করোনাভাইরাস (SARS-CoV-2) আক্রান্তের প্রথম আক্রান্ত শনাক্ত হবার পর একে একে কেটে গেছে ছয়টি মাস। আক্রান্ত সংখ্যা ১ কোটি ২৩ লক্ষের কাছাকাছি, মৃত্যু সাড়ে ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। ভয়াবহ এক দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছি আমরা সবাই। এরই মধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিষয়ে অনেক কিছু জেনেছি আমরা, কীভাবে এই ভাইরাস আক্রমণ করে, সংক্রমণ ঘটে, সেই অনুযায়ী কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ইত্যাদি। তবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আরও বেশ কিছু তথ্য এখনও আমাদের অজানা; বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার। এমনই কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা থাকছে আজ রোর বাংলার আয়োজনে।
করোনাভাইরাস ইমিউনিটি
কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে থাকার পরপরই বিজ্ঞানীদের যে প্রশ্নটি ভাবিয়ে তুলেছে তা হলো নতুন এই ভাইরাসের প্রতি মানবদেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেমন হবে, কতটা কার্যকর হবে এবং কতদিন তা দীর্ঘস্থায়ী হবে? অর্থাৎ, যদি কেউ ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে পুনরায় সেই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসলে তার আবারও আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কতটুকু?
সাধারণত দেহে কোনো ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা অন্য কোনো অনুজীব প্রবেশের পরপরই দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা একরকম সতর্ক হয়ে যায় এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংকেত প্রেরণ করে, কার্যকর হয় শরীরের ‘ইনেট ইমিউন সিস্টেম’।
এই পর্যায়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে রাসায়নিক এবং কোষীয় আক্রমণ চলে। প্রাথমিকভাবে সেই ভাইরাস বা অনুজীব ধ্বংস হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেই অনুজীবের বিরুদ্ধে পুনরায় আক্রমণের দরকার পড়ে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার বাহিনী ‘টি-সেল’ এবং ‘বি-সেল’ এবারে লড়াই শুরু করে। তবে সেই ভাইরাসটিকে চিনে রাখার কাজটি করে ‘মেমোরি সেল’, যাতে পরবর্তীতে সেই একই ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিহত করতে পূর্বের আক্রমণে গড়ে ওঠা এন্টিবডি প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
অন্য কোনো ভাইরাসের জন্য এতদূর পর্যন্ত হিসেব ঠিক থাকলেও সম্প্রতি মহামারীতে রূপ নেয়া করোনাভাইরাসের জন্য বিষয়টি অনেক জটিল। কারণ এই ভাইরাসের প্রতি দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতার স্থায়িত্ব এখনও অজানা। গবেষণায় দেখা গেছে কিছু কিছু আক্রান্তের ক্ষেত্রে এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা আক্রান্ত হবার প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক বেশি, কিন্তু দিন বাড়তে থাকার সাথে সাথে তা ক্ষয় হতে থাকে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মেমোরি সেলের আয়ুর উপরও নির্ভর করে প্রতিরোধ ব্যবস্থা। মেমোরি সেল যদি দ্রুত ক্ষয় হতে থাকে সেক্ষেত্রে ভাইরাসের প্রতি দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থাও ক্ষয় হবে দ্রুত।
আবার অন্যদিকে আক্রান্ত যত গুরুতর পর্যায়ের হবে সুস্থ হয়ে ওঠার পর প্রতিরোধ ব্যবস্থাও তত শক্তিশালী হবে। যেমন, গবেষণায় দেখা গেছে সার্সের অন্যান্য ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে অধিকাংশের দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা কয়েক বছরের মধ্যে চলে গেলেও যারা গুরুতর আক্রান্ত হয়েছিলেন ১২ বছর পরও তাদের সেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা টিকে আছে।
কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা এখনও ধাঁধার মধ্যে রয়েছে ঠিক কি পরিমাণ নিউট্রালাইজিং এন্টিবডি এই ভাইরাসকে প্রতিহত করতে সক্ষম। এখনও ফলাফল মেলেনি করোনার প্রতি দীর্ঘকালীন প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিক কোন বিষয়টির সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। চালানো হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন গবেষণা উঠে আসছে ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল যা জোড়াতালি দিয়ে পরিপূর্ণ ফলাফলের অপেক্ষায় আছি আমরা।
তবে এতটুকুই নয়, ভাইরাসের মিউটেশন বা জিন পরিবর্তন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আরও একটি বাধা, যে বিষয়টি নিয়েও পরিষ্কার উত্তর পাওয়া যায়নি এখনও।
করোনাভাইরাস মিউটেশন
সব ভাইরাসের সময়ের সাথে সাথে মিউটেশন ঘটতে থাকে, করোনাভাইরাস বা SARS-CoV-2 এর ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। বিজ্ঞানীরা এই মিউটেশন থেকে কীভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো মিউটেশনের প্রভাব। ভাইরাসটি কীভাবে ছড়াবে, আক্রমণে কতটা ক্ষতি করবে এসবই।
মিউটেশনের প্রাথমিক প্রভাব পড়বে শরীরে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা অ্যান্টিবডি এবং টি সেলের ওপর, কারণ মেমোরি সেলের চিনে রাখা ভাইরাসটি আর আগের মতো নেই। তাই একে নতুন আরেকটি ভাইরাস বিবেচনা করেই লড়বে। কিন্তু সমস্যার বিষয়টি হলো বেশিরভাগ মিউটেশনেরই প্রভাব নেই। আর এই কারণেই ঠিক কোন মিউটেশন আমাদের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করবে তা জানার পথটা আরও দুর্গম হয়ে গেছে।
যেমন, ইতালি বা মাদ্রিদের করোনাভাইরাস বেশি প্রাণঘাতি মনে হতে পারে পরবর্তীতে অন্য দেশ বা স্থানে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের তুলনায়। তবে এখানে ‘ফাউন্ডার ইফেক্ট’-এর প্রভাব ঘটে থাকতে পারে, যেখানে এই ভাইরাসের মূল কেন্দ্র উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ার সময় ঘটা মিউটেশনের ফলাফল। ফাউন্ডার ইফেক্টের ব্যাখ্যা বুঝতে নিচের ছবিটি দেখুন।
এখানে মূল ভাইরাসের যে বৃহৎ ‘পপুলেশন’ দেখা যাচ্ছে তা মিউটেশনের ফলে আরও অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ‘পপুলেশন’ তৈরি হয়েছে। তবে এসব ক্ষুদ্র ‘পপুলেশন’ কিন্তু একেবারেই আগের ভাইরাসের অনুরূপ না, অর্থাৎ জীনগত বৈচিত্র হ্রাস পেয়েছে এবং সীমিত কিছু বৈশিষ্ট্য বেশি প্রকাশ পেয়েছে। ফলে কোনো ক্ষুদ্র করোনাভাইরাস পপুলেশন আরও প্রাণঘাতি মনে হয়েছে অন্যগুলোর তুলনায়।
এই বিষয়টিই বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠিক কোন পর্যায়ের মিউটেশনে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি ঘটেছে, এটি কি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ঘটেছে নাকি কোনো একটি নির্দিষ্ট মিউটেশন থেকে। তাছাড়া গবেষকরা এখনও জানেন না কীভাবে মানুষের মধ্যে এই মিউটেশনগুলো সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।
