উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন এক বিখ্যাত বাঙালি শিশুসাহিত্যিক। শুধু সাহিত্যই নয়। সাহিত্যের পাশাপাশি তার আগ্রহ ছিল সংগীত, জ্যোতির্বিদ্যা, চিত্রশিল্পসহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে। প্রকাশনাতেও তার পদচারণা। ১৯১৩ সালে শিশু কিশোরদের জন্য প্রকাশ করা শুরু করলেন ‘সন্দেশ’ পত্রিকা। তিনিই প্রথম সম্পাদক। এর দুই বছরের মাথায় ১৯১৫ সালেই উপেন্দ্রকিশোর মারা গেলেন। সন্দেশের সম্পাদকের দায়িত্ব চলে গেল তার পুত্র সুকুমার রায় এর ওপর। তিনি বাংলা শিশুসাহিত্যের সাহিত্যের আরেক বরপুত্র, যিনি লিখেছিলেন ‘আবোল-তাবোল, হ-য-ব-র-ল’ এর মত কালজয়ী সাহিত্য।
তার প্রতিভায় সন্দেশ হয়ে উঠে এক অনন্য পত্রিকা। সন্দেশের একের পর এক অসাধারণ শিশুসাহিত্য প্রকাশ পেতে লাগলো। এরকম এক সময়েই ১৯২১ সালের ২রা মে জন্ম নিলো সুকুমার রায়ের একমাত্র পুত্র সত্যজিৎ রায়। বাংলা সিনেমা জগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র। যাকে বিশ্ব সিনেমাও দ্বিমত ছাড়াই শীর্ষ আসনগুলোর একটিতে বসিয়েছে। বিখ্যাত রায় পরিবারের এই সদস্য সাহিত্যকে ছাপিয়ে কীভাবে জয় করলেন সেলুলয়েডের রহস্যময় জগত?
পুত্র সত্যজিৎকে জন্ম দিয়ে ৩ বছরের মাথায় অকালে মৃত্যুবরণ করলেন বাবা সুকুমার রায়। মা সুপ্রভা দেবী পড়েন কঠিন বিপত্তিতে। পিতৃহীন তার এই সন্তানকে বড় করতে সুপ্রভা দেবী কঠিন সংগ্রাম করেছে। ১৯৩৬ সালে তাকে পাঠানো হলো প্রেসিডেন্সি কলেজে বিজ্ঞান পড়ার জন্য। দুই বছর বিজ্ঞান পড়ার পর তৃতীয় বর্ষে এসে পড়া শুরু করলেন অর্থনীতি। কিন্তু বিজ্ঞান বা অর্থনীতি কোনোটাই তাকে মুগ্ধ করতে পারলো না। তিনি একসময় অর্থনীতির বইপত্র সিঁকেয় তুলে দিন-রাত ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে সিনেমা দেখা আর ক্লাসিকাল মিউজিক শোনা শুরু করলেন। সিনেমা দেখতে দেখতে তিনি একসময় আবিষ্কার করলেন সিনেমার অভিনেতা অভিনেত্রী তাকে আকর্ষণ করে না। তার আগ্রহ পরিচালকদের নিয়ে। তার মাথার মধ্যে তখন আর্নস্ট লুবিচ, জন ফোর্ড, ফ্রাংক ক্যাপরা, এবং উইলিয়াম ওয়েলারের মতো কিছু জগদ্বিখ্যাত পরিচালকের নাম গেঁথে গেলো। এর পাশাপাশি তিনি আরেকটি কাজে আগ্রহী ছিলেন সেটি হলো ভিজুয়াল আর্ট। এই ভিজুয়াল আর্টের দক্ষতাই তার কর্মজীবনের প্রথম চাকরিটি এনে দেয়। সেই প্রসঙ্গ পরে আসছে।
১৯৩৯ সাল, সত্যজিৎ রায় প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক হলেন এবং ঘোষণা দিলেন তিনি আর পুঁথিগত পড়াশোনা চালাতে চান না। মা সুপ্রভা দেবী হতভম্ব হয়ে বললেন,
“পড়াশোনা না করলে খাবি কী?”
সত্যজিৎ বললেন, “সবাই যেভাবে খায় সেভাবেই খাবো। চাকরি করব৷ সেই বেতনে খাবো।”
“এখন তোকে কে চাকরি দেবে?”
