এখন আমরা যাকে বলি পদার্থবিজ্ঞান, গ্রিকদের আমলে সেটাই ছিল ন্যাচারাল ফিলোসফি বা প্রাকৃতিক দর্শন। আসলে প্রাকৃতিক দর্শন যে পদার্থবিজ্ঞান হয়েছে তা খুব বেশিদিনের ব্যাপার নয়, মাত্র দু’তিনশ বছর। আজকের এই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের শুরুটা দার্শনিকদের হাত ধরেই হয়েছিল, তখন তা ছিলো দর্শনময়। এ দর্শনগুলোর অনেক বড় দুজন প্রবক্তা হচ্ছেন প্লেটো আর তাঁর ছাত্র অ্যারিস্টটল। তাঁদের আর তাঁদের প্রাকৃতিক দর্শনকে নিয়েই আমাদের প্রবন্ধ। কিন্তু প্লেটোর গুরু সক্রেটিস সম্পর্কে কিছু না বলে আসলে সরাসরি প্লেটো-অ্যারিস্টটলের গল্পে যাওয়া যায় না, প্রাকৃতিক দর্শনের কথাও বলা যায় না।
সক্রেটিস: গুরুদের গুরু
বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০ সালে, গ্রিসে। দার্শনিক হলেও সক্রেটিসের আসলে কোনো নিজস্ব প্রাকৃতিক দর্শন ছিল না। তিনি আসলে প্রকৃতি নিয়ে আলাদাভাবে কোনো দর্শনই দেননি। তিনি ছিলেন রাজনীতির দার্শনিক, আর “নিজেকে জানো”- এই বিখ্যাত উক্তিটির প্রবক্তা।
তবে তিনি দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন।
প্রথমটা হচ্ছে, তিনি মানুষকে প্রশ্ন করতে শিখিয়েছিলেন। তিনি বলতেন, জ্ঞান আসে প্রশ্ন করার মাধ্যমে। সবকিছুকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই ছিল তাঁর দর্শন। তাঁর এই দর্শন থেকেই একটি সায়েন্টিফিক মেথড জন্ম নেয়- সক্রেটিক মেথড। এ মেথডে বলা হয় অবিরামভাবে প্রশ্ন করে একটি বড় সমস্যাকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে ফেলতে। তারপর ছোট সমস্যাগুলোকে বিভিন্ন অনুকল্প বা অনুমান দ্বারা ব্যাখ্যার চেষ্টা করতে। অনুমান যদি ভুল প্রমাণিত হয়, সেটা আরো ভালো! আমরা ভুলগুলোকে বেছে বেছে ফেলে দেবার মাধ্যমেই তো সঠিকটা বের করে ফেলতে পারবো।
এই সক্রেটিক মেথডটা আমরা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের অংক করতে প্রায়ই ব্যবহার করি। এটা একধরনের নেগেটিভ হাইপোথেসিস এলিমিনেশন মেথড। কিছু একটা ধরে নিয়ে সেটা ভুল প্রমাণ করে সঠিকটা বের করে নিয়ে আসা। এভাবে মানুষকে প্রশ্ন করতে শিখিয়ে এবং সত্যতার গুরুত্ব দেখিয়ে গ্রিসের বিজ্ঞানকে আসলে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছিলেন সক্রেটিস। নাহলে হয়তো অনেক সংস্কৃতির মতো সেখানে বিশ্বাসই শেষ কথা থাকতো, বিজ্ঞানের অগ্রগতি আর হতো না।
তবে সক্রেটিসের দ্বিতীয় কাজটি বোধহয় আরো অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছে ভবিষ্যত পৃথিবীর উপর। পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী দুজন দার্শনিকের দর্শনের শুরুটা তাঁর হাত ধরে। হ্যাঁ, বলছি তাঁর ছাত্র প্লেটো, এবং তাঁর ছাত্রের ছাত্র অ্যারিস্টটলের কথা। সক্রেটিসের চিন্তাগুলোই তাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছিল পৃথিবীকে বুঝতে, এবং এই পৃথিবীকে বুঝতে গিয়ে দুজনের সিদ্ধান্তগুলো ছিল পুরো দুই মেরুর। এবং আমরা সক্রেটিসকেও জানতে পারি তাঁদের রেখে যাওয়া কাজগুলোর মাধ্যমেই।
প্লেটোর অতিন্দ্রীয় দর্শন
