টেমস নদীর তীরবর্তী জলাভূমি বিশিষ্ট একটি ছোট্ট দ্বীপ ওয়েস্টমিনস্টার। হাজার বছরের পরিক্রমায় কীভাবে এই ছোট্ট দ্বীপটি আধ্যাত্মিক থেকে শুরু করে রাজকীয় শিষ্টাচারের প্রতীক এবং আধুনিক রাজনীতির আঁতুড় ঘর হয়ে উঠলো? এই প্রশ্নটি নতুন নয়। বহু মানুষের মনেই এই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে এসেছে। এই স্থানটিকে ঘিরে যুগে যুগে তৈরি হয়েছে নানান উপকথা। সেসব এখনো মানুষের মনে ভেসে বেড়ায়। হাউজ অফ পার্লামেন্ট এবং অ্যাবির চারপাশ ঘিরে ছোট্ট এই ওয়েস্টমিনস্টার নামক গ্রামের পরতে পরতে রয়েছে অসংখ্য অপ্রত্যাশিত এবং চমকপ্রদ কাহিনী। ক্ষমতার লড়াইয়ের পাশাপাশি উচ্চাকাঙ্ক্ষা, প্রতিবাদ, নৈরাজ্য এবং ষড়যন্ত্র সবই এই ছোট্ট গ্রামের অংশ হয়ে আছে শতশত বছরের রূপকথার মতো।
এখনকার ডাউনিং স্ট্রিট যেখানে, সেখানে হাজার হাজার বছর আগে ক্ষমতাবান এবং সচ্ছল অ্যাংলো-স্যাক্সন জাতি বসবাস করতো। জার্মানি থেকে মধ্য ইউরোপের দ্বীপগুলোতে অভিবাসিত হয়ে আসা জার্মান উপজাতিকে অ্যাংলো-স্যাক্সন বলা হয়। তখন তারা থর্নি আইল্যান্ডের কাছে একটি ছোট গির্জা নির্মাণ করেন। অ্যাংলো-স্যাক্সন লুন্ডেনউইকদের থেকে পশ্চিমে অবস্থিত ছিল বলে এই গির্জাটির নাম পরবর্তীতে ওয়েস্টমিনস্টার রাখা হয়েছিল। আর এই নামের সাথেই মিল রেখে জায়গার নামকরণ হয়েছিল ওয়েস্টমিনস্টার।
৯৬০ সালের দিকে এই গির্জাটি বেনেডিক্টাইন সন্ন্যাস আশ্রমে পরিণত হয়েছিল। রাজা অষ্টম হেনরির রোম থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ বছর ধরে ওয়েস্টমিনস্টারের পাশ দিয়ে প্রতিদিন এক পুরোহিত হেঁটে যেতেন। পরনে থাকতো কালো লম্বা আলখাল্লা। বেনেডিক্টের অনুসারীরা প্রায় অর্ধসহস্র বছর ধরে এখানে বাস করেছিল। বর্তমান পার্লামেন্ট স্কয়ারটি গড়ে উঠেছে থর্নি দ্বীপের সমতল ভূমির বুকজুড়ে। এই স্কয়ারের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ওয়েস্টমিনস্টারে অ্যাবি বা মঠ।
ভয়ংকর এবং আধ্যাত্মিক ওয়েস্টমিনস্টার
ওয়েস্টমিনস্টার নিয়ে অনেক ধরনের প্রোপাগান্ডা প্রচলিত রয়েছে। জালের মতো চক্রাকারে ছড়িয়ে থাকা রাস্তা ওয়েস্টমিনস্টারের আদি বৈশিষ্ট্য। ডজি ডসারদের আদি বংশধরদের নিয়ে এক ধরনের কানাঘুষা শুনতে পাওয়া যায়। ৭৮৫ খ্রিস্টাব্দ রাজা অফা’র (King Offa) একটি দলিলপত্রে ওয়েস্টমিনস্টারকে একটি ভয়ঙ্কর স্থান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
এই স্থানটিকে ঘিরে যুগে যুগে তৈরি হয়েছে নানান উপকথা। সেসব এখনো মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত রয়েছে। যদিও এই দলিলপত্রের সত্যতা কতটুকু তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। ১১৫০ সালের দিকে অ্যাবির ক্লারেতে জন্ম নেয়া অবসার্ট নামক এক সন্ন্যাসী এই দলিলপত্র জালিয়াতি করেন। প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর বেলায় তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তিনি নিজেই এমন কাজের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করতেন।
বলা হয়, অসবার্টের এমন কাজ করার পেছনে একমাত্র কারণ ছিল ওয়েস্টমিনস্টারকে আধ্যাত্মিক ধর্মভীরুদের স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ইংল্যান্ডের সর্বশেষ অ্যাংলো-স্যাক্সন রাজা, এডয়ার্ড দ্য কনফেসরকে মৃত্যুর পরও শাসনকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে অসবার্টের অক্লান্ত পরিশ্রম অবশেষে সফল হয়েছিল। এডওয়ার্ড কনফেসরের মাজার দেখতে এখনো ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। এমনকি ২০০৩ সালে জর্জ ডাব্লু বুশ এই মাজারে এসে প্রার্থনা করেছিলেন।
প্রথম রাজপ্রাসাদ
পার্লামেন্ট স্কয়ার থেকে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণানুসারে ধারণা করা হয়, রাজা ক্যানিউট দ্য ডেন সর্বপ্রথম ওয়েস্টমিনস্টারে একটি রাজপ্রাসাদ তৈরি করেছিলেন। তিনি ১০১৬ থেকে ১০৩৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইংল্যান্ড শাসন করেছিলেন। প্রায় হাজার বছরের পুরনো, ৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে তৈরি একটি কাঠের দুর্গ এবং পরিখা আবিষ্কৃত হয়েছে। তাছাড়া ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিকে ইংল্যান্ডের সবচাইতে গৌরবময় অংশ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
মধ্যযুগীয় ইতিহাসবিদদের মতে, ক্যানিউটের তৈরি রাজপ্রাসাদটি পুড়ে ফেলা হয়েছিল। পরবর্তীতে রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর সেটিকে পুনর্নির্মাণ করেন। পাশের অ্যাংলো-স্যাক্সন অ্যাবিকেও তিনি রাজকীয়ভাবে নির্মাণ করেছিলেন। এডওয়ার্ড তার ক্ষমতা দেখিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে, ইউরোপের তৎকালীন রাজাদের চাইতে তিনিও কোনো অংশে কম ছিলেন না। তার দ্য ওল্ড প্যালেস নামের রাজপ্রাসাদটিকে ধরা হয় এখানকার সবচাইতে পুরনো রাজপ্রাসাদ। ওয়েস্টমিনস্টারের আশেপাশের জায়গাগুলোর নাম কিছুটা বিভ্রান্তকর।
নিউ প্যালেস ইয়ার্ডের কথাই ধরা যাক। বিগ বেন ক্লকের উপর থেকে এই চত্বরটি দেখতে এখনো ঝকঝকে তকতকে মনে হবে। আপনার বিশ্বাস করতেই কষ্ট হবে যে, এটি আজ থেকে প্রায় ১ হাজার বছর পূর্বের একটি নিদর্শন। কি অদ্ভুত, তাই না? হাজার বছরের পুরনো একটি চত্বরের নাম নিউ প্যালেস চত্বর! নামটি নিউ প্যালেসের সাথে মিল রেখেই রাখা হয়েছিল। নিউ প্যালেসের প্রতিষ্ঠাতা রাজা দ্বিতীয় উইলিয়াম। রাজা দ্বিতীয় উইলিয়াম ছিলেন রাজা ১ম উইলিয়ামের পুত্র। আজ যে ওয়েস্টমিনস্টার হল দেখা যায়, সেটি নরম্যান শক্তির একটি চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত। রাষ্ট্রীয় সেবা প্রচার, প্রসার এবং সামাজিক যোগাযোগের স্থান হিসেবে এই হলটিই তখনকার দিনে প্রধান ভূমিকা পালন করতো।
আলাপ আলোচনা গালগপ্পের কেন্দ্রবিন্দু
ওয়েস্টমিনস্টার গ্রেট হলের উঁচু কক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় এবং রাজকীয় ঘোষণাপত্র প্রচার করা হতো এবং এখান থেকেই সমস্ত খবর রাজ্যের জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে যেতো। শত শত বছর ধরে মানুষজন নানা রকম গালগপ্প এবং চলতি ঘটনা নিয়ে আলাপ আলোচনার জন্য এই হলের আশেপাশে অবস্থান করতো। ওয়েস্টমিনস্টার নিয়ে বায়োগ্রাফি লেখার পর সম্প্রতি রবার্ট শেফার্ড একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওয়েস্টমিনস্টারকে ইংল্যান্ডের সরকারের প্রধান আসন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে সবচাইতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন একজন ফরাসী রাজা, যাকে ফ্রান্স এবং স্পেনের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চল পাইরিনি থেকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল।
