- প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ঘুষ, প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করার সুপারিশ করেছে ইজরায়েলি পুলিশ।
- প্রায় এক বছরের অধিক সময় ধরে অনুসন্ধান চালানোর পরে মঙ্গলবার এ কথা জানায় দেশটির পুলিশ।
- এ ঘোষণার পরে তার ক্ষমতায় থাকার যোগ্যতার ব্যাপারে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধান শেষে পুলিশ জানায়, নেতানিয়াহু দুটি দুর্নীতির মামলায় জড়িত। এগুলো ‘কেস ১০০০’ ও ‘কেস ২০০০’ হিসেবে পরিচিত। এর মাঝে ‘কেস ১০০০’ এ উপঢৌকন নেওয়ার এবং ‘কেস ২০০০’ এ প্রকাশক আরনন মোজেস এর সাথে তার আনুকূল্যে সম্প্রচারের কাজে লেনদেনের জন্য সন্দেহ করেছে।। পুলিশের মতে, নেতাহিয়াহু ১০ বছরে প্রায় ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার সমমূল্যের উপঢৌকন নিয়েছেন।
‘কেস ১০০০’ এ বলা হয়, নেতানিয়াহু ও তার পরিবার ইজরায়েলের একজন হলিউড প্রযোজক ও একজন অস্ট্রেলিয়ান মিলিয়নিয়ারের কাছ থেকে শ্যাম্পেইন ও চুরুটের মতো দামী উপহার গ্রহণ করেছেন। এর পরিবর্তে তিনি তার ব্যবসায় মুনাফা অর্জন ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে সাহায্য করেন। নেতানিয়াহু উপহার গ্রহণের ব্যাপারটি স্বীকার করলেও জানান যে, এগুলো বন্ধুদের দেওয়া উপহার ছিল এবং এর পরিবর্তে তিনি কোনো রকমের রাজনৈতিক সহযোগিতা করেন নি।
অপরদিকে ‘কেস ২০০০’ এ বলা হয়, তিনি ইজরাইলের সংবাদপত্র ‘ইয়েদিওথ আহরনথ’ এর প্রকাশক আরনন মোজেসকে ‘ইজরায়েল হায়ম’ পত্রিকার প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান। এটি ‘ইয়েদিওথ আহরনথ’ এর প্রতিদ্বন্দ্বী। এর পরিবর্তে তিনি ইয়েদিওথ আহরনথ এর থেকে তার অনুকূলে প্রচার আশা করেন।
তবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হবে কিনা তা ইজরাইলের অ্যাটর্নি জেনারেলের উপর নির্ভর করবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে তার কিছু সময়ের প্রয়োজন হবে।
মঙ্গলবার রাতে নেতানিয়াহু জানান, পুলিশের ভিত্তিহীন সুপারিশের উপর নির্ভর করে তিনি পদত্যাগ করবেন না। তিনি বলেন, “কোনো কিছুই জনগণের মঙ্গলের পক্ষে আমার অঙ্গীকারকে টলাতে পারবে না। আমি অফিসে এমন একদিনও অতিবাহিত করি নি যখন আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনো বিদ্বেষপূর্ণ অভিযোগ ওঠে নি।”
নেতানিয়াহু গত ১১ বছর ধরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আছেন। ২০১৯ এর জুন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে তিনিই হবেন ইজরায়েলের দীর্ঘতম সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। এর আগে এহুদ ওলমার্ট জেরুজালেমের মেয়র থাকা অবস্থায় প্রতারণা ও ঘুষের দায়ে ১৬ মাস কারাবরণ করেছেন।
ফিচার ইমেজ: Middle East Monitor