Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে কারণে জার্মানি উইম্বলডনে বোমাহামলা চালায়

ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর সদস্যরা গত ৭৫ বছর যাবত উইম্বলডন চলাকালে দর্শকদের সেবা এবং নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন। বছরের তৃতীয় এবং গ্রাস সার্ফেসের একমাত্র গ্র্যান্ড স্ল্যাম এটি। প্রতি বছর জুন মাসের শেষেদিকে এবং জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় শত বছরের ইতিহাসে সমৃদ্ধ এই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৯৪৬ সাল থেকেই প্রতিযোগিতা চলাকালে ব্রিটিশ সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর পোশাকে সুসজ্জিত সেনারা লন্ডনের অল ইংল্যান্ড ক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে উপস্থিত থেকে দর্শকদের বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। এমনকি তারা দর্শকদের আসন খোঁজা থেকে শুরু করে পানি সরবরাহও করেন।

উইম্বলডন; Image Source: Wimbledon.com

ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর এমন আতিথেয়তাকে ব্রিটিশ রাজপরিবারের রাজকীয়তার দৃষ্টান্ত বলার সুযোগ নেই। বরঞ্চ, ৭৪ বছর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে লন্ডনের এই অল ইংল্যান্ড ক্লাবে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে জানতে পারলেই বোঝা যাবে কেন মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় সামরিক বাহিনী উপস্থিত থেকে দর্শকদের আতিথ্য দিচ্ছে। বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মানির ‘ব্লিটজ’ বোমা হামলার মুখে ব্রিটিশ বাহিনী উইম্বলডনকে সিভিল ডিফেন্সের ক্যাম্পে রূপান্তর করে। এমনকি নিয়োজিত সেনা সদস্যদের খাবার যোগান দিতে সেখানে খাদ্যশস্য উৎপাদন এবং গবাদিপশু লালনপালন করা হতো। অল ইংল্যান্ড ক্লাবটি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ায় জার্মানরা উইম্বলডনের সেন্ট্রাল কোর্টে প্রায় ৫০০ পাউন্ডের একাধিক বোমা নিক্ষেপ করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত ব্রিটিশদের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া উইম্বলডনের বাহ্যিক রূপরেখা পাল্টে যায় জার্মান বাহিনীর বোমা হামলায়। আজ আমরা আলোচনা করব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলেকালে অল ইংল্যান্ড ক্লাব তথা উইম্বলডনের ভূমিকা এবং কীভাবে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সে বিষয়ে।

ব্রিটিশরা যেভাবে জার্মানদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায়

১৯৩০ এর দশকে দফায় দফায় বৈঠকসহ পাশ্ববর্তী শক্তিশালী দেশসমূহের মাধ্যমে চেষ্টা করেও জার্মানি এবং গ্রেট ব্রিটেন পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারেনি। যদিও সেসময়ের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ব্রিটিশরা দাবি করেন তারা জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধ এড়াতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু হিটলারের আগ্রাসনকে শেষপর্যন্ত ইতিবাচকভাবে নিতে পারেনি ব্রিটিশ সরকার। ১৯৩৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর অ্যাডলফ হিটলার নিজের সেনাবাহিনী নিয়ে পোল্যান্ড অভিমুখে যাত্রা করেন। কারণ তিনি জানতেন তার এই যাত্রায় ফ্রান্স এবং ব্রিটেন পোল্যান্ডকে সমর্থন জানাবে। এরই মধ্য দিয়ে মাত্র ২০ বছরের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে গোটা ইউরোপ।

বোমা হামলার ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযানে ব্রিটিশ সেনা; Image Source: George Greenwell/Mirrorpix/Getty

