আরবি গানের অন্যতম উৎস মধ্যপ্রাচ্যের আরবি ভাষাভাষী দেশগুলো। ইন্টারনেটের কল্যাণে সেখানকার অনেক আরবি গানের শিল্পীও আন্তর্জাতিকভাবে এখন বেশ সমাদৃত। বেশ কিছু আরবি গান বিশ্বব্যাপীও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। আরবি গানের জগত বহু সঙ্গীতশিল্পী দাপিয়ে বেড়ালেও জীবিত শিল্পীদের মাঝে সবচেয়ে বড় নাম সম্ভবত কিংবদন্তী আরব গায়িকা নুহাদ ওয়াদি হাদ্দাদ, যিনি ফাইরুজ নামে আরব মানসে স্থায়ীভাবে আসন করে আছেন।
ছোটবেলা
ফাইরুজের জন্ম লেবাননের বৈরুতে। বাবা ওয়াদি হাদ্দাদ আর মা লিজা বুস্তানির চার ছেলেমেয়ের মাঝে সবার বড় ফাইরুজ। ১৯৩৫ সালের নভেম্বরের ২০, মতান্তরে ২১ তারিখে তার জন্ম।
ফাইরুজের বাবা কাজ করতেন প্রিন্টের দোকানে। তাদের পৈত্রিক নিবাস ছিল লেবাননের ছোফ অঞ্চলের দিবিয়াহ গ্রামের পার্বত্য এলাকাতে। সেখানে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হতে থাকলে স্বচ্ছলতার আশায় হাদ্দাদ বৈরুতে পাড়ি জমান। এখানেই ফাইরুজের জন্ম। এরপর হাদ্দাদ আর লিজার কোল আলো করে একে একে পৃথিবীতে এলেন হুদা, আমাল আর জোসেফ। এদের মধ্যে হুদা পরবর্তীতে ফাইরুজের মতোই গানকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।
গ্রামের সাথে সম্পর্ক ফাইরুজের বাবা একেবার ত্যাগ করেননি। মাঝে মাঝে বাচ্চাদের নিয়ে তিনি দাদা-দাদির বাড়ি যেতেন। শহর থেকে দূরে প্রকৃতির মাঝে ফাইরুজের গায়কি বিকশিত হতে থাকে। মাঝে মাঝেই তিনি পরিবার আর প্রতিবেশীদের জন্য গান গাইতেন। মিশরীয় সঙ্গীতশিল্পী লায়লা মুরাদ আর আসমাহানের গান কণ্ঠে তুলতে তিনি পছন্দ করতেন বেশি।
ফাইরুজের বয়স যখন চৌদ্দ, তখন স্কুলের এক অনুষ্ঠানে তিনি গান পরিবেশন করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সঙ্গীতজ্ঞ মোহাম্মদ ফ্লেইফেল। তিনি ন্যাশনাল কনজারভেটরি (National Conservatory) নামে লেবাননের এক সঙ্গীত বিদ্যালয়ে কাজ করতেন। অবসরে ঘুরে বেড়াতেন নিজ এলাকার নানা গানের অনুষ্ঠানে, উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় প্রতিভা অন্বেষণ। ফাইরুজের কণ্ঠে তিনি বিশাল সম্ভাবনা খুঁজে পেলেন। অনুষ্ঠান শেষে কিশোরি ফাইরুজের সাথে তিনি দেখা করেন। ফ্লেইফেল তার প্রথম ম্যানেজারের দায়িত্ব নেন। তার উৎসাহ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ফাইরুজ ন্যাশনাল কনজারভেটরিতে ভর্তি হন।
পাঁচ বছর ন্যাশনাল কনজারভেটরিতে কাটান ফাইরুজ। এখানে ফ্লেইফেল তার একজন শিক্ষক ছিলেন। তৎকালে লেবানন তথা মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গীতের স্কুলগুলোতে মিশরীয় প্রশিক্ষণ পদ্ধতির চল ছিল। পবিত্র কুরআনের আয়াত ছন্দোবদ্ধভাবে পাঠের মাধ্যমে সুর ও কথার উপর দখল আনার প্রথা কাজে লাগানো হতো। ফাইরুজ এই বিষয়ে বেশ দক্ষ হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে ফাইরুজের প্রাচ্যীয় সঙ্গীতে এই শিক্ষার প্রভাব প্রবলভাবে দেখা যায়।
পেশাগত জীবনের সূচনা
