প্রিয় পাঠক, আপনার হয়তো মনে থাকবে, ইতিহাস ও ইতিহাসতত্ত্ব চলমান এই সিরিজের প্রথম পর্বে আমরা ইতিহাস, ইতিহাসতত্ত্ব, এর প্রকারভেদ এবং প্রথম প্রকার তথা প্রাক-গ্রিক ইতিহাসতত্ত্ব বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম। এই পর্বে আমরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রকার অর্থাৎ গ্রিক ইতিহাসতত্ত্ব এবং মধ্যযুগীয় ইতিহাসতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করবো।
গ্রিক ইতিহাসতত্ত্ব
খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতক থেকে চতুর্থ শতক পর্যন্ত গ্রিসে এ ধারা বিদ্যমান ছিল। প্রথমত, লোগোগ্রাফারদের (Logographer) দ্বারা গ্রিক ইতিহাসতত্ত্বের যাত্রা শুরু হয়। এই লোগোগ্রাফাররা লোগোগ্রাফি (Logography) লিখত, যাতে সেসময়ের বিভিন্ন শহর এবং সেগুলোর নাগরিক সম্পর্কে কিছু বিবরণ পাওয়া যেত। তাদের মধ্যে বিখ্যাত মিলেটাসের হেকাটাস Genealogia লিখেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস (খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৪-৪২০) ও থুসাইডিডিস (খ্রিস্টপূর্ব ৪৪০-৩৯৯) এর লেখনীর মাধ্যমে সর্বপ্রথম বিজ্ঞানসম্মত ইতিহাস লেখার আবির্ভাব ঘটে। উল্লেখ্য, ইতিহাসের চারটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকে:
১) এটা বিজ্ঞানসম্মত, যাকে প্রশ্ন করে বিষয়বস্তু নির্বাচন করা হয়;
২) এটা মানবীয়, তাই এটা অতীতে কোনো নির্দিষ্ট সময় মানুষ দ্বারা সংঘটিত কোনো ঘটনা বিষয়ে প্রশ্ন করে;
৩) এটা যুক্তিসিদ্ধ দলিল-প্রমাণের উপর ভিত্তি করে রচিত হয়; এবং
৪) এর স্বপ্রণোদিত আবির্ভাব ঘটে অর্থাৎ এটা বিদ্যমান থাকে মানুষ কী করেছে তা মানুষকে বলতে;
তৃতীয়টি ব্যতীত অন্য তিনটি বৈশিষ্ট্য হেরোডোটাসের লেখনীতে বিদ্যমান।
হেরোডোটাস যেখানে তার বর্ণনায় তথ্যের উৎস সরাসরি উল্লেখ করেন না, থুকিডিডিস সেখানে স্পষ্ট করে বলেন যে ঐতিহাসিক অনুসন্ধান সর্বদা প্রমাণ বা তথ্যনির্ভর হতে হবে। গ্রিক ইতিহাস তত্ত্বের মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট সমাজের ইউনিট বা উপাদানের ইতিহাস রচনা করা। এখানে উল্লেখ্য, গ্রিক ইতিহাসতত্ত্বে তিনটি সুস্পষ্ট সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়।
১) এর ইতিহাস অপেক্ষাকৃত কম সময়ের পরিসরে সীমাবদ্ধ এবং বিশেষ করে সমসাময়িক ঘটনানির্ভর;
২) এখানে ঐতিহাসিক বিষয়বস্তু পছন্দ করে লেখেন না, বরং বিষয়বস্তু নিজেই ঐতিহাসিককে পছন্দ করায়, অর্থাৎ সমসাময়িক বা লেখকের স্মৃতিতে দাগ কাটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীই শুধু ইতিহাসের আলোচ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে; এবং
৩) বিভিন্ন এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যাবলীর ইতিহাস সংগ্রহ করে একটি একক সমন্বিত ইতিহাস রচনার পদ্ধতি এখানে অনুপস্থিত।
