Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

কোভিড-১৯ প্রতিষেধক প্রস্তুতি: চেষ্টা ও সম্ভাবনা

সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক খবর পাওয়া গেছে জাপান থেকে। জাপানের ফুজিফিল্ম-এর একটি ওষুধ কোম্পানি তোয়ামা কেমিক্যাল ২০১৪ সালে ফ্লু মোকাবেলা করার জন্য এভিগান নামক একটি ওষুধ তৈরি করে। সেই ওষুধ চীনের উহান এবং শেনজেনে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদেরকে চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। চীন থেকে জানানো হয়েছে, ওষুধটি প্রয়োগের পর অভূতপূর্ব সাফল্য পাওয়া গেছে!

article

করোনা ভাইরাস ২০১৯: সার্স ২০০৩ থেকে কি কোনো শিক্ষা নেওয়া যায়?

এই লেখা লিখতে বসার সময় সারা বিশ্বে ১৫০টির বেশি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে; ২,৭৫,৮৭১ জন মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত এবং ১১,২৯৮ জন এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। প্রতিদিন এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মানবসভ্যতার জন্য থেকে এর চেয়ে ভয়ংকর সংবাদ আর কী হতে পারে? ঠিক এরকম না হলেও কাছাকাছি একধরনের ভাইরাস পৃথিবী দেখেছিল ২০০২-২০০৩ সালে। সেই ভাইরাসের নাম ছিল সার্স (SARS – Severe Acute Respiratory Syndrome)।

article

একটি খরগোশের রূপান্তর এবং কিছু প্রশ্ন

২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। ব্রাজিলিয়ান জীব-শিল্পী এডওয়ার্ডো ক্যাক নামের এক ব্যক্তি ঠিক করলেন তিনি নতুন এক ধরণের বিষয়বস্তু তৈরি করবেন যেখানে এক প্রাণীর “বিশেষ বৈশিষ্ট্যের” জিন আরেক প্রাণির ভিতর সঞ্চার করা হবে।

article

কাগজের নোট পরিহার কি অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে?

বর্তমান যুগে মানুষ কাগজের টাকা প্রায় ব্যবহার করতে চায় না বলেই চলে। যেকোনো ব্যাংকে সেই ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং ক্রেডিট কার্ড ভিত্তিক লেনদেনের গ্রাহক বেশী পাওয়া যাবে। আজকের এই লেখার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে – যদি সত্যি সত্যি কাগজের নোট আর ব্যবহার করতে না হয় তাহলে তার সুবিধাগুলো কি হবে? কাগজের টাকা কি পুরোপুরি  বাদ হয়ে যাবে? আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে কাগজের টাকা কি শুধুই জাদুঘরে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে? 

article

প্রফেসর আব্দুস সালামের একাডেমিক দিনগুলো

কেমব্রিজে প্রথম দুবছরে ম্যাথম্যাটিকাল ট্রাইপস পাস করার পর তার সামনে আরও আধুনিক গণিতচর্চা এবং পড়াশুনা করার দুয়ার খুলে যায়। ট্রাইপস এর পার্ট-থ্রি তিনি শেষ করতে চাচ্ছিলেন এবং তার সামনে দুটো পথ খোলা ছিল। একদিকে তিনি গণিতে ট্রাইপস করতে পারেন অথবা পদার্থবিজ্ঞানে করতে পারেন। তার ইচ্ছা ছিল পদার্থবিজ্ঞানে কাজ করার। কারণ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে তার আগ্রহ ছিল প্রবল। কেমব্রিজে পড়াশুনার সময় তার টিউটর ছিলেন আরেক বিখ্যাত পদার্থবিদ ফ্রেড হয়েল। হয়েল তাকে বলেন যে- “যদি তুমি একজন ভাল পদার্থবিজ্ঞানী হতে চাও, তোমাকে তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক – দুধরণের বিষয়েই ভালো হতে হবে।” কারণ অংক কষে যখন কোন তত্ত্ব দাড় করানো হবে সেটাকে সত্য বলে প্রমাণ করতে হলে এবং সার্বজনীন স্বীকৃত পেতে হলে সেই তত্ত্বকে ব্যবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।

