Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

কাশ্মীর স্বাধীনতা আন্দোলন: ইতিহাস ও প্রথম গণআন্দোলনের সূত্রপাত

বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উত্তপ্ত, সংঘর্ষপ্রবণ ও বিক্ষত এক জনপদ হলো কাশ্মীর। গত প্রায় ৭১ বছর ধরে কাশ্মীর লড়াই করছে নিজের পরিচয়ের জন্য। কাশ্মীরের সাধারণ গণ মানুষের মতামত বা অংশগ্রহণ ছাড়াই এই কাশ্মীরের মালিকানা কিংবা নিয়ন্ত্রণ পরিবর্তন হয়েছে বহুবার। এত বছর ধরে কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নানা সমস্যা চললেও কাশ্মীর সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি আজো। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষেরা এখনো স্বপ্ন দেখেন এক স্বাধীন জন্মভূমির।

১৯৩১ সালে প্রথমবারের মত দীর্ঘদিনের অত্যাচার, নিপীড়ন ও সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের স্থানীয় মুসলমান প্রজারা গণআন্দোলন করে। ১৯৩১ সালের এই গণআন্দোলনই পরবর্তীতে কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়।

article

চিমু সভ্যতা: নিজ সন্তানদের বলি দিয়েছিল যারা

আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে পেরুতে ছিল ‘চিমু’ নামক এক সভ্যতা। সম্প্রতি এই সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ নিয়ে গবেষণারত একদল প্রত্নতাত্ত্বিক খুঁজে পেয়েছেন প্রায় ১৪০ টি শিশুর দেহাবশেষ। যেগুলো মূলত সেই সময়কার বলি দেয়া শিশুদের দেহাবশেষ। চিমু সভ্যতা এভাবেই উৎসর্গ করেছিলো তাদের শতাধিক শিশু। ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে নারকীয় শিশু হত্যাযজ্ঞ। কিন্তু কেন? কি ছিল এর পিছনে? সেই উত্তর খোঁজবার চেষ্টাই করে যাচ্ছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।  

article

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলমান অচলাবস্থা: এর শেষ কোথায়?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত উন্নত রাষ্ট্রেও হয় সরকারি ধর্মঘট। একে কেউ কেউ বলেন অচলাবস্থা, ইংরেজিতে বলে শাটডাউন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে তেমনই এক অচলাবস্থা বা সরকারি ধর্মঘট চলছে। এ অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ অচলাবস্থা হতে যাচ্ছে। এই অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। এ অচলাবস্থার শেষ কোথায় তা কারো জানা নেই। অচলাবস্থা শেষ হলেও অচলাবস্থা কালীন যে ক্ষতির সম্মুখীন হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নিবে সেটি দেখবার বিষয়। সেই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসী আইন ও মেক্সিকো সীমান্তে কি ঘটতে যাচ্ছে সেটি এখনো অজানা। 

article

পৃথিবীর ভয়ংকর ও বিপজ্জনক যত পর্যটন স্থান

ঘুরতে আমরা কে না ভালোবাসি? ভ্রমণপ্রিয় মানুষেরা সুযোগ পেলেই ছুটে যায় বিশ্বের নানা প্রান্তে। এই পৃথিবীতে এমন ও দুর্গম ও ভয়ংকর কিছু পর্যটন স্থান রয়েছে যা ভ্রমণ পিপাসু মানুষকে রোমাঞ্চিত করে তার ভয়ংকর সুন্দর বৈশিষ্ট্যের কারণে। এসব স্থানের পরতে পরতে মিশে আছে মৃত্যুর আশংকা। কিন্তু মৃত্যুকে উপেক্ষা করেও অনেক পর্যটক নিছক রোমাঞ্চের নেশায় ছুটে যায় সেখানে। অনেকে আবার শেষ জীবনের জন্য বেছে রেখেছেন সেসব স্থান। মৃত্যুর আগে একবার ঘুরে আসতে চান সেখানে।

চলুন, জেনে নেয়া যাক এমন ভয়ংকর কিছু পর্যটন স্থান সম্পর্কে।

article

উমা: এক ইচ্ছাপূরণের গল্প

উমা মুক্তির প্রথম থেকেই বেশ সাড়া ফেলে দেয় সিনেমা পাড়ায়। হলগুলোতে দর্শকের উপচে পরাভিড় সামাল দিতে হয় হল কর্তৃপক্ষ কে। দর্শকের এত ভিড় ছাপিয়ে ফুটে উঠে এক করুণ দৃশ্য। ভিড়ের মধ্যে কোন বাবা তখনো শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন তার মেয়ের হাত। কারো চোখ তখনো ছলছল করছে। কেউ মেয়েকে কোলে করে চোখ মুছতে মুছতে বের হচ্ছেন হল থেকে! বাবা আর মেয়ের সম্পর্ক কতটা আপন ও কতটা গভীর তাই যেন দর্শকরা আরেকটিবার দেখার সুযোগ পায়।