গ্রিক ইতিহাসতত্ত্ব তুলনামূলক সুপ্রশস্ত ও উন্নততর স্তরে উপনীত হয় হেলেনিক যুগে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এথেন্সের স্বাধীনতা অর্জন (খ্রিস্টপূর্ব ৫০৭) থেকে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের মৃত্যু (খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩) পর্যন্ত সময়কে প্রাচীন গ্রিসের ইতিহাসের সাপেক্ষে হেলেনিক যুগ বলা হয়। বারবারিয়ান বা অ-গ্রিকদের, বিশেষ করে পারসিকদের গ্রিক ভাষা ব্যবহার, আচরণ, রীতিনীতি ও প্রথা অনুসরণ ইতিহাসে হেলেনিজম বা হেলেনিক সংস্কৃতি নামে পরিচিত। গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের বিজয়াভিযানের পর থেকেই হেলেনীয় সংস্কৃতির প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। এতদিন হেরোডোটাসের ইতিহাসতত্ত্বে গ্রিক ও বারবারিয়ানদের (পারসিকদের) মধ্যে দ্বন্দের যে দর্শন প্রচলিত ছিল, এখন তা গ্রিক-বারবারিয়ান সহযোগিতার ধারণায় রূপান্তরিত হলো। গ্রিকরা এ সহযোগিতায় নেতৃত্বে দিল, আর বারবারিয়ানরা তা মেনে নিয়ে গ্রিক হলো। তারা গ্রিক সংস্কৃতির উত্তরাধিকারে পরিণত হলো এবং পরিশেষে গ্রিক ইতিহাস চেতনার ধারক-বাহকে রূপান্তরিত হলো।
খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকের ইতিহাসে পূর্ববর্তী চতুর্থ শতক বা এর পূর্বের রচনা ইতিহাসের বিষয়বস্তুতে রুপান্তরিত হলো। গ্রিক জগত তথা ইতিহাসের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হলো। গ্রিক ইতিহাসের ভৌগলিক পরিধি এখন অ্যাড্রিয়াটিক সাগর থেকে সিন্ধু নদী এবং দানিয়ুব থেকে সাহারা পর্যন্ত সম্প্রসারিত হলো। স্টোয়িক দর্শনের (Stoicism) বিচারের গ্রিক ইতিহাস এই সময়ে বিশ্ব ইতিহাসে রুপান্তরিত হলো। মূলত হেলেনীয় দর্শনের মূল অবদান হলো রোমান ক্যাথলিক ধর্মের সার্বজনীন ইতিহাস ধারণার (Oecumenial) সৃষ্টি। আর এ কারণেই কোনো নির্দিষ্ট সমাজের কোনো নির্দিষ্ট সময়ের লিখিত ইতিহাস এ পর্যায়ে একত্রিত করে একটি সমন্বিত ইতিহাস রচনার ধারা সূচনার প্রয়াস পরিলক্ষিত হয়। তবে এটি কোনোক্রমেই ধারাবাহিক চলমান সমন্বিত বিশ্ব ইতিহাস পর্যায়ের নয়। একে আর জি কলিংউড ‘কাট এবং লাগাও ‘ (Scissors and Paste) ইতিহাস পদ্ধতি বলে অভিহিত করেছেন। এ পর্বের ইতিহাসতত্ত্বের বিকাশ ঘটেছে পলিবিয়াসের (Polybius) লেখনীতে।
বস্তুত পলিবিয়াসের লেখনীর সাথে সাথে হেলেনীয় ইতিহাস ধারা রোমানদের হাতে চলে যায়। এ সময়ের রোমান ঐতিহাসিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন লিভি (Livy) ও ট্যাসিটাস (Tacitus)। তারা সনাতনী রোমের ইতিহাসে বিভিন্ন দলিল দস্তাবেজ একত্রিত করে একক, চলমান, ইতিহাস রচনার প্রয়াস চালিয়েছেন। তবে তাদের ইতিহাসে সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গির চেয়ে দার্শনিক এবং মনস্তাত্ত্বিক ভাবগত ধারণা অধিকতর প্রতিফলিত হয়েছে।