article

ফাইভ-জি জাদু: জীবনযাত্রা বদলে দিতে পারে যে প্রযুক্তি

কেন ফাইভ-জি এতোসব কাজ করতে সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে? কী থাকবে এই ৫-জি নেটওয়ার্কে? এক কথায় উত্তর হচ্ছে – মিলিমিটার ওয়েভ বা তরঙ্গ…

article

সারা বিশ্বে নিউক্লিয়ার নিরাপত্তার উন্নতি এবং কিছু আশঙ্কা

যেসব দেশ নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরি এবং মজুদ করে তাদের গত ছয় বছরের (২০১২-২০১৮) নিউক্লিয়ার কার্যকলাপ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে এন.টি.আই। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১ সালে। তখন থেকে তারা পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশের নিউক্লিয়ার কার্যকলাপের উপর দৃষ্টি রাখা শুরু করে। ২০১২ সালে তারা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে ১৯৯০-২০১২ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের নিউক্লিয়ার শক্তি, অস্ত্র এবং অন্যান্য কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করা হয় এবং সেখানে দেখা যায় ১৯৯০ সালে প্রায় ৫০ টি দেশে কমপক্ষে এক কিলোগ্রাম বা তার থেকে বেশী পরিমাণ নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল বিদ্যমান ছিল। কিন্তু ২০১২ সালে সেই সংখ্যা কমে ৩২ টি দেশে নেমে গেছে। অর্থাৎ ১৮ টি দেশ নিউক্লিয়ার অস্ত্র এবং এর আনুষঙ্গিক কাঁচামাল তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে। ২০১৮ সালেও আরেকটি রিপোর্ট এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে এই সংখ্যা বাইশে নেমে এসেছে। যদিও এই ২২ টি দেশের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, ব্রিটেন এবং উত্তর কোরিয়াতে নিউক্লিয়ার শক্তির সংখ্যা ২০১৬ সাল থেকে কিছুটা বেড়েছে।

article

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নিয়ে ট্রাম্পের সুর বদল!

ট্রাম্প আবার ইইউ এর কাছেই ফিরে এসেছে। গত জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট জিন-ক্লড জাঙ্কারের বৈঠক হয়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতর যে যে বিবাদ আছে সেসব নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য সম্পর্ক যেন আবার আগের মতো হয় সেটা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। ফলাফল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ আবার একে অপরের সাথে বাণিজ্যের জন্য রাজি হয়েছে। ইইউ যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং আরও কিছু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পণ্য আমদানি করবে। এমনকি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়মাবলী নতুন করে ঢেলে সাজাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করবে ইইউ। অন্যদিকে চীন ইইউ-কে চাপ আগে থেকেই চাপ দিচ্ছিল যেন তারা বাণিজ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ে আরও কড়া যেন হয় এবং চীনের পক্ষে কাজ করে। কিন্তু ইইউ চীনের কথায় সায় দেয়নি। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। কিন্তু কিছু শর্ত না মেনে নিলে তারা এই বাণিজ্য করবে না সেটাও উল্লেখ করেছে। যেমনঃ টারিফ অর্থাৎ আমদানি করা পণ্যদ্রব্যের উপর যদি বেশী কর আরোপ করা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোন বাণিজ্য সম্পর্কে যাবে না ই-ইউ। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে যে “জিরো টারিফ” এর কথোপকথন হয়েছে সেটার দিকেও যুক্তরাষ্ট্রকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব মেনে নিলেই কেবল যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করবে ই-ইউ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে নিজেদের বাণিজ্য নীতিকে পুনর্বিবেচনা করা নিয়েও কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র।

article

নেপোলিয়নের পরাজয় ও একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত

১৮১৫ সালের ইন্দোনেশিয়ার সুমবাওয়া দ্বীপের মাউন্ট তামবোরা থেকে নির্গত হয় এই অগ্ন্যুৎপাত। এর ফলে মারা যায় প্রায় ১,০০,০০০ মানুষ এবং এই আগ্নেয় বিস্ফোরণের ফলে ১৮১৬ সালে গ্রীষ্মকাল ছাড়াই একটি বছর অতিবাহিত হয়েছিলো। এই জন্য এই সালকে বলা হয় A Year without a Summer অর্থাৎ, “গ্রীষ্মকালবিহীন এক বছর”। ওয়াটার লু যুদ্ধ শুরু হওয়ার দু মাস আগে এই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়। বিজ্ঞানের দিক দিয়ে ব্যাপারটিকে ব্যাখ্যা করলে যেটা দাঁড়ায় তা হচ্ছে অগ্ন্যুৎপাতের পর পর নির্গত আগ্নেয় ছাই আয়নোস্ফিয়ারে বিদ্যুৎ তৈরি করে ফেলে, যার ফলে বায়ুমণ্ডলের এই স্তর পুরোপুরি শর্ট সার্কিট হয়ে পড়ে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলের উপর দিকে মেঘ তৈরি হয়। ধারণা করা হচ্ছে যে প্রবল গতিতে নির্গত ছাইগুলো নিজেরা আগে থেকেই চার্জিত ছিল এবং বায়ুমণ্ডলের উপরের দিকে ছুটে গিয়ে সেখানেই মেঘ তৈরি করে ফেলে। এই মেঘের ফলেই নেপোলিয়ন প্রবল বৃষ্টির সামনে পড়ে গিয়েছিলেন।

article

থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করছে, বাংলাদেশ কি পারবে?

আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এবং জনগণের মাঝে অধিক জনপ্রিয়তা লাভের কারণে থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক- ব্যাংক অব থাইল্যান্ড ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ২০১৯ এর প্রথম চার মাসের মধ্যেই তাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করছে এবং সেটার পুরোপুরি দায়িত্বে থাকবে তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের নতুন এই ভার্চুয়াল কারেন্সির অফিসিয়াল নাম হবে, সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সি.বি.ডি.সি)। প্রথমে তারা আরও আটটি কমার্শিয়াল ব্যাংক নিয়ে শুরু ক্রিপ্টোকারেন্সির গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করবে। যাচাই করা হবে থাইল্যান্ডের ভিতরেই অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে। অনেকটা প্রটোটাইপ ধাঁচের কাজ হবে এটি। ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে লেনদেন করলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে সেটা নিরীক্ষণ করা হবে এবং সাথে সাথে কোন কোন দিকে উপকার পাওয়া যাচ্ছে সেটাও দেখা হবে যাতে করে পরবর্তীতে গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধার বন্দোবস্ত করা যায়।

article

লিনাস পলিং: ভাগ্য সহায় হলেই পেতেন তৃতীয়বারের মতো নোবেল

রোজালিন্ডের প্রাপ্ত ছবিগুলো দেখার জন্য পাউলিং কেমব্রিজে আসতে চেয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে তিনি সেখানে একটি কনফারেন্সের নেমন্তন্ন পান। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হলে যা হয়। কমিউনিস্ট হিসেবে দোষারোপ করে সরকার থেকে তাকে ব্রিটেনে আসতে দেয়া হলো না। পাউলিং পরে বুঝতে পারেন যে যদি তিনি ফ্রাঙ্কলিনের ডাটা দেখতে পারতেন এবং এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফির ছবিগুলো দেখার সুযোগ পেতেন তাহলে গণিত কষে আসল রহস্য বের করতে বেশী সময় লাগতো না। এরকম হলে ওয়াটসন-ক্রিক এর অনেক আগেই পাউলিং – ফ্রাঙ্কলিন ডিএনএ-র গঠন আবিষ্কার করে ফেলতেন। এজন্য তারা দুজনেই নোবেল পুরস্কার পেতে পারতেন।

article

আধুনিক ভারত গঠনে অটল বিহারি বাজপেয়ীর অবদান

অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম গুলো হচ্ছে – যুক্তরাষ্ট্রকে ফাঁকি দিয়ে ভারতের নিউক্লিয়ার মিসাইল টেস্ট করা এবং ভারতকে একটি পারমানবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে পাকিস্তানের সাথে বিখ্যাত লাহোর ডিক্লেয়ারেশন সাইন করা, বৈদেশিক এবং কূটনৈতিক নীতি সংস্কার করা, অর্থনীতি এবং রাজস্ব খাতকে নতুন করে ঢেলে সাজানো, শিশুদের জন্য “সর্ব শিক্ষা অভিযান” নামক প্রচার অভিযান চালানো, ভারতে তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষের পথ তৈরি করে দেয়া এবং সেই পনেরো বছর আগেই স্টার্টআপ ইন্ডাস্ট্রির কথা বলে দেয়া। উল্লেখ্য যে, ভারতে এখন এই স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

article

End of Articles

No More Articles to Load