মিউটেশনের আরও ভয়াবহ প্রভাব ভ্যাক্সিনের ওপর পড়ার সম্ভাবনাও কিন্তু একেবারে স্পষ্ট।
ভ্যাক্সিন কতটা কার্যকর হবে
চলমান এই দুঃসপ্ন থেকে মুক্তির জন্য এখন পর্যন্ত জানা একমাত্র পথ কার্যকরী ভ্যাক্সিন আবিষ্কার। এখন পর্যন্ত ২০০ এরও অধিক ভ্যাক্সিন গবেষণামূলক পর্যায়ে আছে, এর মধ্যে প্রায় ২০টি আছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে। তবে শেষ পর্যন্ত কতটুকু কার্যকরী ভ্যাক্সিন আমরা পেতে যাচ্ছি তার জবাব পরিষ্কার নয় এখনও।
কিন্তু ইতোমধ্যেই আমরা প্রাণীদের উপর চালানো পরীক্ষা এবং কিছু মানব পরীক্ষার ফলাফল থেকে বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। এসব পরীক্ষায় প্রাণীদের ভ্যাক্সিন দেয়ার পর করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এনে দেখা হয়েছে তা কী ফলাফল দেয়।
যেমন, সম্প্রতি ম্যাকাক প্রজাতির বানরের উপর চালানো ভ্যাক্সিন গবেষনায় দেখা গেছে এটি নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের ইনফেকশন প্রতিরোধে সক্ষম হলেও দেহের অন্যান্য অংশের জন্য কার্যকর নয়। ইউনিভার্সিটি অভ অক্সফোর্ডের এই গবেষণায় আরও একটি বিষয় জানা গেছে, এই ভ্যাক্সিন রোগ প্রতিরোধে আংশিক সক্ষম হলেও সংক্রমণ প্রতিরোধী নয়।
অন্য কিছু গবেষণায়, যদিও অপর্যাপ্ত, দেখা গেছে কিছু ভ্যাক্সিন আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে কোষগুলোকে রক্ষা করে। কিন্তু এই বিষয়ে এখনও জানা নেই গবেষকদের যে, প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যান্টিবডি তৈরি হয় কি না আর এই অ্যান্টিবডি কতক্ষণ বাধা প্রদান করতে পারবে।
এমনই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ, তবে ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের পর তা বাজারজাত হয়ে প্রায়োগিক পর্যায়ে আসতে লেগে যেতে পারে ১২ থেকে ১৮ মাস। এমনকি তা শতভাগ কার্যকরী না-ও হতে পারে।
এর মধ্যেই আমরা লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন মানুষের উপর এই ভাইরাস বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলেছে, লক্ষণ প্রকাশেও বিচিত্রতা দেখা গেছে। কিন্তু কেন ব্যক্তিভেদে এই পার্থক্য?
আক্রমণে ভিন্নতা
কারো কারো দেরিতে লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে, কেউ কেউ কোনো রকম উপসর্গ ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠেছেন, আবার অনেকেই গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাসের এই বৈচিত্র্যময় আচরণের পেছনেও কারণ দাঁড় করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যা এখনও পরিষ্কার নয়।
আইসল্যান্ডের ডিকোড জেনেটিক্সের কারি স্টেফানসনের দল এই পার্থক্যের জন্য মানুষের জিনগত বৈচিত্রের কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা গবেষণা করেছেন। তবে পর্যাপ্ত নমুনার অভাবে সেই গবেষণার ফলাফল না পাওয়া গেলেও সম্প্রতি আরেকদল বিজ্ঞানী ইতালি ও স্পেনের ৪,০০০ আক্রান্তের জিনোম পরীক্ষা করে জেনেটিক সম্পর্কের সন্ধান পেয়েছেন। শ্বাসপ্রক্রিয়ার কার্য ব্যহত হয়েছে এমন আক্রান্তদের দুই ধরনের জিনগত বৈচিত্র্য লক্ষ্য করেছেন তারা।