গবেষকরা বলেন, গ্রিক রোমান ইতিহাসতত্ত্বের মানবিক (humanism) দিক অর্থাৎ মানুষের ইতিহাস, মানুষের কার্যাবলীর ইতিহাস, মানুষের লক্ষ্য উদ্দেশ্য এবং মানুষের সাফল্য ও ব্যর্থতার বর্ণনা প্রভৃতি নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয় এবং ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এর অন্যতম একটি মুখ্য ঘাটতি বা নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য হলো বস্তুতান্ত্রিকতা (substantialism)। এটা হলো একধরনের অধিবিদ্যা (metaphysics) সংক্রান্ত জ্ঞানতত্ত্ব। এ মতে শুধু অপরিবর্তনীয় বস্তুই বোধগম্য, কিন্তু যা অপরিবর্তনীয়তা তা ইতিহাস নয়। যা ঐতিহাসিক তা হলো পরিবর্তনশীল বা ক্ষণস্থায়ী ঘটনা।
মধ্যযুগীয় ইতিহাসতত্ত্ব
খ্রিস্টীয় চতুর্থ-পঞ্চম শতকে খ্রিস্টান ইতিহাসতত্ত্বের প্রভাবে গ্রিক ইতিহাসতত্ত্বের ধারা বিলীন হয়েই মধ্যযুগীয় ইতিহাসতত্ত্বের আবির্ভাব ঘটে। সময়ের নিরিখে, খ্রিস্টীয় চতুর্দশ শতক পর্যন্ত এই পর্ব সম্প্রসারিত ছিল। স্রষ্টার মহাপরিকল্পনার রহস্য উদঘাটন করা এ পর্বের ইতিহাসতত্ত্বের প্রধান ভূমিকা ছিল। যিশুর জন্ম তারিখের মানদণ্ডে ঈশ্বরের ইশারায় মানুষের মাধ্যমে সম্পাদিত কার্যাবলির যুগভিত্তিক আলোচনা মধ্যযুগীয় ইতিহাসতত্ত্বের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে খ্রিস্টান ধর্মভিত্তিক ধারণার আলোকে জাগতিক বিষয়াদির বিবরণ প্রদান করা এ সময়কার ঐতিহাসিকদের পরম কাজ বলে বিবেচিত। এজন্যই এ ইতিহাস ধারার পুরোধা ছিলেন ধর্মযাজকরা। বস্তুত খ্রিস্টীয় চতুর্থ-পঞ্চম শতকের খ্রিস্টান ধর্ম দর্শনের প্রভাবে গ্রেকো-রোমান ইতিহাসতত্ত্বে চারটি ধারণার সংশ্লেষণ ঘটে।
১) সার্বজনীনতা বা বিশ্বজনীনতা (universal)
২) অদৃষ্টবাদ বা পূর্বনিয়ন্ত্রণবাদ (providential)
৩) বাইবেলীয় গোপনতত্ত্ব উদ্ঘাটন (apocalyptic) এবং
৪) কালবিভাজনকারী বা যুগান্তকারী (epochmaking)
বিশ্বের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সভ্যতার উত্থান-পতনের বর্ণনা এখন ইতিহাসের বিষয়বস্তুতে রুপান্তরিত হলো। ঘটনাসমূহ এখন মানবীয় বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সৃষ্টি নয়, বরং ঈশ্বর কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। যিশু খ্রিস্টের ঐতিহাসিক জীবন বিশ্লেষণে গুরুত্বারোপ ইতিহাসের মূল বিবেচিত। যীশুর জন্মকে কেন্দ্র করে ইতিহাসে কালানুক্রমকে দুটো স্বতন্ত্র যুগে বিভক্ত করা হলো, অন্ধকার যুগ ও আলোর যুগ। এটি বাইবেলের দ্বিতীয় ভাগ বা নিউ টেস্টামেন্টভিত্তিক ধর্মাশ্রিত ইতিহাস (Apocalyptic History) নামে পরিচিত।
অতীতকে উল্লেখিত দুটো স্বতন্ত্র পর্যায়ে বিভক্তির পর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলির আলোচনা প্রয়োজন হয়ে পড়ল। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাল বা সময়ের নিরিখে বর্ণিত ইতিহাসতত্ত্বকে বোঝানোর জন্য কলাকৌশলিক অর্থে যুগান্তকারী অভিধা (epochmaking) ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এভাবে হেলেনীয় এবং রোমান ইতিহাসতত্ত্বের ধারাবাহিকতাই হলো মধ্যযুগীয় ইতিহাসতত্ত্ব। এখানে ইতিহাস রচনার পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ই থেকে গেল। এ পর্বের ঐতিহাসিকরা তখনও ঘটনার জন্য সনাতন তথ্য বা ঐতিহ্য উপর নির্ভরশীল ছিলেন এবং ঐ সকল সনাতনী তথ্যের সমালোচনা মূলক দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ বা যাচাই করার কোনো পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়নি। তথ্য যাচাইয়ের জন্য ঐতিহাসিকের যতটুকু সমালোচনা, সুক্ষ্মদর্শীতার প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়, তা ছিল বলতে গেলে ব্যক্তিগত, অবৈজ্ঞানিক এবং অগোছালো।
