Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

মাই লেফট ফুট: ড্যানিয়েল ডে-লুইসের অবয়বে এক বিশেষ শিল্পীর জীবন

১০ বছর বয়সী ক্রিস্টি যখন এক টুকরো চক দিয়ে মেঝেতে ‘মা’ শব্দটা লিখে, তখন আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে তার বাবা ও পুরো পরিবার। আপনি হয়তো এখন ভাবছেন, দশ বছর বয়সের একজন কিশোর ছেলের জন্য ‘মা’ এর মতো অতি সহজ একটি শব্দ লেখা আর এমন কীইবা বিশাল ব্যাপার হতে পারে? তাহলে বলছি শুনুন, কেন ক্রিস্টির এমন সামান্য কীর্তি তার পরিবারের চোখে অসাধ্য সাধনের তৃপ্তি এনে দিয়েছিল। 

article

টম হ্যাঙ্কস: সিনে জগতের দেবদূত

মানুষটা দেখতে বড্ড সাদামাটা। আপনি যদি তার সাথে আগে পরিচিত না হয়ে হঠাৎ করে তার কোনো ছবি দেখেন তাকে কোনো উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা বা কোনো ভার্সিটির প্রফেসর ভেবে তার সম্পর্কে ভুল ধারনা করে নেওয়া একদম স্বাভাবিক ব্যাপার। তার চেহারাছবি, পোশাক, চালচলনে ও কথাবার্তায় যতটা না বিখ্যাত ব্যক্তির ভাবমূর্তি প্রতিফলিত হয় তার থেকেও কয়েকগুণ বেশি একজন ষাটোর্ধ্ব আমেরিকান শিক্ষিত ও মার্জিত সিনিয়র সিটিজেনের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। শুধু বর্তমানেই নয় কিন্তু, সেই শুরু থেকেই তিনি এমনই ছিলেন। একই কর্ম জগতে কাজ করা একই প্রজন্মের অন্যান্য ব্যক্তিরা হালফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের বাহ্যিক বেশভূষা ও স্টাইল নিয়ে সচেতন থাকলেও ওসব নিয়ে তেমন মাথাব্যথা ছিল না তার। বাকিদের মতো চলাফেরাতেও নিজের তারকাসুলভ আচরণ প্রকাশ করতেও তাকে দেখা যায়নি। ব্যস্ত কোনো শহুরে রাস্তার ফুটপাত ধরে তিনি হেঁটে গেলেও সাধারণ কোনো জনতা থেকে তাকে আলাদাভাবে চেনার কোনো উপায় ছিল না। আর এমন মধ্যবিত্ত গোছের নিপাট ভদ্রলোকের বেশ ধরেই একের পর এক আকাশের তারা নিজের হাতের মুঠোয় এনে বন্দি করে চলছিলেন তিনি, নীরবে!

article

দ্য আইরিশম্যান: দেয়ালে তাজা লাল রক্তের আলপনা আঁকতেন যিনি

দীর্ঘ ও প্রশস্ত একটা হলওয়ে। হলওয়ের দু’পাশে খোলামেলা জায়গায় বেশ কয়েকটি বসার ঘর। সেখানে অসংখ্য বয়স্ক মানুষের আনাগোনা। তাদের মধ্যে কেউ বইয়ের পাতায় মুখ ডুবিয়ে আছেন, কেউ দাবা কিংবা কার্ড খেলায় মগ্ন, কেউবা আত্মীয়স্বজনের সাথে জম্পেশ আড্ডা দিচ্ছেন, কেউবা হুইল চেয়ারে চড়ে হলওয়ের এপাশ থেকে ওপাশে চলাচল করেছেন। হলওয়েতে তাদেরকে ছাড়াও আইডি কার্ড ও ইউনিফর্ম পরা কিছু লোকের উপস্থিতিও চোখে পড়বে৷ যে কেউ একনজর দেখলেই বলে দিতে পারবে, এটা কোনো বৃদ্ধাশ্রমের চিত্র।

আর এ বৃদ্ধাশ্রমের হলওয়ে ধরে সোজা এগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটার পর বামে মোড় নিয়ে ডাইনিং রুমের সন্ধান মিলবে। সে রুমে একটা টেবিলের পাশে হুইলচেয়ারে গা এলিয়ে পেছন দিয়ে মুখ করে বসে আছেন ধবধবে সাদা চুলের এক বৃদ্ধ। সামনে গিয়ে দাঁড়ালে দেখা যাবে, তার চোখে কালো চশমা, গায়ে কালো ওয়েস্ট কোট আর পায়ের কাছে রাখা আছে একটা কাঠের খড়ি। সাদা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া মুখের বর্ণ আর চেয়ারের সাথে জমে থাকা নিথর দেহ দেখে যে কেউ তাকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য মৃত বলেও ধরে নিতে পারেন। কিন্তু ঠিক যে মুহূর্তে যে কেউ এমনটা ভেবে নিতে তৎপর হবেন, সে মুহূর্তেই তাকে অবাক করে দিয়ে নিজের জীবনের গল্প বলা শুরু করবেন এ বৃদ্ধ।

article

পৃথিবীর শেষপ্রান্তে এসে কোন দিকে মোড় নিয়েছিল জেমস-অ্যালাইসার গল্প?

আর নিয়তির টানে যখন তারা দুজন একই সুতোর বাঁধনে আটকা পড়েছিল, তখন সূচনা হয়েছিল এক নির্মম পরিহাসের অধ্যায়৷ একটুখানি সুখ ও স্বাধীনতার সন্ধানে পরস্পরের হাত ধরে ঘর ছেড়ে গন্তব্যহীনভাবে ছুটতে থাকা এ জুটির কপালে স্বাভাবিক জীবনযাপনের কোনো নামচিহ্নই যেন ছিল না। নানা ঘটনা-দুর্ঘটনার মধ্যদিয়ে অতীতকে পেছনে রেখে অবিরত সামনে ছুটতে থাকতে থাকতে এক সময় তারা এসে পৌঁছায় নিষ্ঠুর পৃথিবীর শেষপ্রান্তে! কিন্তু এটাই কি তাদের গল্পের সমাপ্তি ছিল? নাকি এ শেষপ্রান্তে এসে তাদের জীবনের নতুন কোনো গল্পের প্রারম্ভ ধ্বনি বাজতে শুরু করেছিল?

article

অ্যানিমেটেডের রঙিন ভুবনে সবচেয়ে ঝলমলে ফ্র্যাঞ্চাইজি

এখন পর্যন্ত টয় স্টোরি ফ্র্যাঞ্চাইজির চারটি সিনেমা রিলিজ পেয়েছে যেগুলো কাহিনী তো পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্তই, এমনকি মূল চরিত্রগুলোও সব কটা সিনেমাতে একই থেকেছে। ‘আইস এজ’, ‘মাদাগাস্কার ‘, ‘শ্রেক’ কিংবা সমসাময়িক যেকোনো অ্যানিমেটেড মুভি ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে জনপ্রিয়তা ও শৈল্পিকতা উভয় দিকে ‘টয় স্টোরি’ ফ্র্যাঞ্চাইজি অনেক এগিয়ে আছে।

article

আস: মনস্তাত্ত্বিক খেলার ছলে অভিশপ্ত দুনিয়ার চিত্রাঙ্কণ

Sarah Iqbal: সময়টা ১৯৮৬ সাল। জন্মদিন উপলক্ষে বাবা-মায়ের সাথে স্যান্টা ক্রুজ বিচে ঘুরতে আসে অ্যাডিলেড টমাস নামের ছোট্ট এক মেয়ে। বিচের পাশে গড়ে উঠা মেলায় নানা ধরনের রাইড থেকে শুরু করে খেলা ও সার্কাসের আসর বসানো হয়েছিল। রাতের অন্ধকারে মেলার বাহারি রঙের চোখধাঁধানো সাজসজ্জা আর নানা রকম মনভুলানো আয়োজনে ছোট অ্যাডি সময়টাকে বেশ উপভোগ করছিল। তারপর ঘোরাঘুরির এক ফাঁকে মেয়েকে স্বামীর কাছে রেখে কিছুক্ষণের জন্য ওয়াশরুমে যান মিসেস টমাস। আর এই সুযোগে বাবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে মেলার জনবহুল এলাকা ছেড়ে ছেড়েছি বিচের পাড় ঘেঁষে একা একা হাঁটতে হাঁটতে সে এসে পড়ে নির্জন এক তাঁবুর সামনে। ‘ভিশন কোয়েস্ট ফাইন্ড ইয়োরসেলফ’ লেখা সেই তাঁবুর ভেতর অ্যাডি যখন পা রাখে তার কানে আসে একটি পুরুষ কণ্ঠ। কোথা থেকে যেন ভেসে আসছিল সেই কণ্ঠের ভাষণের মতো কথা। যতই এগোতে থাকে, চারপাশটা দেখে অবাক হতে থাকে মেয়েটি। অতঃপর মেয়েটি নিজেকে আবিষ্কার করে চারিদিকে অসংখ্য আয়না ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এক অন্ধকার হল ঘরে। এতটুকুন মেয়ের জন্য এমন পরিবেশ সহ্য করে স্বাভাবিক থাকাটাই অসম্ভব হবার কথা। কিন্তু অ্যাডি যতটা না ভয়ের মধ্যে ছিল তারচেয়েও বেশি কৌতূহলী ছিল৷ কিন্তু এরপর যা ঘটে, তা অ্যাডি কেন, যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারী অথবা পুরুষকে ঘাবড়ে দিতে পারত অবলীলায়। অ্যাডি যে আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায়, তাতে ভেসে উঠে ঠিক অ্যাডির মতো দেখতে আরেকটি মেয়ে।অ্যাডির দিকে পেছন ঘুরে দাঁড়ানো মেয়েটা যখন শরীর ঘুরে ওর দিকে তাকায়, তখন ওর মুখ দিয়ে একটি চিৎকারের সাথে সিনেমার আসল অংশ শুরু হয়।

