শখের বশে রান্না করতে কার না ভালো লাগে? কিন্তু সেটা যদি হয় গিনেজ বুকে রেকর্ড গড়তে, তাহলে তো আর কথাই নেই!
হ্যাঁ, বলছিলাম টানা ১০০ ঘন্টা রান্না করা নাইজেরিয়ান রাঁধুনি হিলদা বাচির কথা। গিনেস বুকে রেকর্ড গড়তে গত ১১ মে তিনি প্রবেশ করেন তার সাজানো-গোছানো রান্না ঘরে। এর পূর্বে ছোট্ট একটি নোটবুকে তিনি টুকে নেন কাজের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত। টানা ১০০ ঘন্টার এ বিরতিহীন রান্না চলে ১৫ তারিখ রাত পর্যন্ত। এর মধ্যে তিনি তৈরি করে ফেলেন স্থানীয় নাইজেরিয়ানদের পছন্দের সব ভোজন। যেখানে ছিল প্রায় ১২ পদের লোভনীয় সব সুস্বাদু খাবার।
আমিষে ভরপুর এসব খাবারের পাশাপাশি পশ্চিম আফ্রিকার জনপ্রিয় খাবার জলফ ভাতও ছিল বাচির রান্না করা খাবারের পসরায়। জলফ ভাত রান্নায় চিকন-লম্বা চালের সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণে পেয়াজ, মরিচ, লবণ, সবুজ-লাল শাক-সবজি ও মাংসের সংমিশ্রণে তৈরি হয় এটি।
রান্না চলাকালীন সময়ে প্রতি এক ঘন্টা পর পর ৫ মিনিটের ছোট্ট বিরতি পেয়েছেন বাচি। ইচ্ছে হলে ১২ ঘন্টা পর ৫ মিনিটের এই বিরতি একত্র করে ১ ঘন্টার জন্যও নিতে পারতেন তিনি। গিনেস রেকর্ডের নিয়ম অনুযায়ী- ঘুম, গোসল, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও অন্যান্য কাজের জন্য দেওয়া হয় এ বিরতি।
১০০ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস এ ম্যারাথন রান্না শেষে বাচি জানান- অনেকদিন থেকেই রেকর্ড গড়ার এ কর্মযজ্ঞ সামাল দিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি, যা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরে খুবই খুশি। এবার বহুল প্রতিক্ষিত রেকর্ড শোনার অপেক্ষা। গিনেস কর্তৃপক্ষও বাচির রন্ধন-কার্য বিশ্লেষণে লেগে পড়েছেন ইতোমধ্যে। বলা যায়, খুব শীঘ্রই জানানো হবে কীর্তিগাঁথা এ সাফল্যের ঘোষণা।
এর আগে ২০১৯ সালে ৮৭ ঘন্টা ৪৫ মিনিট রান্না করে গিনেস বুকে রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতীয় রাঁধুনি লতা টন্ডন, যা এবার যেতে চলেছে নাইজেরিয়ান এ রাঁধুনির ঝুলিতে।
একটানা চারদিনেরও অধিক এ সময়ে নাইজেরিয়ান তারকারা বিভিন্ন মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাচিকে। সাধারণ মানুষজনও পাশে থেকে যুগিয়েছেন সাহস, উৎসাহ ও উদ্দীপনা। ইন্টারনেটের কল্যাণে দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছেন তার রন্ধনকার্য। অনন্য এ কীর্তি গড়ার খবরে নাইজেরিয়ান প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারিও ছোট্ট এক টুইটে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাকে।