(পর্ব ২ এর পর)
আমরা ১৯৯৯-২০০০ সময়টায় দেখেছি রুশ বাহিনী গ্রজনিতে কী করেছে। আমরা আলেপ্পোতেও দেখেছি তারা কী করেছে। রাশিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি কাজ না এগোয়, তাহলে তারা শহরগুলো ধ্বংস করে দেয়। এমন পুনরাবৃত্তিই আমরা এখন খারকিভ ও ইউক্রেনের অন্যান্য অংশগুলোতে দেখতে পাচ্ছি। এটা তো কেবল শুরু।
কটকিন: রাশিয়ার প্রচুর অস্ত্রের সরবরাহ আছে, যা তারা এখনো ব্যবহার করেনি। কিন্তু এখানে দুটো বিষয় আছে। প্রথমেই বলতে হবে, ইউক্রেন এই যুদ্ধ কেবল টুইটারেই জিতে চলছে, সমরাঙ্গনে নয়। তারা এই যুদ্ধে জিতছে না। রাশিয়া দক্ষিণ দিক দিয়ে ভালোই অগ্রসর হচ্ছে। এই অঞ্চল খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপকূল আর বন্দরের জন্য। তারা পূর্ব দিক দিয়েও অগ্রসর হচ্ছে। যদি দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বাহিনী মিলিত হয়ে যায়, তবে তারা ইউক্রেন আর্মির মূল বাহিনীকে ঘিরে ফেলবে। রাশিয়ার এখন পর্যন্ত ব্যর্থতা হচ্ছে তারা বিদ্যুৎ গতিতে কিয়েভ দখল করতে পারেনি। এটা বাদ দিলে যুদ্ধে তারা ভালোই এগিয়ে আছে। সবে তো দুই সপ্তাহ (সাক্ষাৎকারের সময়) গেল; যুদ্ধ আরো লম্বা সময় ধরে চলে।
কিন্তু এখানে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যুদ্ধের যখন চার সপ্তাহ পার হয়ে যায়, তখন একটা কৌশলগত বিরতির প্রয়োজন হয়। তখন অস্ত্রশস্ত্রের মেরামতের প্রয়োজন হয়, নতুন করে অস্ত্রের সরবরাহের প্রয়োজন হয়। তখন অতিরিক্ত অস্ত্র নিয়ে আসতে হয়। তিন থেকে চার সপ্তাহে গিয়ে সবসময়ই একটা পরিকল্পিত বিরতির প্রয়োজন হয়।
কিয়েভ যদি এই বিরতির সময়টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে, তবে তাদের টিকে থাকার সময়টা আরো দীর্ঘ হতে পারে। কারণ রুশরা তখন একাই পুনরায় অস্ত্র সরবরাহ করবে না; ইউক্রেনীয়রাও এই বিরতির সময়টা নিজেদের অস্ত্রের মজুদ বাড়াবে। উপরন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রাশিয়া ইউক্রেনকে সফলভাবে দখল করে রাখতে পারবে না। কারণ তারা সে পরিমাণ ফোর্স নিয়ে মাঠে নামেনি। তাদের পর্যাপ্ত প্রশাসনের লোক নেই যাদের প্রয়োজন হবে। ইউক্রেনের জনগণের সমর্থনও নেই। এমনকি তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের কোনো ‘দেশদ্রোহী’ ব্যক্তিও নেই।
সে সকল ইউক্রেনীয়দের কথা চিন্তা করুন যারা তাদের প্রতিরোধ চলমান রাখবে। নাৎসিরা ১৯৪০ সালে কিয়েভে এসেছিল। তারা সব বিলাসবহুল হোটেল দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর সেই হোটেলগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটতে লাগলো। তারা ফাঁদে পড়ে গেল। আপনি যদি দখলকৃত ইউক্রেনে কোনো প্রশাসক বা সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন, আর কোনো চায়ের অর্ডার করেন, আপনি কি সেই চা পান করবেন? আপনি কি আপনার গাড়ির ইগনিশন চালু করবেন? আপনার অফিসের সুইচ অন করতে যাবেন? পুরো দখলকৃত অংশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে কেবল অল্প কয়েকটা হত্যাকাণ্ডের প্রয়োজন।
চলুন আবার মস্কোর গল্পে ফিরে যাই। আমরা জানি জার প্রথম পল কীভাবে তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের দ্বারা খুন হয়েছিলেন। ক্রুশ্চেভকে ক্ষমতাচ্যুত করে তার জায়গায় এসেছিলেন ব্রেজনেভ। পুতিনের ক্ষেত্রে কি এমন কোনো অভ্যুত্থান ঘটার সম্ভাবনা আছে?