ন্যাশনাল কনজারভেটরি থেকেই ফাইরুজের প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেখা যায়। ফলে লেবাননের জাতীয় রেডিও থেকে ডাক এলো। এখানে কোরাসের দলে তার অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব ফাইরুজের মনে ধরলেও রক্ষণশীল পিতা বেঁকে বসলেন। ফাইরুজ বাবাকে বোঝালেন- রেডিওর কাজ করে যে আয় হবে তা সংসার খরচের কাজে লাগবে। ফলে হাদ্দাদ শেষাবধি রাজি হলেন। তবে শর্ত জুড়ে দিলেন- ফাইরুজের ভাই প্রতিদিন বোনের সাথে যাওয়া আসা করবে।
রেডিওতে নতুন জীবনের শুরু হলো ফাইরুজের। তার ঊর্ধ্বতন কর্তা ছিলেন হালিম আল-রুমি। তিনি ফাইরুজের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যান, তরুণী শিল্পীর জন্য গানও লিখে ফেলেন। সেই সময় অনেক শিল্পীই পেশাগত একটি নাম গ্রহণ করতেন। এর সাথে সঙ্গতি রেখে রুমি ‘ফাইরুজ’ (Fairuz) নামটি প্রস্তাব করেন, আরবিতে যা ফিরোজা রঙ (turquoise) বোঝাত।
রাহবানি ভ্রাতৃদ্বয়
ফাইরুজ যখন রুমির সাথে কাজ করছেন তখন রেডিও অফিসে আনাগোনা ছিল আসি আর মানসুর রাহবানির। সঙ্গীতজগতে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারাও তখন সুযোগ খুঁজছেন। রুমির হাত ধরে ফাইরুজের সাথে তাদের পরিচয় হলো। সূচীত হলো আরব সঙ্গীতের অন্যতম দীর্ঘ আর বিখ্যাত ত্রয়ীর। ফাইরুজের জন্য রাহবানিরা প্রথম যে গান রচনা করলেন তার নাম ইতাব (Blame)। রোমান্টিক একটি কবিতার উপর ভিত্তি করে এই গানটি তারা তৈরি করেন।
১৯৫২ সালে ফাইরুজকে সাথে নিয়ে রাহবানিরা দামেস্কের এক রেডিও স্টেশনে রেকর্ড করেন ইতাব। রাতারাতি এই গান তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। একলাফে ফাইরুজ আর রাহবানি ভ্রাতৃদ্বয় খ্যাতির চূড়ায় উঠে যান। ইতাবের সূত্র ধরে পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই ফাইরুজের নাম ছড়িয়ে পড়ল।
১৯৫৩ সালে ফাইরুজের ব্যক্তিগত জীবনে আগমন ঘটল আসি রাহবানির। মন দেয়া-নেয়ার একপর্যায়ে আসি বিয়ের প্রস্তাব দিলে ফাইরুজ তা গ্রহণ করেন। বিয়ের পর স্থায়ী নিবাস হিসেবে তারা বেছে নেনে বৈরুতের অদূরে আন্তিলিয়াস অঞ্চলের রাহবানি গ্রাম। ভূমধ্যসাগরের কোল ঘেঁষে থাকা নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার এই গ্রামের নিস্তরঙ্গতা তাদের অনেক গানের অনুপ্রেরণা হয়ে এলো। আজও ফাইরুজ সেখানেই বসবাস করছেন।
শিল্পী ফাইরুজ
রাহবানি ভ্রাতৃদ্বয়ের সাথে ফাইরুজের জোট মূলত লোকসঙ্গীত বা ফোক ঘরানার গান করত। তবে এখানে ক্লাসিক্যাল উপাদান মিশিয়ে রাহবানিরা আরব গানে নতুন একটি ধারার সৃষ্টি করেন। অনেক সময় তারা নামকরা ব্যক্তিদের কবিতাকে বাধতেন গানের সুরে, যা ফাইরুজের কণ্ঠে হয়ে উঠত জীবন্ত। কাহলিল জিব্রানের বেশ কিছু কবিতা এভাবেই তারা গানে রুপান্তরিত করেন।
১৯৫৫ সালে মিশরের জাতীয় রেডিও ফাইরুজ আর রাহবানিদের আমন্ত্রণ জানায়। এখানে তাদের অনুরোধ করা হলো নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষাবলম্বন করে গান তৈরি করতে। এর ফল ছিল রাজিউন (Rājiʿūn /We Shall Return)। এর বাইরে আল-কুদস-আল-আতিকাহ (Al-Quds al-ʿAtīqah”/“Old Jerusalem”) সহ আরো বেশ কিছু গানে ফিলিস্তিনিদের বঞ্চনার বর্ণনা উঠে এসেছিল। তবে প্রধানত ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর তাদের গানগুলো মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেয়। এর অন্যতম ছিল জাহরাত-আল-মাদাইন (“Zahrat al-Madāʾin” /“Flower of the Cities”), যা যুদ্ধ শেষের পরপরই প্রকাশিত হয়।
