখ ও পাঞ্জাবের মহারাজা রঞ্জিত সিং এর নিকট সমর্পণ করে। আবদালীর বংশধর শাহ সুজা উল মালিক দুররানি হীরেটিকে পাঞ্জাবের মহারাজার কাছে দেন, বিনিময়ে মহারাজা রঞ্জিত সিং তাকে আফগানিস্তানের সিংহাসন ফিরে পেতে সাহায্য করেন।

১৮৩৯ সালে মহারাজা রঞ্জিত সিং তার মৃত্যুশয্যায় কোহিনূরের মালিকানা পুরির জগন্নাথ মন্দিরকে দিলেন বলে অসিয়ত করে যান। কিন্তু তার পুত্র দুলীপ সিং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে এঁটে উঠতে পারেননি। অতঃপর ১৮৪৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দুলীপ সিং এর কাছ থেকে হীরেটি হস্তগত করে। মূলত ব্রিটিশরা সে সময় পাঞ্জাব বিজয় করে এবং লাহোর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তি অনুসারে শাহ সুজা উল মালিকের থেকে পাঞ্জাবের মহারাজার পাওয়া কোহিনূর হীরাটিকে লাহোরের বর্তমান মহারাজা বৃটেনের রাণী ভিক্টোরিয়ার নিকট সোপর্দ করবেন। বলা হয় এরপর হীরেটি জন লরেন্সের কাছে রাখা ছিল। পরবর্তীতে লর্ড ডালহৌসি লরেন্সকে হীরেটি লাহোর থেকে মুম্বাই পাঠাতে বলেন। এরপর ১৮৫০ সালের ৬ই এপ্রিল এইচ.এম.এস ম্যাডিয়া জাহাজে করে লর্ড ডালহৌসি ব্যক্তিগতভাবে কোহিনূর বহন করে ইংল্যান্ড নিয়ে যান। ১৮৫১ সালে দুলীপ সিং কর্তৃক রাণীকে হীরেটি দেবার জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কোহিনূর, ভারত

মূল হীরেটিকে কাটা হয় এবং রাজমুকুটে বসানো হয়। এই কাজটি করে গ্যারার্ড এন্ড কোং নামক কোম্পানি। ১৯১১ সালে রাণী মেরি দিল্লী রাজ্যাভিষেক দরবারে মুকুটটি পড়েন। ১৯৩৭ সালে সেটিকে স্থানান্তরিত করা হয় রাণী এলিজাবেথের এখতিয়ারাধীন রাজমুকুটটিতে। ভারত থেকে অসংখ্যবার কোহিনূর ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছে, তবে ফিরিয়ে দেবার কোনো ইচ্ছা বা পদক্ষেপের লেশমাত্র নেয়নি বৃটেন। ২০১৩ সালে ভারত সফরকালে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানান দেন তারা ফেরততত্ত্বে বিশ্বাসী নন।

অতঃপর ভারত সরকার থেকে বলা হয় কোহিনূরের মালিকানা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না, কারণ এটি বলপূর্বক কেড়ে আনা হয়নি, বরং ভারত থেকে ব্রিটিশদের উপহারস্বরূপ দেয়া হয়েছিল। যদিও অনেকেই এর সাথে দ্বিমত পোষণ করেন। উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক এ হীরেটির গায়ে লেগে আছে অভিশাপও। জনশ্রুতি আছে কোহিনূর শুধুমাত্র মেয়েরাই পরিধান করতে পারে, ছেলেরা পরলে হীরেটির সাথে যুক্ত অভিশাপ তার দুর্ভাগ্য ডেকে আনে।

নাসাক ডায়মন্ড

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের মাহবুবনগরের অমরগিরি খনিতে এটি পাওয়া যায়। বর্তমানে ৪৩.৩৮ ক্যারেটের নীলচে-সাদা এই হীরেটিকে প্রথমবার ভারতেই কাটা হয়। ১৫০০-১৮১৭ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের নাসিকের নিকটবর্তী ত্রিম্বাকেশ্বর শিব মন্দিরে শিবের চোখ হিসেবে এটি বসানো ছিল। অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধের সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এটি হস্তগত করে এবং ১৮১৮ সালে তারা সেটি ব্রিটিশ জহুরী রুনডেল এবং ব্রিজের কাছে বিক্রি করে দেয়। ঐ বছরেই রুনডেল এবং ব্রিজ সেটিকে পুনরায় কেটে প্রথম মারকুইস অফ ওয়েস্টমিনস্টারের তরবারির হাতলে বসান।

নাসাক ডায়মন্ড

১৯২৭ সালে নানা হাত ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রে আসে এই মোটামুটিভাবে পিরামিডাকৃতির এই হীরেটি। পরে আমেরিকান জহুরী হ্যারি উইনস্টন ১৯৪০ সালে প্যারিসে হীরেটি পান এবং সেটিকে কেটে বর্তমান নিখুঁত ৪৩.৩৮ ক্যারেটে আনেন। ১৯৪২ সালে তিনি এটিকে নিউ ইয়র্কের একটি জুয়েলারি ফার্মে বেচে দেন। ১৯৪৪ সালে মিসেস উইলিয়াম বি. লিডস এটিকে ষষ্ঠ বিবাহবার্ষিকীর উপহার হিসেবে পান ও আংটিতে পড়েন। নাসাক ডায়মন্ডটি সর্বশেষ ১৯৭০ সালে নিউইয়র্কে পাঁচ লাখ ইউএস ডলারে নিলামে বিক্রি করা হয় এডওয়ার্ড জে. হ্যান্ডের কাছে। হীরেটির বর্তমান বাজারমূল্য ৩.০৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার।