কটকিন: অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা সবসময়ই থাকে। এখানে দুটো বিষয় আছে। একটা হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে পুতিনের কর্মকর্তাদের দলত্যাগে প্রলুব্ধ করার জন্য। আমরা চাই একজন উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা কিংবা কোনো সামরিক কর্মকর্তা একটা বিমানে উঠে হেলসিঙ্কি কিংবা ব্রাসেলস বা ওয়ারশোতে এসে একটা সংবাদ সম্মেলন করবেন আর বলবেন, “আমি জেনারেল অমুক, আমি পুতিনের অধীনে কাজ করেছি এবং আমি এই যুদ্ধের বিরোধিতা করছি ও পুতিন রেজিমের সাথেও বিদ্রোহ ঘোষণা করছি। রেজিমের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা এখন এরকমভাবে চলছে।”
একইসময়ে পুতিনও ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছেন এরকম কোনো বিদ্রোহ প্রতিরোধ করার জন্য। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে একটা বিদ্রোহ সংঘটনের জন্য। আমরা এখানে কোনো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বা সাবেক রাজনীতিবিদদের নিয়ে কাজ করছি না। বরং পুতিন রেজিমে কাজ করা বর্তমান নিরাপত্তা ও সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে কাজ করছি। এরকমটা স্ট্যালিনের আমলে হয়েছিল। ১৯৩৮ সালে স্ট্যালিনের গোপন পুলিশ বাহিনীর জেনারেল জেনরিখ লিউশকভ বিদ্রোহ করে জাপানে চলে যান। তিনি স্ট্যালিনের সামরিক ও নিরাপত্তা পরিকল্পনাগুলো নিয়ে যান এবং রেজিম সম্পর্কে ধারণা দেন। তিনি টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে স্ট্যালিনের নামে নিন্দা জানান।
তো এখন মস্কোর বর্তমান অবস্থায় ফিরে যাই। এই রেজিমে আসলে কী চলছে? আপনাকে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে রেজিমগুলো ‘নেতিবাচক নির্বাচন’ নামে একটা বিষয় চর্চা করে। আপনি ম্যাগাজিনের জন্য লেখক যোগার করবেন, কারণ তারা প্রতিভাবান। তারা জিনিয়াস কিনা সেটা নিয়ে আপনার মাঝে কোনো ভয় কাজ করবে না। কিন্তু কর্তৃত্ববাদী শাসনে বিষয়টা এভাবে কাজ করে না। তারা এমন লোকদেরই বাছাই করে, যারা খুব বেশি প্রতিভাধর না। তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবেই এমন লোকদের নিয়োগ দেয়, যারা খুব বেশি যোগ্য না কিংবা খুব বেশি চতুর না, যারা অভ্যুত্থান সংঘটিত করতে পারে। পুতিন হয়তো তার চারপাশে এমন লোকদেরই বসিয়ে রেখেছেন।
এতে দুটি ব্যাপার ঘটে। এতে তিনি নিরাপদ অনুভব করেন, কারণ তারা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারার মতো চতুর নন। কিন্তু এটা রাশিয়ার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। পুতিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (সের্গেই শোইগু) তাকে ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে ছাইপাঁশ গল্প গিলিয়েছেন। নেতিবাচক নির্বাচন বা বাছাই প্রক্রিয়া নেতাকে সুরক্ষা দেয়, কিন্তু রেজিমকে দুর্বল করে দেয়।
তবে আবারো বলছি, ক্রেমলিনের ভেতরে কী হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চমৎকার কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রচুর তথ্য আমরা সংগ্রহ করতে পারছি, যা চীনকে ভীত করে তুলছে। চীন ভাবছে তাদের এলিটদের কাছেও আমাদের এই পর্যায়ে বিচরণ আছে কিনা। তবে কিছু অর্থহীন প্রলাপ শোনা যাচ্ছে পুতিন হয়তো পাগল হয়ে গেছেন। এসব বকবক করছেন এমন লোকজন, যারা পুতিনের সাথে মুখোমুখি খুব বেশি সময় কাটাননি। আপনি যখনই হিসাব-নিকাশে ভুল করবেন, আপনার অনুমান ভুল হবে, তখন যেকোনো জায়গার লোকজন আপনাকে পাগল ভাববে। পুতিন আমাদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই পাগলের ভং ধরছেন এবং তিনি এর মাধ্যমেই নিজের সুবিধা আদায় করে নেবেন।
আপনি কি এটা পারমাণবিক হামলার হুমকি প্রসঙ্গে বললেন?
