মানবসভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে লোকে এমন সব দ্রব্যের প্রয়োজন অনুভব করেছে, যেগুলো নিজ দেশের ভূখণ্ডের সীমানা ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের ভূখণ্ডেও মেলে না। এমতাবস্থায় দ্বারস্থ হতে হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের। অতীতে দীর্ঘসময় এ কাজ সম্পন্ন হতো বিচিত্র সব পণ্য-মুদ্রায়। কিন্তু বিশ্বায়নের এই যুগে বৈশ্বিক অর্থনীতি এত বিশালাকার ধারণ করেছে যে, সেখানে কোনোপ্রকার পণ্য-মুদ্রা ব্যবহার করে লেনদেন সম্ভব নয়। তাই দুনিয়াজোড়া কাগুজে মুদ্রার ছড়াছড়ি।
কিন্তু বিশ্বায়নের এই যুগে এসে সেখানেও বাধে বিপত্তি। এক দেশের মুদ্রা তো অন্য দেশে প্রচলিত নয়। যেমন: জাপানে ইয়েন, ভারতে রুপি, রাশিয়াতে রুবল, তুরস্কে লিরা, এবং বাংলাদেশে টাকা। এক্ষেত্রে একটি দেশ, যেমন: বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কিছু ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম আমদানি করে, তাহলে দুটি ভিন্ন মুদ্রার দেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে সৃষ্ট দেনা-পাওনা মেটাবে কোন উপায়ে?
এক্ষেত্রে উপায় অবশ্য একটা আছে। এক দেশের মুদ্রার মূল্যকে অন্য দেশের মুদ্রায় রূপান্তর করে কাজটি সারা যায়। যে প্রক্রিয়ায় এটি করা হয় তাকে বলে মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ (Money Exchange Rate)। মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণের কারণে ১ মার্কিন ডলার কিনতে বাংলাদেশি মুদ্রায় খরচ হচ্ছে প্রায় ৮৬ টাকা। অথচ সেই মার্কিন ডলারকে ভারতীয় মুদ্রা কিনে নিচ্ছে প্রায় ৭৪ রুপিতে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, দেশে দেশে শুধু মুদ্রার নামে নয়, মুদ্রার মানেও ভিন্নতা রয়েছে। কিন্তু মুদ্রা যখন বিনিময়ের উপযুক্ত মাধ্যম, তখন একেক দেশের মুদ্রার মানে কেন এই রকমফের?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে, আমাদের জানতে হবে এক দেশের মুদ্রার বিনিময় হার বা এক্সচেঞ্জ রেট অন্য দেশের মুদ্রার বিপরীতে কীভাবে নির্ধারিত হয়। যেমন, আমরা যদি বুঝতে পারি ১ মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ৮৫.৮০ বাংলাদেশী টাকা (২৮ নভেম্বর ২০২১) সমমূল্যের কীভাবে হলো, তাহলে আমরা সহজেই জানতে পারব, ডলার এবং টাকার মানের পার্থক্য কেন হয় তথা একেক দেশের মুদ্রার মান কেন একেক রকম হয়।
দুটি দেশের মুদ্রার বিনিময় কী হবে, এই প্রশ্নের উত্তর এক বাক্যে দেওয়া সম্ভব না হলেও, এক্ষেত্রে বেশ কিছু উপযোগী তত্ত্ব বিবেচনা করে মুদ্রার বিনিময় হার বা মান নির্ধারণ করা হয়।
স্বর্ণমান তত্ত্ব
অতীতের পণ্য-মুদ্রা বা কমোডিটি মানি (ধান, জব, কড়ি, ধাতব মুদ্রা ইত্যাদি) দিয়ে আধুনিক বাণিজ্য চালানো যখন হয়ে ওঠে দুষ্কর, ঠিক তখনই বিনিময়ের আধুনিক মাধ্যম হিসেবে কাগুজে মুদ্রার আগমন। তবে শুরুতে ব্যাংক স্বর্ণমুদ্রা জমা রেখে তার বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কাগুজে নোট ছাপাত। সেই নোটে লেখা থাকত, এই নোট যার হাতে থাকবে, সে যখন চাইবে তাকে সমমূল্যের স্বর্ণ ব্যাংক দেবে। এ ধরনের মুদ্রাকে বলা হতো স্বর্ণমান মুদ্রা বা কমোডিটি–বেজড মানি।