সত্যজিৎ তার অসামান্য ভিজুয়াল আর্টের কিছু নমুনা সুপ্রভা দেবীকে দেখালেন। সুপ্রভা দেবী ছেলের শিল্প দেখে মুগ্ধ হলেন। তবে সত্যজিৎকে চাকরি করার অনুমতি দিলেন না। সত্যজিতের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে পাঠিয়ে দিলেন কবিগুরুর নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান শান্তিনিকেতনে।
১৯৪০-১৯৪১ সাল হলো সত্যজিৎ রায়ের শান্তিনিকেতন পর্যায়। এই শান্তিনিকেতনেই তার সামনে প্রাচ্যের শিল্পের অপার সৌন্দর্য উন্মোচিত হয়। তিনি শিল্পের গভীরে প্রবেশ করার সুযোগ পেলেন। নিখুঁত শিল্পের আবাসভূমি শান্তিনিকেতনের পরিবেশ তাকে মুগ্ধ করলো। শান্তিনিকেতনে তার আর্টের শিক্ষক ছিলেন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী বিনোদ বিহারি মুখার্জি। বিনোদ বিহারির অসামান্য প্রতিভার প্রভাব সত্যজিতের জীবনে ছিল। তার প্রমাণ ১৯৭২ সালে প্রকাশিত The Inner Eye ডকুমেন্টারিটি যা সত্যজিৎ বিনোদ বিহারিকে নিয়ে বানিয়েছিলেন।
শান্তিনিকেতনে আরও যে দুইটি কাজ তার পরিচালক জীবনের ভীত হিসেবে সহায়ক ছিল তার প্রথমটি, তিনি সেখানকার এক ইংরেজি অধ্যাপকের সংগ্রহে থাকা পাশ্চাত্য সংগীত শুনতেন। দ্বিতীয়ত, শান্তিনিকেতনের লাইব্রেরিতে বসে বসে সিনেমার তত্ত্বীয় বই পড়তেন।
১৯৪২ সালের ডিসেম্বরে সত্যজিৎ পুনরায় কলকাতায় ফিরলেন। সেদিন প্রথমবারের মতো কলকাতা জাপানিদের দ্বারা বোমা হামলার শিকার হয়েছিল। ১৯৪৩ সালের এপ্রিলে সত্যজিৎ রায় ব্রিটিশ বিজ্ঞাপন সংস্থা ডি জে কিমারে মাত্র ৮০ টাকা বেতনের বিনিময়ে জুনিয়র ভিজুয়ালাইজার হিসেবে যোগ দেন। তার অসাধারণ কাজের জন্য এই সংস্থায় তিনি ভালো সমাদর পেলেন। সে সময় সত্যজিৎ অসাধারণ কিছু টাইপোগ্রাফির কাজ করলেন। ইতোমধ্যে তার সিনিয়র কলিগ ডি. কে. গুপ্ত সিগনেট প্রেস নামে পাবলিশিং হাউস খুললে ফেললেন। সত্যজিৎ জড়িয়ে গেলেন সিগনেট প্রেসের সঙ্গে। সিগনেট প্রেসে সত্যজিতের কাজ ছিল বইয়ের প্রচ্ছদ ডিজাইন করা। তিনি তার শৈল্পিক দক্ষতা দিয়ে স্বাধীনভাবে একের পর এক বইয়ের ডিজাইন করতে থাকলেন।
একদিন একটা বইয়ে তার চোখ আটকে গেল। ডি. কে. গুপ্ত তার হাতে একটি বাংলা ক্লাসিক ধরিয়ে দিয়ে বললেন, এই বইটির নাম পথের পাঁচালী, আমরা এর একটি শিশুতোষ সংস্করণ বের করব। নাম হবে ‘আম আঁটির ভেপু’, আপনি খুব সুন্দর করে প্রচ্ছদ করবেন। কোনো এক বিচিত্র কারণে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’ সত্যজিৎ এর মনে ধরে গেল। কিন্তু তিনি তখনও জানতেন না, তার বানানো প্রথম ছবি হবে এই বইয়ের গল্পকে ঘিরেই, এবং সেই ছবি কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবে।
১৯৪৭ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কেবল শেষ হয়েছে। এর প্রভাব তখন সারা বিশ্বের মতো কলকাতাতেও। মার্কিন সেনা দিয়ে কলকাতা তখনও ভরপুর। এ সময় সত্যজিৎ চিদানন্দ দাসগুপ্ত ও অন্যান্যদের সাথে মিলে কলকাতা ফিল্ম সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করে ফেললেন। তারা মার্কিন সেনাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাদের কাছ থেকে হলিউডের ছবি সংগ্রহ করতে লাগলেন এবং সেগুলোর প্রদর্শনী করতে লাগলেন। কলকাতা ফিল্ম সোসাইটির প্রদর্শন করা প্রথম ছবি ছিল Battleship Potemkin. এর কিছুদিনের মধ্যেই সত্যজিৎ সিনেমা নিয়ে পত্রপত্রিকায় আর্টিকেল প্রকাশ করতে লাগলেন। তিনি ছবির সমালোচনাও করতে শুরু করলেন। একসময় সিনেমার চিত্রনাট্য ব্যাপারটা তার আগ্রহের স্থান দখল করে নেয়। তিনি যখনই কোনো গল্প বা উপন্যাস নিয়ে ছবি বানানো হবে বলে খবর পেতেন, তিনি সেই গল্প/উপন্যাস জোগাড় করে নিজে সেটার চিত্রনাট্য লিখে ফেলতেন। তারপর ছবি তৈরি হয়ে গেলে নিজের চিত্রনাট্যের সঙ্গে ছবির চিত্রনাট্য মেলাতেন। কখনও কখনও ছবি দেখে নিজের চিত্রনাট্যে পরিবর্তন আনতেন। এভাবে একটু একটু করে সিনেমার গভীরে প্রবেশ করতে লাগলেন তিনি।