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আকাশপথের যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মোটামুটি সকল দেশই বিমানবাহিনী গড়ে তোলে এবং বোমা হামলাকে যুদ্ধের সুকৌশল ভাবতে থাকে। ফলশ্রুতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিশ্ব দেখেছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ। গ্রেট ব্রিটেনকে থামাতে গিয়ে হিটলার বাহিনীও বিমান হামলার পথ বেছে নেয়। আর তাই লন্ডন শহরটি জার্মান বাহিনীর নিকট লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। কারণ ব্রিটিশদের মিত্রশক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন করে কোণঠাসা করাই ছিল হিটলারের মূল লক্ষ্য। যদিও জার্মান বাহিনীর বিমান হামলা থেকে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদে রাখতে সিভিলিয়ান রান এয়ার রেইড প্রিকশন্স গঠন করে ব্রিটিশ হোম অফিস কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে ১৯৪১ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস। যদিও ১৯৪০ থেকে ১৯৪১ সালের মাঝামাঝি সময় অবধি লন্ডনের উপর অতর্কিত বোমা হামলা চালিয়ে লণ্ডভণ্ড করে দেয় জার্মানরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসে এটি ব্লিটজ বোমা হামলা নামে পরিচিত।

ব্লিটজ বোমা হামলা

১৯৪০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ৩০০টি জার্মান বোমারু বিমান লন্ডনে হামলা চালায়। এটি ছিল লন্ডনে জার্মান বাহিনী কর্তৃক টানা ৫৭ রাতের হামলার প্রথম রাত। এরপর থেমে থেমে কুখ্যাত এই ব্লিটজ বোমা হামলা চলেছিল ১৯৪১ সালের মে মাস অবধি। যদিও জার্মানরা ব্রিটেনে বোমা হামলার পূর্বে ফ্রান্সের বিপক্ষে যুদ্ধে জয়লাভ করে। ১৯৪০ সালের ১০ মে থেকে ২৫ জুন অবধি চলা টানা ৬ সপ্তাহের সেই যুদ্ধে ফরাসিদের শোচনীয় পরাজয়ের ফলে ব্রিটেন অভিমুখে যুদ্ধ পরিচালনায় তেমন একটা সমস্যা পড়েনি হিটলার বাহিনী। যদিও ব্রিটেনে হামলা শুরুর পূর্বে ইংলিশ চ্যানেলে ব্রিটিশ জাহাজগুলোকে আক্রমণ করে জার্মানরা। পরবর্তীতে তারা চেয়েছিল রয়্যাল এয়ারফোর্সকে একেবারে ধ্বংস করে দিতে। ব্রিটেনকে নিঃসঙ্গ করতে পারলে সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে অগ্রসর হওয়া সুবিধাজনক ছিল হিটলারের পক্ষে। তার সকল কৌশল ১৯৪১ সাল অবধি মোটামুটি সফল হয়েছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এরকম যুদ্ধবিমান ব্যবহৃত হতো; Image Source: Wilmington healthcare.com

যদিও ব্যাটল অব ব্রিটেনে জার্মান বাহিনী ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্সকে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হওয়ার পর হিটলার কৌশলগত পরিবর্তন আনেন। ব্রিটিশ গোয়েন্দারা আগে থেকেই সেপ্টেম্বরের এই বোমা হামলার কিছুটা ইঙ্গিত পেলেও খুব শিগ্রই হামলার সম্মুখীন হতে হবে এমনটা বুঝতে পারেননি তারা। জার্মান সেনাদের আঁটকের পর বোমা হামলার তথ্য পাওয়ার দাবি করেছিলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। যদিও ব্লিটজ বোমা হামলার প্রথম দিন লন্ডনে সর্বমোট ৩৩৭ টন বোমা নিক্ষেপ করেছিল জার্মান বাহিনী। প্রথমেই তাদের লক্ষ্য ছিল লন্ডনের ডকগুলো ধ্বংস করে দেয়া। সেদিন বড় আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও একেবারে ধ্বংস হয়নি লন্ডনের প্রবেশপথের ডকগুলো। প্রথমদিনের হামলায় বেসামরিক নাগরিকরা লক্ষ্যবস্তু না হওয়া স্বত্ত্বেও মাত্র ৮ ঘন্টার ব্যবধানে প্রায় ৪৪৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। মূলত লন্ডনের বস্তি এলাকায় বোমা পতিত হওয়ায় আগুন লেগে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হন।

