ছোট ছোট করে কাটা কচকচে পেয়ারার ছোট ছোট টুকরোগুলোকে কাসুন্দি, শুকনো মরিচ এবং লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে দিলে খেতে চাইবে না কিংবা খেয়ে উপভোগ করবে না এমন লোকের সংখ্যা নিতান্তই কম হওয়ার কথা। কেননা পেয়ারা এমন একটা জনপ্রিয় ফল যেটা কম-বেশি সবারই পছন্দের। আর ঢাকা শহরের চলার পথে প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় ভ্যানে করে পেয়ারা-মাখা বিক্রি করতে। সেগুলো কতটা স্বাস্থ্যকর সে প্রসঙ্গে না হয় অন্য একদিন বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে, তবে এই লেখাটি শুধুমাত্র পেয়ারা নিয়ে। পেয়ারা কি কেবলই জনপ্রিয় কিংবা বারোমাসি অথবা সুস্বাদু ফল, নাকি পুষ্টিগুণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধেও সক্ষম সে সম্পর্কেই এই লেখায় বিস্তারিত পর্যালোচনা হবে।
পেয়ারা হচ্ছে Psidiun গণের অন্তর্ভুক্ত একটি ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Psidiun guajava। পেয়ারা শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ Guava, যা মূলত স্প্যানিশ শব্দ Guyaba থেকে নেয়া হয়েছে। পেয়ারার সঠিক আদি জন্মস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও ধারণা করা হয়, এর আদি জন্মস্থান আমেরিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলসমূহ। পেরু থেকে মেক্সিকোর দক্ষিণ ভাগ এবং মধ্য আমেরিকা থেকেই মূলত এই ফলের উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ধীরে ধীরে তা আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় ক্রান্তীয় অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই এই ফলের চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। তবে সবচাইতে পরে চাষাবাদ শুরু করে বর্তমানে সবচাইতে বেশি যোগান দিচ্ছে এশিয়ার দেশসমূহই। বর্তমানে পেয়ারা উৎপাদনে এগিয়ে আছে ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, মেক্সিকো, হাওয়াই, ভারত, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশ।
পেয়ারা হচ্ছে উষ্ণপ্রধান অঞ্চলের বেরি জাতীয় একটি ফল। এটি যে কেবল সবুজ রঙেরই হয়ে থাকে এমনটা নয়; জাত বা প্রজাতিভেদে এটি লালসহ অন্যান্য রঙেরও হয়ে থাকে। পেয়ারা যে রঙেরই হোক না কেন, এর ভেতরে মজুদ পুষ্টিগুণ কিন্তু একই রকমের থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্যানুসারে, প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৬৮ ভাগ ক্যালরি এবং ৮.৯২ ভাগ চিনি মজুদ থাকে। তবে, এই ৮.৯২ ভাগ চিনির মধ্যে অর্ধেক চিনি থাকে বিজারিত অবস্থায় এবং বাকি অর্ধেক পাওয়া যায় অবিজারিত অবস্থায়। এছাড়াও, পেয়ারায় ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস উল্লেখযোগ্য পরিমাণেই বিদ্যমান থাকে। তবে একটি পেয়ারার প্রায় ৮০ ভাগেই আপনি পানির মজুদ পাবেন এবং চারটি কমলালেবুর সমপরিমাণ ভিটামিন সি’র যোগান পাবেন।
পেয়ারা গাছ সাধারণত ছোট থেকে মাঝারি আকারের হয়ে থাকে, যা মূলত ২-১০ মিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। গাছের শিকড় মাটির খুব গভীর অবধি যেতে পারে না। উষ্ণপ্রধান অঞ্চলের ফল বিধায় এই গাছের জন্য সর্বোত্তম তাপমাত্রা হচ্ছে ২৩°-২৮° সেলসিয়াস। তবে পেয়ারা গাছ সর্বোচ্চ ৪৫ ডিগ্রি থেকে সর্বনিম্ন ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও টিকে থাকতে পারে। গুটিকলম, জোড়কলম এবং কুঁড়ি সংযোজন- এই তিনটি উপায়েই পেয়ারার বংশবিস্তার সম্ভব।
পেয়ারা কাঁচা থাকাকালীন সবুজ রঙের শক্ত অবস্থায় থাকে। কিন্তু ফল পেকে গেলে হালকা হলুদাভ রঙ ধারণ করে এবং ভেতরে-বাইরে দুই দিকেই নরম থেকে নরমতর হয়ে যায়। বিশ্বে পেয়ারার অসংখ্য জাত যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি আমাদের দেশেও পেয়ারার অনেকগুলো জাত লক্ষ্য করা যায়। কাজী পেয়ারা, স্বরূপকাঠি, কাঞ্চন নগর, মুকুন্দপুরী, কাশি, বাউ পেয়ারাসহ আরো অনেক জাতের পেয়ারার দেখা মেলে।
এই সাধারণ ফলটি ভিটামিন সি, লাইকোপিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস (যা মূলত ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী) এর মতো উপকারী উপাদান দিয়ে অসাধারণভাবে পরিপূর্ণ। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায় যা মূলত আমরা যেসব খাবার খাই সেগুলো থেকে সঠিক পুষ্টিমান উপাদানগুলোকে শুষে নেয়, যা আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। পেয়ারা থেকে যেসব উপকারিতা আমরা পেয়ে থাকি সেজন্য সবচাইতে বেশি কৃতিত্ব দিতে হয় এতে থাকা ফলেইটকে (ফলিক এসিড), যে খনিজ মূলত সুস্বাস্থ্য গঠনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পেয়ারায় থাকা পটাসিয়ামের কাজ হচ্ছে শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা। আদতে, একটি কলা এবং একটি পেয়ারায় সমপরিমাণেই পটাসিয়াম থাকে। আর তাছাড়া, যেহেতু এতে ৮০ ভাগ পানি থাকে তাই এটা আপনাকে শরীরকে পানিশূন্যতা থেকেও মুক্তি দিবে। – ডা. মনোজ কে আহুজা, সুখদা হসপিটাল