যে দেশে স্বর্ণমান মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন থাকে তাকে বলা হয় স্বর্ণমান দেশ। স্বর্ণমান দেশসমূহে যে পদ্ধতিতে মুদ্রার বিনিময় হার বা মান নির্ধারিত হয় তাকে বলে স্বর্ণমান তত্ত্ব (Gold Standard Theory) বা মিন্ট প্যারিটি তত্ত্ব (Mint Parity Theory)। আর মুদ্রার বিনিময়ের হারকে বলা হয় স্বর্ণমান বিনিময় হার (Mint Par of Exchange)।
একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। ধরা যাক, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ উভয় দেশে স্বর্ণমান মুদ্রাব্যবস্থা প্রচলিত। একদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ১ আউন্স স্বর্ণ জমা রেখে ১,০০০ ডলার ছাপায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক সমপরিমাণ স্বর্ণ জমা রেখে ৮৫,০০০ টাকা ছাপায়। এক্ষেত্রে আমেরিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে মুদ্রার বিনিময় হারের অনুপাত হবে ১:৮৫; এটিই স্বর্ণমান বিনিময় হার। আচ্ছা, অংক তো বোঝা গেল। কিন্তু স্বর্ণমান বিনিময় হার দিয়ে আসলে কী বোঝানো হচ্ছে?
এটা দিয়ে বোঝানো হচ্ছে মার্কিন ১ ডলারের জন্য যে পরিমাণ স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে জমা আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে তা ৮৫ টাকার জন্য জমা আছে। অর্থাৎ, মার্কিন ১ ডলারের মূল্য বাংলাদেশে ৮৫ টাকা ধরা হবে। একই বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও ঘটবে। ঊনবিংশ শতাব্দী হয়ে বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত মুদ্রার বিনিময় হার এভাবেই নির্ধারিত হতো। সেকালে দেশগুলো একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ জমা রেখে ভিন্ন পরিমাণ মুদ্রা ছাপাতো বলে দেশ ভেদে মুদ্রার মানও ভিন্ন হতো।
পার ভ্যালু তত্ত্ব
বিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকের কথা। দেশে দেশে স্বর্ণমান মুদ্রার সূর্য তখন অস্তমিত। তবে সেই সময়েও স্বর্ণমানকে আকড়ে ধরে রেখেছিল মার্কিন ডলার। স্বর্ণের সাথে সরাসরি সংযোগ ছিল বলে অন্য যেকোনো মুদ্রার তুলনায় মার্কিন ডলার ছিল অধিক নির্ভরযোগ্য।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক লেনদেনের প্রয়োজনে স্থিতিশীল বিনিময় হার ব্যবস্থার প্রবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্কিন ডলারের নির্ভরযোগ্যতা বিবেচনা করে আইএমএফ তার সদস্য দেশগুলোকে পরামর্শ দেয়- প্রতিটি দেশ যেন তাদের দেশের বিনিময় হার তথা মুদ্রার মান ডলারের সাপেক্ষে নির্ধারণ করে। আইএমএফ এই ব্যবস্থার নাম দেয় পার ভ্যালু ব্যবস্থা (Per Value System)।
