“আই অ্যাম ইন লাভ উইথ দ্য শেপ অফ ইউ।”
গত বছর রাস্তার মোড়ে মোড়ে, ক্লাবে ক্লাবে, হাজার হাজার অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাপী বেজেছে এই গান, এই সুর। ২০১৭ সালের বিলবোর্ডের সবচেয়ে ব্যবসাসফল গান ছিল এটি। আর যার কণ্ঠ আমাদের সামনে এনেছে এই গান, সেই লাল চুলের হাসিমুখের তরুণ এড শিরান এখন পৃথিবীর অন্যতম সফল সংগীতশিল্পীদের একজন। ঝুড়ি ঝুড়ি পুরস্কার অর্জনের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে বিক্রি হয়েছে তার ২ কোটি ৬০ লক্ষ অ্যালবাম, একক গান বিক্রি হয়েছে ১০ কোটি। পপ ফ্যানদের কাছে যে নাম এখন নিত্যদিনের সঙ্গী, কয়েক বছর আগেও সে নাম ছিল আমাদের কাছে অজানাই। কীভাবে এই সাফল্যকে ছিনিয়ে আনলেন এড শিরান? তার জীবনের গল্পটাই বা কেমন? সেসব কথাই আমাদের এই লেখার বিষয়বস্তু।
এডওয়ার্ড ক্রিস্টোফার শিরানের জন্ম ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ইংল্যান্ডের হ্যালিফ্যাক্স শহরে। দ্বিতীয় সন্তান হিসেবে জন্ম নেয়া এডের বাবা মা তখন শিল্ম উপদেষ্টা এবং তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করতেন। তাদের আর্ট কন্সাল্টেন্সি ফার্মের নাম ছিল ‘শিরান লক’।
স্কুলে অন্যদের সাথে মিশতে অনেক প্রতিকুলতার মুখোমুখি হতো এড শিরানের, আর এই বিড়ম্বনাকে শিশু এড মোকাবেলা করতেন তার সংগীতের প্রতি প্যাশন দিয়ে। হ্যাঁ, অনেক অল্প বয়স থেকেই এড শিরানের সংগীতের প্রতি আকর্ষণ ছিল। চার বছর বয়স থেকেই তিনি তাদের এলাকার গীর্জার গায়কদলের অংশ ছিলেন এবং কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি গিটারে পারদর্শিতা অর্জন করতে শুরু করেন। ১১ বছর বয়সে একবার এক শোয়ের ব্যাকস্টেজে তার গায়ক ড্যামিয়েন রাইসের সাথে কথা হয়, যেই কথোপকথন থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই তিনি গান লিখতে শুরু করেন। এ বয়স থেকেই সংগীতে তার অসাধারণ প্রতিভা তার আশেপাশের মানুষদের চোখে পড়তে শুরু করে।
কিন্তু এই সময়টাতে প্রতিকূলতা কখনো তার পিছু ছাড়েনি। শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হওয়ার জন্য স্কুলে প্রতিটি দিনেই তাকে উত্ত্যক্ত করা হতো, প্রায়ই রীতিমতো নির্যাতন করা হত। তার কথাবার্তার জড়তা, তোতলামি, এবং তার বড় ফ্রেমের চশমাকে তাক করেই শব্দবাণ ছোঁড়া হতো সবচেয়ে বেশি।
ছোটবেলায় একটি ত্রুটিপূর্ণ সার্জারির কারণে তার চোখে সমস্যা এবং কথাবার্তায় জড়তা দেখা দেয়। ক্লাসে কোনো বিষয়ে কথা বলতে গেলে তার কণ্ঠ বারবার জড়িয়ে আসত এবং শেষপর্যন্ত তিনি কিছু বলতে পারতেন না। এ ব্যাপারটি নিয়ে অন্যান্য শিশুরা হাসাহাসি করতো। এ কারণে শেষমেষ তিনি স্কুলে কথা বলাই বন্ধ করে দেন।
কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্য, স্বাভাবিক কথাবার্তায় তোতলা হলেও, গান গাবার সময় এ জড়তাটা তার আর থাকতো না। এ কারণে চার্চের গান গাওয়ার সময়টাকে তিনি খুবই উপভোগ করতেন। আর নিজের রুমে একা একা গিটার বাজানোই ছিল তার দিনের সেরা সময়, তার ভাষায়, সেটিই ছিল একমাত্র সময়, যেখানে তার নিজেকে স্বাধীন মনে হতো।
“গিটারের প্রতি আমার ভালোবাসাই আমাকে গানের জগতে নিয়ে গিয়েছে।”
-এড শিরান
