Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

কেন আইপিএলের নিলামে অবিক্রিত রইলেন সাকিব?

চলতি বিপিএলে অবিশ্বাস্য ফর্মে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা পাঁচ ম্যাচে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতে বলতে গেলে একাই ফরচুন বরিশালের কোয়ালিফায়ার খেলা নিশ্চিত করেছেন। বিপিএলে সাকিবের অসাধারণ খেলাটা অবশ্য নতুন কিছু না, তার খেলা ছয়টি বিপিএলের তিনটিতেই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন এই চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার।

তবে এবারের পারফরম্যান্সটা আলাদা করে নজর কেড়েছে ব্যাট হাতে ঝড়োগতিতে রান তোলার কারণে। চলতি বিপিএলে নয় ম্যাচ খেলে ৩৪.৫ গড়ে ২৭৬ রান করেছেন সাকিব, স্ট্রাইকরেট ১৪৬.৮১। এবারের আসরে শীর্ষ দশ রান সংগ্রাহকদের মাঝে সাকিবের চেয়ে ভালো স্ট্রাইক রেট আছে মাত্র একজনের, তিনি চট্টগ্রামের উইল জ্যাকস। এছাড়া ছক্কা মারার ক্ষেত্রেও সাকিবের উন্নতি বেশ লক্ষণীয়, আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫টি ছক্কা এসেছে তার ব্যাট থেকে। 

চলতি বিপিএল ব্যাটে-বলে সমানতালে পারফর্ম করেছেন সাকিব; Image Credit: Fortune Barishal

এমনিতেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রতি আসরের নিয়মিত মুখ সাকিব আল হাসান, তদুপরি ব্যাটিং পারফরম্যান্সে এমন উন্নতির কারণে অনেকেই ভেবেছিল এবারের মেগা নিলামে হয়তো চড়া দামেই বিক্রি হবেন এই অলরাউন্ডার। তাছাড়া আইপিএলে দলের সংখ্যা দুইটি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সম্ভাবনার পালে আরো জোরালো হাওয়া লেগেছিল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে দুইবার নিলামে উঠেও অবিক্রিত রয়ে গেছেন তিনি! এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই আলোচনার ঝড় উঠে গেছে। কেন এবার অবিক্রিত রইলেন সাকিব? সত্যিই কি বাংলাদেশি বলে অবহেলার শিকার হলেন তিনি, নাকি তার দল না পাওয়ার পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ রয়েছে? 

সাকিবের দল না পাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে আইপিএলের পুরোটা সময়ে তাকে না পাওয়া। আইপিএলের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ আর আইপিএলের শেষদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। যদিও বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে না খেলার কথা বিসিবিকে জানিয়েছিলেন সাকিব। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, এমনকি এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। এই দুইটি সিরিজেই যদি সাকিব বাংলাদেশের হয়ে খেলতেন, তবে এবারের মৌসুমের বড় একটা সময়ে তাকে পাওয়া যেত না। আইপিএলে প্রতিটি দলের একটি নির্দিষ্ট ব্যয়সীমা থাকে, তাই পুরো সময়ের জন্য একজন খেলোয়াড়কে পাওয়া না গেলে তার প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। 

তবে মুদ্রার অন্য পিঠটাও চোখে পড়ে। ইংলিশ ফাস্ট বোলার জোফরা আর্চার গোটা ২০২২ আইপিএল আসরেই ইনজুরির কারণে থাকবেন অনুপস্থিত, ফিরবেন ২০২৩ আসরে। তবে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস তাতে থোড়াই কেয়ার করে তাকে কিনে নিয়েছে চড়া দামেই। তাতে এই মেসেজটাও ছিল পরিষ্কার, প্রয়োজনীয়তা বোধ করলে হয়তো সত্যিই কিনে নেওয়ারও সুযোগ ছিল যেকোনো দলের। সেটা যে হয়নি, বলাই বাহুল্য।       

আইপিএল চলাকালীন বাংলাদেশের রয়েছে দুইটি টেস্ট সিরিজ; Photo by Robert Cianflone/Getty Images

সাকিবের দল না পাওয়ার আরেকটি কারণ ধরে নেওয়া যেতে পারে বিপিএলের নিম্নমান। বিসিবি যতই নিজেদের বিপিএলকে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা লিগ দাবি করুক না কেন, মানের বিচারে এই লিগ যে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই, তা বুঝতে ঠিক ‘রকেট সায়েন্স’ বোঝার প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে বিপিএল ও পিএসএল এবার একই সময়ে হওয়ায় বিপিএল দলগুলোতে তারকা খেলোয়াড়ের উপস্থিতিও ছিল নগণ্য। উপরন্তু, টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে ছিল না ডিআরএস, হঠাৎই যেন টাইম মেশিনে করে ফিরে যাওয়া সেই প্রাচীন যুগটাতে। এরপর এই ‘প্রহসন’ দূর করার লক্ষ্যে আমদানি করা হলো ‘এডিআরএস’, যা নিঃসন্দেহেই যথেষ্ট ছিল না। শেষদিকে অবশ্য কোনোক্রমে সম্ভব হয়েছিল ‘ডিআরএস’-এর ব্যবস্থা করা। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের বিপিএলের মান নিয়ে আরো বেশি প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষত স্পষ্টভাবেই যখন বিপিএল চলছে উল্টো রথে। সাকিবের দল পাওয়া নিয়ে আমাদের প্রত্যাশার বড় কারণ ছিল চলতি বিপিএলে তার অনবদ্য পারফর্মেন্স, সেখানে বৈশ্বিক স্কেলেই বিপিএলেরই যেখানে মূল্য নেই তেমন, সেখানে সেই লিগের পারফর্মেন্স নিয়ে আশা দেখে আর লাভ কোথায়! খোদ সাকিব নিজেই যে বলেছেন, তার হিসেবে বিপিএল হয়তো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট র‍্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ-ছয়ে থাকবে!  

লাভ নেই বলেই বড় দলগুলো হয়তো আগের আইপিএলে সাকিবের ব্যাটিং পারফর্মেন্স দেখেই তাকে মূল্যায়ন করেছেন। আর সেখানেই পিছিয়ে গেছেন তিনি, ৫২ ইনিংসে ১৯.৮৩ গড়ে করেছেন ৭৯৩ রান, আর স্ট্রাইকরেট ১২৪.৪৯। আইপিএলে সাকিব অধিকাংশ ম্যাচ খেলেছেন ৫-৭ নম্বর পজিশনে, সেই বিচারে তার স্ট্রাইকরেটটা বেশ কম। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যাট হাতে সাকিব সেভাবে আলো ছড়াতে পারেনি। তাছাড়া আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিদেশি খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে ম্যাচ উইনারদের বেশি প্রাধান্য দেয়। যে সাকিব এবারের বিপিএলে টানা পাঁচ ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন, সেই সাকিবই আইপিএলে ৫২ ম্যাচ খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মাত্র দুইবার, আর সর্বশেষ ম্যাচসেরার পুরস্কারটি ছিল ২০১২ সালে। 

বর্ষপ্রতি সাকিব আল হাসানের আইপিএল স্ট্রাইকরেট; Image Credit: Arko Saha/Roar Bangla

 

এখন কথা হচ্ছে, সাকিব যেখানে দলই পেলেন না, সেখানে টিম ডেভিডের মতো সিঙ্গাপুরের একজন খেলোয়াড় কীভাবে এত চড়া দামে বিক্রি হলেন? এই ব্যাপারটি বোঝার আগে আপনাকে বুঝতে হবে ঠিক কোন কৌশল অনুসরণ করে আইপিএলের দল সাজানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী, একটি দলে সর্বোচ্চ চারজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলতে পারেন। তাই বিদেশি খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এমন সব বিভাগের খেলোয়াড়দেরই প্রাধান্য দেয়া হয়, যেখানে মানসম্পন্ন ভারতীয় খেলোয়াড়ের সংখ্যা কিছুটা কম। যেহেতু ভারতে মানসম্পন্ন ব্যাটারের তুলনায় পেসারদের সংখ্যা তুলনামূলক কম, তাই বিদেশি খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে পেসারদের স্বভাবতই প্রাধান্য দেয়া হয়। আর এ কারণেই সাকিবের সমান ভিত্তিমূল্য হওয়া সত্ত্বেও মুস্তাফিজকে ঠিকই কিনে নিয়েছে দিল্লী, গত আইপিএল আসরগুলোতে তার পারফরম্যান্সটাও মুস্তাফিজের পক্ষেই কথা বলছে।

পেসারদের পর বিদেশি খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে যে দু’টি বিভাগে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়, সেটি হচ্ছে হার্ডহিটার ব্যাটার ও পেস অলরাউন্ডার। আর ঠিক এ কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিছুটা আনকোরা হওয়া সত্ত্বেও রোমারিও শেফার্ড, ওডেন স্মিথ, টিম ডেভিডের মতো খেলোয়াড়েরা নিলামে চড়া দামে বিক্রি হন। যার দাম নিয়ে অনেকের মনে এত বিস্ময়, সেই টিম ডেভিডের কথাই ধরা যাক। সিঙ্গাপুরের এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ইতোমধ্যে বিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে ফেলেছেন, ৮৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৩৪.৬৯ গড়ে করেছেন ১,৯০৮ রান, স্ট্রাইকরেট ১৫৯.৩৯! আর চলমান পিএসএলে তার স্ট্রাইকরেট শুনলে যে কারো পিলে চমকে উঠতে পারে,  ৩৯.৭১ গড়ে ২৭৮ রান করেছেন ১৯৪.৪১ স্ট্রাইকরেটে! পাঁচ নম্বরে নেমে বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ না করে মারকাটারি এই খেলোয়াড়ের চাহিদা আকাশচুম্বী হওয়াটাই কি স্বাভাবিক না? 

বর্তমান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের অন্যতম হটকেক এই টিম ডেভিড; Ashley Allen/Getty Images for Surrey CCC

আচ্ছা, বোঝা গেল যে পেস অলরাউন্ডার কিংবা হার্ডহিটার ব্যাটারদের চাহিদা বেশি থাকায় তাদের দামও বেশি। কিন্তু স্পিন অলরাউন্ডার হয়েও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দাম তাহলে কেন ১০ কোটি রূপি ছাড়িয়ে গেল?

এক্ষেত্রে দু’টি বিষয় কাজ করেছে – প্রথমত লঙ্কান এই তরুণ লেগ স্পিনারের টি-টোয়েন্টি ফর্ম খুবই ভালো, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানটা তারই দখলে রয়েছে। তবে এর চেয়েও বড় কারণ হয়তো সাত নম্বরে নেমে দ্রুতগতিতে রান করতে পারার ক্ষমতাটা। লেগ স্পিনার হিসেবে অ্যাডাম জাম্পার সাম্প্রতিক ফর্ম কিন্তু এই হাসারাঙ্গার চেয়ে বেশ ভালো, এরপরও শুধু এই ব্যাটিং সামর্থ্যের কারণে হাসারাঙ্গা চড়া দামে বিক্রি হন আর জাম্পা রয়ে যান অবিক্রিত! তাছাড়া ভারতের বিপক্ষে কিছুদিন আগে হওয়া যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে হাসারাঙ্গার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

আগেই বলেছি, সম্ভবত পূর্বের আসরগুলোতে প্রত্যাশার তুলনায় নড়বড়ে পারফরম্যান্সের কারণে এই ফরম্যাটে সাকিবের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে হয়তো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সন্তুষ্ট ছিল না। এখন শুধু বোলিং দিয়ে চিন্তা করলে সাকিব হচ্ছেন বাঁহাতি ফিঙ্গার স্পিনার। ভারতজুড়ে এ ধরনের স্পিনারের অভাব নেই, তাই এই ক্যাটাগরির খেলোয়াড়ের জন্য বিদেশি খেলোয়াড় বেছে নিতে অনেকেই সেভাবে আগ্রহী হয় না। আইপিএলের সফলতম দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কথাই ধরা যাক। হরভজন সিং আর প্রজ্ঞান ওঝা চলে যাওয়ার পর তারা সেভাবে কখনোই নামকরা স্পিনারদের পেছনে ছোটেনি। বরং কিছুটা অনভিজ্ঞ ঘরোয়া লিগের স্পিনারদের নিয়ে দল সাজাতেই তারা বেশি আগ্রহী, এই মৌসুমেও তারা একই কৌশল বহাল রেখেছে। কলকাতাও ভরসা রেখেছে সুনীল নারাইনে। 

গত মৌসুমে ভালো পারফর্মেন্সের পুরস্কার হিসেবে এই মৌসুমে মঈনকে রিটেইন করেছে চেন্নাই; Photo Credit; CSK FB page

