মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে বেশি উপভোগ্য করতে আধুনিক পৃথিবীতে আরো একটি জগৎ রয়েছে। উপভোগের এই উৎসটি দাঁড়িয়ে আছে হাজার কোটি ডলারের উপর। প্রত্যক্ষভাবে বললে, বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের উপর। কয়েকশ’ বছর আগেও হয়তো কেউ ভাবেনি, খেলাধুলা মানুষের নিকট এত গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আর যখন বুঝতে শিখেছে, তখন অর্থের বহর নিয়ে বিনিয়োগকারীরা এর পেছনে অবিরাম ছুটে চলেছেন। যদি ক্লাব ফুটবল, বাস্কেটবল, রাগবি, হকি, রেসিংয়ের বর্তমান জনপ্রিয়তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়, তবে সবার আগে উঠে আসবে বিনিয়োগকারীদের অবদানের বিষয়টি।
ক্রীড়াজগতের এই নীরব প্রতিযোগিতার মাঝে কয়েকটি দল ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে অবস্থান করছে। শিরোপা জয়, অর্থ আয়, খেলোয়াড় বিকিকিনি, বিজ্ঞাপন বাবদ আয়সহ আরো বিশেষ কয়েকটি বিষয়ের উপর পর্যালোচনা করে নির্ভরযোগ্য কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রতি বছর ক্রীড়াজগতের সব থেকে দামি দলের তালিকা তৈরি করে। প্রতিবারের মতো এবারও ফোর্বস এবং ইনভেস্টোপিডিয়া ২০১৯ সালের দামি দলগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে। তাদের উল্লেখিত তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ ১০টি দামি দল সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
১. ডালাস কাউবয়েজ
বর্তমান বিশ্বের সব থেকে দামি ক্লাব ডালাস কাউবয়েজ। মার্কিন এনএফএল লিগের এই রাগবি দলটির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্যমতে, সর্বশেষ ১২ বছর ধরে ন্যাশনাল ফুটবল লিগ (NFL) এর সব থেকে দামি ক্লাবও এটি। টেক্সাসের এলিংটন থেকে পরিচালিত ক্লাবটি গত দুই দশকে কোনো শিরোপা না জিতেও ধারাবাহিকভাবে তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করায় ক্রীড়াজগতে বেশ আলোচিত হয়েছে।
কাউবয়েজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার জেরি জোনস ১৯৮৯ সালে মাত্র ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে দলটি কিনে নেন। তার অধীনে ক্লাবটিতে এখন অবধি প্রায় ৮.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। তবে সর্বশেষ বড় বিনিয়োগটি হয়েছিল ২০০৯ সালে স্টেডিয়াম নির্মাণকালে। সেবার ১.২ বিলিয়ন ডলার খরচ করে স্টেডিয়াম নির্মাণ করেন জেরি জোনস। অতঃপর ২০১৩ সালে ৪০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যে স্টেডিয়ামটির নামস্বত্ব বিক্রি করেন তিনি। বর্তমানে নাম চুক্তিটি নবায়ন করে ৬০০ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে।
২. নিউ ইয়র্ক ইয়াঙ্কিস
টানা চতুর্থবারের মতো আমেরিকান বেসবল দল নিউ ইয়র্ক ইয়াঙ্কিস পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ক্লাবের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের দলটি গত বছর তালিকার ৫ নম্বরে ছিলো। চলতি বছর ইস্ট ডিভিশন শিরোপা জেতার কারণে আয় বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দলটির এমন অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, গত বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে রেকর্ড ২৭ বারের ওয়ার্ল্ড সিরিজ জয়ীদের।
দামি ক্লাবের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও ইয়াঙ্কিস সর্বশেষ মেজর লিগ বেসবল শিরোপা জিতেছিল ২০০৯ সালে। নিউ ইয়র্ক থেকে সরাসরি পরিচালিত দলটির মালিকানা ইয়াঙ্কি গ্লোবাল এন্টারপ্রাইসের। ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি নিউ ইয়র্কে স্থানান্তরিত হয় ১৯০৩ সালে। তবে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দলটি আমেরিকান বেসবল লিগে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে। অতঃপর ১৯৬৯ সালে ইস্ট ডিভিশন লিগেও নিয়মিত হয়েছে ক্লাবটি।
৩. রিয়াল মাদ্রিদ
ফিফা ঘোষিত শতাব্দীর সেরা ফুটবল দল রিয়াল মাদ্রিদ এখন অবধি ক্রীড়াজগতের তৃতীয় দামি ক্লাব। সর্বোচ্চ ১৩ বার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাজয়ী দলটির বর্তমান বাজারমূল্য ৪.২৪ বিলিয়ন ডলার। গত ৬ বছরে টানা তিনটিসহ মোট চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতায় আয়-ব্যয়ের দিক দিয়েও লাভজনক অবস্থানে রয়েছে স্প্যানিশ এই ক্লাবটি। গত বছর ক্লাব বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে বিক্রি করে রিয়ালের কর্তারা। বিশ্বাসযোগ্য সূত্রমতে, খেলোয়াড় কেনাবেচা এবং ইউরোপিয়ান শিরোপা জেতার কারণেই অর্থনৈতিকভাবে রিয়ালের এমন বৈপ্লবিক উন্নতি ঘটেছে।