কটকিন: আমি মনে করি, তিনি যে এরকম কিছুই করার চেষ্টা করছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সমস্যা হচ্ছে আমরা এটাকে ফাঁপা বুলি হিসাবে উড়িয়ে দিতে পারি না। আমরা এটাকে পাগলের প্রলাপ ধরে নিয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। কারণ তার পারমাণবিক হামলা পরিচালনা করার সক্ষমতা আছে। তিনি বোতামে টিপ দিয়ে ফেলতে পারেন।
চীনা যুদ্ধকৌশলী সান জু লিখেছিলেন, আপনাকে প্রতিপক্ষের জন্য সবসময় অবশ্যই একটা ‘সোনালী সেতু’ নির্মাণ করতে হবে, যেন সে পিছু হটার সুযোগ পায়। যুক্তরাষ্ট্র আর ন্যাটো কি পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাওয়ার আগে রাশিয়ার জন্য এমন কোনো পথ তৈরি করতে পারে?
কটকিন: এটা দারুণ একটা উক্তি। আমাদের কিছু উপায় আছে। প্রথম সম্ভাবনা হচ্ছে পুতিন ইউক্রেনকে ছিন্নভিন্ন করে দেবেন। তার মনোভাব হচ্ছে, “যদি আমি না পাই, কেউই পাবে না।” তিনি গ্রজনি বা সিরিয়াতে যা করেছেন, ইউক্রেনেও তাই করছেন। এটা অবিশ্বাস্য দুঃখজনক ব্যাপার হবে। আমরা এখন এই পথেই এগোচ্ছি।
ইউক্রেনীয়রা যদি তাদের প্রতিরোধে সফলও হয়, সেখানে অসংখ্য প্রাণহানি আর ধ্বংসলীলা দেখা যাবে। আমাদের এরকম কিছুর পরিণতি এড়ানো লাগবে। এর মানে হচ্ছে পুতিনকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার জন্য প্রভাবিত করতে হবে। এখানে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারেন। পুতিন তাকে সমীহ করেন। অথবা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীও উদ্যোগ নিতে পারেন, যার সাথে পুতিনের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সর্বশেষ ভূমিকা নিতে পারে শি জিনপিংয়ের অধীনে থাকা চীনা নেতৃত্ব, যদিও এর সম্ভাবনা কম। কেউ পুতিনকে এমন কোনো অবস্থায় আনতে হবে, যেন তিনি তার সর্বোচ্চ চাহিদার অবস্থান থেকে সরে আসেন। এতে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হবে।
এমন নয় যে আমরা চেষ্টা করছি না। ফিনল্যান্ডবাসীরা রাশিয়াকে বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় ভালো চেনে। ইসরায়েল আরেকটি ভালো বিকল্প হতে পারে, নির্ভর করবে নাফতালি বেনেট কতটা দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন তার ওপর। এদিকে চীন চড়া মূল্য দিতে যাচ্ছে। শি জিনপিংয়ের অধীনে থাকা তাদের অভিজাত ব্যক্তিবর্গরা তা উপলব্ধি করতে পারছেন। চীনা এলিটদের মাঝে এই যুদ্ধ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা কাজ করছে। কিন্তু সর্বময় ক্ষমতা শি জিনপিংয়ের ওপর এবং পুতিনের সাথে তার ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো সম্পর্ক। তারা অনেকবারই দেখা করেছেন। কিন্তু তাদের সম্পর্ক কতটুক ভালো থাকবে তা নির্ভর করবে ইউরোপীয় দেশগুলো চীনকে শাস্তি দেওয়া শুরু করে কিনা তার ওপর। ইউরোপ চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।
চীনারা খুব গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তারা পর্যবেক্ষণ করছে (ক) আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রমের গভীরতা কতটুক, (খ) এক স্বৈরতন্ত্রের ভুলগুলো, এবং (গ) যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বেসরকারি কোম্পানিগুলো রাশিয়াকে বয়কট করায় কতটুক ভর্তুকি দিতে হবে তা নিয়ে। আগামী শরতে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার পথে থাকা শি জিনপিংয়ের জন্য এটা এখন বিরাট মাথা ব্যথার কারণ।