ইতিমধ্যেই পেয়ারা সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা আশা করি পেয়ে গেছেন। কিন্তু সবচাইতে জরুরি যে ব্যাপারগুলো জানা দরকার সেগুলো নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।
পেয়ারা কেবল পুষ্টিরই উৎস নয়, বরং এটা ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ থেকেও মুক্তি দিতে সক্ষম। ওজন কমানো, ডায়াবেটিস রোধ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, মস্তিষ্কের সুরক্ষা, দৃষ্টিশক্তির উন্নতিসহ আরো অনেক ধরনের উপকারী কাজ করে থাকে পেয়ারা। চলুন তাহলে এবার পেয়ারার উপকারীতা সম্পর্কে জেনে নিই।
১. ক্যান্সার প্রতিরোধক
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস তথা ভিটামিন সি, রিবোফ্ল্যাবিন এবং থিয়ামিন থাকে। তাই, ক্যান্সার কোষের গঠন দমন করা এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে পেয়ারার বিকল্প কোনো ফল নেই। পেয়ারার পাতাতে এমন একধরনের তেল থাকে যেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোষগুলোকে দমন করে এবং এটা পরীক্ষিত যে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং এর বিস্তারকে দমন করতে এটা সক্ষম। আর তাছাড়া, পেয়ারাতে লাইকোপিন থাকে যেটা মূত্রথলির ক্যান্সারকে শুধু দমনই করে না, বরং একে একদম শিকড় থেকে নির্মূল করে।
২. ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিক রোগীরা ফল খাওয়া নিয়ে বিভ্রান্তিতে থাকেন, কেননা যদি রক্ত-শর্করার নিয়ন্ত্রণ বিচ্যুত হয়! কিন্তু পেয়ারা হচ্ছে এমন একটি ফল, যেটা শরীরের রক্ত-শর্করার মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবারের উপস্থিতি এবং গ্লাইসেমিক সূচক নিম্নস্তরের হওয়ার ফলে পেয়ারা ডায়াবেটিসের বিকাশে বাধার সৃষ্টি করে। নিম্নস্তরের গ্লাইসেমিক সূচক রক্তের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিকে অকেজো করে দেয় এবং ফাইবার উপাদানসমূহ রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের উপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রার মধ্যে এক বিশাল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
পেয়ারা শরীরের সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের ভারসাম্যকে নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে নিয়মিত এই ফল গ্রহণে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। পেয়ারাতে উপকারী ফাইবার থাকে, যেগুলো সাধারণত শরীরের ধমনী এবং শিরাসমূহকে পরিষ্কার রাখতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর তাছাড়া, এটা হৃদযন্ত্রের উপর অত্যধিক রক্ত প্রবাহের চাপ কমিয়ে স্বাভাবিক প্রবাহমাত্রাকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। পেয়ারা অন্য যেকোনো ফলের তুলনায় শরীরের রক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক অবস্থানে রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
৪. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি
সঠিক খাবারদাবারের অভ্যাস আপনার চোখের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ থাকার ফলে পেয়ারা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটা যে কেবল দৃষ্টিশক্তির অবনতিকে প্রতিরোধ করে তেমনটা নয়, বরং এটা দৃষ্টিশক্তিকে আরো উন্নত করে। চোখে ছানি পড়া এবং রেটিনার ক্ষয় রোগের আবির্ভাবকে এটি ধীরগতির করে দেয়। যদিও পেয়ারাতে গাজরের সমপরিমাণ ভিটামিন-এ এর উপস্থিতি নেই, কিন্তু তা সত্ত্বেও এটি পুষ্টির একটি দারুণ উৎস হিসেবেই বিবেচিত।
৫. ডায়রিয়ার চিকিৎসা
ডায়রিয়া রোগীর শরীর থেকে প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদানকে বের করে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে। তখন রোগীকে এমন কিছু খেতে দিতে হয় যেটা মল ভারী করতে এবং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলোকে ফিরিয়ে দিতে পারবে। আর এরকমই একটি ফল হচ্ছে পেয়ারা। এই ফলে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনে।
