পাশে শসা দেখলেই ভূত দেখার মতো চমকে উঠছে আদুরে সব বিড়াল। দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এমন ভিডিওগুলো কি সামাজিকমাধ্যমে আপনার সামনেও ঘুরে বেড়াচ্ছে?
কেন এমন করছে বিড়ালগুলো, সেই প্রশ্ন তো থাকেই। চলুন আজ বিড়ালদের শসা নিয়ে এমন উদ্ভট ভয়ের কারণ জেনে নেওয়া যাক!
শসা দেখে বাতাসে বিশাল একটা লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার যে ব্যাপারটা দেখা যায় বিড়ালদের মধ্যে সেটার মূল কারণ হিসেবে দুটো সম্ভাব্য ব্যাপার ভেবেছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে প্রথমটি হলো বিড়ালের স্বভাব।
বিড়াল নিজের মতো, নিজের অধিকার নিয়ে থাকতে পছন্দ করে। তার ঘুমানোর, খাওয়ার জায়গাগুলোও তাই একান্ত নিজের মতো করেই চায় সে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম ঘটে যখন বেড়ালের পরিচিত নিজস্ব জায়গার ভেতরে কোনো শসা রেখে দেওয়া হয়। নিজের পরিচিত গন্ডিতে অপরিচিত কেউ প্রবেশ করেছে ভেবেই ভয় পায় বিড়াল সেসময়।
আবার অন্যদের মতে, বিড়াল সাপ ভয় পায়। আর শসা অনেকটা সমান্তরাল হওয়ায় সেটাকে সাপ ভেবে ভয়ে লাফ দেয় তারা। প্রাণী আচরণ বিশেষজ্ঞ জিল গোল্ডম্যান এমনটাই মন্তব্য করেন। তার মতে, বিড়ালদের চোখের যে ধরন সেটার মাধ্যমে শসা আর সাপের মধ্যে পার্থক্য বলতে পারা সম্ভব নয়। খুব সহজেই তাই বলে দেওয়া যায় যে বিড়াল শসাকে সাপ ভেবে ভয় পায়। ভাবে সেটা কামড়ে দিতে পারে তাকে।
অন্য অনেকে আবার এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকটাই। তাদের মতে, সব বিড়ালজাতীয় প্রাণীই সাপকে ভয় পায় না। অনেকে সাপের পেছনে ধাওয়া পর্যন্ত করে। সেক্ষেত্রে বিড়ালের এই শসা দেখে ভয় পাওয়াকে কামড় খাওয়ার ভয় ভাবেন না তারা। ভেবে নেন, হঠাৎ করে কোনো কিছুর উপস্থিতি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যতগুলো এমন বিড়ালের শসা দেখে ভয় পাওয়ার ভিডিও পাওয়া গিয়েছে সেগুলোতে বিড়ালকে বুঝতে না দিয়েই তার পেছনে বা পাশে শসা রেখে এসেছে মানুষ। শুধু বিড়াল কেন, এমন হুট করে নতুন কিছু চারপাশে হাওয়া থেকে উদয় হতে দেখলে ভয়টা কিন্তু আপনিও পেতে বাধ্য!
তবে সাপ ভাবুক বা অন্য কিছু, শসা দেখে বিড়াল যে আচরণটা করে, সেটা যে ভয়ের এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই কারো।