তার লাল চুলের জন্যও স্কুলে তাকে হাসির পাত্র হতে হতো। সবখানেই লাল চুলকে নিচুভাবে দেখা হত ইংল্যান্ডে, একারণে ছোটবেলা থেকেই সাধারণের তুলনায় বেশি চেষ্টা করার একটা প্রবণতা তার মাঝে গড়ে উঠেছিল। তার মতে, ক্যারিয়ারে এই লাল চুল তাকে সবসময়ই সাহায্য করেছে। বিশেষ করে অনলাইনে তার লাল চুলের কারণে তার যে ব্যতিক্রমী উপস্থিতি ছিল, তা তাকে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জনে সাহায্য করেছে বলে তিনি মনে করেন।
যা-ই হোক, এই ক্রমাগত হাসির পাত্র হওয়া, উত্ত্যক্ত হওয়া জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে একজন স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবনযাপন করতে এড শিরান শরণাপন্ন হলেন ‘স্পিচ থেরাপি’-র, এই আশায় যে এই থেরাপি তাকে তার এই বাকজড়তা থেকে বের করে নিয়ে আসবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তেমন কোনো উন্নতিই হচ্ছিল না এতে। তারপর তিনি চিকিৎসা খুঁজতে নিলেন হোমিওপ্যাথিতে, সেটিও নিস্ফল হলো। এসব দেখে তিনি ভয় পেলেন, সারাজীবনই তাকে হয়তো এই বোঝা বয়ে বেড়াতে হবে। আর এই ভয় থেকে জন্ম নিল তার হতাশার।
কিন্তু তার পরই ঘটলো এক অভিনব ঘটনা। একদিন তার বাবা তার জন্য নিয়ে আসলেন বিখ্যাত র্যাপার এমিনেমের তখনকার বিখ্যাত অ্যালবাম ‘মার্শাল ম্যাথার্স এলপি’। এড শিরান মুগ্ধ হয়ে গেলেন প্রথমবারের মতো এমিনেমের র্যাপ শুনে। এত দ্রুত কীভাবে একজন মানুষ কথা বলতে পারে! তিনি ভাবলেন কেউ যদি এত দ্রুত শব্দের পর শব্দ সুরের সাথে উচ্চারণ করে যেতে পারে, তিনিও পারবেন বাকজড়তা থেকে বের হয়ে আসতে। তিনি দিনরাত শুনতে লাগলেন এমিনেমের গান। বয়স ১০ বছর হবার আগেই অ্যামিনেমের একটি অ্যালবামের সবগুলো গান তার মুখস্থ হয়ে গেল। সেই র্যাপ দিতে দিতেই তিনি খেয়াল করলেন, তার জড়তা অনেকটুকু কমে আসছে!
পরের বছর তিনি নিজে থেকেই গান লিখতে শুরু করেন। নিজের গান গাইতে গাইতে তার মাঝে অনেক আত্মবিশ্বাস চলে আসলো। একসময় তিনি খেয়াল করলেন, তিনি আর তোতলাচ্ছেন না! কথা বলছেন একদম সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মতো। এই গল্পগুলো উঠে এসেছিল ২০১৫ সালে ‘আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর স্টাটারিং’ এর একটি অনুষ্ঠানে তার দেয়া হৃদয়স্পর্শী এক বক্তৃতায়। পাঠকের উদ্দেশে অনুরোধ থাকবে বক্তৃতাটি শোনার জন্য।
একসময় এড বুঝতে পারেন, সংগীতেই তার মূল প্যাশন লুকিয়ে আছে এবং ভবিষ্যতে তিনি এ জগতেই থাকতে যাচ্ছেন। তখন মাত্র ১৪ বছর বয়স তার। এ বোধের পর শুধু গিটার বাজিয়ে আর গান লিখেই এড ক্ষান্ত থাকেননি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আর ক্লাবে তিনি গান গাইতেও শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যায় তার প্রতি সপ্তাহে ১২টি শো করতে হচ্ছে। ১৬ বছর বয়স থেকেই তিনি নিজে নিজে অ্যালবাম বের করতে শুরু করেন। তার প্রথম অ্যালবাম বের হয় ২০০৫ সালে, নাম ‘দ্যা অরেঞ্জ রুম‘। এরপর তিনি আরো অনেকগুলো কাজ করেন কোনো প্রতিষ্ঠান বা প্রযোজক ছাড়াই, ২০০৬ এবং ২০০৭ সালেও তিনি একটি করে অ্যালবাম মুক্তি দেন।
তারপর বয়স যখন আঠারো হলো, অর্থাৎ ২০০৮ সালে, তিনি তার মিউজিক ক্যারিয়ারকে পাকাপোক্ত করতে লন্ডনে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন। একটি ব্যাকপ্যাকে কিছু কাপড় আর তার গিটার সঙ্গে নিয়েই তিনি বেরিয়ে পড়েন এক অনিশ্চিত যাত্রায়।