নেফারতিতির আবক্ষমূর্তি, মিশর

প্রায় ৩,৪০০ বছরের পুরনো রাণী নেফারতিতির আবক্ষমূর্তিখানি আদপে মিশরে পাওয়া গেলেও এর বর্তমান অবস্থান জার্মানি। বার্লিনের নিউয়েস জাদুঘরে এটি প্রতিনিয়ত দর্শক আকৃষ্ট করে চলেছে এবং বছরে প্রায় দশ লাখ দর্শনার্থীকে সেখানে টেনে আনে এই পুরাকীর্তিটি। জার্মান প্রত্নতত্ত্ববিদ লুডভিগ বোরচার্ডট ১৯১২ সালে এটি আবিষ্কার করেন এবং পরের বছরই এটি জার্মানিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। যদিও মিশর ১৯৩০ সাল থেকে মূর্তিটি ফিরিয়ে দেবার কথা বলে যাচ্ছে, মূর্তিটি অতদূর পরিবাহিত হবার পক্ষে অত্যন্ত নাজুক- এ কথা বলে সে সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে জার্মানরা।

নেফারতিতির আবক্ষমূর্তি

টিপু সুলতানের যান্ত্রিক বাঘ, ভারত

টিপু সুলতানের এই যান্ত্রিক বাঘ ব্রিটিশদের প্রতি তার তীব্র ঘৃণার প্রতীক। এটি একটি খেলনাবিশেষ যেখানে একটি বাঘ প্রায় আসল আকৃতির একজন ইউরোপীয় বা ব্রিটিশের উপর হামলা চালাচ্ছে। ১৭৯৯ সালে টিপু সুলতানকে যুদ্ধে হারিয়ে তার গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদে প্রবেশ করার পরে ব্রিটিশ সৈন্যরা এটি পায়। ১৮০৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া হাউজে সর্বপ্রথম এটির প্রদর্শনী করা হয় এবং ১৮৮০ সালে একে ভিক্টোরিয়া এন্ড আলবার্টস মিউজিয়ামে ‘ইম্পেরিয়াল কোর্টস অফ সাউথ ইন্ডিয়া’ শীর্ষক প্রদর্শনীটির অংশ হিসেবে রাখা হয়।

টিপু সুলতানের যান্ত্রিক বাঘ, ভারত

সম্রাট শাহজাহানের রাজকীয় সুরাপাত্র

মুঘল সম্রাট শাহজাহানের শিল্পকলা ও কারুকার্যের প্রতি যে প্রচুর আগ্রহ ছিল এর নানা নিদর্শন বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তেমনি একটি হলো সাদা রঙের নেফ্রাইট জেড দিয়ে তৈরি এই রাজকীয় সুরাপাত্র। এটির মূল উপকরণ জেড পাথরগুলি মধ্য এশিয়া নতুবা চীন থেকে আমদানিকৃত। শাহজাহানের জন্য বিশেষভাবে নকশাকৃত এই সুরাপাত্রটির অস্তিত্ব ছিল ১৬৫৭ সালে। সুরাপাত্রটির দৈর্ঘ্য ১৮.৭ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ১৪ সেন্টিমিটার। ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের পর এটি কর্নেল চার্লস সেটন গুথরির হাতে আসে এবং নানা হাত ঘুরে একসময় এটির মালিকানা লাভ করেন যুগোস্লাভিয়ার রাণী মারিয়া। অবশেষে ১৯৬২ সালে ভিক্টোরিয়া এন্ড আলবার্টস মিউজিয়ামে জায়গা হয় জেড পাথরে তৈরি এই সুরাপাত্রের।

সম্রাট শাহজাহানের রাজকীয় সুরাপাত্র

আদি স্থান থেকে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে যাওয়া এইসব অনন্য বস্তুর কাহিনীর ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে কালের নানা অধ্যায়। পর্যটকের আকর্ষণে পরিণত হওয়া এসব অমূল্য বস্তুর কোনো কোনোটির মালিকানা নিয়ে বিরোধ আছে আবার কোনোটির নেপথ্যের ইতিহাসের ব্যাপ্তি আগ্রহের খোরাকও বটে! এরকমই আরো কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শনের কথা নিয়ে দেখা হবে লেখাটির আগামী পর্বে।

লেখাটির পরবর্তী পর্বসমূহঃ

লুণ্ঠিত ঐতিহাসিক নিদর্শনের গল্প পর্ব-২: ময়ূর সিংহাসন এবং দরিয়া-ই-নূর

লুণ্ঠিত ঐতিহাসিক নিদর্শনের গল্প পর্ব-৩: স্ফিংসের দাড়ি, ইশতার ফটক ও অন্যান্য

This article is in Bangla Language. Its about plundered and stolen historical artifacts (part-1).
References:

1. mic.com/articles/76321/9-priceless-artifacts-museums-should-return-to-their-home-countries#.QAqVbEnh0
2. indiaopines.com/indian-artifacts-stolen-british-colonist/
3. msn.com/en-au/news/photos/10-priceless-artifacts-countries-are-arguing-over/ss-CCcSCl#image=1
4. happytrips.com/destinations/koh-i-noor-and-nadir-shahs-delhi-loot/as49934879.cms

5. businessinsider.com/disputed-ancient-artifacts-2011-7?op=1/#03-bombing-survivors-demand-the-university-of-chicago-auction-off-irans-ancient-clay-tablets-1
6. indianexpress.com/article/research/kohinoor-diamond-uk-british-supreme-court-government-golconda-london-2759254/

Featured Image: The Better India

Related Articles