প্লেটোর জন্ম গ্রিসের এথেন্সে, খ্রিস্টপূর্ব ৪২৪ এর দিকে। তাঁর সবচেয়ে তাৎপর্যবাহী কাজ ছিল ‘একাডেমি’র প্রতিষ্ঠা। তিনি এথেন্সে একাডেমি নামের একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন যার মূল কাজ ছিল এথেনিয়ানদের ভাবতে শেখানো। এ কাজ করতে গিয়ে প্লেটো সক্রেটিসকে নিয়ে যুগান্তকারী কিছু লেখা লিখে ফেলেছিলেন। তার লেখার মধ্যে কিছু ছিল সক্রেটিস এবং অন্যান্য দার্শনিকদের মধ্যে বিভিন্ন কথোপকথন। তার মধ্যে সক্রেটিস আর পারমেনিডিস নামক এক দার্শনিকের কথোপকথন প্লেটোর নিজের উপরই অনেক প্রভাব ফেলে।
পারমেনিডিসের বিশ্বাস ছিল আমাদের জগতের একটি অপরিবর্তনীয় রূপ আছে। একে আমরা আমাদের ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করি আমাদের মতো। তাই আমাদের ইন্দ্রিয়ানুভূতিগুলো আসলে ধ্রুব হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য নয়। এ দর্শন আর প্লেটোর দর্শনে সাদৃশ্য দেখা যায়। এছাড়াও প্লেটোর সবচেয়ে বিখ্যাত দুটো কাজ রিপাবলিক এবং টাইমেয়াসও সক্রেটিক ডায়ালগ, অর্থাৎ সক্রেটিসের বচনে উঠে এসেছে বিভিন্ন দর্শন। প্রথম বইটি রাজনীতি নিয়ে, সেখানে উঠে এসেছে বিচারবিভাগ এবং প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে অনেক মতবাদ; আর দ্বিতীয় বইটিতে প্লেটো কথা বলেছেন এ মহাবিশ্বের গঠন নিয়ে।
বিজ্ঞানকে কীভাবে ভাবতে হবে তা নিয়ে আমাদের ভাবনার উপর প্লেটোর প্রভাব বিস্তর। এখনো আমরা শিক্ষার জায়গাকে, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার জায়গাকে ‘একাডেমি’ ডাকি প্লেটোর দেয়া নামানুসারে। আসল একাডেমিতে কীভাবে ভাবতে হবে তা শেখার উপরই প্লেটো সবচেয়ে বেশি জোর দিতেন। প্লেটোর ভাবনার দর্শন ছিল জ্যামিতিনির্ভর। তিনি ভাবতেন, আমরা ইন্দ্রিয় দ্বারা যে পৃথিবী দেখি, পৃথিবী সত্যিকার অর্থে আসলে তেমন নয়। কিছু জ্যামিতিক বিমূর্ত ধারণায় আমাদের ইন্দ্রিয়ের উর্ধ্বে থাকা আকৃতিকে আমরা আমাদের মতো করে অনুভব করি। আমরা আমাদের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ। ব্যাপারটা তিনি ব্যাখ্যা করতেন তাঁর বিখ্যাত “এলেগোরি অফ দ্য কেভ” বা “গুহার রূপক” এর মাধ্যমে।
সহজ ভাষায় ব্যাপারটা এমন, একজন গুহাবাসী যে গুহার বাইরে সারাজীবনে এক পা-ও দেয়নি, তার কাছে সেই গুহাটাই সম্পূর্ণ পৃথিবী। আমরাও একইভাবে আমাদের ইন্দ্রিয়গোচর যা কিছু, তার বাইরে কিছুই অনুভব করিনি। তার মতে, ইন্দ্রিয়ের উর্ধ্বে অপরিবর্তনীয় চিরস্থায়ী একটি জগত আছে, যার একটি রূপকে আমরা অনুভব করি চোখ, কান বা ত্বক দিয়ে। এ জগতের উপলব্ধিই সত্যিকারের জ্ঞান, আমাদের অনুভূতি আসলে জ্ঞান নয়। তাঁর একাডেমির দরজায় খোদাই করা ছিল, “যে জ্যামিতি সম্পর্কে জানে না, সে এখানে প্রবেশ করতে পারবে না।” তার আদর্শবাদ ছিল অনেকটা পিথগোরাস থেকে অনুপ্রাণিত। পিথগোরাস যেমন বলতেন সবকিছুরই উৎস গণিত, আমরা যা দেখি সবই আসলে সংখ্যা, প্লেটো বলতেন সবকিছুই জ্যামিতিক বিমূর্ততায় লুকানো। কিন্তু সাধারণ চোখে প্রকৃতিকে দেখতে মোটেও অমন কিছু মনে হয় না। তাই সাধারণ মানুষের মনে হতো প্লেটো জোর করে প্রকৃতিকে মেলাচ্ছেন তাঁর তত্ত্বগুলোর সাথে।
প্লেটোর এই আদর্শবাদের কারণেই মানুষ প্লেটোকে ভাবে দার্শনিক হিসেবে, বৈজ্ঞানিক হিসেবে নয়। তারপরেও তার আগের মানুষগুলোর তুলনায় প্লেটোর প্রকৃতিকে দেখা অনেক বেশি গভীর ছিল। আর তাঁর শিষ্যরা তাঁর তত্ত্বগুলোকে বদলে দিলেও, তারা যে সমাধান খুঁজেছিল তার তত্ত্বগুলোর মাঝে সমস্যা দেখেই, এটাই বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে অনেক ত্বরান্বিত করেছিল।
অ্যারিস্টটলের পর্যবেক্ষণভিত্তিক দর্শন
প্লেটো থেকে বেশি দর্শন গ্রিসের একজন ব্যক্তিই লিখেছিলেন, তার সেরা ছাত্র এবং দার্শনিক প্রতিপক্ষ অ্যারিস্টটল। প্লেটোর আদর্শবাদী দর্শনের তুলনায় অ্যারিস্টটলের ফিলোসফি ছিল অনেক প্রায়োগিক। তার ধারণাগুলো আসতো চাক্ষুষ প্রমাণ থেকে। তিনি প্রথমে পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যাপার পর্যবেক্ষণ করতেন, পরে সেটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করতেন। কারণ তিনি ভাবতেন ইন্দ্রিয় যা দেখছে, তা-ই আসলে সত্য। আর প্লেটো আগে তত্ত্ব দাঁড় করিয়ে পরে সেই তত্ত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করতে চাইতেন পৃথিবীকে। কারণ ইন্দ্রিয়কে প্লেটো কখনোই বিশ্বাস করেননি। অ্যারিস্টটলের এই আগে পর্যবেক্ষণ করে পরে ব্যাখ্যা দেবার প্রক্রিয়াই পরবর্তীতে আধুনিক বিজ্ঞানে পরীক্ষণ পদ্ধতির ভিত্তি হিসেবে উত্থিত হয়। অ্যারিস্টটলের জন্ম গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে, মেসিডোনিয়ায়। তবে তিনি এথেন্সে প্লেটোর একাডেমিতে পড়েছিলেন ২০ বছর, প্লেটো মারা যাবার আগপর্যন্ত।
এরপর অ্যারিস্টটলের ভাগ্যে জোটে এক লোভনীয় চাকরি, মেসিডোনিয়ার দ্বিতীয় কিং ফিলিপ তাঁর ছেলে আলেকজান্ডারের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন অ্যারিস্টটলকে। এই আলেকজান্ডারই পরে হয়ে ওঠেন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট। ত্রিশ বছর বয়স হবার আগেই এই আলেকজান্ডার নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আফ্রিকা, ইউরোপ আর আফ্রিকার একটা বড় অংশ দখল করে ফেলেন। এর চেয়ে বড় ধ্বংসযজ্ঞ মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে আর একজনই চালিয়েছিলেন- চেঙ্গিস খান।
এই নির্মমতার প্রবর্তনা কিন্তু আলেকজান্ডার অ্যারিস্টটলের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন। ভাবা যায়, অ্যারিস্টটল, যে মানুষটি ‘এথিক্স’ বা নৈতিকতা নামে কালজয়ী বইয়ের লেখক, সেই মানুষটিই তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত ছাত্রকে পারস্য দখল করতে, সেখানকার মানুষদের বর্বর বলে তাদেরকে দাস বানাতে অনুপ্রাণিত করলেন! অ্যারিস্টটল নন-গ্রিকদের বলতেন বারবারিয়ান বা বর্বর, এবং তাদের জীবনপদ্ধতিকে ঘৃণা করতেন। তার ধারণা ছিল গ্রিকরা প্রকৃতিতে এসেছে উচ্চজাত হিসেবে, পারস্যের বর্বররা দাস হিসেবে।
আমাদের শ্রদ্ধেয় দার্শনিকদের অনেকেরই সামাজিক চিন্তাধারা যে কত সংকীর্ণ ছিল, এখানেই তা বোঝা যায়। এই সংকীর্ণতা কিন্তু অ্যারিস্টটল ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য সবকিছুকেই সত্য ভাবতেন বলেই এসেছিল। যদি প্লেটোর মতো ইন্দ্রিয়ের উর্ধ্বে চিন্তা করার চেষ্টা করতেন তবে হয়ত জন্মপরিচয়ের উর্ধ্বে গিয়ে মানুষকে শুধুই মানুষ হিসেবে ভাবতে পারতেন। যা-ই হোক, আলেকজান্ডার এসব শুনে এবং নিজস্ব বোধ থেকেই সিদ্ধান্তে আসলেন গ্রিকদেরই পৃথিবীর শাসক হওয়া উচিৎ এবং তিনি তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেমে পড়েছিলেন, তবে খুব বেশিদিন তিনি বাঁচেননি।
আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর অ্যারিস্টটল এথেন্সে ফিরে আসেন, গড়ে তোলেন নিজের একটি বিদ্যাচর্চার কেন্দ্র, ‘লাইসিয়াম’। লাইসিয়াম প্লেটোর একাডেমির তুলনায় বেশ আলাদা ছিল। যেহেতু অ্যারিস্টটল গাছ পছন্দ করতেন, ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করতেন, তাঁর স্কুলটা কোনো দালান বা কাঠামোতে বন্দী ছিল না, শহরের বাইরে কিছু গাছপালার মাঝে ছিল তাঁর স্কুল। জীবনের এই পর্যায়েই মূলত অ্যারিস্টটল তার সবচেয়ে বিখ্যাত লেখাগুলো লেখেন; মেটাফিজিক্স, অন দ্য হেভেন, অন দ্য সোল আর তার ন্যাচারাল ফিলোসফির কিছু বইয়ের সংগ্রহ যেগুলো মূলত তার স্কুল লাইসিয়ামের পাঠ্যবই, নাম ‘ফিজিক্স‘।
অ্যারিস্টটল আর প্লেটো, দুজনই আমাদের মহাবিশ্বের একটি মডেল দাঁড় করিয়েছিলেন। এর মধ্যে অ্যারিস্টটলের মডেলটা মহাবিশ্বের ইউরোপিয়ান মডেলের ভিত্তি হিসেবে টিকেছিল দুই হাজার বছর! প্লেটোর মহাবিশ্বের মডেলে সবকিছুর অণু ছিল জ্যামিতিক আকৃতির সেরা প্রতিরুপ। অ্যারিস্টটল এই মডেলকে বদলে আমাদের পর্যবেক্ষণের সাথে সামঞ্জস্যতা আনলেন। তিনি বললেন পানি-আগুন-বাতাস বা মাটির স্বাভাবিক ধর্মের কথা, অস্বীকার করলেন অণুর ধারণা।
একই ব্যাপার তিনি করেছিলেন প্রাণিবিদ্যায়। পর্যবেক্ষণভিত্তিক অনেক মতামত দিয়েছিলেন, বলেছিলেন উদ্ভিদের শুধু আছে দৈহিক আত্মা, আর আমরা চিন্তা করতে পারি তাই আমাদের আছে মানসিক আত্মা। তিনি তাঁর জীবজগতের শ্রেণীবিভাগে পুরুষদেরকে নারীদের তুলনায় উচ্চমানের প্রাণী হিসেবে দেখিয়েছিলেন। তাঁর এসব ব্যাখ্যা, তত্ত্ব তখনকার মানুষের চাক্ষুষ অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যেত। তাই তাঁর বেশিরভাগ তত্ত্বই টিকে গিয়েছিল। আর অ্যারিস্টটল সক্রেটিসের মতো প্রশ্ন করতেন ঠিকই, প্লেটোর গভীর ভাবনার ধারণাকে উপেক্ষা করে সব প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে দিতেন নিজস্ব পর্যবেক্ষণ থেকে। শুধু তা-ই নয়, সেই উত্তরগুলো লিখেও রাখতেন। এই লেখাগুলোই তাঁর আশেপাশের মানুষ বিবেচনা করতো পরিশুদ্ধ দর্শন হিসেবে। তাঁর তত্ত্বগুলো অনেকটুকুই পরে ভুল প্রমাণিত হয়ে গেলেও তার হাত ধরেই শুরু হয়েছে বিজ্ঞানের অনেক শাখা। আর সক্রেটিস তো বলেছিলেনই, ভুল করে সেই ভুল শনাক্ত করার মাধ্যমেই তো আমরা সঠিকটার দিকে এগিয়ে যাব। অ্যারিস্টটলই তার সাক্ষাৎ প্রমাণ।
এভাবে গ্রিসে তিনজন তুখোড় চিন্তাবিদের জন্মের মাধ্যমেই মানবসভ্যতা এগিয়ে গিয়েছিল অনেক দূর। এত বছর পরে এসেও তাঁদের চিন্তা আমাদের মাঝে ভাবনার উদ্রেক করে, তাঁদের দর্শনের ছোঁয়ায় আমাদের মাঝে জীবনবোধের সঞ্চার হয়। এ কারণেই প্লেটো আর অ্যারিস্টটল এবং তাঁদের দর্শনেন্দ্রিয় খুলে দেয়া সক্রেটিস- পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যক্তিত্ব।
ফিচার ইমেজ: bu.edu