১১৭০ খ্রিস্টাব্দে, থমাস বেকেটের হত্যাকাণ্ডের সাথে রাজা দ্বিতীয় হেনরি জড়িত ছিলেন। ইংল্যান্ডের ইতিহাস পরিবর্তন করার পেছনেও তার হাত রয়েছে। সেই সময় তিনি রাষ্ট্রীয় সদর-দফতর উইনচেস্টার থেকে সরিয়ে ওয়েস্টমিনস্টারে নিয়ে এসেছিলেন এবং ওয়েস্টমিনস্টার হলে আইনসভার কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই ওয়েস্টমিনস্টার হলেই ইংল্যান্ডের সাধারণ আইন প্রণীত হয়েছিল। উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এই গ্রেট হলেই ইংল্যান্ডের আইনসভা এবং আদালত আইনি কাজকর্ম পরিচালনা করা হতো।
রাজাদের নিয়ে একটি কথা প্রচলিত ছিল যে, তারা জনগণের টাকা ব্যয় করতে খুবই ভালবাসতেন। রাজা তৃতীয় হেনরির এমন টাকা ওড়ানোর ধুম দেখলে আধুনিক সরকার ব্যবস্থাকে খুবই কৃপণ প্রকৃতির মনে হবে। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা খরচ না করে জনগণের টাকা দেদারসে খরচ করতেন। তার এই অতিরিক্ত অপব্যয়ের বিরুদ্ধে ১২৬০ সালে একটি রক্তাক্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। যার ফলাফল হিসেবে দুটো ঘটনা ঘটেছিল। একটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপরটি অনিচ্ছাকৃত। একদিকে তার কাজের ফলে তখনকার সময়ে অ্যাবি ইংল্যান্ডের সবচাইতে গৌরবোজ্জ্বল স্থাপনা হিসেবে পরিণত হয়েছিল। অপরদিকে অতিরিক্ত খাজনা চাহিদার কারণে তার প্রতি জনমনে এতটাই বিতৃষ্ণা জন্মেছিল যে, বিদ্রোহের ফলে তার রাজত্বের মুকুটে ফাটল ধরেছিল।
প্রথম প্রতিনিধি পার্লামেন্ট
রাজা তৃতীয় হেনরির প্রতিদ্বন্দ্বী সাইমন ডি মন্টফোর্ট একটি প্রতিনিধি সংসদ নীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং কুইরে করিডোরে অস্ত্র বর্ম এবং তার সাথের বিদ্রোহীদের নিয়োজিত করে রাজা হেনরির ব্যয়বহুল নতুন অ্যাবিতে তার চিহ্ন রেখেছিলেন। প্রতিনিধি পার্লামেন্টের সভা হিসেবে গড়ে উঠেছিল সাধারণ কক্ষ (Common Chamber)। আয়তকার কমন চেম্বার সম্পর্কে বলতে গিয়ে উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন,
আমরা আমাদের স্থাপনাগুলো যেভাবে রূপ দেই, সেগুলোও আমাদেরকে একইভাবে রূপদান করে।
কমন চেম্বারের একপাশে সরকারের মন্ত্রীরা বসতেন এবং অপর দিকে মুখোমুখি অবস্থানে বসতেন বিরোধী দলীয় মন্ত্রীরা। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ওয়েস্টমিনস্টারের এই প্যালেসটির উপরে বোমাবাজির কারণে অনেক খানি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।
যা-ই হোক, ১৩৫০ সালে সর্বপ্রথম রাজাদের থেকে ভিন্ন হয়ে রাজ্য মন্ত্রীরা অ্যাবির চ্যাপ্টার হাউজে মিটিং করতেন। এইখানে তাদের বসার ব্যবস্থা ছিল কমনসের আসন ব্যবস্থার চাইতে ভিন্ন। একটি অষ্টভুজাকৃতির কক্ষে গোল হয়ে বসার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু মন্ত্রীরা এই গোলাকৃতির আসন ব্যবস্থায় বসে তেমন একটা অভ্যস্ত হতে পারেনি। মন্ত্রসভা এখানে চলে আসার ফলে পুরোনো ভিক্ষুদের বা সন্ন্যাসীদের করা কারুকার্যও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। ফলে মন্ত্রিসভার মিটিং এর জন্য নতুন জায়গা তৈরি করা জরুরী হয়ে পড়েছিল।
