মানব ইতিহাসের অন্যতম বিস্ময়কর এবং বৈপ্লবিক এক আবিষ্কার যিনি উপহার দিয়েছেন তিনি স্কটিশ-আমেরিকান বিজ্ঞানী আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল। যখন দূরবর্তী কারো সাথে যোগাযোগ করার জন্য চিঠি বা মোর্স কোড ব্যবহার করা হতো তখন তার হাত ধরেই এসেছিল অত্যাশ্চর্য এক যন্ত্র যা কিনা মানুষের কণ্ঠস্বর দূরবর্তী স্থানে প্রেরণ করতে সক্ষম। আর সেই যন্ত্রের নাম হচ্ছে টেলিফোন। তার এই আবিষ্কারই মানুষের যোগাযোগের ধরনকে বৈপ্লবিকভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছে।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
১৮৪৭ সালের ৩ মার্চ স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে জন্মগ্রহণ করেন আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল। তার বাবা আলেক্সান্ডার মেলভিল বেল ছিলেন এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্পীচ এলোকিউশন’ এর প্রফেসর। তিনি বক্তৃতা এবং বাগ্মীতার উপর বেশ কিছু বইও লিখেন যেগুলোর কয়েকটি ব্রিটেনে বেস্ট সেলার হয়েছিল। বেলের মা এলিজা গ্রেস সায়মন্ডস। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় প্রবেশের আগে পর্যন্ত এলিজার কাছেই প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন বেল।
১১ বছর বয়সে এডিনবার্গের রয়্যাল স্কুলে ভর্তি হন বেল। সেখানে বিজ্ঞান পড়তে তার বেশ ভালোই লাগছিল। তবে একাডেমিক ফলাফল ছিল তার খুবই বাজে। কিন্তু তিনি ছিলেন অসাধারণ মেধাবী। স্কুলে ভর্তির দ্বিতীয় বছরই তিনি তার মেধার বিচ্ছুরণে সবাইকে অবাক করে দেন। কীভাবে? একটি গম মাড়াই যন্ত্র তৈরির মাধ্যমে! ১২ বছর বয়সী কিশোর বেল তার স্কুলের পাশে গম মাড়াইয়ের মিলে একদিন ঘুরতে যান। সেখানে শ্রমিকদের কাজ দেখে তার মনে ইচ্ছা জাগলো এমন কিছু তৈরি করার যা দিয়ে আরো সহজে গম মাড়াই করা যাবে। ব্যাস তৈরি করে ফেললেন একটি যন্ত্র। বলে রাখা ভাল বেল কোনো খেলনা তৈরি করেননি। তার তৈরি যন্ত্রটি ঐ মিলে দীর্ঘদিন গম মাড়াইয়ে ব্যবহৃত হয়!
বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল ভাল হচ্ছিল না বলে বেলকে লন্ডনে তার দাদার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে বেল তার দাদার কাছে আরো একবছর গৃহশিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৮৬৩ সালে অ্যালেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল ভর্তি হন স্কটল্যান্ডের এলগিনের ‘ওয়েস্টার্ন হাউজ অব অ্যাকাডেমি’ তে। এখানে তিনি ল্যাটিন ও গ্রীক ভাষা শেখেন। এ সময় তিনি তার ভাই এডওয়ার্ড বেলের সাথে মিলে একটি রোবট তৈরি করে ফেলেন! এডওয়ার্ড বেল পরে টিউবারকুলোসিসে ভুগে মারা যান।
কানাডায়, তারপর যুক্তরাষ্ট্রে
অত্যন্ত মেধাবী হলেও প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখায় দুর্বল বেল বেশিদূর যেতে পারেননি। তবে লন্ডনে এসে বাগ্মীতাটা ভালোরকমেই আয়ত্ত করেন। আর এই বাগ্মীতাই প্রাথমিকভাবে তার অর্থ উপার্জনের রাস্তা হয়। তিনি বিভিন্ন স্কুলে বক্তৃতা দিতেন পাশাপাশি শব্দ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যান। তবে প্রচণ্ড পরিশ্রমে স্বাস্থ্য ভেঙে পড়লে তিনি পরিবারের কাছে ফিরে যান। তার এই ভগ্ন স্বাস্থ্য আবার ঠিক হয়েছিল কানাডা গিয়েই। ১৮৭০ সালে মেলভিল বেল সপরিবারে কানাডার অন্টারিও চলে যান। অন্টারিওর ব্রেন্টফোর্ডে থাকাকালীন তিনি স্থানীয় আদিবাসীদের ভাষা ‘মোহাওক’ শিখে ফেলেন। এ সময় পরবর্তী জীবনের সফল বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক একজন সফল ভাষাবিদ হিসেবে উত্তীর্ণ হন। তিনি এই মোহাওক ভাষার প্রথম লিখিতরূপ দান করেন! মোহাওক আদিবাসীরা এর স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘অনারারি চিফ’ করেছিল।