এই ভ্রাম্যমাণ জীবন তার জন্য খুব একটা সুখকর ছিল না। এমনও দিন গিয়েছে, তিনি শোয়ার জন্য কোনো বিছানা পাননি, ঘুমিয়েছেন রেল স্টেশনে। অর্থাভাবে বহু রাত অনাহারে কাটাতে হয়েছে। এ সময় তার প্রায়ই হাল ছেড়ে দিতে ইচ্ছে হয়েছে। কিন্তু তিনি তা করেননি, দাঁতে দাঁত চেপে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।
লন্ডনে তিনি একের পর এক শো করে গিয়েছেন, ছোট ছোট জায়গায়। কখনো হয়তো পাঁচ-ছ’জন ছিল তার শ্রোতাসারিতে, কখনো কেউই ছিল না। তবুও তিনি গান গেয়েই গিয়েছেন, ২০০৯ সালে তার মোট শো ছিল ৩১২টি। এসব গল্প আমরা শুনেছি তার মুখেই, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে। এই শোগুলো করার পাশাপাশি তিনি গান লিখে গেছেন, অ্যালবাম বানানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছেন, অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন অডিশনে। এই সংগ্রামের সময়ে তার অন্যান্য অনেক গায়ক-সুরকারদের সাথে মেশা হয়েছে, গড়ে উঠেছে তার নিজস্ব একটি নেটওয়ার্ক, যা পরবর্তীতে তাকে অনেক সহায়তা করেছে।
কিন্তু তার প্রাথমিক উত্থানটি মূলত হয়েছে ২০১০ সালে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা। ২০১০ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসার এখনকার মতো ছিল না, অনেকেই তখন বুঝতে পারেননি এর মাঝে কী পরিমাণ সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে, একে কীভাবে শিল্পীরা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু বিচক্ষণ এড শিরান ঠিকই এ ব্যাপারটি ধরতে পেরেছিলেন। সেসময় তিনি নিয়মিত অনলাইনে তার গানের ভিডিও পোস্ট করতে থাকেন এবং র্যাপার ‘এক্সাম্পল’ তার গানের তরিকা এতই পছন্দ করেন যে নিজের পরবর্তী সফরে আমন্ত্রণ জানান এড শিরানকে।
এই ট্যুরে করা ভিডিওগুলো তার অনলাইনের খ্যাতিকে আরো বাড়াতে থাকে এবং একসময় তার ইউটিউব চ্যানেলটি পৃথিবীব্যাপী সাড়া ফেলে দেয়। মিডিয়ার দৃষ্টিও আকর্ষিত হয়ে যায় এই লাল চুলের প্রতিভাবান তরুণের দিকে, অনেক পত্রিকায়, টিভি চ্যানেলে উঠে আসতে শুরু করে তার নাম।
এই প্রসার এড শিরানকে আরো বড় স্বপ্ন দেখার আত্মবিশ্বাস দেয়। তিনি জানতেন তার তখনকার অবস্থান থেকে তিনি যদি আরো উন্নতি চান, তাকে অবশ্যই আমেরিকায় পাড়ি জমাতে হবে।
এবারও তিনি সাহসী একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। কোনো রেকর্ডিংয়ের চুক্তি বা থাকার জায়গার কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই চলে আসেন আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে।
আমেরিকায় এসে তিনি যত জায়গায় পারেন, তার গান পাঠানো শুরু করেন। পরিচিত সংগীত প্রযোজক, রেডিও চ্যানেল, টিভি চ্যানেল- কিছুই বাদ রাখেন না। কিন্তু উত্তর আসে না কোনো জায়গা থেকেই। তারপর একদিন তাকে ‘ফক্সহোল’ ক্লাবে একটি রেডিও চ্যানেলের ওপেন মাইক ইভেন্টে ডাকা হয় অতিথি হিসেবে। সেখানে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক তাকে হঠাৎই মঞ্চে ডেকে বসেন। এড শিরান হতভম্ব হয়ে যান ঘটনার আকস্মিকতায়, কোনোমতে নিজেকে শান্ত করে গান গাইতে শুরু করেন। ৮০০ জন দর্শকের সামনে ভয়ে ভয়ে গান গাইতে থাকেন এড শিরান, এবং ১২ মিনিট পর দেখেন তার প্রতিভার মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাচ্ছে তাকে সবাই!