article

এক ক্ষুদে বিজ্ঞানীর গল্প

সাম্প্রতিককালে নেটফ্লিক্সে আসা অন্যান্য নতুন সিনেমার ভিড়ে ভিন্নধারার এই সিনেমাটি দর্শক ও সমালোচক উভয় শ্রেণীর কাছে ভালোই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

article

শপ লিফটার্স: নিয়তির নির্মম পরিহাসের এক গল্প

গল্পটা একটি অতি সাদামাটা নিম্নবিত্ত পরিবারের। দারিদ্রতা ও অভাবকে নিত্যদিনের সাথী করে জীবন সংগ্রামে সংঘর্ষ করে টিকে ছিল এ পরিবারটি। পেটের ক্ষুধা নিবারণের তাগিদে পরিবারের প্রায় সব সদস্যই কোনো না কোনো উপায়ে উপার্জন করতে বাধ্য ছিল। কিন্তু শুধু খাদ্যই তো একটি পরিবারের তো বেঁচে থাকার নিমিত্তে একমাত্র চাহিদা হতে পারে না। তাই দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিলেমিশে থাকা নানা ছোট-বড় প্রয়োজন মেটাতে সৎ পথে আয় করা ছাড়াও তাদের বেছে নিতে হয়েছিল সামান্য ছলচাতুরীর আশ্রয়। পরিবারের দুই পুরুষমানুষ, ওসামু ও শোতা প্রায়ই বিভিন্ন সুপার শপ অথবা দোকানে ঢুকে কেনাকাটা করার ভান করে এপাশ-ওপাশ ঘুরে ঘুরে কতৃপক্ষের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নিজেদের চাহিদামতো জিনিসপত্র ব্যাগে ভরে ফেলত। এ কাজটি করার সময় তারা হাত দিয়ে সাংকেতিক ভাষায় কথা বলে পরস্পরের সাথে তথ্য আদানপ্রদান করত। এমনকি চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়া এড়াতে দুজন দুজনকে চারপাশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্তক করে থাকত। অনেকটা প্রফেশনাল চোরদের মতো অতি সাবধানতা অবলম্বন করে জনসম্মুখে দোকান থেকে বেরিয়ে আসত তারা। এরপর ফিরে যেত নিজেদের ছোট্ট কুটিরে। হয়তো কখনো যাবার পথে রাস্তা থেকে পকেটের অর্থ খরচ করে পরিবারের সবার জন্য মজাদার কোনো খাবার কিনে নিত। তারা জানে, বাড়িতে তিনজন পথ চেয়ে বসে তাদের ফেরার অপেক্ষায়। বাড়ি গিয়ে নিজেদের সাথে নিয়ে আসা টুকিটাকি জিনিস পরিবারের সাথে ভাগ বন্টন তো করতই, পাশাপাশি সবাই একসাথে বসে পেটপুরে খাওয়াদাওয়াও করত। পরিবারটি হয়তো অর্থাভাব ছিল, হয়তো তাদের জীবনযাত্রার মান তেমন ভালো ছিল না৷ কিন্তু পরিবার হিসেবে তারা ছিল সুখী। ভালোবাসা, ঐক্যতা, দায়িত্বশীলতার কোনো খাঁজ ছিল সেখানে৷ হয়তো সকলের রাতে ঘুমানোর জন্য আলাদা আলাদা পরিপাটি শোবার ঘর ছিল না, কিন্তু প্রত্যেকের মনের ভেতর একে অপরের প্রতি স্নেহের কোনো কমতি ছিল না। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে যে, একজন বয়স্কা, তার ছেলে ও ছেলের বউ ও তাদের দু ছেলে-মেয়েকে নিয়ে গড়ে উঠা একটি অতি সাধারণ পরিবার এটি। কিন্তু বাস্তবচিত্র? সে গল্পের দিকে না হয় পরে যাওয়া যাবে

article

গ্রিন বুক: অভিনব এক ভ্রমণকাহিনী

সময়টা ১৯৬২ সাল। ডন শার্লি নামের একজন আফ্রিকান- আমেরিকান ক্লাসিক ও জ্যাজ পিয়ানিস্ট পেশাগত কারণে লম্বা এক সফরে বের হচ্ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিড ওয়েস্ট ও ডিপ সাউথ বিভিন্ন স্টেটকে ঘিরে আয়োজিত আট সপ্তাহব্যাপী একটি কনসার্ট ট্যুরে পিয়ানো বাজানোর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।

article

দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য গান: দুরন্ত এক অপরাধীর জীবনের খন্ড চিত্র

ষাটের কাছাকাছি বয়সের একজন হাসিখুশি ও সুদর্শন ব্যক্তি। আপাতমস্তক পর্যবেক্ষণ করলে তাকে নিপাট ভদ্রলোক লোক বলেই যে কেউ ধরে নেবে। আর কথাবার্তায় ও আচরণে সাক্ষাত সুপুরুষ তিনি।

article

রোমা: অমূল্য স্মৃতির চাদরে মোড়া এক মাস্টারপিস

সমাজের বুকে আঁচড় কেটে যাওয়া সময় ও জীবন থেকে নেয়া কিছু মুহূর্তের সমন্বয়েই গড়ে ওঠে আমাদের ব্যক্তিত্ব, স্থান-কালের সীমায় আবদ্ধ থেকেও আমাদের এ জীবনকে করে তোলে অর্থবহ। কারণ, ভিন্ন ভিন্ন প্রাণের সাথে আমাদের যে বন্ধন, তারাও যে ভেসে চলেছে সময়ের অভিন্ন স্রোতে, পাড়ি দিচ্ছে অভিন্ন সীমারেখা, ঠিক আমাদেরই মতো। আমার জীবনের প্রায় ৫০ বছরের পুরনো স্মৃতিকে পর্দায় বন্দী করার এক প্রচেষ্টার নাম রোমা। যে গল্পে উঠে এসেছে মেক্সিকোর সামাজিক যাজকতন্ত্র। সমাজের শ্রেণীবিভাজন ও জাতিতত্ত্ব যেখানে মিলেমিশে হয়ে গেছে একাকার। আর সবকিছু ছাপিয়ে সে গল্পে ফুঁটে উঠেছে এক নারীর অপরূপ প্রতিচ্ছবি যার রহস্যমাখা ভালোবাসায় কেটেছিল আমার শৈশব। স্থান, কাল ও স্মৃতির মলিন বলিরেখা পেরিয়েও যে ভালোবাসা রয়ে গেছে অমলিন।

article

তুম্বাড়: জাগতিক লোভ-লালসার ক্রোড়ে ঘুমন্ত এক গ্রাম

‘তুম্বাড়’ সিনেমার প্লট গড়ে উঠেছে তুম্বাড় নামের একটি গ্রামকে ঘিরে। তুম্বাড় গ্রামের ক্ষমতাধর এক ব্রাহ্মণ জমিদার পরিবারের এক কালো অধ্যায়কে কেন্দ্র করে সিনেমার গল্প প্রবাহিত হয়েছে। সিনেমার প্রেক্ষাপট তিনটি পৃথক কালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলে, গল্পে ধারাবাহিকতা বিদ্যমান ছিল। সিনেমার একদম শুরুর অংশে ধারাভাষ্যকারের কন্ঠে আমরা একটি কাল্পনিক লোককাহিনীর শুনে থাকি।

article

End of Articles

No More Articles to Load