ধ্বংসপ্রাপ্ত মর্নিংটন ক্রিসেন্ট; Image Source: Jim Dyson / Getty

অতঃপর সেদিন রাত ৮টা নাগাদ জার্মান বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আগ্রাসন নিশ্চিত করে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী। এমতাবস্থায় পুরো ব্রিটেনে জরুরি অবস্থা জারি করে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। যদিও এই সামরিক আগ্রাসনে হিটলার শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে ফিরে গিয়েছেন। তবে কেড়ে নিয়েছেন ৪০,০০০ বেসামরিক ব্রিটিশ নাগরিকের জীবন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এমন আরো হাজারো মানুষ। হিটলার ভেবেছিলেন- এরকম হামলার ফলে ব্রিটিশ নাগরিকেরা দলবদ্ধভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে, অথচ এই ব্যর্থ কৌশলটি তাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে সবচেয়ে ব্যর্থ নেতার মর্যাদা দিয়েছিল।

উইম্বলডনে সিভিল ডিফেন্সের ঘাঁটি এবং বোমা হামলা

পুরো দেশ যখন যুদ্ধে জর্জরিত, লন্ডন তখন বোমা হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। এমতাবস্থায় অল ইংল্যান্ড ক্লাবও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বিবিসি রেডিওর ধারাভাষ্যকার রিচার্ড ইভান্সের বক্তব্য থেকে এই ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া যায়। তিনি বলেন,

পুরো দেশ তখন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত। উইম্বলডনের সুদীর্ঘ কমপ্লেক্স, থাকার জায়গা এবং খালি মাঠ ছিল যা যুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য মনে হয়েছিল। আর তাই এটি ব্যবহারের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। শুধুমাত্র টেনিস কোর্টগুলো খালি পড়ে থাকে। কেউ কোর্টে চাষাবাদের পরিকল্পনা করেনি। সে সময় যদি ক্লাবের প্রবেশদ্বারে তাকানো হতো, তাহলে দেখা যেত সৈন্যরা মহড়া দিচ্ছে।

এয়ার রেইড প্রিকশন্স বা দ্য এআরপি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক নাগরিক এবং সেনাসদস্যের জন্য যুদ্ধকালীন রেশন সরবরাহের জন্য উইম্বলডনের মাঠকে একটি উৎপাদনশীল খামারে রূপান্তর করার নির্দেশ দেয়। অল ইংল্যান্ড ক্লাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যয়বহুল পার্কিং লটে শাকসবজির চাষ করা হতো এবং অন্যটিতে কাঠ নিয়ে ঘর তৈরি করে তাতে শুকর, ঘোড়া, মুরগি, রাজহাঁস, এবং খরগোশ লালনপালন করা হয়েছিল। লন্ডন ওয়েলশ এবং লন্ডন আইরিশ রেজিমেন্টের তরুণ যোদ্ধারা সেসময় সেন্ট্রাল কোর্টের পাশে সবুজ সারিতে কুচকাওয়াজ পরিচালনা করতেন।

উইম্বলডনে পশুপালন; Image Source: John Eggit/Fox Photos/Hulton Archive/Getty Images

অবস্থানগত দিক দিয়ে লন্ডন ব্রিজ থেকে উইম্বলডনের দূরত্ব মাত্র ১০ মাইল। লন্ডনে বোমা হামলার পর এয়ার রেইড প্রিকশন্স একে বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য আশ্রয়স্থল হিসেবে ঘোষণা করলেও যুদ্ধের সময় দীর্ঘ ৫ বছর যাবত সেখানে মেশিনগান, স্পার্ক প্লাগ ফ্যাক্টরি এবং অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ব্যাটারি সুসজ্জিত অবস্থায় রাখা হতো। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে- বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল অল ইংল্যান্ড ক্লাব। এত এত সামরিক সরঞ্জাম থাকায় স্বভাবতই এটি হিটলারের নজরদারিতে পড়ে যায়। জার্মানির ৬ বছরের বিমান হামলায় সর্বমোট ১০০০ বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল অল ইংল্যান্ড ক্লাবে। দীর্ঘদিনের এই বোমা হামলায় সেখানে অবস্থানরত প্রায় ১৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন, আহত হন আরো প্রায় ১,০০০ জন।