নতুন সভাস্থল তৈরি করার পর মন্ত্রিসভা ওল্ড প্যালেসের সেন্ট স্টিফেন্স চ্যাপেলে স্থানান্তরিত হয়। পুনরায় সরকারি এবং বিরোধী দলের মন্ত্রীদের জন্য মুখোমুখি আসনব্যবস্থা তৈরি করা হয়। ১৮৩৪ সালে কমনস চেম্বারে অগ্নিকান্ড এবং ১৯৪১ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আবারও ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার পর, এটিকে চ্যাপেলের আদলেই পুনর্নির্মাণ করা হয়।
মধ্যযুগীয় জটিলতা
বর্তমানে ওয়েস্টমিনস্টারের যে জায়গাগুলো জুড়ে পার্লামেন্ট স্কয়ার নির্মিত, মধ্যযুগে এই জায়গাটির চিত্র এমনটা ছিল না। উনিশ শতকের আগে এই জায়গাটির চিত্র কেমন ছিল সেটি কল্পনা করাও বেশ দুরূহ ব্যাপার। মধ্যযুগে এই জায়গাটি ছিল গোলকধাঁধার মতোই বিভ্রান্তিকর। রাস্তাঘাট অলিগলিতে বসতো হরেক রকমের দোকান, সরাইখানা, আর বর্গা দোকানদারী। বস্তিজুড়ে ঘুরে বেড়াতো তখনকার হিপ্পি, যাযাবর এবং চোরের দল।
এসব ঘনবসতিপূর্ণ বস্তির কিছু অংশ ১৭৪০ থেকে ১৭৫০ সালের দিকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল এবং প্রথম ওয়েস্টমিনস্টার সেতু স্থাপন করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে ব্রিজ স্ট্রিট, পার্লামেন্ট স্ট্রিট এবং জর্জ স্ট্রিটকে বস্তি থেকে আলাদা করা হয়েছিল। মন্ত্রীরা মধ্যযুগের এই জটিল পরিস্থিতির কারণে সবসময় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতেন। ১৭৭১ সালে প্রধানমন্ত্রী নর্থ লর্ড বিদ্রোহীদের সাথে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়েছিলেন, এমনকি দাঙ্গাবাজরা ডাউনিং স্ট্রিটে আক্রমণও করেছিল।
১৭৯৫ সালে নিউ প্যালেস প্রাঙ্গণে আন্দোলনকারীরা ফ্রান্সের সাথে যুদ্ধের বিরোধিতা করে জনসমাবেশ করেছিল। রাজদরবারের একটি জানালাও ভাঙচুর করেছিল আন্দোলনকারীরা। এইরকম জনরোষের মুখে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল। ফলস্বরূপ, ১৮১৫ সালের মধ্যে কর্তৃপক্ষ ওয়েস্টমিনস্টার বস্তির বাকি অংশটুকুও উচ্ছেদ করে দেয়।
তারপর এই ছাই হয়ে যাওয়া বস্তির বুকেই ১৮৬০ সালের মধ্যে বর্তমান হাউজ অফ পার্লামেন্ট একটি রাজকীয় রূপ নিয়ে নির্মিত হয়। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ওয়েস্টমিনস্টারের যেসব ঐতিহাসিক পথ এবং অলিগলি শূন্য ছিল, সেগুলোও সরকারি কর্মকর্তাদের কার্যালয় দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়ে গিয়েছিল। আর এভাবেই শত শত বছরের ঐতিহাসিক পরিক্রমায়, ওয়েস্টমিনস্টার প্রাচীন অ্যাংলো-স্যাক্সনদের একটি ধর্মীয় স্থান থেকে ব্রিটেনের আধুনিক গণতন্ত্র চর্চার সুউচ্চ আসনে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ওয়েস্টমিনস্টার হল এবং অ্যাবির যে রূপ দেখা যায়, তাতে সেই মধ্যযুগ থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত ওয়েস্টমিনস্টারের লুকানো ইতিহাস বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠে।