Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

পর্তুগাল: কেবল ‘রোনালদো অস্ত্রে’ কি বিশ্বজয় সম্ভব?

২০১৬ সালের ১১ই জুলাই। প্যারিসে স্বাগতিক ফ্রান্সের সাথে ইউরো ফাইনালে মুখোমুখি পর্তুগাল। বহু মানুষ তখনও অবাক, পর্তুগাল কিভাবে ফাইনালে উঠে গেল! অধিকাংশই একমত, ফ্রান্সের সাথে এঁটে উঠা পর্তুগালের পক্ষে অসম্ভব। ম্যাচ তখনও কেবল সূচনাপর্ব শেষ করছে, রোনালদো ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে। কিন্তু নাটকে তখনো যবনিকা পড়েনি। অতিরিক্ত সময়ে এডারের জোরালো শটে পর্তুগাল পেল তাদের ইতিহাসের প্রথম বড় কোনো ট্রফি। হয়তো এরপর থেকেই স্বপ্ন দেখতে ভয় করে না পর্তুগিজরা, কিন্তু আদতে কি বিশ্বকাপও এভাবেই জেতা সম্ভব?

‘রোমান্টিক ফুটবল’ থেকে ‘বোরিং ফুটবল’

পর্তুগালের সোনালী প্রজন্ম; Image Source: jonsfootiethoughts

একসময় পর্তুগালকে বলা হতো ‘ইউরোপের ব্রাজিল’। সেই আমলে ব্রাজিল ছিল সুন্দর ফুটবলের মানদন্ড। ইউরোপিয়ান দলগুলোর যখন পেশিশক্তিভিত্তিক খেলা চলে, তখন পর্তুগাল ছিল সুন্দরের ভক্ত। এরপর সোনালী প্রজন্মের ফিগো-কস্তারাও ধরে রেখেছিলেন সেই ঝান্ডা। তাতে পর্তুগাল ফুটবল রোমান্টিকদের মনোরঞ্জন করতে পেরেছিলো ঠিকই, কিন্তু তাদের ট্রফি ভান্ডার ছিলো রিক্ত। ফিগোদের অবসরের পর পর্তুগাল ফুটবলে বেশ বড় প্রতিভার মন্দা আসে। সেই সাথে তাদের খেলাও হারাতে থাকে সৌন্দর্য। তাতে কী? এবার ফুটবল রোমান্টিকদের মনোরঞ্জন না হলেও নিজেদের ইতিহাসের আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন রোনালদোরা বোরিং খেলেও ইউরো জিতিয়ে। উপরন্তু একইসাথে উঠে আসছে একঝাঁক নতুন প্রতিভা।

এক নজরে পর্তুগাল দল

গোলরক্ষক: প্যাট্রিসিও, বেতো, লোপেস
ডিফেন্ডার: ব্রুনো আলভেস, রুই, পেপে, ফন্তে, গুরেরো, পেরেইরা, সেড্রিক, দিয়াস
মিডফিল্ডার: আদ্রিয়েন সিলভা, ফার্নান্দেস, জোয়াও মারিও, মারিও ফার্নান্দেস, কারভালো, মোটিনহো
আক্রমণভাগ: রোনালদো আন্দ্রে সিলভা, বার্নার্ডো সিলভা, গুয়েডেস, গেলসন, কোয়ারেসমা

এবার দেখে নেয়া যাক পজিশন ভিত্তিক শক্তি বা দুর্বলতা।

রক্ষণ

পর্তুগালের অহংকার করার জন্য যদি ক্রিশ্চিয়ানো থাকেন, তবে ভয় পাওয়ার জন্য আছে তাদের রক্ষণ। রক্ষণে তাদের কোচের সিলেকশনও বেশ বিতর্কিত। রাইটব্যাকে পর্তুগালের ছিল বিশ্বের উদীয়মান সেরাদের দুজন ক্যান্সেলো ও বার্সার সেমেদু। কোচ তাদের কাউকে ডাকেননি। এর পেছনে যুক্তি থাকতে পারে কোচ আক্রমণাত্মক রাইটব্যাক চান না। তাই বেছে নিয়েছেন সাউদাম্পটনের সেড্রিককে, যিনি আদতে বেশিই রক্ষণাত্মক। ব্যাকআপে থাকছেন পেরেইরা, যিনি দুই ব্যাকেই খেলতে পারেন। লেফট ব্যাকে আছেন রাফায়েল গুরেইরো। খুব সহজভাবে বললে, গুরেইরো মার্সেলোর ছোট সংস্করণ। প্রচন্ড প্রতিভাবান ও মৌলিক ধাঁচের খেলোয়াড়, যিনি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডেও খেলতে পারেন। গুরেইরোর রক্ষণ বেশ দুর্বল।

বহুবছর পর্তুগালের রক্ষণ সামলে এসেছেন সাবেক রিয়াল তারকা পেপে; Image Source: AS English

সবচেয়ে বেশি চিন্তার বিষয় পর্তুগালের সেন্টার ডিফেন্স। পেপে, ব্রুনো আলভেস ও ফন্টে সবাই ৩৫ এর বেশি বয়সের! এদের সবাই নিজেদের সেরা সময় পেরিয়ে এসেছেন। তারা কি পারবেন স্পেন-জার্মানির মতো দলের গতিশীল আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের সাথে পেরে উঠতে? বেনফিকার উঠতি দিয়াস ডিফেন্সে এনে দিতে পারেন অতি প্রয়োজনীয় একটু কাঠিন্য, কিন্তু দলে তার এখনো গোটা একটি ম্যাচই খেলা হয়নি বড় পরিসরে! তবে যা-ই হোক, নিঃসন্দেহে রক্ষণই পর্তুগালের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।

মাঝমাঠ

মাঝমাঠে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলবেন উইলিয়াম কারভালো। ইউরোতেও তিনি ছিলেন এই পজিশনে দলের মূল ভরসা। তার বদলি হিসেবে ভাবা হচ্ছিলো প্রচন্ড প্রতিভাবান তরুণ রুবেন নেভেসকে। অথচ কোচ তাকে ডাকেননি! এটাও পর্তুগালে জন্ম দিয়েছে বেশ সমালোচনার। একে ডিফেন্স বাজে, সেই সাথে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে অপশনের অভাব- এটাই পর্তুগালকে ভোগাতে যথেষ্ট। সেন্টার মিডে থাকছেন জোয়াও মোটিনহো ও আদ্রিয়েন সিলভা। মোটিনহো তার পড়তি সময়ের দিকে, তরুণ বয়সের মোটিনহো বিশ্বের সেরা মাঝমাঠের খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন, এখনও নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে মাঝমাঠে শৃঙ্খলা নিয়ে আনতে পারেন। আদ্রিয়েন সিলভা প্রচন্ড দক্ষ কেউ না, কিন্তু বেশ কার্যকর, নীরবে নিজের কাজটা করে যেতে পারেন এবং বেশ কয়েকটি পজিশনে খেলতে পারেন।

জোয়াও মারিও মূলত ওয়াইড মিডফিল্ডার, উইং থেকে ভেতরে এসে খেলেন। পর্তুগালের ডিপ লায়িং প্লেমেকার ভূমিকা মূলত তারই। লিসবনের ব্রুনো ফার্নান্দেজ হয়ে উঠতে পারেন সময়োপযোগী কোনো ট্রাম্পকার্ড। সবচেয়ে আফসোসের বিষয় হলো, একসময় উঠতি আন্দ্রে গোমেজ, রেনাতো সানচেজদের ভাবা হচ্ছিল ২০১৮ বিশ্বকাপের মাঝমাঠের ভরসার প্রতীক। তাদের কেউই নিজেদের প্রতিভার সুবিচার করতে পারেননি। তারা যদি সত্যিই নিজেদের মেলে ধরতে পারতেন, পর্তুগাল দারুণ এক মাঝমাঠ নিয়ে রাশিয়া যেত। কিন্তু বলা বাহুল্য, পর্তুগালের মাঝমাঠ অন্য বড় দলগুলোর তুলনায় খুব একটা ভয়ঙ্কর কিছু না।

আক্রমণ

এই জায়গাটা পর্তুগালের বেশ অসাধারণ। প্রথমেই নাম আসে রোনালদোর। রোনালদোর সাথে রয়েছেন তরুণ আন্দ্রে সিলভা। আন্দ্রে সিলভার কাজটা রিয়ালে বেনজেমার মতো, রোনালদোর সাপোর্টিং স্ট্রাইকার হিসেবে কাজ করা। রোনালদো উইংয়ে খেলা শুরু করলেও আদতে তিনি এখন একজন স্ট্রাইকার। কিন্তু একা রোনালদোকে স্ট্রাইকার রেখে যত উইঙ্গারই খেলানো হোক না কেন, রোনালদোকে নিষ্প্রভ লাগে। পর্তুগালের কোচ হল্যান্ডের সাথে এই কাজ করেছিলেন, তিনি ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে আর পর্তুগাল হারে ৩-০ তে। বায়ার্নের সাথে প্রথম লেগেও একই কাহিনী। তাই পর্তুগালের রনের কাছ থেকে সর্বোচ্চটা পাওয়ার জন্য একজন সাপোর্টিং স্ট্রাইকার রাখতেই হবে, যে কাজে আন্দ্রে সিলভা বেশ দারুণ। একইসাথে তার গতি ও গোলের দিকে চোখ দলের জন্য বেশ উপকারী।

একই ফ্রেমে দুই ভবিষ্যৎ আন্দ্রে সিলভা ও গুয়েডেস; Image Source: The Indian Express

পর্তুগালের একঝাঁক উদীয়মান ও প্রচন্ড প্রতিভাবান উইঙ্গার রয়েছে। ম্যানসিটির বার্নার্ডো সিলভা, ফুল ফর্ম ও ফিট থাকলে রাইট উইং কাঁপাতে প্রস্তুত। তার ব্যাকআপ হিসেবে থাকবেন গেলসন মার্টিন্স। গেলসনের কথা বলে রাখা যাক। ডান পায়ের রাইট উইঙ্গার, যেটা এই যুগে প্রায় নেই বললেই চলে। দারুণ গতি ও অ্যাসিস্টের জন্য অনেকেই তার মাঝে ফিগোকে খুঁজে বেড়ায়। তাকে কোচিং করানো সাবেক সব কোচই বলেছেন যে, এই ছোকরা আগামী দুই-তিন বছরের মাঝে বড় কোনো ক্লাবে যাবেই। আর বিশ্বকাপ এমন এক মঞ্চ যেখানে ভবিষ্যৎ বড় তারকাদের আসল মঞ্চায়ন হয়। ৬০ মিনিটের পর যখন প্রতিপক্ষের রক্ষণের খেলোয়াড়দের পা ভারী হয়ে যাবে, তখন গেলসনকে মাঠে নামানোটাই আপাতত কোচের প্ল্যান।

রয়েছেন রিকার্ডো কারেশমা। একসময় তাকে রোনালদোর মতোই প্রতিভাবান ভাবা হতো! কিন্তু সব কুড়ি কি আর ফুল হয়ে ফোটে? কারেশমা রোনালদো হতে পারেননি, কিন্তু পর্তুগাল জাতীয় দলে বেশ নিয়মিত। প্রচুর খেটে খেলেন এবং ইউরো জয়েও ছিলেন নিয়মিত সদস্য। এরপর যার কথা না বললেই নয়, তিনি গঞ্জালো গুয়েডেস। এই গুয়েডেসই এবারের ভ্যালেন্সিয়ার লিগে ভালো করার প্রধান কারণ। মাঝে রিয়ালের মতো ক্লাবে তার যাওয়ার একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো। দুই উইংয়ে ভালো খেলার ক্ষমতা আছে এই পর্তুগিজের, প্লেমেকিংয়েও দারুণ। গঞ্জালো গুয়েডেস, গেলসন, বার্নার্ডো সিলভার মতো উইঙ্গার যে দলে আছে, সেই দলের আক্রমণভাগ নিয়ে বিশেষ বলার আর কী আছে?

