Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ঋত্বিকের ‘কোমল গান্ধার’: দেশভাগ-যন্ত্রণাকে ছাপিয়ে যেখানে জয়ী জীবন-রঙ্গ

‘কোমল গান্ধার’-এর শুরুতেই একটি মুখবন্ধের মাধ্যমে বলা হচ্ছে-‘নানা জায়গা থেকে নাটক পাগল ছেলেমেয়েরা এসে জড়ো হয়, একত্রে দল করে, সেই দলের মধ্যে গড়ে ওঠে স্নেহ-ভালবাসা-ঈর্ষা-হিংসায় জড়িয়ে তাদের পরিবার। সাধারণ অর্থে পারিবারিক জীবন তাই এদের নেই। এইরকম একটি পরিবারের ইতিহাসের একটি অধ্যায়ের কথাটুকু মাত্র এ ছবিতে বলার চেষ্টা করা হয়েছে।’ ছবির মূল গল্পে প্রবেশের আগেই ছবির বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সারবত্তা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে খুব স্পষ্টভাবে, সরাসরি। ঋত্বিক ঘটকের ছবিকে সাধারণ দর্শক বরাবরই কিঞ্চিৎ দুর্বোধ্য ভেবেছে, কিন্তু মজা এই, ছবির মধ্যে দিয়ে যে বার্তা দিতে চেয়েছেন ঋত্বিক, প্রত্যেকটি ছবিতেই সেই বার্তা এসেছে অত্যন্ত সরাসরি।

article

মনিকা সেলেস ছুরিকাঘাত-কাণ্ড: টেনিস ইতিহাসের গতিমুখ ঘুরিয়ে দিয়েছিল যে ঘটনা

সেটের মাঝে বিরতিতে নিজের চেয়ারে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ দর্শকাসন থেকে ছুটে এসে তার পিঠে ছুরি বসিয়ে দেয় এক দর্শক। নাম গুন্টার পার্শে। শারীরিক আঘাত তেমন গুরুতর না হলেও মানসিক ভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন মনিকা, যে পরবর্তী দু’বছরে আর পেশাদার টেনিসে ফিরতেই পারেননি এক নম্বর খেলোয়াড়টি।

article

এক নিষ্ঠুর সর্বহারার গল্প বলে ‘দ্য ডাউনফল’

একজন নিষ্ঠুর মানুষের মনেও কি সংবেদনশীলতা, ভালবাসা এইসব সূক্ষ্ম অনুভূতি বিচরণ করে, নাকি তার সমস্তটাই এক শীতল কাঠিন্যে আচ্ছাদিত? ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জার্মান চিত্র-পরিচালক অলিভার হার্শবিগেলের ‘দের উন্টারগাং’ বা ‘দ্য ডাউনফল’ ছবির দৃশ্যায়ণ যেন এই অমোঘ প্রশ্নেরই পরিচায়ক।

article

অসমসাহসী সেই জার্মান শ্রমিকের খোঁজে

বক্তৃতা শুনতে জড়ো হয়েছিলেন জাহাজঘাটার সকল কর্মী। পেছনের সারিতে থাকা মানুষটিকে দেখা যায়, হাতদুটো জড়ো করে রেখেছেন সামনের দিকে। জার্মানিতে তখন হিটলারের মুখের উপর কথা বলার সাহস তার অনুচরদেরও নেই। সেখানে তাকে অভিবাদন জানাতে অস্বীকৃত হলেন কিনা একজন সাধারণ শ্রমিক।

article

দিয়েত্রিচ ভন শলতিৎজ: প্যারিসের সত্যিকার নাকি স্বঘোষিত পরিত্রাতা?

উপরমহলের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে তার চেয়ে বাধ্য আর কেউ ছিলেন না। তার উপর রটারড্যাম, সেভাস্তোপোলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা বাহিনীর অন্যতম নেতা ছিলেন দিয়েত্রিচ। সেইজন্যেই আরও পরাজয় অবশ্যম্ভাবী জেনেও শুধুমাত্র পারিকে শেষ করে দিতে হিটলার তাকে সামরিক প্রধান নির্বাচিত করে এখানে পাঠিয়েছিলেন। তাহলে এহেন দিয়েত্রিচ শেষমুহূর্তে নাৎসি সৈনিকের পেশাদারী নিষ্ঠুরতার চেয়ে মানবতাকে স্থান দিলেন কেন? ইউরোপীয় সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থানকে শত্রুর গোলা থেকে বাঁচানোর পিছনে কোন নীতি কাজ করেছিল তার? শুধুই পারির প্রতি ভালবাসা নাকি বিবেকের তাড়না?

article

ডন রিচি: আত্মহত্যার দ্বার থেকে শত শত মানুষকে বাঁচিয়েছেন যিনি

ব্যক্তিটি সুইসাইড স্পটের কাছাকাছি পৌঁছে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পা বাড়াচ্ছেন, এমন সময়ে হঠাৎ মিষ্টি গলায় কেউ হয়ত এসে তাকে বিনীত স্বরে বললেন- ‘চলুন না, আমার বাড়িতে একটু চা খাবেন।’

article

সৈয়দ মুস্তাক আলি: পুলিশ লাইনের গলি থেকে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার

ইডেন গ্যালারিতে আছড়ে পড়ছে প্রতিবাদী স্লোগান ‘নো মুস্তাক, নো টেস্ট’, জ্বলজ্বল করছে ‘ব্রিং ব্যাক মুস্তাক আলি’ লেখা প্ল্যাকার্ড। একসময় নিরাপত্তার বেড়া ভেঙে অবশেষে প্যাভিলিয়নেই ঢুকে পড়ে অধৈর্য জনতা। তাদের আক্রমণের লক্ষ্য নির্বাচক প্রধান কুমার শ্রী দলীপসিংজি। তাঁর টাই ধরে রীতিমতো হেনস্থা করে কয়েকজন মারমুখী দর্শক। অবস্থা সামাল দিতে এবার এগিয়ে আসেন সেই মানুষটি স্বয়ং, যাঁকে ফিরিয়ে আনতে এতক্ষণ ধরে স্লোগান দিচ্ছিল ইডেন-জনতা। দর্শকদের বোঝালেন, তিনি অবশ্যই খেলবেন, তবে তাঁরা যেন শান্ত হয়ে বসেন। অগত্যা জনরোষের মুখে পড়ে তাঁকে খেলাতে বাধ্য হন নির্বাচকরা। সেই মানুষটির নাম সৈয়দ মুস্তাক আলি, মানুষের বড় ভালোবাসার মুস্তাক।

article

অন্ধত্বকে হারিয়ে দেওয়া এক চিত্রশিল্পী

‘বাইরে রৌদ্রের উত্তাপ বুঝছি, কিন্তু আলো দেখতে পাচ্ছি না।’ এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ মাত্রেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে, কিন্তু বিনোদবিহারী হয়ে উঠলেন অনন্য। তাঁর চোখের দৃষ্টি চলে গেলেও এত দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও একাগ্রতা তাঁকে দিয়েছিল এক গভীর অন্তর্দৃষ্টি, যার দূরদর্শিতার কাছে সাদা চোখের দৃষ্টিও যেন বড় সাধারণ হয়ে যায়। তিনি প্রমাণ করলেন, চোখের দৃষ্টি হারিয়েও একজন ভিস্যুয়াল আর্টিস্ট শিল্প সৃষ্টি করতে পারেন।

article

ভাওয়াইয়া: অবহেলা, দারিদ্র্য ও অবলুপ্তির আখ্যান

ভাওয়াইয়ার সুরে আর কথায় মিশে থাকে এক অদ্ভুত প্রাণময়তা, যা আবিষ্ট করে রাখে উপস্থিত প্রত্যেক শ্রোতাকেই। শিল্পী গাইছেন, আর তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শ্রোতার দল, নদী-নালা-মাঠ-পুকুরের গ্রামবাংলার পথেঘাটে এমন দৃশ্য বড় অপরিচিত নয়। মাটির গানের টানই বুঝি এমন, তা শিল্পী আর শ্রোতাকে বেঁধে রাখে অজানা বন্ধনে, দুই পক্ষই একে অন্যের কাছে হয়ে ওঠেন আপন। কিন্তু প্রযুক্তি-সভ্যতার দুর্নিবার গতির কাছে এমন মাটির গানের মাধুর্য কতদিন টিকে থাকতে পারে, সেটাই বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন নিয়ে হাজির হয়েছে আপামর সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের মনে।