এর আগে ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে দামি ক্লাবের তালিকায় শীর্ষস্থান অর্জন করে দলটি। যদিও প্রায় এক দশক ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ফুটবল ক্লাবের তকমাটা রিয়ালেরই ছিল। গত বছর পালাক্রমে ম্যানইউ এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা অর্থনৈতিকভাবে রিয়ালকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়। তবে চলতি বছর আবারও নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থা সংবাদমাধ্যমে খোলাসা করেছেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। এছাড়াও আগামী জানুয়ারির শীতকালীন দলবদলে একাধিক খেলোয়াড় বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে তার।
৪. বার্সেলোনা
গত ২ দশক ধরে ফুটবল দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টিকারী দল বার্সেলোনা। কাতালান এই দলটি নিজেদের ৫টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার ৪টিই জিতেছে এই শতাব্দীতে। এক দশক আগে এসি মিলান, ইন্টার মিলান, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো দলগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বার্সেলোনা আজ তর্কাতীতভাবে বিশ্বের সেরা ফুটবল দল। চলতি বছরের হিসেব অনুযায়ী, দলটির বর্তমান বাজারমূল্য ৪.০২ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের চেয়ে ১% কম।
এক যুগ আগেও অর্থনৈতিকভাবে এতটা ভালো অবস্থানে ছিল না বার্সেলোনা। মূলত দলবদল পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে লাভজনক অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছে তারা। অতীতে লা মাসিয়ান গ্র্যাজুয়েটদের উপর নির্ভরশীল থেকে দল পরিচালনা করতেন ক্লাব কর্তারা। বর্তমানে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বিক্রি করেও উল্লেখযোগ্য অর্থ আয় করেছে দলটি। কয়েক বছর আগে বার্সেলোনার সঙ্গে বাৎসরিক ১৭৫ মিলিয়ন ডলারের নতুন জার্সি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে নাইকি। এছাড়াও আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছেন দলের প্রেসিডেন্ট বার্তামেউ।
৫. নিউ ইয়র্ক নিকস
চলতি বছর টানা চতুর্থবারের মতো ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দামী দলের খেতাব পেয়েছে নিউ ইয়র্ক নিকস। এর আগে ২০১৬ সালে লস অ্যাঞ্জেলস লেকার্সকে হটিয়ে প্রথমবার এনবিএ’র সবচেয়ে দামী দলের খেতাব অর্জন করে। এছাড়াও গত বছরের চেয়ে চলতি বছর অর্থনৈতিকভাবে ১১ শতাংশ বেশি উন্নতি করেছে তারা। সব মিলিয়ে নিউ ইয়র্ক নিকসের বর্তমান বাজারমূল্য ৪ বিলিয়ন ডলার।
সর্বশেষ বছরগুলোতে নিকসের এমন অর্থনৈতিক উন্নতিতে মার্কিন বাস্কেটবল লিগের রূপ সম্পূর্ণভাবে পাল্টে গেছে। প্রায় সবগুলো দলই তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শত মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তবে সাংবাদিকদের মতে, দলের অর্থনৈতিক উন্নয়ের পেছনে টেলিভিশন সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের অবদান সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি নিকসের কর্তারা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সম্প্রচার চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম বছর নিউ ইয়র্ক নিকসকে ১০০ মিলিয়নের অধিক পরিশোধ করবে তারা।
৬. ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
তর্কাতীতভাবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সবথেকে সফল দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দীর্ঘদিন শিরোপা দৌঁড়ে পিছিয়ে থেকেও গত বছর পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফুটবল ক্লাবের খেতাব পেয়েছিল দলটি। যদিও চলতি বছর রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা ম্যানইউকে হটিয়ে শীর্ষস্থান দখল করে নেয়। এর আগে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীনে দুর্দান্ত মৌসুম পার করায় ২০১১ ও ২০১২ সালে সবচেয়ে দামি ক্লাবের খেতাব পেয়েছিল দলটি। চলতি বছর ম্যানইউর বাজারমূল্য ৮ শতাংশ কমে ৩.৮১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
তবে রিয়াল-বার্সার এই যুগে ম্যানইউর অর্থনৈতিক সামর্থ্য ফুটবলবিশ্বকে বারবার বিস্মিত করেছে। শিরোপা না জিতেও দলটির এমন অর্থনৈতিক প্রত্যাবর্তনের অবশ্য বেশ কিছু কারণ রয়েছে। ২০১৫-১৬ মৌসুমে অ্যাডিডাসের সঙ্গে ১ বিলিয়নের জার্সি চুক্তি স্বাক্ষর করে দলটি। এছাড়াও সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ব্যাপক অর্থ আয় করে প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। সে হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থাকে অস্বাভাবিক বলার উপায় নেই।
৭. নিউ ইংল্যান্ড প্যাট্রিয়ট