উদাহরণস্বরূপ, জাপান ও যুক্তরাজ্যের কথাই বলা যাক। সে সময় জাপান ডলার প্রতি ইয়েনের বিনিময় হার ঘোষণা করে ৩৬০ ইয়েন। অনুরূপভাবে, যুক্তরাজ্যে ডলার প্রতি দেশীয় মুদ্রা পাউন্ডের বিনিময় মূল্য ধরা হয়েছিল ০.৩৬ পাউন্ড। এক্ষেত্রে, জাপান ও যুক্তরাজ্যের বিনিময় হার নির্ধারিত হতো, ৩৬০ ইয়েন = ১ মার্কিন ডলার = ০.৩৬ পাউন্ড বা ৩৬০ ইয়েন = ০.৩৬ পাউন্ড। এটিই আইএমএফ-এর পার ভ্যালু ব্যবস্থা। আর মার্কিন ডলারের পেছনে স্বর্ণের সরাসরি সংযোগ তো ছিলই। সেসময় ১ আউন্স (২৮.৩৫ গ্রাম) স্বর্ণের জন্য মার্কিন ডলারের দাম ধরা হয়েছিল ৩৫ মার্কিন ডলার। ফলে যেকোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভকে মার্কিন ডলার জমা দিয়ে সমমূল্যের স্বর্ণ সংগ্রহ করতে পারত। সহজকথায়, স্বর্ণমান ব্যবস্থায় কাগুজে মুদ্রার পেছনে স্বর্ণের যে ভূমিকা ছিল, এক্ষেত্রে সেই আসনে বসে মার্কিন ডলার। যদিও বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই অনেক দেশের মুদ্রা নীতির সাথে সাংঘর্ষিক হতো, তবুও ১৯৭০ সাল পর্যন্ত এই তত্ত্বের মাধ্যমে এভাবেই একেক দেশের মুদ্রার মান একেক রকম নির্ধারিত হয়েছে।
লেনদেনের ভারসাম্য তত্ত্ব
পার ভ্যালু ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘোষণার পর থেকে কাগুজে মুদ্রার পেছনে থাকা স্বর্ণ-শক্তি উঠে যায়। এর দ্বারা কাগুজে নোট পরিণত হয় হুকুমি মুদ্রা বা ফিয়াট মুদ্রায় (Fiat Money)। ফিয়াট মুদ্রার পরিমাণ কোনো সীমিত বস্তুর ওপর নির্ভরশীল নয় বলে এর বিনিময় হারও আর স্থির রইল না। এবার মুদ্রার বিনিময়ের হারকে বলা হলো ভাসমান বিনিময় হার (Floating Exchange Rate)। যে তত্ত্বের মাধ্যমে এটি নির্ণয় করা হয় তার নাম লেনদেনের ভারসাম্য তত্ত্ব (Balance of Payment Theory)।
যেমন ধরুন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের আমদানি করলে তখন তাদের আমদানিকৃত দ্রব্যের মূল্য পরিশোধ করতে হলে ডলার কিনতে হয়, যা মুদ্রাবাজারে ডলারের চাহিদা সৃষ্টি করে। অর্থনীতির একটি চিরন্তন সত্য হচ্ছে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা অপরিবর্তিত থেকে কোনো বস্তুর চাহিদা বৃদ্ধি পেলে বস্তুটির দাম বাড়বে। ডলারের বেলায়ও এমনটিই ঘটবে। টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য বাড়বে এবং একটি ভারসাম্য অবস্থায় এসে এর বিনিময় মূল্য নির্ধারিত হবে। ফলে দেশীয় মুদ্রায় ডলার কিনতে হলে বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। এককথায়, টাকা তার মান হারাবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, স্বাধীনতা অর্জনের ঠিক পর বাংলাদেশি টাকায় ১ মার্কিন ডলার কিনতে খরচ হতো ৭ টাকা, কিন্তু ডলারের বিপরীতে মান হারিয়ে এখন তা হয়েছে প্রায় ৮৬ টাকা।
অর্থনীতির আরেকটি নীতি হচ্ছে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা অরিবর্তিত থেকে কোনো বস্তুর সরবরাহ কমে গেলে, বাজারে তার দাম পড়ে যায়। একইভাবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়ে গেলে, বাংলাদেশ ডলার অর্জন করবে। এতে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যাবে। ফলে বাংলাদেশী মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দাম পড়ে যাবে এবং একটি ভারসাম্য অবস্থায় এসে এর বিনিময় মূল্য নির্ধারিত হবে। যেমনটি ঘটেছে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের ক্ষেত্রে। ১৯৭৩ সালে জাপানি মুদ্রায় ১ মার্কিন ডলারের জন্য ২৭১ ইয়েন গুনতে হলেও বর্তমানে জাপানের ডলার প্রতি খরচ হচ্ছে মাত্র ১০৮ ইয়েন।
