- পাপুয়া নিউগিনিকে ছয় উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেল নেপাল।
- দীপেন্দ্র সিং আইরি বল হাতে চার উইকেট শিকারের পর অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস খেলেন।
- নেপালের দুই স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে এবং দীপেন্দ্র সিং আইরি চারটি করে উইকেট শিকার করেন।
প্রায় ২৯ মিলিয়ন জনসংখ্যা বিশিষ্ট মাউন্ট এভারেস্টের দেশ নেপালের ক্রিকেট ইতিহাসে দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পাপুয়া নিউগিনিকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায় নেপাল। নেপালের জন্য দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকলেও পাপুয়া নিউগিনি যত দ্রুত সম্ভব দিনটি ভুলে যেতে চাইবে। এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে তারা ওয়ানডে স্ট্যাটাস হারালো।
হারারের ওল্ড হারারিয়ান্সে নেপালের অধিনায়ক পরশ খাদকা টসে জিতে পাপুয়া নিউগিনিকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাপুয়া নিউগিনি। দলের সাতজন ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করলেও কোনো ব্যাটসম্যানই ২০ এর অধিক রান করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে চার্লস আমিনির ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান আসে মিস্টার এক্সট্রা থেকে।
নেপালের ১৭ বছর বয়সী লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে এবং দীপেন্দ্র সিং আইরির ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয় প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ। লামিচানে ২৯ রানের বিনিময়ে চারটি এবং আইরি ১৪ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট শিকার করেন। এই দুজনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৭.২ ওভারে ১১৪ রানে গুটিয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনি।
জবাবে ১১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে নেপাল। তারপর দীপেন্দ্র সিং আইরির অপরাজিত ৫০ রান ও আরিফ শেখের ২৬ রানের উপর ভর করে ১৬২ বল এবং ছয় উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় নেপাল। নেপাল যখন জয় থেকে ছয় রানের দূরে ছিল, তখন আইরির অর্ধশতক পূরণ হতেও ছয় রান প্রয়োজন ছিল। তিনি ছয় হাঁকিয়ে অর্জন করেন তিনটি মাইলফলক। দলের জয় নিশ্চিত তো করেনই, সাথে নিজের অর্ধশতক এবং দলের ওয়ানডে স্ট্যাটাসটিও আদায় করে নেন।
অবশ্য এই ম্যাচে জয় পেলেই নেপাল ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়ে যেত না। তাদের কাজটি সহজ করে দেয় হংকং। নেদারল্যান্ডসকে ১৭৪ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর মাত্র ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় হংকং। যার ফলে নেপালের ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেতে আরও এক ম্যাচ অপেক্ষা করতে হয়নি। হংকং জয় পেলে সপ্তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও জিততে হতো নেপালকে।
ফিচার ইমেজ: Icc-Cricket.com