- ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে মাত্র ৬৭ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ও একমাত্র শতক হাঁকান জন ডেভিসন।
- ২০০৩ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্রুততম শতক পূর্ণ করেন কানাডার ওপেনার ডেভিসন।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে নিজেদের গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৬ রানে গুটিয়ে গিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের লজ্জার রেকর্ড গড়ার স্মৃতি নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামে কানাডা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক কার্ল হুপার টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান কানাডাকে। শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের উপর চড়াও হন কানাডার ওপেনার জন ডেভিসন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০.৮৫ ব্যাটিং গড়ে রান করা এই ওপেনার মাত্র ৩০ বলে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন।
কানাডার ইনিংসের ১২তম ওভারে আরেক ওপেনার ঈশ্বর মারাজ ১৬ রান করে যখন সাজঘরে ফেরেন তখন দলীয় সংগ্রহ ৯২ রান! এর সিংহভাগ আসে ডেভিসনের ব্যাট থেকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে মাত্র ৬৭ বলে শতক হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়েন কানাডার এই ওপেনার। ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম শতকের তৎকালীন রেকর্ড ছিলো এটি। এরপর ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ম্যাথিউ হেইডেন ৬৬ বলে এবং ২০১১ সালের বিশ্বকাপে কেভিন ও’ব্রাইন ৫০ বলে শতক হাঁকিয়ে ডেভিসনের রেকর্ড ভাঙেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একপর্যায়ে কানাডার সংগ্রহ ছিলো ২১ ওভারে এক উইকেটে ১৫৫ রান।
জন ডেভিসন ৭৬ বলে আটটি চার এবং ছয়টি ছয়ের মারে ১১১ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে মাত্র ২০২ রানে সবকটি উইকেট হারায় কানাডা।
কানাডার দেওয়ার ২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সহজ জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হিন্ডস এবং লারা তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৪৩ বলে ১০২ রান যোগ করেন।
ব্রায়ান লারা ৪০ বলে আটটি চার ও পাঁচটি ছয়ের মারে ৭৩ রান এবং ওয়াভেল হিন্ডস মাত্র ৩১ বলে ১০টি চার ও তিনটি ছয়ের মারে ৬৪ রান করলে ২০.৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে নিজের দল বড় ব্যবধানে হেরে গেলেও ঝড়ো শতকের পর বল হাতে এক উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কানাডার জন ডেভিসন।
ফিচার ইমেজ- AFP