এতগুলো কারণ সত্ত্বেও সাকিব আইপিএলে দল পেতে পারতেন, যদি তার ভিত্তিমূল্য কিছুটা কম হত। সাকিবের মতোই স্পিনিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীকে সাকিবের পুরনো দল কলকাতা নাইট রাইডার্স শেষ মুহূর্তে দলে ভিড়িয়েছে, কারণ সাকিবের ভিত্তিমূল্য যেখানে দুই কোটি টাকা, সেখানে নবীর ভিত্তিমূল্য ছিল এক কোটি টাকা। নিলামের শেষদিকে এমনিতেই বাজেট নিয়ে টানাটানি থাকে, তাই এই ভিত্তিমূলের পার্থক্যই অনেক বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এখন হয়তো অনেকে মঈন আলীর উদাহরণ আনতে পারেন, গত মৌসুমে মঈনের পারফর্মেন্স এতটাই ভালো ছিল যে চেন্নাই তাকে রিটেইন করেছে। সাকিব যদি গত মৌসুমে কলকাতার হয়ে এমন নজরকাড়া পারফরম্যান্স দিতে পারতেন, তাহলে কলকাতাও হয়তো সাকিবকে দুই কোটি টাকা ভিত্তিমূল্যেই কিনে নিত। কিন্তু গত মৌসুমে সাকিবের পারফরম্যান্স গড়পড়তা হওয়ায় এই সম্ভাবনার দুয়ারও বন্ধ হয়ে গেছে। 

তাহলে বাংলাদেশি বলে সাকিবকে অবহেলা করা হয়েছে – এ অভিযোগটি কি সম্পূর্ণ ভুল? দেখুন, আইপিএলের কোচিং স্টাফদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া আর নিউ জিল্যান্ডের প্রাধান্য থাকায় এই দুই দেশের খেলোয়াড়দের আইপিএলে সুযোগ পাওয়ার রাস্তা কিছুটা সহজ হয়েছে, এটা হয়তো ঠিক। কিন্তু তাই বলে তারা ইচ্ছা করে একজন যোগ্য খেলোয়াড়কে বাদ দেয়ার মতলব আঁটবেন, এমনটা ভাবার বিশেষ কোনো কারণই নেই। উল্টো বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় নিতে পারলে দলগুলোর একদিক থেকে লাভই হয়, জনবহুল এই দেশে ক্রিকেট এতটাই জনপ্রিয় যে বাংলাদেশী খেলোয়াড়রা যে দলের হয়ে খেলবেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই দলের সমর্থকও অনেকটাই বেড়ে যায়। 

২০১৯ বিশ্বকাপের মতো ২০২২ বিশ্বকাপেও সেই অদম্য সাকিবকে দেখার অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী; Photo by Harry Trump-ICC/ICC via Getty Images

সবমিলিয়ে এগুলোই হচ্ছে সাকিব আল হাসানের অবিক্রিত থাকার মূল কারণ। তবে এটাও ঠিক, ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো একটু অন্যভাবে ভাবলেই সাকিব ঠিকই আইপিএলে দল খুঁজে পেতেন। কিন্তু দল খুঁজে পাননি বলে সাকিবের অনেক বড় অসম্মান হয়ে গেল, এমনটা ভাবারও বিশেষ কোনো কারণই নেই। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়োন মরগ্যান, অ্যারন ফিঞ্চ কিংবা এ যুগের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথও এবারের নিলামে অবিক্রিত থেকে গেছেন। এমনকি দল পেয়েও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আরেক ‘হট কেক’ ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়। আইপিএল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ সেটা যেমন সত্যি, ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হচ্ছেন সাকিব আল হাসান, সত্যি সেটাও। এই দুই প্রতিষ্ঠিত সত্যের পরও সাকিবের আইপিএলে সুযোগ পাওয়া-না পাওয়া খুব বড় একটা প্রভাব ফেলবে না।  

২০১৯ আইপিএলে মোহাম্মদ নবীর কাছে জায়গা হারানোর ঝাল যেভাবে ২০১৯ বিশ্বকাপে মিটিয়েছিলেন, সেভাবে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিব নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো পারফর্ম করবেন, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। আর সেই প্রত্যাশা পূরণের পথে প্রথম ধাপটা হতে যাচ্ছে মোহাম্মদ নবীরই স্বদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সাকিব এবারও পারবেন তো? 

This article is in Bangla language. In this article, we've tried to find out the reasons why Sakib Al Hasan remained unsold in the recent IPL mega auction. References are hyperlinked inside the article.

Featured Image: INDRANIL MUKHERJEE/AFP/GettyImages

Related Articles