৬. গর্ভধারণকালে পেয়ারা
নারীদের গর্ভধারণকালে সাধারণত যে ভিটামিনগুলোর কথা বলা করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফলিক এসিড বা ভিটামিন বি-৯। কেননা গর্ভে থাকা শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে এটা বেশ কার্যকর। আর পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড থাকে, যা গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত সেবনে কেবল শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশই নয়, বরং স্নায়ুতাত্ত্বিক যেকোনো ধরনের রোগ থেকে নবজাতককে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৭. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ এবং সংক্রমণ থেকে আগলে রাখে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনো রোগে শরীর যখন দুর্বল হয়ে পড়ে তখন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে। ভিটামিন সি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কাজ করে আর পেয়ারা হচ্ছে ভিটামিন সি’র একটি সমৃদ্ধ উৎস।
৮. ত্বকের যত্নে
বলা হয়ে থাকে, একটি পেয়ারাতে চারটি কমলালেবুর সমপরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়াও, পেয়ারাতে ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং লাইকোপিন থাকে, যা ত্বকের পুষ্টি সরবরাহদাতা হিসেবে কাজ করে এবং ভেতর ও বাহির থেকে ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। আবার, সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রা-ভায়োলেট রশ্মি থেকেও ত্বককে রক্ষা করে। ডার্মাটোলজিস্টরা বলে থাকেন, প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা ত্বকের দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং কুঁচকিয়ে যাওয়াকে ধীরগতির করে তোলে। এছাড়াও, ত্বকে সংক্রমণের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ এবং ত্বকে ক্যান্সার প্রতিরোধী স্তর গঠন করে।
৯. দাঁতের ব্যথা নিরাময়ে
পেয়ারার পাতাতে একধরনের গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ক্ষমতা থাকে যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং জীবাণুদের মেরে ফেলে। সেজন্য পেয়ারার পাতা সেবনের মাধ্যমে দাঁতব্যথা নিরাময়ের ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যাপক জনপ্রিয়। আর পেয়ারার পাতার রস দাঁতব্যথা, মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং মুখের ঘায়ের নিরাময়ে দারুণ ভূমিকা রাখে।
১০. ওজন কমানো
খুব দ্রুত শরীরের ওজন কয়েক কেজি কমাতে চান? তাহলে পেয়ারা হচ্ছে আপনার টিকিট। প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবারের মাত্রাকে সঠিক পরিমাণে রেখে পেয়ারা শরীরের ওজন কমাতে সক্ষম। পেয়ারা একটি পরিপূর্ণ জলখাবারের কাজ করতে পারে এবং খুব সহজেই ক্ষুধা নিবারণ করতে সক্ষম। বিশেষত, কাঁচা পেয়ারাতে আপেল, কমলালেবু, আঙুর এবং অন্যান্য ফলের তুলনায় খুব কমই চিনি রয়েছে।
১১. সর্দি-কাশি সারাতে
ফলের মধ্যে সবচাইতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি এবং আয়রন আছে পেয়ারাতে, এবং এটা পরীক্ষিত যে ঠাণ্ডা এবং ভাইরাসঘটিত সংক্রমণের প্রতিরোধী হিসেবে পেয়ারা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কাঁচা পেয়ারার রস অথবা পেয়ারার পাতার পাচন কাশি এবং ঠাণ্ডা নিরাময়ের সহায়ক। কেননা এটা কফ থেকে মুক্তি দেয় এবং শ্বসন এলাকাকে পরিষ্কার করে ফেলে, যার ফলে গলা এবং ফুসফুস স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরতে পারে।
১২. মস্তিষ্কের সুরক্ষায়
পেয়ারায় ভিটামিন বি-৩ এবং বি-৬ আছে যেগুলোকে যথাক্রমে নায়াসিন এবং পিরোক্সোডিন বলে, যেগুলো মস্তিষ্কে রক্তের সঞ্চালনকে উন্নীত করে, জ্ঞান-সম্বন্ধীয় কার্যক্রমে উত্তেজনা বাড়ায় এবং স্নায়ুকে আরামে রাখে।” কথাগুলো বলেছেন প্রখ্যাত ডাক্তার মনোজ কে. আহুজা
উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও পেয়ারা অ্যাজমা, স্কার্ভি, স্থূলতা, গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যালঝেইমার (স্মৃতিভ্রংশ), আর্থ্রাইটিস (হাঁটুব্যথা), চুল পড়া রোধসহ আরো অসংখ্য রোগের নিরাময়ে কাজ করে থাকে। তাই, স্বাদ, পুষ্টিগুণ এবং সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করলে পেয়ারার বিকল্প নেই। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যের জন্যও প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পেয়ারা রাখা বাঞ্ছনীয়।