যদিও ১৯৪০ সালের ১১ অক্টোবর তারিখটি ছিল অল ইংল্যান্ড ক্লাবের জন্য খুবই ভয়াবহ। সেদিন রাতে ৫টি বিশাল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল অল ইংল্যান্ড ক্লাব লক্ষ্য করে। ৫০০ পাউন্ডের দুটি বোমা ক্লাবের গলফ কোর্টে বিস্ফোরিত হয়। অন্য দুটি বোমার একটি ক্লাবের প্রবেশদ্বারে এবং অপরটি টুলশেডে পতিত হয়। যদিও পঞ্চম বোমা সরাসরি উইম্বলডনের ফাইনালের মঞ্চ খ্যাত সেন্ট্রাল কোর্টে পতিত হয়েছিল। বোমার আঘাতে সেখানকার ছাদের একটি অংশ ভেঙে পড়ে যেখানে ১,২০০ দর্শকের আসন ছিল। সেসময় ক্লাবের নিকট অর্থ ছিল না সেন্ট্রাল কোর্ট মেরামত করে পূর্বের অবস্থানে নেয়ার মতো। ১৯৪৯ সাল অবধি এটি মোটামুটি ধ্বংসপ্রায় অবস্থায় পড়ে থাকে।

বোমার আঘাতে ভেঙে পড়েছে সেন্ট্রাল কোর্টের গ্যালারি; Image Source: Wimbledon.com

লন্ডনের বেসামরিক মানুষদের আশ্রয়স্থল এবং সেনাসদস্যদের খাবার যোগান দেয়া উইম্বলডন তথা অল ইংল্যান্ড ক্লাব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একেবারে শেষদিন অবধি সিভিল সার্ভিসের কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৯৪৫ সালে জার্মানি যখন মিত্রবাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে তখন থেকে ধীরে ধীরে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পূর্বের রূপ পেতে থাকে উইম্বলডন। জার্মানির পরাজয়ের ১ মাস পরেই সেখানে অনানুষ্ঠানিক টেনিস প্রতিযোগিতার আয়োজন করে অল ইংল্যান্ড ক্লাব। এটি ছিল ১৯৩৯ সালের পর উইম্বলডনে অনুষ্ঠিত প্রথম কোনো টেনিস প্রতিযোগিতা।

বিশ্বযুদ্ধ শেষে সেনারা; Image Source: AP Photo/John Rooney

১৯৪৫ সালের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সবাই ছিলেন সামরিক বাহিনীর সদস্য। এদের মধ্যে অন্যতম খেলোয়াড় ড্যান মাসকেল ছিলেন একাধারে অল ইংল্যান্ড ক্লাবের প্রসিদ্ধ টেনিস খেলোয়াড় এবং রয়্যাল এয়ারফোর্সের স্কোয়াড্রন লিডার। পরবর্তীতে ড্যান উইম্বলডনের প্রসিদ্ধ কমেন্টেটর হিসেবে নিযুক্ত হন। তাকে বলা হতো ‘দ্য ভয়েস অব উইম্বলডন।’ ধ্বংসপ্রাপ্ত সেন্ট্রাল কোর্টে সেবার প্রায় ৫ হাজার মানুষ টেনিস প্রতিযোগিতাটি দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন। যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আনুষ্ঠানিকভাবে উইম্বলডন প্রতিযোগিতা শুরু হয় ১৯৪৬ সালে।

This article written about All England Club and Wimbledon. In preparation for Germany’s infamous “Blitz” bombing attacks on London, the grounds of the 150-year-old British tennis club were transformed into a Civil Defence camp and Wimbledon’s historic Centre Court even took a direct hit from a 500-pound German bomb.

Feature Image Source: Express UK

Related Articles