১.
ক্রিকেটে একজন ব্যাটসম্যানের জন্য স্ট্রাইক রেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
যুগ ভেদে বিষয়টিতে পার্থক্য হয়। তবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি জানার আগে জেনে নেওয়া উচিত স্ট্রাইক রেট আসলে কাকে বলে? স্ট্রাইকে রেট হচ্ছে বল প্রতি একজন ব্যাটসম্যান কত রান করলেন সেটার হিসাব। সহজ ভাষায়, একজন ব্যাটসম্যান যদি ১০০ বলে ৮০ রান করে, তাহলে তার স্ট্রাইক রেট হচ্ছে ৮০।
ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেটটা দলের চাহিদার সাথে পাল্টে যায়। যেমন- ‘৭০ এর দশকে বেশিরভাগ দলের চাহিদা ছিল ওপেনিং ব্যাটসম্যানরা উইকেট টিকিয়ে রেখে মোটামুটি একটা সম্মানজনক রান করবে, যাতে পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা সেটার সুবিধা নিয়ে একটু দ্রুত রান তুলতে পারে। বর্তমান যুগে আবার ওপেনিং ব্যাটসম্যানদেরকে পাওয়ার প্লের সুবিধা নিয়ে একটু আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে হয়।
তবে এই স্ট্রাইক রেটের সাথে ব্যাটসম্যানের গড় সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। একজন ব্যাটসম্যান ইনিংস প্রতি যে রানটা করে সেটাই হচ্ছে তার গড়। অর্থাৎ কোনো ব্যাটসম্যানের গড় ৪০ এর অর্থ হচ্ছে, ইনিংস প্রতি সেই ব্যাটসম্যান ৪০ রান করেছেন। সাধারণত দেখা যায় যে, ব্যাটসম্যানের গড় যত বেশি, তার স্ট্রাইক রেট তত কম কিংবা যে ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট যতটা বেশি, তার গড় তত কম। বিষয়টি অস্বাভাবিক নয়। কারণ একজন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানের আউট হবার সম্ভাবনা সবসময়ই বেশি থাকে। এই কারণে শহীদ আফ্রিদি (২৩.৫৭ গড় আর ১১৭.০০ স্ট্রাইক রেট), বীরেন্দ্র শেবাগ (৩৫.০৫ গড় আর ১০৪.৩৩ স্ট্রাইক রেট), অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (৩৫.৮৯ গড় আর ৯৬.৯৪ স্ট্রাইক রেট) কিংবা জয়সুরিয়ার (৩২.৩৬ গড় আর ৯১.২০ স্ট্রাইক রেট) মতো ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেট তুলনামূলক বেশি হলেও, গড় তুলনামূলক কম।
অথচ ‘৭০ কিংবা ‘৮০-র দশকের সেরা ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকালে দেখা যায়, তাদের গড় ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি এবং স্ট্রাইক রেট কম। যেমন- ডেসমন্ড হেইন্স (৪১.৩৭ গড় আর ৬৩.০৯ স্ট্রাইক রেট), জাভেদ মিয়াদাদ (৪১.৭০ গড় আর ৬৭.০১ স্ট্রাইক রেট), ডিন জোন্স (৪৪.৬১ গড় আর ৭২.৫৬ স্ট্রাইক রেট)। যেসব মানুষ তাদের নিজ যুগের চেয়ে এগিয়ে থাকে, তারা সাধারণত একটু ‘বিশেষ কিছু’ই হন। আমরা আজ এমনই একজন বিশেষ ব্যাটসম্যানের গল্প শুনবো।
তিনি এমন একজন ছিলেন, যিনি কিনা আক্রমণ করতেন গিলক্রিস্ট কিংবা শেবাগদের মতো, কিন্তু ধারাবাহিক ছিলেন শচীন কিংবা লারার চেয়েও বেশি। তার ব্যাটিং গড় ছিল ৪৭.০০, যা কিনা তার প্রজন্মের সেরাদের চেয়ে তো বেশিই, এমনকি পরের প্রজন্মের শচীন, লারা, পন্টিং কিংবা ক্যালিসদের চেয়েও বেশি। স্ট্রাইক রেট (৯০.২০) এ এদের সকলের চেয়ে এগিয়ে, সমসাময়িকদের সাথে তুলনা করলে চোখ কপালে উঠে যেতে বাধ্য। সবচেয়ে বড় কথা, তার যুগে পাওয়ার প্লে বলতে কিছু ছিল না। সেই অবস্থাতেই তিনি যে গতিতে ব্যাট করেছেন, এখন ব্যাটসম্যানদের জন্য যত সুবিধা, সেগুলো পেলে কী করতেন, তা ভাবলেও অবাক লাগে।
একইসাথে বিধ্বংসী কিন্তু ধারাবাহিক এই ব্যাটসম্যানের নাম ভিভ রিচার্ডস। তাকে বিবেচনা করা হয় সর্বকালের সেরা ওয়ানডে ব্যাটসম্যান হিসেবে।
২.
যিনি স্বভাবগতভাবে আক্রমণাত্মক, তিনি সবজায়গাতেই আক্রমণাত্মক হবেন, সেটা বলাই বাহুল্য। ওয়ানডের মতো টেস্ট ক্রিকেটেও তিনি সমান আক্রমণাত্মক ছিলেন। তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান, যিনি কিনা টেস্টে স্ট্রাইক রেট ১৫০ এর উপরে রেখে সেঞ্চুরি করেছেন।
মনে রাখতে হবে, সময়টি ছিল ১৯৮৬ সাল। সেই ইনিংসেই তিনি টেস্টে সবচেয়ে কম (৫৬) বলে সেঞ্চুরির রেকর্ডটি গড়েন। সেই ইনিংসটি সম্পর্কে সাবেক উইজডেন সম্পাদক শিল্ড বেরি বলেছিলেন, “পুরো ইনিংসটাতে রিচার্ডস যদি কোনো সংশয়ে ভুগে থাকেন, তাহলে সেটি হচ্ছে তিনি চার মারবেন নাকি ছয়।” পরবর্তীতে রেকর্ডটি ভেঙেছিলেন ব্রায়ান ম্যাককালাম, ৫৪ বলে।
মজার বিষয় হচ্ছে, সেসময় ওয়ানডের কম বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল ৭২ বলে, সেটিও ভিভের ছিল। ওয়ানডেতেই ক্রিকেট বিশ্বকে এর চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি দেখতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। জয়াসুরিয়ার ৪৮ বলে সেঞ্চুরির আগে ওয়ানডেতে রেকর্ডটি ছিল আজহার উদ্দিনের, ৬২ বলে।
সময়ের চেয়ে ভিভ কতটা এগিয়ে ছিলেন, সেটির ব্যাপারে আপনাদের একটু ধারণা হয়েছে বলে আশা করা যায়।
৩.
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ডবল সেঞ্চুরি করেছেন শচীন টেন্ডুলকার। কিন্তু সেটি ১৯৮৪ সালে রিচার্ডসের হাতেই হয়ে যেতে পারতো। অপরাজিত ১৮৯ রানের সেই ইনিংসটি উইজডেনের করা গত শতাব্দীর সেরা ১০০ টি ইনিংসের তালিকায় প্রথম হয়েছিল। এরপরের ইনিংসটিও ভিভের, সব মিলিয়ে সেরা ১০০টির মাঝে ভিভেরই ৭টি! প্রথমটির দিকে একটু চোখ বোলানো যাক।
১৯৮৪ সালের ওল্ড ট্রাফোর্ডের সেই ম্যাচটিতে ইংলিশরা বোলিংয়ে যেন আগুন ঝরাচ্ছিল। ১১ রানের মাথাতেই যখন হেইন্স আর গ্রিনিজ আউট হন, তখন মাঠে নামেন রিচার্ডস। তার সামনেই একে একে চলে যেতে থাকেন রিচি রিচার্ডসন, গোমেস, লয়েড আর ডুজন। ১০২ রানের মাথায় মার্শালও চলে গেলে ভিভ বুঝে গেলেন, যা করার তাকেই করতে হবে। ইংলিশ বোলাররা তখন শিকারী বাঘের মতো রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছে। একমাত্র ভিভকে আউট করতে পারলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লজ্জাজনক একটা পরাজয় উপহার দেওয়া সম্ভব। এরকম অবস্থাতে ব্যাটসম্যানরা সচরাচর একটু রক্ষণাত্মক ভঙ্গীতে খেলে। কিন্তু কিসের কী? চিরকাল আক্রমণাত্মক খেলে যাওয়া ভিভ হয়তো ‘Offense is the best defense’ বাক্যটিই মনে মনে আওড়াচ্ছিলেন।
ভিভের ব্যাটটা যেন তলোয়াড়ের মতো ইংলিশ বোলারদেরকে আক্রমণ করতে লাগলো। প্রথমে ব্যাপটিস্টকে নিয়ে একটা জুটি গড়ে তুললেন ৫৫ রানের, যাতে ব্যাপটিস্টের অবদান ছিল ২৬ রান। ১৬৬ রানে জোয়েল গার্নার আউট হবার পরে একপ্রান্ত ধরে রেখে ভিভ খেলতে থাকেন। ৫৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭২ রানে, যেখানে ভিভ অপরাজিত ছিলেন ১৮৯ রানে, আর তার সঙ্গী মাইকেল হোল্ডিংয়ের তাতে অবদান ছিল ১২ রান। মনে রাখতে হবে, দশম উইকেট জুটিতে এই দুজন সংগ্রহ করেছিলেন ১০৬ রান, যা কিনা এখনো দশম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হিসেবে টিকে আছে।
১৭০ বলে অপরাজিত ১৮৯ রানের ভিভের সেই ইনিংসের দিনে গ্রিনিজ, হেইন্স, গোমেজ, রিচি রিচার্ডসন, ডুজন আর লয়েডের মতো সেরা খেলোয়াড়েরা মিলে করেছিলেন ২৮ রান। ইংল্যান্ডের ইনিংসেও ল্যাম্ব বাদে কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। এ থেকেই বোঝা যায়, সেই পিচটি ব্যাটসম্যানদের জন্য অনাবাদীই ছিল। আর এমন পিচেই ভিভের সেই তাণ্ডব! তার সেই ইনিংসের কারণেই ৩ ম্যাচের সিরিজটি ২-১ এ জিতে নেয় উইন্ডিজ। পরবর্তীতে ভিভের এই রেকর্ডটি টিকে থাকে টানা ১৩ বছর। এছাড়া চার নম্বর পজিশনে ব্যাট করে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এখন পর্যন্ত এটিই।
৪.
নিজ যুগের সেরা তো অনেকেই হয়, কিন্তু কালজয়ী কতজন হয়? ভিভ রিচার্ডস কি কালজয়ী হতে পেরেছিলেন?
উইজডেন গত শতাব্দীর সেরা ক্রিকেটার নির্বাচনের জন্য একটা ভোটের আয়োজন করেছিল। সেখানে সেরা পাঁচের একজন ছিলেন ছিলেন ভিভ রিচার্ডস। বাকি চারজন ছিলেন ব্র্যাডম্যান, গ্যারিফিল্ড সোবার্স, জ্যাক হবস আর শেন ওয়ার্ন।
এছাড়া ২০১৫ সালে গত শতাব্দীর সেরা ওয়ানডে খেলোয়াড় নির্বাচনের একটি আয়োজন করে ক্রিকেট মান্থলি। ক্লাইভ লয়েড, মার্টিন ক্রো, রাহুল দ্রাবিড়, ইয়ান চ্যাপেল, গ্রায়েম স্মিথ সহ মোট ৫০ সদস্য বিশিষ্ট জুরিবোর্ডের ২৯ জনের প্রথম পছন্দ ছিলেন ভিভ রিচার্ডস। ভিভের ১৭৯ পয়েন্টের বিপরীতে দ্বিতীয় আর তৃতীয় স্থানে থাকা শচীন টেন্ডুলকার আর ওয়াসিম আকরামের পয়েন্ট ছিল যথাক্রমে ৬৮ আর ৬৬ পয়েন্ট।
অবশ্য যারা শুধু পরিসংখ্যান দেখে সেরা নির্বাচন করে, তাদের চোখে ভিভ পিছিয়ে থাকলেও থাকতে পারেন। যদিও পরিসংখ্যানের দিক থেকেও ভিভ অতুলনীয়। ১২১ টেস্টে ৫০.২৩ গড়ে ৮,৫৪০ রান কিংবা ১৪৭ ওয়ানডেতে ৪৭ গড় ও ৯০ স্ট্রাইক রেটে ৬,৭২১ রান তার গ্রেটনেস বোঝানোর জন্য যথেষ্ট।
কিন্তু ভিভকে বুঝতে হলে এর বাইরের কিছু বিষয়ও আপনাকে মাথায় আনতে হবে। যুগ যুগ ধরেই ফাস্ট বোলারদের সমীহ করে চলেছে ব্যাটসম্যনারা। জেফরি ডুজনের ভাষায়, “সবসময় দেখেছি নতুন ব্যাটসম্যান আসলে ফিল্ডাররা দুই পা এগিয়ে আসে। একমাত্র ভিভ নামলেই ফিল্ডাররা দুই পা পিছিয়ে যেত।” এতটাই অবহেলা করতেন তিনি ফাস্ট বোলারদের যে, ক্যারিয়ারে কখনো হেলমেট পড়ে খেলতে নামেননি তিনি। হেলমেট পড়াটাকে কাপুরুষতা মনে করতেন ভিভ।