এই রহস্যময় উপস্থাপকের নাম জেমি ফক্স। হ্যাঁ, ‘জ্যাঙ্গো আনচেইনড’ এর তারকা অস্কারজয়ী অভিনেতা জেমি ফক্স! এড যখন রেডিও চ্যানেলগুলোতে গান পাঠাচ্ছিলেন, জেমি ফক্স ছিলেন একটি স্থানীয় রেডিও চ্যানেলের রেডিও উপস্থাপক। তার কাছে এডের গানগুলো এতটাই ভালো লেগে যায় যে এড শিরানকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। শুধু একটি অনুষ্ঠানে খ্যাতি দিয়েই জেমি থেমে থাকেননি, এরপর এডকে তিনি তার রেকর্ডিং স্টুডিও ব্যবহার করতে দেন, থাকার জায়গা করে দেন তার বাসায়। হ্যাঁ, এড শিরান ঘুমিয়েছিলেন তারকা জেমি ফক্সের সোফায়, ছয় সপ্তাহ ধরে!
সেই স্টুডিও থেকে রিলিজকৃত কিছু গান নিয়েই এড শিরান উঠে যান আইটিউন্সের টপচার্টের দ্বিতীয় ক্রমে। এই সাফল্যের পর তাকে কাজ করার আমন্ত্রণ জানায় ‘আটলান্টিস রেকর্ডস।’ তাদের সাথে তিনি তৈরি করেন প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম ‘+’ (প্লাস)। এই অ্যালবামটির ১ লাখেরও বেশি কপি বিক্রি হয়ে যায় রিলিজের সাথে সাথে। যুক্তরাজ্যে প্রথম অ্যালবাম হিসেবে দ্বিতীয় বেস্ট-সেলিং হয় ‘+’ এবং এক বছরের মধ্যেই এর বিক্রি হয়ে যায় ১০ লাখেরও বেশি।
এই তৎক্ষণাৎ সাফল্য তার সামনে অনেক নতুন নতুন সুযোগ নিয়ে আসে। ওয়ান ডিরেকশন এবং টেইলর সুইফটের সাথে তিনি কাজ করেন এর পরপরই। সে বছরই তার একটি গান ‘আই সি ফায়ার’ ব্যবহৃত হয় ‘দ্য হবিট’ ছবিতে।
২০১৪ সালে বের হয় তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘x’ (মাল্টিপ্লাই) এবং বের হওয়া মাত্রই আমেরিকা এবং ব্রিটেনের টপচার্টের এক নাম্বারে চলে যায়। এই অ্যালবামেই ছিল তার অন্যতম জনপ্রিয় দু’টি গান ‘থিংকিং আউট লাউড’ এবং ‘ফটোগ্রাফ’, যাদের মধ্যে প্রথম গানটির জন্য ২০১৬ তে তিনি দু’টো গ্র্যামি বাগিয়ে নেন। এরপর ২০১৭ সালে বের হয় তৃতীয় অ্যালবাম ডিভাইড, যেখানে আমাদের লেখার শুরুতে উল্লিখিত ‘শেপ অফ ইউ’ এর অবস্থান।
এড শিরানের গল্প হচ্ছে এমন একটি গল্প, যা আমাদের প্রত্যেকের ভয়ের সামনে, হীনম্মন্যতার সামনে অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। তিনি তার গল্প বলার সময় প্রায়ই বলেন যে স্কুলে যারা তাকে উত্ত্যক্ত করতো, জ্বালাতন করতো, তাদের মধ্যেই একজন পরে এডের জন্য মিস্ত্রীর কাজ করেছে। এ কারণেই এড সবসময় বলেন আত্মবিশ্বাস না হারিয়ে, নিজেকে না লুকিয়ে, নিজের উপর সবসময় বিশ্বাস রাখতে। আমাদের সবার মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অনন্য সত্ত্বা, যা ছিল সেই লাল চুলের তোতলা বালকটির মাঝেও। তিনি সেই সত্ত্বাকে ভালোবেসেছেন, তার চর্চা করেছেন শত সংগ্রামের মাঝে; একসময় ভাগ্যও তার সহায় হয়েছে, এখন তিনি সফলতার এক অপ্রতিম উদাহরণ। অথচ এড শিরান যদি শৈশবেই তোতলামির কাছে হার মেনে নিতেন, তবে আজ তিনি কখনোই এ পর্যায়ে আসতে পারতেন না; আমাদেরও নিজেদের যতটুকু আছে, ততটুকু দিয়েই চালিয়ে যেতে হবে চেষ্টা, যত প্রতিকূলতাই আসুক- এই শিক্ষাই পাই আমরা এডের জীবন থেকে।
ফিচার ইমেজ- hdwallpapers.com