১৯৪৯ সালে সত্যজিৎ তার দূর সম্পর্কের বোন ও বহুদিনের বান্ধবী বিজয়া দাসকে বিয়ে করলেন। তাদের ঘরে ছেলে সন্দীপ রায়ের জন্ম হলো। এই সন্দীপ রায়ও একজন সফল নির্মাতা। ১৯৪৯ সালে জঁ রোনোয়ার নামক এক বিখ্যাত ফরাসি পরিচালক কোলকাতায় আসলেন তার ‘রিভার’ নামক চলচ্চিত্রর জন্য শুটিং স্পট খুঁজতে। তার এই অভিযানে সঙ্গী হিসেবে যুক্ত হলেন সত্যজিৎ। তারা চলচ্চিত্র নিয়ে বিচিত্র আলোচনা করতেন। সত্যজিৎ রায় তাকে বাংলার দারিদ্র্য ও সৌন্দর্য সম্পর্কে বর্ণনা করতে যেয়ে পথের পাঁচালীর প্রসঙ্গ তুললেন। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করলেন এই গল্পে ছবি বানানো হলে তা বাংলার গ্রামীণ নৈসর্গের এক অসাধারণ উপস্থাপন হবে। সিনেমা নিয়ে সত্যজিতের আগ্রহ আর জ্ঞান রেনোয়ারকে মুগ্ধ করলো। তিনি সত্যজিৎকে চমকে দিয়ে বললেন, “মিস্টার রায়, পথের পাঁচালী গল্পটা অসাধারণ, আর তার চেয়েও অসাধারণ ব্যাপার হবে যদি আপনি পরিচালকের গদিতে বসে পথের পাঁচালীকে ছবির ফ্রেমে বন্দি করতে পারেন।” সত্যজিৎ রায় ধাক্কার মতো খেলেন! কী বলবে বুঝতে পারলেন না। তবে কথাটা তার মনে গেঁথে গেল।
১৯৫০ সাল, চাকরিসূত্রে সত্যজিৎ রায় গেলেন লন্ডনে। সাথে তার স্ত্রী বিজয়াও রয়েছেন। তিনি ছয় মাস লন্ডনে বসে শ্রেষ্ঠ পরিচালকদের অসংখ্য ছবি দেখলেন। ভিট্টোরিয়ো ডি সিকার ‘বাইসাইকেল থিভস’ দেখে প্রচণ্ড মুগ্ধ হলেন। তিনি তার সিনেমা আর্টিকেলসের সংকলন ‘Our films, their films’ এর ভূমিকাতে লিখেছেন, “All through my stay in London, the lessons of Bicycle Thieves and neo-realist cinema stayed with me” বাইসাইকেল থিভস তাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করলো যে সম্পূর্ণ আনাড়ি অভিনেতা অভিনেত্রী এবং অতি সাধারণ স্থানে শুটিং করেও বাস্তবধর্মী অসাধারণ ছবি বানানো সম্ভব। লন্ডনে বসেই তিনি মনস্থির করলেন, কোলকাতায় ফিরে তিনি পথের পাঁচালী বানাবেন। তিনি তার নোটবুকে পথের পাঁচালী প্রজেক্টের টুকিটাকি নোট করতে শুরু করলেন।
১৯৫০ সাল! পথের পাঁচালীর শুটিং শুরু হলো। অতি সাধারণ যন্ত্রপাতি, সাধারণ আয়োজন। অভিনেতা অভিনেত্রী কেউই পেশাদার নয়। তারপরেও একটা সিনেমা বানানো চাট্টিখানি কথা নয়। মাঝপথে পড়লেন অর্থসংকটে। স্ত্রী বিজয়ার গয়না থেকে শুরু করে নিজের সংগৃহীত বইপত্র বিক্রি করে সিনেমাটি বনানো শেষ করলেন।
১৯৫৫ সালের কোলকাতায় বসুশ্রী সিনেমা হলে মুক্তি পেলো পথের পাঁচালী। শুরুতে একটু ধীরগতির হলেও ৩য় সপ্তাহে গিয়ে বক্স অফিসে সাফল্য লাভ করলো পথের পাঁচালী। পথের পাঁচালী কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পাঠানো হলো। ১৯৫৬ সালের কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের শ্রেষ্ঠ ফিল্ম নির্বাচিত হলো। দেশে বিদেশে অসংখ্য পুরস্কার জয় করে নিলো সত্যজিতের কালজয়ী এই ছবি। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে করুণ মুখ করে বাড়ি ফিরে আসা সেই সাধারণ ছেলেটিই কিনা নিজের প্রথম ছবি দিয়ে ভারতীয় সিনেমাকে নিয়ে গেলো এক অনন্য উচ্চতায়!
পথের পাঁচালীর সাফল্যের পর তৈরি করলেন অপরাজিতা। অপরাজিতা ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পেলো গোল্ডেন লায়ন পুরস্কার। এটি ছিল অপু ট্রিলজির দ্বিতীয় ছবি। প্রথমটি পথের পাঁচালী। ট্রিলজির শেষ ছবি অপুর সংসার যা লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবে জিতে নেয় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। সত্যজিতের চলচ্চিত্র নির্মাণ চলতেই থাকলো। একে একে তৈরি করলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা (১৯৬২), অভিযান ( ১৯৬২), মহানগর (১৯৬৩), চারুলতা (১৯৬৪), নায়ক (১৯৬৬), গুপী গাইন বাঘা বাইন (১৯৬৯) ইত্যাদি অপূর্ব সব সৃষ্টি। নায়ক সিনেমায় দেখালেন পর্দার আড়ালে নায়কের ট্র্যাজেডি। ‘গুপী গাইন বাঘা বাইনে’ রূপকথা আর বাস্তবতার মিশেলে তৈরি করলেন এক অপূর্ব শিশু কিশোর চলচ্চিত্র। প্রতিটি ছবিতেই অপূর্ব সব সংগীতের ব্যবহার করলেন যে, সংগীতগুলোর নেপথ্যে ছিলেন তিনি নিজেই। ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকলো ফেলুদা আর প্রফেসর শঙ্কুর কালজয়ী কমিকস। অসাধারণ কিছু গল্পও লিখেছেন সত্যজিৎ। পারফেকশন ছিল তার প্রতিটি কাজে। তার কাজ দেখে স্যার রিচার্ড এটেনবরো বলেছিলেন, “সত্যজিতের যে জিনিসটি আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে তা হলো প্রতিটি বিষয়ের প্রতি তার সূক্ষ্ম দৃষ্টি। একমাত্র চ্যাপলিন ছাড়া আর কারও সত্যজিতের মতো সিনেমার বহুমুখী প্রতিভা আছে কিনা সন্দেহ।”
পরিচালক জীবনে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন সত্যজিৎ। ১৯৫৬ সালে পথের পাঁচালী দিয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কারের তালিকা শুরু হয়। তা শেষ হয় ১৯৯২ সালের ৩০ মার্চ এ। স্পিলবার্গ, কপোলা, নিউম্যানসহ চলচ্চিত্র জগতের ৭০ জন বিখ্যাত মানুষ ১৯৯২ সালের অস্কারে তাকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট এওয়ার্ড দেয়ার সুপারিশ করেন। সেই সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। জীবনের অন্তিম মুহূর্তে হাসপাতালে শুয়ে তিনি খবর পান তাকে দেয়া হয়েছে হলিউডের সর্বোচ্চ সম্মান অস্কার!
এর ২৩ দিন পর তার নিজের জীবনের চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটে। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের আগন্তুক, চলে গেলেন মহারাজা হয়ে।
এই পৃথিবীতে বাস করে সত্যজিৎ রায়ের ছবি না দেখা, চন্দ্র-সূর্য না দেখার মতই অদ্ভুত ঘটনা।
—জাপানি চলচ্চিত্রকার আকিরা কুরাসাওয়া