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রাগবি লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নিউ ইংল্যান্ড প্যাট্রিয়ট বিশ্বের সবচেয়ে দামী ক্লাবের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। ৬০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৭০ সাল থেকে NFL-এ নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে দলটি। এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে একাধিক শিরোপা জেতার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক উন্নতি করেছে তারা। বর্তমানে প্যাট্রিয়ট ক্লাবের বাজারমূল্য ৩.৮ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের চেয়েও ৩ শতাংশ বেশি।
সর্বশেষ ৫ বছরে ৩ বার সুপার বোল শিরোপা জিতেছে নিউ ইংল্যান্ড প্যাট্রিয়ট। এছাড়াও ২০০২ সালে নির্মিত নতুন স্টেডিয়ামে নতুন লাউঞ্জ উদ্বোধন করেন ক্লাবকর্তারা। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, দলের নিয়মিত দর্শক এবং সমর্থকরা ম্যাচ দেখতে কোনো টিকিট কিনতে হয় না। সেক্ষেত্রে ১ বছর মেয়াদী ১৫০০ ডলার মূল্যের মেম্বারশিপ কার্ড কেনেন তারা। দলের শর্তানুযায়ী, প্রত্যেকে কমপক্ষে ২টি মেম্বারশিপ কার্ড নিতে হয়।
৮. লস অ্যাঞ্জেলস লেকার্স
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বাস্কেটবল লিগের দ্বিতীয় মূল্যবান ক্লাব এটি। বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সফলতা না পেলেও এক যুগ আগেও আমেরিকান বাস্কেটবলে জায়ান্টদের কাতারে ছিল দলটি। সরাসরি লস অ্যাঞ্জেলস থেকে পরিচালিত দলটির বর্তমান বাজারমূল্য ৩.৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের থেকেও ১২ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১২ সালে ২০ বছর মেয়াদী সম্প্রচার চুক্তি করেন দলের কর্তারা। চুক্তি অনুযায়ী, টেলিভিশন চ্যানেল টাইম ওয়ার্নার ক্লাবকে ৪ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে।
১৩ বারের চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী লস অ্যাঞ্জেলস লেকার্সে খেলেছেন অগণিত কিংবদন্তি বাস্কেটবল তারকা। শাকিল ও’নিল, কোবি ব্রায়ান্ট, ম্যাজিক জনসন, আবদুল করিমরা তাদের মধ্যে অন্যতম। সর্বশেষ ২০১৮ সালে কিংবদন্তি লেব্রন জেমস লস অ্যাঞ্জেলস লেকার্সে যোগ দেন।
৯. গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্স
চলতি দশকে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করা বাস্কেটবল দল গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্স। মার্কিন বাস্কেটবল লিগের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া তারকা স্টিফেন ক্যারি খেলছেন সেখানে। গত বছরের চেয়ে এই বছর ১৩ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে দলটির বাজারমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৫ বিলিয়ন ডলারে।
এছাড়াও সর্বশেষ ৩ মৌসুমেই এনবিএ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে দলটি। সরাসরি সান ফ্রান্সিসকো থেকে পরিচালিত হয় দলটি। যদিও প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন অবধি সর্বমোট ৩ বার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। ফিলাডেলফিয়া ওয়ারিয়র্স হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় সান ফ্রান্সিসকো ওয়ারিয়র্স। অতঃপর ১৯৭১ সালে সর্বশেষ এটির নাম পরিবর্তন করে গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্স নামকরণ করা হয়। চলতি বছর মৌসুমের শুরুতে ১.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত নতুন স্টেডিয়াম চেজ সেন্টারে নিজেদের নতুন অধ্যায় শুরু করবে গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্স।
১০. নিউ ইয়র্ক জায়ান্টস
সাম্প্রতিক সময়ে ডালাস কাউবয়েজের মতো অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে নিউ ইয়র্ক জায়ান্টস। পূর্বাঞ্চলীয় এই রাগবি দলের বর্তমান বাজারমূল্য ৩.৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থনৈতিকভাবে এমন অভাবনীয় উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দামী রাগবি দলের খেতাব অর্জন করেছে।
দলটি সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ের শিরোপা জিতেছিল ২০১২ সালে। দীর্ঘদিন যাবৎ শিরোপাহীন থেকেও এমন অভাবনীয় উন্নতির পেছনে অবশ্য ধনী বিনিয়োগকারীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। দলের সত্ত্বাধিকারী দুজনই ধনী ব্যবসায়ী। নিউ ইয়র্ক জায়ান্ট গত বছর ১৪৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। ঐতিহাসিক মেটলাইফ স্টেডিয়ামটির মালিকানাও এই রাগবি দলের।
খেলাধুলার চমৎকার, জানা-অজানা সব বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: https://roar.media/contribute/
ফুটবল নিয়ে আরও জানতে পড়তে পারেন এই বইগুলোঃ