কম্পিউটার উদ্ভাবন ইতিহাসের প্রথম দিকে একটু তাকানো যাক। গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসে প্রবেশের যুগে যে যন্ত্রটি কম্পিউটার ব্যবহার সহজতর করার কথা, হাস্যকরভাবে সেই যন্ত্রের নামটাই হলো জবরজং ধরনের: ‘X-Y Position Indicator for a Display System’। পরবর্তীতে আশ্চর্যজনকভাবে কম্পিউটারের এই ডিভাইসটির নাম পরিবর্তন হয়ে গেল সবচেয়ে আকর্ষণীয় নামের যন্ত্রে। মাউস নামের এই ডিভাইসটি উদ্ভাবনের কৃতিত্ব ডগলাস এঙ্গেলবার্টের। কিন্তু নিজের এই উদ্ভাবনের জন্যে তিনি কখনো রয়েলটি উপভোগ করতে পারেননি। জেরক্স ৮০১০ স্টার ইনফরমেশন সিস্টেম নামের যে পার্সোনাল কম্পিউটারের সাথে মাউস প্রথমবারের মতো দুনিয়ার সাথে পরিচিত হলো সেটিও মুনাফা অর্জনে তার মতোই ব্যর্থ হয়েছিল।
ডগলাস এঙ্গেলবার্ট তখন মাত্র ২৫ বছরের যুবক, সদ্য এঙ্গেজমেন্ট সেরেছেন। পঞ্চাশের দশকে পৃথিবী পাল্টে ফেলার জন্যে নিজের ভেতরে এক প্রবল ধরনের উদ্দীপনা অনুভব করলেন। এই উদ্দীপনাই তার উদ্ভাবনের অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। সে সময়টাতে বেশ ভালো একটি সরকারি চাকরি থাকলেও তিনি এমন কিছু করতে চাইছিলেন যা তাকে ইতিহাসব্যাপী অমর করে রাখবে। একটিমাত্র স্ট্রোকে তার মাথায় যে ধারণাটি ভেসে এলো সেটাকে তথ্য প্রযুক্তি যুগের একটি পূর্ণাঙ্গ ভিশনই বলা চলে। মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যে প্রযুক্তির যে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এরকম একটি চিন্তা থেকে তার ক্যারিয়ারের ভ্রমণ শুরু হলো অন্য একটি দিকে। এই ধারণাটিই ইন্টারনেট এবং আধুনিক পার্সোনাল কম্পিউটার উদ্ভাবনের ইতিহাস শুরু করলো।
এঙ্গেলবার্ট যখন কম্পিউটার ফিল্ডে প্রবেশ করেছিলেন কম্পিউটার যন্ত্রটি তখন একেবারে শৈশবকালে ছিল। বিশালাকারের রুমে এই শিশু কম্পিউটারকে জায়গা দিতে হতো এবং একই সময়ে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি তার সাথে ইন্টার্যাক্ট করতে পারতো। পাঞ্চ কার্ডে করে সে যুগে ইনপুট দিতে হতো এবং কয়েক ঘন্টার আগে আউটপুট পাওয়ার কোনো উপায় ছিল না। আজকের মতো ইন্টার্যাকটিভ কম্পিউটার তখন শুধু কল্পকাহিনীগুলোতেই বিরাজ করতো।
এঙ্গেলবার্ট চিন্তা করতেন কম্পিউটার স্ক্রিনে অনেকগুলো চিহ্ন থাকবে যেগুলোতে ক্লিক করে ইউজার বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করবে। বুঝাই যাচ্ছে, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের ধারণাটি তার মাথায় এভাবেই এসেছিল। এই ভাবনাটি খুব সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নেভিতে রাডার কনসোলে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে প্রভাবিত। তার আরেকটি অন্তর্দৃষ্টি ছিল যে, গবেষকরা যদি ছোট গ্রুপে কাজ করে এবং সবাই মিলে কম্পিউটারের ক্ষমতা শেয়ার করতে পারে তাহলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি তুমুলবেগে ঘটবে। তিনি এই পদ্ধতিটির নাম দিয়েছিলেন বুটস্ট্র্যাপিং। তিনি বিশ্বাস করতেন এভাবে গবেষকদের ‘কালেকটিভ আইকিউ’ বৃদ্ধি পাবে।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ে স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটে তিনি একটি পরীক্ষামূলক গবেষণা দল প্রতিষ্ঠিত করেন। এই ইউনিটের পেছনে বিমানবাহিনী, নাসা ও প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি শাখার অর্থসাহায্য ছিল। এরপরে ১৯৬৮ সালের ডিসেম্বরে স্যান ফ্র্যান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত ফল জয়েন্ট কম্পিউটার কনফারেন্সে তখনকার সবচেয়ে মেধাবী এক হাজারেরও বেশি কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের সামনে আধুনিক কম্পিউটিং ধারণার একটি চমকপ্রদ প্রদর্শনী দেখিয়ে প্রযুক্তি দুনিয়ায় তিনি একরকম আগুন ধরিয়ে দেন।
এই ইভেন্টে এঙ্গেলবার্ট একটি মাউস ও কিবোর্ডের সামনে বসে তার পেছনের ২২ ফুট উঁচু ভিডিও স্ক্রিনে ডিসপ্লে স্থাপন করেন। তিনি দেখান একই গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানীদের মধ্যে কীভাবে নেটওয়ার্কযুক্ত একটি ইন্টার্যাকটিভ কম্পিউটিং সিস্টেমে তথ্য শেয়ার করা যায়। চার বছর আগে উদ্ভাবন করা মাউস দিয়ে কীভাবে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা দেখান। তিনি টেক্সট এডিটিং, ভিডিও কনফারেন্সিং, হাইপারটেক্সট দেখান। এক ঘণ্টার এই প্রদর্শনীটি এতোই চমকপ্রদ যে পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘The Mother of All Demos’। তার দেখানো এই প্রযুক্তিই পরবর্তীতে জেরক্সের পালো অ্যাল্টো রিসার্চ সেন্টারে আরো পরিণত হয় এবং ১৯৮০ সালে অ্যাপল ও মাইক্রোসফট এটাকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য পরিবর্তন করে এবং আধুনিক জীবনযাপনের গতিপথ পালটে দেয়।
ডগলাস কার্ল এঙ্গেলবার্ট ১৯২৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্যের পোর্টল্যান্ড শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কিশোর বয়সের একটা বড় সময় পোর্টল্যান্ডের একটি খামারে তার সময় কাটে। ১৯৪২ সালে ওরেগন স্টেট কলেজে তিনি ভর্তি হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তিনি দুই বছর নেভিতে কাটান। এই সময়ে তিনি রাডার টেকনিশিয়ান হিসেবে ফিলিপাইনে কাজ করেছিলেন।
একদিন ছোট একটি দ্বীপের লাইব্রেরিতে ‘As We May Think’ নামের একটি প্রবন্ধে তার চোখ আটকে যায়। ভ্যানিভার বুশ নামের একজন পদার্থবিদ এই প্রবন্ধে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সায়েন্টিফিক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসকে একটি ‘ইউনিভার্সাল ইনফরমেশন রিট্রাইভাল সিস্টেম’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। এই আইডিয়াটি এঙ্গেলবার্টের মাথায় গেঁথে যায়। যুদ্ধের পরে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সরকারি অ্যারোস্পেস ল্যাবরেটরিতে তিনি চাকরি পান। সেখানে অ্যারোস্পেস প্রকৌশলীরা তাদের ডিজাইনের ছোট মডেল দিয়ে কাজ শুরু করতেন এবং পরে এটাকে স্কেল করে একটি সম্পূর্ণ আকারের অ্যারোপ্লেনে রুপ দিতেন। এই স্কেলিংয়ের আইডিয়াও তাকে বেশ ভাবিয়েছিল।
যুদ্ধশেষে বার্কলিতে পিএইচডি শেষ করে তিনি স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটে (এসআরআই) যোগদান করেন। এসময়ে তিনি মাইক্রোইলেকট্রনিক্সে স্কেলিংয়ের গুরুত্ব বিষয়ক একটি পেপার লিখেন। বাণিজ্যিকভাবে ট্রানজিস্টর প্রস্তুতির পদ্ধতি উদ্ভাবনের এক বছর পরে ১৯৬০ সালে তিনি এটি প্রকাশ করেন।
একটা পয়েন্টিং ডিভাইস যেটা ডেস্কের উপরে ঘুরপাক খাবে অর্থাৎ মাউসের আইডিয়া তার মাথায় এসেছিল ১৯৬৪ সালে। কম্পিউটার গ্রাফিক্সের একটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণের সময়ে ধারণাটি হঠাৎ তার মাথায় খেলে যায়। অবশ্য এর আগে থেকেই তিনি কম্পিউটার ডিসপ্লেতে কীভাবে কার্সর নড়ানো যায় তা নিয়ে চিন্তা করছিলেন। কনফারেন্স থেকে ফেরার পরে তার আইডিয়ার একটি স্কেচের কপি বিল ইংলিশকে দিয়েছিলেন। বিল ইংলিশ ছিলেন স্ট্যানফোর্ডের একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সে সময়ে অবশ্য মাউসের সদৃশ অনেকগুলো ডিভাইস নিয়েই গবেষণা করা হচ্ছিল যেমন: লাইট পেন, জয়স্টিক। কিন্তু এঙ্গেলবার্ট ও বিল ইংলিশ সবচেয়ে কার্যকরী একটি ডিভাইস তৈরির কথা ভাবছিলেন।
১৯৬৬ সালে তারা নাসার কাছে ফান্ডিংয়ের জন্যে আবেদন করেছিলেন। এই ফান্ডিংয়ের টাকায়ই পরবর্তীতে অনেকগুলো ছোট ছোট পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের গবেষণা অগ্রসর হচ্ছিল। একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। কম্পিউটার স্ক্রিনের যেকোনো পজিশনে একটি অবজেক্ট তৈরি করে বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে কার্সর সেই অবজেক্টের কাছে আনতে ঠিক কতটুকু সময় লাগে তা পরিমাপ করা হয়। খুব দ্রুতই দেখা গেল যে মাউস বাকি সবগুলো ডিভাইসকে হারিয়ে দিয়েছে। লাইট পেনের মতো ডিভাইসগুলো অনেক সময় নিচ্ছিল। ইউজারকে বারবার পয়েন্টারটি পিকাপ করতে হচ্ছিল যা খুব ক্লান্তিকর।
কম্পিউটার মাউসের প্রথম প্রোটোটাইপটি তৈরি করা হয় ১৯৬৪ সালে। সেই মাউসের কর্ড ছিল সামনে কিন্তু শীঘ্রই তারা এটাকে পেছনে নিয়ে আসেন। প্রথমদিকের ভার্সনগুলোতে বাটন ছিল তিনটি কারণ তখনকার কেইসগুলোতে তিনটির বেশি বাটন জায়গা হতো না। এঙ্গেলবার্টের ধারণা ছিল ১০টি বাটন ব্যবহার করা সবচেয়ে সুবিধাজনক। দুই দশক পরে স্টিভ জবস যখন ম্যাকিন্টোশ কম্পিউটারে মাউস যুক্ত করেছিলেন সেখানে একটিমাত্র বাটন ছিল। ম্যাকিন্টোশের ডিজাইনাররা সরল এবং সহজ ডিজাইনে বিশ্বাস করতেন। আর স্টিভ জবস একটিমাত্র বাটন বেছে নিয়েছিলেন কারণ তাতে ভুল বাটনে ক্লিক করার কোনো সম্ভাবনা থাকেনা।
প্রথম মাউসটির কেইস আজকের দিনের মাউসের চেয়ে দুইগুণ উঁচু ছিল এবং কেইসটি ছিল একটি কাঠের বাক্স। প্রোটোটাইপ মাউসটি নাড়াচাড়া করা যেত এর নিচে থাকা দুইটি হুইলের সাহায্যে। একটি আনুভূমিক হুইলের সাথে সমকোণে উল্লম্ব আরেকটি হুইল ছিল। মানুষের হাতে যেন মাউস স্বাচ্ছন্দ্যভাবে ধরা যায় সেরকম ডিজাইন করা শুরু হলে হুইলের জায়গায় ট্র্যাকবল ব্যবহার শুরু হয়। আর আজকের দিনে সে জায়গা নিয়েছে লেজার এবং এলইডি কিন্তু এদের সবার কাজ করার মূল ভিত্তিটি একই। মাউসের নড়াচড়ার দূরত্ব আর গতির রেকর্ড করে কম্পিউটার তা ডিসপ্লে স্ক্রিনে প্লট করে।
১৯৬৭ সালে এঙ্গেলবার্ট পেটেন্টের জন্যে আবেদন করেছিলেন এবং ১৯৭০ সালে পেটেন্টটি পান যেখানে যন্ত্রটিকে বর্ণনা করা হয় ‘X-Y position indicator for a display system’। এঙ্গেলবার্ট নিজের উদ্ভাবন সম্পর্কে বলেছিলেন:
It was nicknamed the mouse because the tail came out the end.
এঙ্গেলবার্ট মাউস উদ্ভাবন করেছিলেন তার অনলাইন সিস্টেম এনএলএস ন্যাভিগেট করার জন্যে। এটাকে একরকম আধুনিক ইন্টারনেটের প্রথম ভার্সন বলা যায়। ১৯৮০ সালে যখন মাউস বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হলো তিনি তা থেকে কোনো রয়েলটি পাননি। তিনি পেটেন্টটি পেয়েছিলেন এসআরআইয়ের একজন অ্যাসাইনর হিসেবে। এসআরআই অ্যাপলকে প্রায় চল্লিশ হাজার ডলারে মাউসের লাইসেন্স দিয়েছিল কিন্তু এঙ্গেলবার্ট তা থেকে কোনো টাকাই পাননি! একটি ইন্টারভিউতে তিনি এই ব্যাপারে বলেন:
SRI patented it, but they really had no idea of its value. Some years later I learned that they had licensed it to Apple for something like $40,000.
১৯৭১ সালে বিল ইংলিশ জেরক্সে যোগদান করেন। তখন মাউস প্রযুক্তিটি এঙ্গেলবার্টের ল্যাব থেকে জেরক্সের পালো অ্যাল্টো রিসার্চ সেন্টারে জায়গা করে নেয়। জেরক্সই প্রথম কোম্পানি যারা কম্পিউটারের সাথে মাউস বিক্রি করেছিল। কিন্তু তখনও মাউস শব্দটি অভিধানের অংশ হয়ে উঠেনি। পরে অ্যাপল তাদের ম্যাকিন্টোশ পিসির সাথে মাউসকে একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বানিয়ে ফেলে। ১৯৯০ এর দশকে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ও ওয়েব ব্রাউজারগুলোর আবির্ভাব মাউসের পরিব্যাপ্তিকে ত্বরান্বিত করেছিল।
এই ডিভাইসের নাম কখন মাউস হলো সে ব্যাপারে সঠিকভাবে কেউ বলতে পারেনি। হার্ডওয়্যার ডিজাইনার রজার বেইটস দাবি করেন এই নামকরণ বিল ইংলিশের মাধ্যমে হয়েছে। বেইটস তখন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন এবং বিল ইংলিশ ছিলেন তার শিক্ষক। গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের প্রথমদিকের সময়ে কার্সরের একটি টার্ম ছিল CAT যেখান থেকে ডিভাইসটির নামকরণ হয়েছে মাউস। বেইটসের দাবি অনুযায়ী তাদের কাছে মনে হয়েছিল কার্সরটি লেজযুক্ত ডেস্কটপ ডিভাইসকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
২০০৮ সালে লজিটেক দাবি করে তারা এই পর্যন্ত প্রায় এক বিলিয়ন মাউস তৈরি করেছে। প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগার স্টিভ প্রেন্টিসের ভাষায় এই সংখ্যাটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের প্রভাব নির্দেশ করে যার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে মাউস। অবশ্য ভবিষ্যতে টাচ স্ক্রিনের বহুল ব্যবহারে মাউস বিলুপ্ত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। স্টিভ প্রেন্টিসের ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে: মাউস একটি বিপন্ন ডিভাইস যেটা আগামী পাঁচ বছরেরও কম সময়ে ফ্লপি ডিস্ক, পাঞ্চ কার্ড ও অন্যসব কম্পিউটার টেকনোলজির মতো জাদুঘরে জায়গা নিবে যেগুলো এককালে ডেস্কটপে বিশ্বস্ত কর্মচারির মতো নিজেদের কর্তব্যপালন করে গেছিল।