সহজভাবে বললে, লেনদেনের ভারসাম্য তত্ত্বানুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার চাহিদা ও যোগান নির্ধারণ করবে মুদ্রার মান কী হবে। চাহিদা ও যোগান অন্যান্য যে সকল বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয়, যেমন- বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুদের হার ইত্যাদির যেহেতু প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটছে, তাই মুদ্রার বিনিময় হারও প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। আর প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাই যেহেতু ভিন্ন, তাই এই তত্ত্বের সাহায্যে একেক দেশের মুদ্রার মানও একেক রকম নির্ধারিত হয়। আধুনিক বিশ্বের সকল দেশ এই তত্ত্বের ওপর নির্ভর করে তাদের মুদ্রার বিনিময় হার বা মুদ্রার মান নির্ধারণ করে। এজন্য একে বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত্বও বলা হয়।
ক্রয় ক্ষমতার সমতা তত্ত্ব
মুদ্রা যখন সোনা, রূপার ছিল, তখন তার ক্রয় ক্ষমতা ছাড়াও একটা অন্তর্নিহিত মূল্য (Intrinsic Value) ছিল। কিন্তু এক টুকরা কাগজ— টাকা, পাউন্ড, ডলার, রুপি, ইয়েন, লিরা ইত্যাদির নিজস্ব কোনো মূল্য নেই। কাগুজে মুদ্রা যে পরিমাণ পণ্য বা সেবা কিনতে পারে সেটাই তার পরিচয়।
একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক। যেমন, বাংলাদেশে ১ কেজি খাসির মাংস কিনতে খরচ হয় ৮৫০ টাকা। অথচ ঠিক একই পরিমাণ খাসির মাংস কিনতে যুক্তরাষ্ট্রে গুনতে হয় ১০ মার্কিন ডলার। তাহলে কোন দেশের মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা বেশি হবে? অবশ্যই মার্কিন ডলারের। কারণ, ১০ ডলার যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ পণ্য কিনতে পারে, ১০ টাকা বাংলাদেশে সে পরিমাণ পণ্য কিনতে পারে না। এটি তো একটি উদাহরণ মাত্র। কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এমতাবস্থায় দুটি দেশের মুদ্রার বিনিময় হার কীভাবে নির্ধারিত হয়?
এক্ষেত্রে দুটি দেশের মুদ্রার বিনিময় হার বা মান নির্ধারণ করতে হলে দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ ক্রয় ক্ষমতার সক্ষমতাকে বিবেচনা করতে হয়। বাংলাদেশে ৮৫০ টাকা মূল্যে যে খাসির মাংস পাওয়া যায় তা যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যায় ১০ ডলারে। তাহলে বাংলাদেশের ৮৫০ টাকার ক্রয়ক্ষমতা মার্কিন ১০ ডলারের সমান হবে। এমতাবস্থায় মুদ্রার বিনিময় হার হবে ৮৫ টাকা = ১ ডলার। এটিই ক্রয়ক্ষমতার সমতা তত্ত্ব, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি থিওরি (Purchasing Power Parity Theory)। তত্ত্বটি পিপিপি (PPP) নামে সমধিক পরিচিত। লেনদেনের ভারসাম্য তত্ত্বের সাহায্যে যখন মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়, তখন সেই হার জুতসই কিনা তা পর্যালোচনার জন্য ক্রয়ক্ষমতার সমতা তত্ত্ব বা পিপিপি ব্যবহার করা হয়। এ কারণে একে মূল তত্ত্ব নয়, বরং বহুল ব্যবহৃত সহযোগী তত্ত্ব হিসেবেই দেখা হয়।