এ পর্বের ঐতিহাসিকরা ইতিহাসের প্রকৃত ঘটনা সত্যনিষ্ঠ ও বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন চাননি; তারা বিশ্বাস ও প্রজ্ঞা এই দুয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত ধর্মতত্ত্ব তথা ঈশ্বরের গুণাবলীর সঠিক ও বৈজ্ঞানিক অধ্যয়নে ব্রত ছিলেন। এটা তাদেরকে ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ায় কী অবশ্যই ঘটবে এবং কী অবশ্যই ঘটতে পারে তার পূর্বাপর নির্ধারণে সমর্থক করে তোলে। সবকিছু বিবেচনায় মধ্যযুগীয় ঐতিহাসিকরা তথ্য উৎসের সমালোচনা ও ঘটনা সত্য উদঘাটনের প্রয়াসের নিরিখে পাণ্ডিত্যপূর্ণ ইতিহাস রচনায় ব্যর্থ হয়েছেন। এ ধারার ঐতিহাসিকদের মধ্যে মার্কাস অরিলিয়াস (১২১-১৮০ খ্রিস্টাব্দ), কেসিওডারাস (৪৮০-৫৭০ খ্রিস্টাব্দ), আইনহার্ড (৭৭০-৮৪০ খ্রিস্টাব্দ) প্রমুখ শীর্ষস্থানীয়।
এছাড়াও ইংরেজ ঐতিহাসিক মলমেসবারীর উইলিয়াম (১০৯৬-১১৪৩ খ্রিস্টাব্দ), অরডারিকাস ভিটালিস (১০৭৫-১১৪৩ খ্রিস্টাব্দ), ম্যাথিও প্যারিস (১২০০-১২৫৯ খ্রিস্টাব্দ), রালফ হিগডেন (১২৯৯-১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দ), টমাস ওয়াসিংহাম (জন্ম ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ), ফরাসি ঐতিহাসিক সিজিবার্ট (১০৩০-১১১২ খ্রিস্টাব্দ), টাইটরের উইলিয়াম (১১৩০-১১৯৩ খ্রিস্টাব্দ), জিন ফ্রয়সার্ট (১৩৩৭-১৪১০ খ্রিস্টাব্দ), ইতালীয় ঐতিহাসিক ক্রিমোনার বিশপ লিউট প্রান্ড (৯২২-৯৭২ খ্রিস্টাব্দ), লিও অস্টিয়েন্সিস (মৃত্যু ১১১৬ খ্রিস্টাব্দ), ফ্রা সলিম্বিনি (১২২১-১২৯০ খ্রিস্টাব্দ), জার্মান ঐতিহাসিক ফ্রোডোয়ার্ড (মৃত্যু ৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ), ল্যাম্বার্ট (মৃত্যু ১০৮০ খ্রিস্টাব্দ), বিশপ অটো (১১১০-১১৫৮ খ্রিস্টাব্দ), বাইজান্টাইন ঐতিহাসিক হেসিকিয়াস (মৃত্যু ৫১৮ খ্রিস্টাব্দ), আগাথিয়াস (শাসনকাল ৫৫২-৫৫৮ খ্রিস্টাব্দ), নিসিফোরাস (৭৫৮-৮২৯ খ্রিস্টাব্দ) প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
মুসলিম ইতিহাসতত্ত্বের আবির্ভাবও এই পর্বে ঘটে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, উল্লেখিত মধ্যযুগের ইউরোপীয় ইতিহাসতত্ত্বের বিপরীতে স্বতন্ত্র ও স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে মুসলিম ইতিহাসতত্ত্বের পরিক্রমা শুরু হয়। সময়ের নিরিখে এটি মধ্যযুগীয় ধারাভিত্তিক হলেও স্পষ্টত এটি পরবর্তী রেনেসাঁ বা আধুনিক ইতিহাস তত্ত্বের অনেক বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করে।
এই সিরিজের পরবর্তী এবং সর্বশেষ পর্বে পাঠক রেনেসাঁ পর্ব এবং আধুনিক ইতিহাসতত্ত্ব সম্পর্কে জানতে পারবেন।
প্রথম পর্বটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।