সর্বশেষ আমরা আরেকটা কার্ড খেলতে পারি, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে থাকা ইউক্রেনীয়দের অস্ত্র দিয়ে আর রাশিয়ার ওপর অবরোধ দিয়ে সাহায্য করা চালিয়ে যাওয়া। সব দিক সম্মিলিতভাবে হয়তো পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে পারবে। আমাদের একই সাথে চাপ প্রয়োগ করার পাশাপাশি কূটনৈতিক পথেও কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
শেষ প্রশ্ন। আপনি ইউক্রেনে আক্রমণ সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা, অর্থনৈতিক অবরোধ দেওয়া, এবং রাশিয়ার প্রতিক্রিয়ায় এক প্রকার বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বাইডেন প্রশাসনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। তারা কী ভুল করেছে?
কটকিন: আমরা তাদেরকে আফগানিস্তানে যা করতে দেখেছি এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন বিক্রি নিয়ে যা করতে দেখেছি, সেই তুলনায় আমরা যেমনটা আশঙ্কা করছিলাম তার তুলনায় অনেক ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। এটাই যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের সংশোধনমূলক ব্যবস্থা আছে। আমাদের একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থা আছে, যা ভুলের শাস্তি দেয়। আমাদের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান আছে। আমাদের একটা শক্তিশালী সমাজ ব্যবস্থা আছে। একটা শক্তিশালি ও মুক্ত গণমাধ্যম আছে। প্রশাসন কোনো অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত নিলে সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের আরো উন্নত করতে পারে। কিন্তু রাশিয়া বা চীনের ক্ষেত্রে বিষয়টা এভাবে কাজ করে না। আমাদের এই সুবিধা ভুলে গেলে চলে যাবে না।
বাইডেন প্রশাসন যে ভুল করেছে এটা এখন মূল সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে পরিস্থিতি কীভাবে ঠাণ্ডা করা যায় সেটা নিয়ে, কীভাবে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামার চাপ দূর করা যায় সেটা নিয়ে। আমরা অবরোধ আর বয়কটের মাধ্যমে চাপ বৃদ্ধি করে চলছি। আমাদের ওপর ‘কিছু একটা করার’ চাপ রয়েছে। কারণ ইউক্রেনীয়রা প্রতিদিন মারা যাচ্ছে, আর আমরা সামরিক দিক দিয়ে অনেকটাই বসে বসে দেখছি। (যদিও আমরা তাদেরকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছি, এবং সাইবার যুদ্ধও করছি)।
রাশিয়ার ওপর আরো কঠোর হওয়ার চাপ আছে আমাদের ওপর। কিন্তু আপনি যত তাদেরকে দূরে ঠেলে দেবেন, পুতিনের তত হারানোর আর কিছু থাকবে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এতে তিনি আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন। তার কাছেও অনেক অস্ত্র আছে, যা তিনি এখনো ব্যবহার করেননি; এগুলো আমাদেরও আঘাত করতে পারে। আমাদের পরিস্থিতি শান্ত করতে কাজ করে হবে। আমাদের কিছুটা ভাগ্যেরও প্রয়োজন। সেটা মস্কোতে হতে পারে, হেলসিঙ্কিতে হতে পারে, জেরুজালেমে হতে পারে, বেইজিংয়ে হতে পারে, এবং অবশ্যই কিয়েভে।