বাকিটা কোচের উপর, তিনি কিভাবে তার রসদ ব্যবহার করেন। বলে রাখা ভালো, এখন পর্যন্ত এ তরুণদের ব্যবহারে কোচ সান্তোসের আহামরি কোনো অগ্রগতি নেই।

রোনালদো: একাধারে শক্তি ও সমস্যা

ইউরো ফাইনালে ইঞ্জুরড রোনালদো যখন কোচের ভূমিকায়; Image Source: SportsJOE.ie

একটু অবাক লাগারই কথা, আক্রমণভাগ অংশে এত কথা লেখা হলো অন্যদের নিয়ে, কিন্তু রোনালদোর কথা তো সেই মাফিক বলা হলো না! আসলে রোনালদোই এই দলের মুখ। রোনালদোর দৃঢ়প্রতিজ্ঞাই পর্তুগালের শক্তি। অনেক সমালোচনা থাকতে পারে তাকে নিয়ে, কিন্তু নিঃসন্দেহে বড় মঞ্চে তার পারফর্মেন্সই তার সবচেয়ে বড় শক্তি। রোনালদোই পর্তুগাল কোচের রক্ষণাত্মক খেলার যুক্তি! কারণ তিনি জানেন, রোনালদো থাকা মানে কম সুযোগে গোল হওয়ার সম্ভাবনা সমূহ। তাই তার উদ্দেশ্য থাকে রক্ষণে ক্ষতি কমিয়ে আনা।

পর্তুগাল দলে রোনালদো সবচেয়ে বড় মোটিভেটর। মোটামুটি অখ্যাত এক এডারকে ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের আগে এই রোনালদোই বলেছিলেন, “আমি জানি তোমার দ্বারা গোল করা সম্ভব। যাও, নিজের সেরাটা দাও, ইতিহাস বানাও।” এই এডারই করেছিলেন জয়সূচক গোলটি। ইউরো নকআউটে টাইব্রেকের সময় মোটিনহো পেনাল্টি নিতে ভয় পাচ্ছিলেন। রোনালদোই এগিয়ে এসে বলেন, “তুমি তোমার সেরা শট নেও, যা হয় হবে। আমরা তোমাকে নিয়ে গর্বিত!” ভুলে গেছেন ইউরো ফাইনালে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে ইঞ্জুরড রোনালদোর সেই দৃশ্য? এখনো এই দলের সবাই একজনের মুখের দিকেই চেয়ে থাকে, রোনালদো। সত্যি কথা বলতে, রোনালদোর দৃঢ়প্রতিজ্ঞাই পর্তুগালের দৌড়ের স্থায়িত্ব নির্ণয় করবে।

পর্তুগাল এমন এক দল, যেখানে ঘুরে-ফিরে সব জলই রোনালদোতে এসে পড়ে। রোনালদো এই দলের ভরকেন্দ্র হলে রোনালদোই পর্তুগালের অনেক অপ্রকাশ্য সমস্যার কারণ। বয়সের ভারে ন্যুজ এক ডিফেন্স, গড়পড়তা মাঝমাঠ নিয়েও পর্তুগাল যে ‘জায়ান্ট’ স্ট্যাটাস পায়, তার বড় কারণ এই রোনালদো। ব্রাজিল-জার্মানিতে কোচের ভুল সিলেকশনে যে সমালোচনা হয়, পর্তুগালে তা হয় না। কারণ অনেক পর্তুগিজই ভাবেন, ‘আমাদের রোনালদো আছে’! খোদ মরিনহো পর্যন্ত বলেছেন, “আর্জেন্টিনা ও পর্তুগাল বিশ্বকাপের দাবিদার পুরো দল বিবেচনায় না, কারণ তাদের মেসি-রোনালদো আছে!” আসলে কি পর্তুগাল এক রোনালদোতে তাদের অনেক সমস্যা ঢেকে রাখছে না?

কিছু মূল্যবান প্রশ্ন ও উত্তর

কেন পর্তুগাল ম্যাচ জিতবে?