দুবছর পর বেল চলে যান আমেরিকা। সেখানে তিনি ‘স্কুল অব ভোকাল ফিজিওলজি অ্যান্ড মেকানিকস অব স্পীচ’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই স্কুলে বেল বধির মানুষদের নিয়ে কাজ করতেন এবং তাদেরকে কথা বলতে শেখাতেন। তার এই স্কুল বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২৬ বছর বয়সে তিনি ‘বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ওরেটরি’ তে প্রফেসর পদে যোগ দেবার আমন্ত্রণ পান যদিও তার ছিল না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী! তিনি সেখানে ভোকাল ফিজিওলজি ও এলোকিউশন বিষয়ে শিক্ষাদান করেন।
বেল যখন এদিক ওদিক ঘুরে ঘুরে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন আর বধিরদের কথা বলা নিয়ে কাজ করছিলেন, তখন তার মা বধির হয়ে যান। এরপর থেকে একসময়ের স্বপ্নের বাস্তবায়নে রাত-দিন কাজ করতে শুরু করেন তিনি। তার স্বপ্নটি ছিল এমন এক যন্ত্র তৈরি করা যা দিয়ে মানুষের স্বর উৎপন্ন করা সম্ভব হবে। নিজের স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে প্রচণ্ড পরিশ্রমে বারবার স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়েন। তবু দমে যাননি তিনি। দমে গেলে আজ টেলিফোনই তো পেতাম না আমরা!
ভুল বুঝে ভুলক্রমে সঠিক রাস্তায় বেল
জার্মান বিজ্ঞানী হেলমহল্টজের একটি গবেষণা তখন বেশ জনপ্রিয়তা পায়। বেল জার্মান ভাষা খুব সামান্যই বুঝতেন তথাপি তিনি হেলমহল্টজের গবেষণাটি পড়ার চেষ্টা করলেন। অন্তত ডায়াগ্রামগুলো দেখে নিজে থেকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা চালাতে লাগলেন। পুরো প্রবন্ধ শেষ করে তিনি যা বুঝতে পারলেন তা মোটেও ওই প্রবন্ধের অংশ ছিল না। তিনি বিভিন্ন ডায়াগ্রাম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে ধারণা করলেন যে হেলমহল্টজ বেশ কিছু বক্তৃতাকে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তরিত করেছেন। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে মোটেও তেমন ছিল না। হেলমহল্টজ কেবল শব্দকে বিদ্যুতে রূপান্তর করার সম্ভাব্যতা নিয়ে কাজ করেছিলেন বিশেষ করে স্বরধ্বনি।
কিন্তু বেলের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি হয় যে শব্দকে বিদ্যুতে রূপান্তর সম্ভব! এই বিশ্বাস থেকেই তার কাজ শুরু হয় পুরোদমে। ১৮৭০ সালের দিকে বেল অন্টারিওর নিজ বাড়িতে একটি ওয়ার্কশপ গড়ে তোলেন এবং সেখানেই শব্দকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তরের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন।
অতঃপর টেলিফোন আবিষ্কার
যখন টেলিগ্রাফের মাধ্যমে মোর্স কোড পাঠানোকেই মানুষ বিস্ময়কর ভাবতো তখন বেল কাজ করছিলেন কীভাবে সংকেত না পাঠিয়ে মানুষের স্বরই পাঠানো যায় তা নিয়ে। তবে এর জন্য প্রয়োজন ছিল অনেক টাকার। ৪ বছর গবেষণা করে যখন সাফল্যের নিকটবর্তী হন তখন অর্থের যোগানদাতাও পেয়ে যান বেল। ১৮৭৪ সালে হাবার্ড এবং স্যান্ডার্স নামক দুইজন ধনী উদ্যোক্তা বেলের প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন। এই হাবার্ডই পরবর্তী জীবনে বেলের শ্বশুর হন। যা-ই হোক, অর্থের ব্যবস্থা হওয়ায় বেল তখন সুদক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার থমাস ওয়াটসনকে নিজের ওয়ার্কশপে নিয়োগ দেন সহকারী হিসেবে।