এই গবেষণায় আশার আলো দেখলেও আরও কার্যকরী উত্তরের জন্য কাজ শুরু করেছেন নিউইয়র্ক সিটির রকফেলার ইউনিভার্সিটির আরেকদল গবেষক। তারা কাজ করছেন মিউটেশনের সাথে এর কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না তা অনুসন্ধানে। সে গবেষণায় উঠে এসেছে আরও তথ্য। কোনো ইনফেকশনের প্রতি সংবেদনশীলতা, যক্ষা এবং এপ্সটাইন-বার ভাইরাসের মতো ক্ষতিকর নয় এমন ভাইরাসও কিছু কিছু সময় সিঙ্গেল জিন মিউটেশনের জন্য মারাত্মক হয়ে ওঠে। কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা, যার জন্য কেউ কেউ গুরুতর পর্যায়ে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এখনও এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর আমাদের অজানা। তবে এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল নিয়েই আমরা এখনও ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছি।
ভাইরাসের উৎপত্তি
প্রাথমিকভাবে বাদুড় (Horseshoe bats) থেকে এই ভাইরাস মানুষের দেহে আসার সন্দেহ করা হয়, পরবর্তীতে বিভিন্ন অনুসন্ধানেও তার সত্যতা উঠে আসে, তবে নিশ্চিতভাবে এখনও বলা সম্ভব হয়নি চীনের উহানের বন্যপ্রাণীর মার্কেটগুলোর বাদুড়ই এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল।
২০১৩ সালের চীনের ইউনান প্রদেশে একই প্রজাতির বাদুড়ে RATG13 নামের ভাইরাসের অনুসন্ধান মেলে যা SARS-CoV-2 এর ৯৬ শতাংশ অনুরূপ। অন্যদিকে মালেশিয়ায় বাদুড় থেকে সন্ধান মিলে RmYN02 ভাইরাসের যা SARS-CoV-2 এর ৯৩ শতাংশ অনুরূপ। এত মিল-অমিলের পেছনের রয়েছে যুগ যুগ ধরে ঘটে চলা ভাইরাসের বিবর্তনের। গবেষকরা এই তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণের পূর্বে অন্য কোনো মধ্যবর্তী বাহক থাকতে পারে, যেভাবে SARS এর জন্য দায়ী ভাইরাসগুলো বাদুড় থেকে গন্ধগোকুলে ছড়িয়েছে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের আগে বলে ধারণা করা হয়।
১,২০০ করোনাভাইরাস নমুনা থেকে প্রমাণ মিলেছে এই ভাইরাসে উৎপত্তি চীনেই কিন্তু তা একইসাথে প্রতিবেশী দেশগুলোসহ মায়ানমার বা ভিয়েতনামের সম্ভাবনাকেও নাকচ করে দেয়া হয়নি সেসব অনুসন্ধানে।
চীনের বন্যপ্রাণী পাচার বিরোধী এক অভিযানে জব্দ করা মালয়েশিয়ার প্যাঙ্গোলিনের মধ্যে গবেষকগণ এমন করোনাভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন যার সাথে SARA-CoV-2 এর ৯২ শতাংশ মিল রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সেই ভাইরাসটি বর্তমান মহামারীর ভাইরাসের পূর্বসূরি হতে পারে। তবে তা থেকে প্রমাণিত হয় না যে, প্যাঙ্গোলিন থেকেই মানুষে করোনার সংক্রমণ ঘটেছে।
অন্যদিকে চীনের বণ্যপ্রাণীর মার্কেটগুলোর বাদুড়, গন্ধগোকুলের মতো প্রাণীগুলোর নমুনা থেকেও তেমন কোনো তথ্য মেলেনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও বিজ্ঞানীরা এখনও এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
সব শেষে একটি বিষয়, আবদ্ধ ঘরের মধ্যে আমাদের দীর্ঘদিন থাকা সম্ভব নয়, কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের বের হতেই হবে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে, মাস্ক পরিধান করে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করুন, জনসমাগম একেবারেই এড়িয়ে চলুন, হাত মুখ পরিষ্কার রাখুন, এতে আপনার নিরাপত্তার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যাবে।