article

স্তন ক্যান্সার: লক্ষণ, করণীয়, প্রতিরোধ ও প্রতিকার

সারাবিশ্বে নারীদের অন্যতম মৃত্যুর কারণ হল স্তন ক্যান্সার। প্রতি ৮ জন মহিলার মধ্যে একজনের স্তন ক্যান্সার হতে পারে এবং আক্রান্ত প্রতি ৩৬ জন নারীর মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা একজনের। আমাদের দেশে ক্যান্সারে যত নারীর মৃত্যু হয়, তার অন্যতম কারণ স্তন ক্যান্সার। প্রতি ৬ মিনিটে একজন নারী এতে আক্রান্ত হয় এবং প্রতি ১১ মিনিটে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন নারী মারা যায়।

article

ডিম দিবসের আদ্যোপান্ত ও ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

গত ১২ অক্টোবর ছিল বিশ্ব ডিম দিবস। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম পালিত হয় ‘বিশ্ব ডিম দিবস’। সেই থেকে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে এ দিবসটি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালন করা হয় ২০১৩ সালে ১৮তম বিশ্ব ডিম দিবসে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশে বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।

article

স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস অক্টোবর

অক্টোবর মাস হলো স্তন ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতার মাস। বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাসকে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হয়। স্তন ক্যান্সার কে নারীদের নিরব ঘাতক বলা হয়ে থাকে। এটিকে মরণব্যাধি বা ঘাতকব্যাধি বললেও ভুল বলা হবে না। পৃথিবীর সব ঘাতক ব্যাধির মধ্যে স্তন ক্যান্সার বেশি মারাত্মক। ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর কারণ হিসেবে সারাবিশ্বে স্তন ক্যান্সারের স্থান দ্বিতীয়, শীর্ষে রয়েছে ফুসফুসের ক্যান্সার। প্রতি ৮ জন মহিলার মধ্যে একজনের স্তন ক্যান্সার হতে পারে এবং আক্রান্ত প্রতি৩৬ জন নারীর মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা একজনের। আমাদের দেশে ক্যান্সারে যত নারীর মৃত্যু হয়, তার অন্যতম কারণ ব্রেস্ট ক্যান্সার। প্রতি ৬ মিনিটে একজন নারী এতে আক্রান্ত হয় এবং প্রতি ১১ মিনিটে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন নারী মারা যায়।

পরিসংখ্যান টা খুবই ভয়াবহ। কিন্তু এখনো কেন যেন এই রোগকে অনেকে গোপন রোগ হিসেবে দেখেন। সামাজিক ট্যাবু হয়ে উঠার কারণে আমাদের অনেক নারীই সচেতন নন স্তন ক্যান্সার নিয়ে। এমনকি এই বিষয়ে আলোচনাও করতে আগ্রহী নন অনেকে। আমি নিজে ব্লাড ক্যান্সার এর সাথে লড়াই করবার সুবাদে ক্যান্সার হসপিটালে অনেক স্তন ক্যান্সার এর সাথে লড়াই করা যোদ্ধাদের সাথে পরিচয় হয়। খুব কম নারীকেই দেখেছি যারা এই রোগটার কথা মুখ ফুটে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পেরেছেন। আমাদের দেশের নারীদের সচেতনতার অভাবে অনেকের একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ধরা পড়ছে স্তন ক্যান্সার। যখন মৃত্যুর প্রহর গোনা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না ক্যান্সারের সাথে লড়াই করবার।

নারীদের স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতন করবার জন্যই প্রতি বছর অক্টোবর মাসকে পুরো বিশ্বব্যাপী স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে উদযাপন করা হয়। “জেগে উঠুন, জেনে নিন” প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশে ১০ অক্টোবরকে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। প্রতি বছর অক্টবর মাস নারীদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে যায় যে, নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের যত্ন নিন। নিজের শরীর নিয়ে ভাবুন। নিজেকে নিয়ে সচেতন হোন। রোগমাত্রই চিকিৎসার দাবি রাখে, নারীর রোগ, গোপন রোগ এসব বলে কিছু নেই। শরীরটা আপনার, এই জীবনও আপনার। তাই নিজের জন্য যেটা সবচেয়ে সম্ভাব্য ভালো, তা গ্রহণ করতে দ্বিধা করবেন না কখনো।

article

বেবি ওয়াকার ব্যবহার: আপনার শিশুর নিরাপত্তায় সতর্ক থাকুন

বর্তমান যুগের অধিকাংশ অভিভাবকই সন্তানের বয়স এক বছর হবার পূর্বেই সন্তানের জন্য কিনে আনেন বেবি ওয়াকার। বেবি ওয়াকারের মাধ্যমে চেষ্টা করতে থাকেন তাদের বাচ্চাকে দ্রুত হাঁটানো শেখাবার। কিন্তু আদতে অভিভাবক রা কখনোই ভেবে দেখি না কতটুকু প্রয়োজন আছে এই বেবি ওয়াকার- এর। বরং বেবি ওয়াকার এর ফলে বাচ্চার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাও যে হতে পারে সে বিষয়েও আমাদের অভিভাবকদের কোন সচেতনতা নেই। এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই বাবা মা চিকিৎসক কিংবা শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই বাচ্চাদের তুলে দিচ্ছেন বেবি ওয়াকারে। আর সেই সাথে স্বপ্ন দেখতে থাকেন, অতি দ্রুতই তাদের সন্তান হাঁটতে শুরু করবে।

article

দর্শকের কাঠগড়ায় বলিউড ছবি ‘মুল্ক’