পরের বছর নিজের গবেষণা কাজকে সুরক্ষিত করে ফেলতে তিনি তার প্যাটেন্ট অ্যাটর্নী অ্যানথনি পোলকের উপদেশে যুক্তরাজ্যে ‘বৈদ্যুতিক তার এর মাধ্যমে শব্দ প্রেরণ’ এর জন্য প্যাটেন্ট এর আবেদন করেন। সিদ্ধান্ত নেন যুক্তরাষ্ট্রে আরো কিছুদিন পর আবেদন করবেন। আর এই সিদ্ধান্ত বিপদ ডেকে আনে বেলের জন্য। কেননা ১৮৭৬ সালে এলিশা গ্রে যুক্তরাষ্ট্রে টেলিফোনের জন্য প্যাটেন্ট আবেদন করেন। তবে কাকতালীয়তার চরম উদাহরণ সৃষ্টি করে বেলের অ্যাটর্নী পোলক একইদিনে বেলের জন্য টেলিফোনের প্যাটেন্ট আবেদন করেন!
বেল আর এলিশা গ্রে’র টেলিফোনের ডিজাইন প্রায় একই রকম ছিল। একদিকে বেলের পূর্বেই গ্রে লবণাক্ত পানিতে ভ্যারিয়েবল রেজিস্টর বা পরিবর্তনশীল রোধ ব্যবহার করে শব্দ প্রেরণে সক্ষম হন। অন্যদিকে গ্রে অনেক পূর্বেই বেল তরল পারদে পরিবর্তনশীল রোধ ব্যবহার করে শব্দকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করার একটি ডিজাইন প্রণয়ন করেছিলেন এবং তার জন্য প্যাটেন্টের আবেদনও করেছিলেন। ফলে ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায় যে উভয়েই টেলিফোনের প্যাটেন্টের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন। তবে প্রায় ৬০০ মামলা লড়ার পর বেলই টেলিফোনের আবিষ্কর্তা বলে স্বীকৃত হন!
১৮৭৬ সালের ১০ মার্চ বেল এবং ওয়াটসন তাদের তৈরি টেলিফোনের মাধ্যমে শব্দ প্রেরণে সফল হন। কথিত আছে, বেল উত্তেজিত হয়ে তার টেলিফোনের ট্রান্সমিটারে ওয়াটসনকে ডাকতে থাকেন এবং ওয়াটসন অপর প্রান্তে রিসিভারে শব্দ শুনতে পান। অন্য একটি প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী বেল টেলিফোনে একপ্রকার শব্দ শুনতে পান এবং তা শোনানোর জন্য তারের অপর প্রান্তে থাকা ওয়াটসনকে ডাকেন। ফলে ঘটনা আদতে যেমনই হোক না কেন, বেলই প্রথম ব্যক্তি যিনি টেলিফোনে প্রথম কল করেছিলেন। অন্যদিকে ওয়াটসন প্রথম রিসিভার।
১৮৭৬ সালে বেল এবং তার অর্থ যোগানদাতারা টেলিফোনের প্যাটেন্ট বিক্রয় করে বিশাল অংকের অর্থ উপার্জন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তারা আমেরিকান টেলিগ্রাফ কোম্পানি ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নকে ১ লক্ষ ডলারের বিনিময়ে টেলিফোনের প্যাটেন্ট বিক্রয় করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন টেলিফোনের গুরুত্ব বুঝতে না পেরে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। পরের বছরই বেল তার অর্থদাতাদের সাথে ‘বেল টেলিফোন কোম্পানি’ প্রতিষ্ঠা করেন। বাকিটা শুধুই ইতিহাস। কেননা ১৮৭৮ সালে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন যখন সত্যিকার অর্থে টেলিফোনের বিপ্লব সাধনের ক্ষমতা আঁচ করতে পারে, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। ১ লক্ষের বদলে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এবার ২৫ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েও টেলিফোনের প্যাটেন্ট পেতে ব্যর্থ হয়! ১৮৭৮ থেকে ১৮৮৬ সাল, এই আট বছরেই আমেরিকার প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ টেলিফোন ক্রয় করে!