মেলবোর্নের একটি ওয়ানডে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমনে ছিলেন লিলি, হগ আর থমসনের মতো ফাস্ট বোলার। হগের একটি বাউন্সার ভিভের চিবুকে চুমু খেয়ে গেল। ভিভ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে আবার সেট হলেন। হগ চাইলেন আরেকটি বাউন্সার দিয়ে ভিভকে ভয় পাইয়ে দিতে। যেন এর জন্যেই অপেক্ষা করছিলেন ভিভ। ব্যাকফুটে কনভেনশনাল হুক করে স্কয়ার লেগের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে পার করে দিলেন। আর কে না জানে যে, মেলবোর্নের মাঠ যথেষ্ট বড়। মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়াটাকে হয়তো কাপুরুষতা ভেবেছিলেন তিনি, জবাবটা তাই ব্যাট দিয়েই দিয়েছিলেন।
‘৯০য়ের দশকের যত ব্যাটসম্যান আছেন, তাদের সবাই মোটামুটি ওয়াসিম আকরামকে সমীহ করে চলতেন। সেই ওয়াসিম বলেছেন, “গাভাস্কার, ক্রোকে বল করা কঠিন ছিল, তবে ভিভকে বল করতে ভয় পেতাম আমি।” ‘৭০-‘৮০ এর দশক ছিল ফাস্ট বোলারদের যুগ। সেসময়ে কপিল, লিলি, ইমরান, হ্যাডলি, উইলিস, বোথাম- কেউই তার হাত থেকে বাদ পড়েনি। বব উইলিস একবার দুঃখ করে বলেছিলেন, “ভিভ আমার ভালো বলগুলোতে চার মারে, খারাপ বলগুলোতে ছয়।”
আমাদের মনে রাখতে হবে যে, বব উইলিসের ওয়ানডেতে ইকোনমি ছিল ৩.২৮।
৫.
অলরাউন্ডার হিসেবেও ওয়ানডেতে যথেষ্ট সফল ছিলেন ভিভ। ওয়ানডেতে ১১৮টি উইকেট আছে, সাথে ১০০টি ক্যাচ। তিনিই প্রথম ক্রিকেটার, যিনি ওয়ানডেতে একই ম্যাচে ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন এবং একইসাথে বোলিংয়ে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন।
এছাড়া একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করার ফলে ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের মাত্র তিনজন খেলোয়াড়ের মাঝে তিনি একজন, যিনি কিনা একই ম্যাচে শতরান করেছেন এবং পাঁচ উইকেট পেয়েছেন।
অধিনায়ক হিসেবেও ভিভ দুর্দান্ত ছিলেন। ১২টি সিরিজে অধিনায়ক ছিলেন তিনি। কোনো সিরিজেই হারেননি, তবে ড্র করেছেন পাঁচটিতে।
ভিভই একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি ফুটবল আর ক্রিকেট দুটোরই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন। যদিও ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলেছিলেন, মূলপর্বে তার দল এন্টিগুয়া যেতে পারেনি।
তবে সবকিছুই ছাপিয়ে যায় ‘৭০ এর দশকেও তার ব্যাটিং করার ধরন। আইপিএল এর ম্যাচে ধারাভাষ্য দেবার সময়ে একদিন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলেছিলেন, “আমি শুধু ভাবি এই মরা পিচে ভিভ টি-২০ খেললে বোলাররা কী করতেন।”
নিজ সময়ের চেয়ে বহুগুণে এগিয়ে থাকা হলো সেরাদের একটি বিশেষ গুণ। সেই গুণে ভিভ শুধু গুণান্বিতই ছিলেন না, বরং পরবর্তী যুগে তার সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো খেলোয়াড়ের আবির্ভাবও আর হয়নি। ক্রিকেটে একমাত্র ভিভ রিচার্ডসকেই ‘কিং’ নামে অভিহিত করা হয়।
ক্রিকেট মাঠে তার পদচারণা দেখলেই বোঝা যায়, নামকরণটা যথার্থই ছিল।
ফিচার ইমেজ: Adrian Murrell/Allsport UK