গত ৩ আগস্ট ভারতে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক অনুভব সিনহার ছবি মুল্ক। মুক্তির আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক ঝড় তুলেছিলো এ ছবির ট্রেইলার। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়ার পর ছবি ‘মুল্ক’ নিয়ে বেড়েই চলছে তর্ক-বিতর্ক। কি আছে এই ছবিতে? কি দেখাতে চেয়েছেন পরিচালক অনুভব সিনহা? যে ছবি মুক্তির পর তাকে নিয়ে ভারতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে একদিকে, অপরদিকে তাকে এই সময়ের সাহসী পরিচালক বলছেন অনেকে, বাহবা দিচ্ছেন তাকে। যদিও সংবাদ মাধ্যম গুলোর বরাতে দ্বিতীয় দলের সংখ্যাটাই ভারি। অনুভব সিনহার বিরুদ্ধে ওঠা নানা সমালোচনার বিরুদ্ধে জবাব দিতে গিয়ে কলকাতার একজন লেখক সম্রাট মুখোপাধ্যায় বলেন,যে দেশে লোকে গো-হত্যার বদলা নিতে নরহত্যার পথে হাঁটে, সে দেশে এই ছবি নিঃসন্দেহে কিছু প্রশ্নের ঝাঁপি খুলে দেয়।

মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই আলোচনা ও তর্ক-বিতর্কের অবসান হচ্ছে না মুল্ক নিয়ে। মুসলিম দের প্রতি সহানুভূতি মূলক মনোভাব নিয়ে এই ছবি তৈরি করেছেন বলে অনেকে অভিযোগ করছেন পরিচালক অনুভব সিনহা কে। অনেকে তো অভিযোগ করেছেন অনুভব সিনহা পাকিস্তানিদের দালালি করতেই তৈরি করেছেন এই ছবি। এমনকি তিনি নাকি মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের টাকায় তৈরি করছেন এমন মুসলিম দের প্রতি সহানুভূতি মূলক ছবি। দোষটা ঠিক কোথায় তা কেউ বলতে পারে না কিন্তু অভিযোগের অন্ত নেই। তবে কি সমাজের ইসলামোফোবিয়া ও সমাজ ব্যাবস্থার বিরুদ্ধে মুসলিম দের লড়াই করে বেঁচে থাকার দৃশ্য দেখানোটাই অপরাধ পরিচালক অনুভব সিনহার?

article

ছুঁয়ে এলাম গ্রেট ওয়াল অব চায়না: পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের একটি

চীনে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে, ‘যে চীনের মহাপ্রাচীর অর্থ্যাত গ্রেট ওয়াল ছুঁয়ে দেখে নি সে পুরুষ নয়।’ আর তাই চীনে যখন গিয়েছিই তখন তো নিজের পুরুষত্বের প্রমাণ দেয়ার জন্যে হলেও গ্রেট ওয়ালে উঠতেই হবে।

মানুষের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্থাপনা হচ্ছে চীনের এই মহাপ্রাচীর। গ্রেট ওয়াল অব চায়না বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি অংশ হওয়ার পাশাপাশি এটিকে চীনের জাতীয় প্রতীক হিসাবেও বলা হয়। আর তাই এ মহাপ্রাচীরটিকে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি হিসেবে গননা করা হয়। চীনা ভাষায় গ্রেট ওয়াল কে বলা হয় ছাংছং। এই ছাংছং- এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দীর্ঘ দেয়াল।

চীনের এই মহাপ্রাচীরকে কল্পনা করা হয় এক বিশাল ড্রাগনের সঙ্গে। পূর্বে শাংহাইকুয়ান থেকে পশ্চিমে টপলেক পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। শুরুর দিকে মহাপ্রাচীরকে দেওয়া হয়েছে ড্রাগনের মাথার আকৃতি আর শেষের দিকে লেজের আকৃতি।শুধু পাহাড়ের উপর দিয়েই নয়, এই প্রাচীর গিয়েছে মঙ্গোলিয়ার যাযাবর স্তেপ, মরুভূমি আর নদীর উপর দিয়েও। নদীর উপর দিয়ে সেতুর মতো গিয়েছে এই প্রাচীর। আর মহাপ্রাচীরের ড্রাগনের লেজ গিয়ে নেমেছে সমুদ্রের পানিতে।

article

End of Articles

No More Articles to Load