তবে রেডিওতে গান চালিয়ে গেলেও জনসম্মুখে প্রথম ফাইরুজ অনুষ্ঠান করেন ১৯৫৭ সালে, লেবাননে সঙ্গীতের অন্যতম একটি আয়োজন বাল্বেক আন্তর্জাতিক উৎসবে (Baalbeck International Festival)। তার গানে মুগ্ধ লেবানিজ প্রেসিডেন্ট ক্যামিল শামোন উৎসব শেষ হতে না হতেই তাকে ক্যাভালিয়ার পদক (Cavalier Artist Prize) প্রদান করেন।
তবে রেডিওই তখন পর্যন্ত ছিল ফাইরুজ আর রাহবানি ভ্রাতৃদ্বয়ের মূল জায়গা। রেডিও লেবানন, ব্রিটিশ প্রাচ্যীয় রেডিও, দামেস্ক রেডিও ইত্যাদিতে তারা নিয়মিত পারফর্ম করতেন। এর পাশাপাশি বাল্বেক আন্তর্জাতিক উৎসবে তাদের যোগদান অব্যাহত থাকে ১৯৭৫ সালে লেবানিজ গৃহযুদ্ধের আগপর্যন্ত।
গৃহযুদ্ধ চলাকালে উৎসব বন্ধ ছিল। তবে ফাইরুজ আর রাহবানিদের গান ছিল চলমান। লেবাননের অন্যান্য উৎসবে তারা অংশগ্রহণ করতেন। এমনকি নাটক আর সিনেমাতেও ব্যবহৃত হত তাদের সঙ্গীত। গৃহযুদ্ধের সকল পক্ষই এই ত্রয়ীকে সম্মান করত। তাদের গান সকলের জন্যই ছিল অনুপ্রেরণার উৎস।
ফাইরুজ আর রাহবানিরা যখন একত্রে ছিলেন তখন তারা ভিন্ন শিল্পীদের সঙ্গেও কাজ করেছেন। রাহবানিরা ছাড়াও অন্যান্য সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞের গান করেছেন ফাইরুজ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ফিলিমন ওয়াহবি, নাজিব হাঙ্কাশ আর ওয়াহাব। ঠিক তেমনি রাহবানিরাও ফাইরুজ ব্যতিত অন্যান্য শিল্পীর সাথে কাজ করেছেন, যেমন সাবাহ আর ওয়াদি সাফি।
ফাইরুজ আর আসি রাহবানির ছেলে জিয়াদ মায়ের সাথে আলাদাভাবে অনেক কাজ করতেন। তিনি মায়ের জন্যে গান লিখে সুর করে দিতেন। বাবা আর চাচার থেকে তার স্টাইল ছিল স্বতন্ত্র, এবং এই নিয়ে নানা কারণে তাদের মাঝে সৃষ্টি হয় মতবিরোধ। এর জের ধরেই আলাদা হয়ে যান ফাইরুজ আর আসি রাহবানি। এর অব্যবহিত পরেই ১৯৮৬ সালের ২১ জুন মারা যান আসি। লেবাননে তখন তুমুল লড়াই চলছে। কিন্তু আসি রাহবানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে সেজন্য যুদ্ধরত সব পক্ষ সাময়িক বিরতি দেয়। এরপর থেকে জিয়াদ হয়ে ওঠেন ফাইরুজের প্রধান সুরকার এবং সঙ্গীত রচয়িতা।
গৃহযুদ্ধের পর
১৯৯৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহযুদ্ধের ইতি টানার পর লেবানন বাল্বেক আন্তর্জাতিক সঙ্গীত উৎসব ফিরিয়ে আনে। জনগণের দাবি ছিল ফাইরুজকে যাতে গান করতে এখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৯৯৮ সালের উৎসবে প্রায় এক লাখ লোক উপস্থিত হয় শুধু ফাইরুজের পরিবেশনা উপভোগ করতে। একই বছরের বসন্তে ফাইরুজ ইতিহাস সৃষ্টি করেন যুক্তরাষ্ট্রে পারফর্ম করে। লাস ভেগাসে সব মিলিয়ে বিশ হাজার মানুষ ফাইরুজের সরাসরি পরিবেশনা দেখতে জমায়েত হয়েছিল। আরব এক শিল্পীর জন্য এটা কম কথা নয়। ২০০৭ সালে প্রথম আরবি সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ফাইরুজ গ্রীসে অনুষ্ঠান করেন। এর বাইরে লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, প্যারিসের মানুষও উপভোগ করেছে ফাইরুজের সঙ্গীত। আরব ভাষাভাষী দেশগুলোতে তো নিয়মিতই ফাইরুজের অনুষ্ঠান হতো, বিশেষ করে কায়রো, আম্মান আর রাবাতে।
রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা
ফাইরুজের গানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল নাম উল্লেখ না করেই আরব অঞ্চলের নানা গুরুত্বপূর্ণ শহরের বর্ণনা। ফিলিস্তিনসহ নিপীড়িত আরব গোষ্ঠীর মানুষের অধিকারের বিষয়টিও উঠে আসত তার গানে। তবে ফাইরুজ সরাসরিভাবে গানের ভেতর দিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকেন। ফলে তার গান বিবাদমান সব পক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়। সিরিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধে আসাদপন্থি আর আসাদ বিরোধী দুই দলের নিয়ন্ত্রিত রেডিওতেই বাজে ফাইরুজের গান।
লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময়েই ফাইরুজ কাউকে সমর্থন করা থেকে বিরত থেকেছেন। বরঞ্চ তার গানে তুলে এনেছেন ভাগ্যাহত লেবানিজদের দুর্দশার চিত্র, চেয়েছেন স্বদেশের শান্তি আর সমৃদ্ধি। যুদ্ধ চলাকালে রাজনীতির মারপ্যাচ থেকে দূরে থাকতে লেবাননের অভ্যন্তরে সরাসরি কোনো অনুষ্ঠান করা থেকে বিরত থাকলেও বাইরের দেশে কাজ চালিয়ে যান তিনি। তবে এমন বিশৃঙ্খলার ভেতরেও ফাইরুজ লেবানন ছেড়ে অন্য দেশে বাস করার জন্য চলে যাননি।
ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে জেরুজালেম নিয়ে গাওয়া গান নিয়েও ফাইরুজকে কোনো পক্ষের তোপের মুখে পড়তে হয়নি। তার খ্রিষ্টান পরিচয় ছাপিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে ফাইরুজের সঙ্গীতশিল্পী পরিচয়ই বড় হয়ে উঠেছে। ফাইরুজের ধর্মপরিচয় নিয়ে কোনো গোষ্ঠীই নোংরা খেলায় মেতে ওঠেনি।
জীবন্ত কিংবদন্তি
ফাইরুজকে ধরা হয় আরব সঙ্গীতের সম্ভবত সবচেয়ে বড় আইকন। নিজ দেশে তিনি দ্য সৌল অফ লেবানন নামেও পরিচিত। এর বাইরে তাকে ডাকা হয় হার্প অফ দ্য অরিয়েন্ট এবং মাদার অফ লেবানিজ ন্যাশন নামেও। ২০০৮ সালে ৭৪ বছর বয়সে তাকে আরব সংস্কৃতির দূত হিসেবে সম্মানিত করা হয়।
আন্তর্জাতিকভাবেও ফাইরুজের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। এর প্রমাণ দেখা যায় ২০২০ সালের আগস্টে। বৈরুতে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের মাসখানেক পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রন রাষ্ট্রীয় সফরে লেবানন এসেছিলেন। এই সময়েই এক রাতে তিনি হাজির হন ফাইরুজের বাসায়। ফাইরুজকে প্রদান করেন লিজিওন অফ অনার সম্মান, যা সামরিক বা বেসামরিক যেকোনো অর্জনের জন্য ফ্রান্সের সর্বোচ্চ পদক।
আশি বছর পার হয়ে গেলেও ফাইরুজ এখনো গান চালিয়ে যাচ্ছেন। বলা হয়, তিনি এখন অবধি দেড় হাজারের বেশি গান গেয়েছেন, অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন ৮০টি। গান বিক্রি হয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন কপি। জীবনের গোধুলিলগ্নে এসেও দ্য সৌল অফ লেবানন আরব সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের কাজে ক্ষান্ত দেননি।