article

মার্গট ওয়ল্ক: যাঁর প্রতিটি খাদ্যগ্রাসে জড়িয়ে ছিল মৃত্যুভয়

তখন ইউরোপ জুড়ে সর্বগ্রাসী মহাযুদ্ধ চলছে। জার্মানিতে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। সাধারণ মানুষের পক্ষে সামান্য কফি খাওয়াও তখন বিলাসিতা। সেই পরিস্থিতিতে মার্গটদের ভাগ্যে তখন তিনবেলা জুটছে অ্যাস্পারাগাস স্যুপ, থালাভর্তি সুস্বাদু শাকসবজির তরকারি, নুডলস, সাথে গরম ভাত অথবা পাস্তা, সুমিষ্ট ফলও। কিন্তু এই সুখের আড়ালে মরণভোমরার মতো লুকিয়ে রয়েছে মৃত্যুভয়। যুদ্ধের সংকটকালে সুস্বাদু খাবারের আস্বাদ গ্রহণের ভাগ্যকে যেন প্রতিনিয়ত দুর্ভাগ্য বলে মনে করতেন মার্গটরা। কিন্তু আড়াই বছরে যে মানুষটির জীবন রক্ষা করতে নিজেদের জীবন বাজি রেখে কাজ করে গেলেন তাঁরা, সেই অ্যাডলফ হিটলারকে কিন্তু তাঁরা সামনাসামনি কখনও দেখেননি।

article

হারিয়ে যাওয়া জীবিকারা

কালের নিয়মে পাল্টেছে যুগের হাওয়া, পাল্টেছে সামাজিক রীতিনীতি, বদল এসেছে নানা ক্ষেত্রে, আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোয়। সেখানে পেশার ক্ষেত্রই বা বাদ যায় কেন। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে নতুন ধরনের কাজ, নতুনের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে মানুষ, কিংবা কখনও রক্ষণশীলতাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চেয়ে সেটাও হয়নি, তাও ধীরে ধীরে সেখানেই করে নিতে চেয়েছে সংস্থান, তারপর সেই পেশাও একদিন পুরনো হয়েছে, তার জায়গায় এসেছে আধুনিক ছোঁয়া, অথবা একেবারে বিলুপ্তই হয়ে গিয়েছে প্রায়। সবটাই সেই কালের নিয়মে।

article

জনপ্রিয় যে খেলাগুলোর জন্ম ভারতে

যুদ্ধজয়ে গর্ব এবং মৃত্যুর গ্লানি দুইই মিশে থাকে ওতপ্রোতভাবে, সেখানে ক্রীড়াক্ষেত্রে জয় সর্বতোভাবেই আনন্দের বার্তাবহ। তবে পার্থক্যটা শুধুই প্রতীকী ন্যারেটিভে, অগাধ সম্মানের অধিকারী দুই ভিন্ন পেশার মানুষই। আবার মজার ব্যাপার হল, যুদ্ধের কলাকৌশল থেকেই জন্ম হয়েছে জনপ্রিয় যত খেলার। সময় যত এগিয়েছে, তত যুদ্ধের কৌশল বদলেছে, বদল এসেছে অস্ত্রেও। পাল্লা দিয়ে উদ্ভূত হয়েছে আধুনিক খেলার। যেমন, একসময়ে তীরধনুকই ছিল যুদ্ধের অস্ত্র, সেখান থেকে জন্ম নিয়েছে তীরন্দাজি। পরে যখন বন্দুকের ব্যবহার শুরু হয়েছে, খেলার তালিকায় যুক্ত হয়েছে শ্যুটিং। প্রাচীন ভারতবর্ষের ক্রীড়া সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলতে গেলে অবধারিত ভাবে উঠে আসবে নানা জাতি ও তাদের সংস্কৃতির ইতিহাস। যে ইতিহাসে যুদ্ধবিগ্রহ তো বটেই, সাথে লোকাচারের বর্ণনাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

article

End of Articles

No More Articles to Load