পর্তুগালের হাতে একদম টপ ক্লাস থেকে মিডক্লাস লেভেলের প্রচুর ট্যালেন্ট আছে এবং যাদের কেন্দ্র রোনালদোতে। রোনালদোর চকিতে একটি বুদ্ধিদীপ্ত মুভমেন্ট যেকোনো ডিফেন্সকে ভাঙতে পারে। সেই স্কিলফুল রোনালদো নেই সত্য, কিন্তু দারুণ কার্যকর এই রোনালদোও যথেষ্ট কোনো ডিফেন্স ভাঙতে। সেজন্যই কোচ রক্ষণাত্মক কৌশল নেবেন রক্ষণ দুর্বলতা ঢেকে রোনালদো-সওয়ার হয়ে পার হতে। বলে রাখা যাক, এভাবে কিন্তু সাফল্যও আছে। ইউরোতে তারা পুরো নকআউটে গোল হজম করেছে মাত্র একটি আর পুরো কোয়ালিফায়ারে মাত্র চারটি।

কেন তারা হারবে?

গড়ে ৩৫ বছর বয়সী সেন্টার ডিফেন্স, গড়পড়তা রাইটব্যাক, মাঝারি মানের গোলরক্ষক আর সাদামাটা মাঝমাঠ নিয়ে কতদূর যাওয়া যায় যদি রোনালদো জ্বলে না উঠেন? কোচ সান্তোসের সিস্টেমে বার্নার্ডো সিলভা সপ্রতিভ নন, গুয়েডেস, গেলসনদের জায়গা নেই বললেই চলে। যদি কৌশল না বদলান, তবে কোয়ারেশমা, জোয়াও মারিওদের দিয়ে ইউরোর পুনরাবৃত্তি অসম্ভব।

কেমন হবে তাদের খেলার ধরন?

একটি দল ঠিক তার কোচের দর্শনের মতোই হয়। খুব আক্রমণাত্মক খেলবে না পর্তুগাল। রোনালদোর সাথে আন্দ্রে সিলভা থাকবে। তিনজনের উপরের মাঝমাঠ হবে মোটিনহো-মারিও-বার্নার্ডো সিলভা নিয়ে, যাদের নিচে থাকবেন কারভালো। প্রচুর প্রেস করবে পর্তুগাল, কারণ কাউন্টার অ্যাটাকে রোনালদো বেশি ভয়ঙ্কর। পর্তুগাল চাইবে সেট পিস ( ফ্রি কিক, কর্ণার) থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে, কারণ আন্দ্রে সিলভা, পেপে, রোনালদো, ফন্তে সবাই ভালো হেডার। রাফায়েল গুরেইরো, জোয়াও মারিও, মোটিনহো, সিলভা এদের সবারই ক্রস প্রচন্ড নির্ভুল। তাদের বাড়ানো বলগুলোর লক্ষ্যই থাকবে রোনালদো। আবারো সেই রোনালদোতেই পর্তুগালের অনেক কিছুই নির্ভর করে আছে।

দিনশেষে পর্তুগালের ভরসার জায়গা রোনালদোই; Image Source: en.onefootball.com

পর্তুগালের ম্যাচগুলোর সূচী

১৫ জুন: স্পেন (রাত ১২টা)
২০ জুন: মরক্কো (সন্ধ্যা ৬টা)
২৫ জুন: ইরান  (রাত ১২টা)

নক আউট পর্বে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ

(ব্রাজিল, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম,  ফ্রান্সকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ধরে)

পর্তুগাল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে: রাশিয়া (শেষ ১৬), আর্জেন্টিনা (কোয়ার্টার), জার্মানি/ইংল্যান্ড (সেমি), ব্রাজিল/স্পেন (ফাইনাল)।

পর্তুগাল গ্রুপ রানার আপ হলে: উরুগুয়ে (শেষ ১৬), ফ্রান্স (কোয়ার্টার), ব্রাজিল/বেলজিয়াম (সেমি), স্পেন/জার্মানি (ফাইনাল)।

কাগজে-কলমে পর্তুগাল বাকি জায়ান্টদের চেয়ে বেশ পিছিয়ে। তবে ভাগ্য ও রোনালদো নিজের জীবনের সেরাটা দিলে বেশ দূর পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব। কিন্তু বিশ্বকাপ জেতা? মনে হয় না পর্তুগাল আদৌ এর জন্য প্রস্তুত।

ফিচার ছবিসত্ত্ব: Mirror

Related Articles