ফটোফোন
অপটিক্যাল ফাইবারের সাথে আমরা সবাই মোটামুটি পরিচিত। অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্য দিয়ে আলোর ফোটনের সাহায্যে তথ্য প্রেরণ করা হয়। এই অপটিক্যাল ফাইবার আবিষ্কার করতে না পারলেও শত বছর আগে আলোর মাধ্যমে তথ্য প্রেরণের কাজটি সর্বপ্রথম বেলই করেন। তিনি এবং তার সহযোগী চার্লস সামার তারের সাহায্য ছাড়া শব্দ পরিবহণ নিয়ে ওয়াশিংটনে গবেষণা করেন এবং সাফল্য পান। ১৮৮০ সালে তারা শক্তিশালী আলোক আভা ব্যবহার করে প্রায় ২০০ মিটার দূরে শব্দ প্রেরণ করতে সক্ষম হন। অথচ তারের সাহায্য ছাড়া শব্দ পরিবহণে যে যন্ত্রটি বিপ্লব ঘটায় সেই রেডিও আবিষ্কৃত হতে তখনো আরও বিশ বছর বাকি! সেবছরই বেল ফটোফোনের প্যাটেন্ট করিয়ে নেন।
মেটাল ডিটেক্টর
আমেরিকার ২০তম প্রেসিডেন্ট জেমস গারফিল্ড ১৮৮১ সালে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ হয়েও তিনি কিছুদিন বেঁচে ছিলেন। একটি বুলেট তার পিঠ ছিদ্র করে বেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে পিঠের একটি হাড় ভাঙা ছাড়া তা আর কিছুই করতে পারেনি। কিন্তু অপর একটি বুলেট তার উরুতে বিদ্ধ হয় যা তাকে মৃত্যুমুখে পতিত করে। তখনো এক্সরে আবিষ্কৃত হয়নি। ফলে ডাক্তাররা বুলেটটির সঠিক অবস্থান সনাক্ত করতে পারছিলেন না। এমতাবস্থায় বেল দ্রুত একটি মেটাল ডিটেক্টর তৈরি করেন। দুর্ভাগ্যক্রমে যন্ত্রটি বুলেটের অবস্থান সনাক্ত করতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট গারফিল্ড কিছুদিনের মধ্যেই মারা যান। তবে বেলের তৈরি সেই আদি মেটাল ডিটেক্টরই আজকের দিনে উন্নত মেটাল ডিটেক্টর তৈরির পথ দেখিয়েছে।
পুরস্কার ও প্রাপ্তি
১৮৮০ সালে বেল ফ্রান্সের সরকার প্রদত্ত ‘ভোল্টা পুরস্কার’ (৫০ হাজার ফ্রাংক সহ) লাভ করেন। পরের বছর ফ্রেঞ্চ সরকার তাকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘লিজিয়ন অব অনার’ দ্বারা সম্মানিত করে। এছাড়াও তিনি ‘আলবার্ট পদক’, ‘ফ্রাঙ্কলিন পদক’, ‘এডিসন পদক’ লাভ করেন। এসবের পাশাপাশি আধ ডজন পিএইচডি ডিগ্রি সম্মাননা তো আছেই।
মৃত্যু
১৮৭৭ সালে আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল তার টেলিফোন প্রোজেক্টের অর্থদাতা হাবার্ডের কন্যা মাবেলকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে দুই মেয়ে এলিসা ও মারিয়ানা এবং দুই ছেলে রবার্ট এবং এডওয়ার্ডের জন্ম হয়। দুই ছেলেই শৈশবে মারা যায়।
১৯২২ সালের ২ আগস্ট কানাডার স্কটিয়ায় ৭৫ বছর বয়সী বেল ডায়াবেটিস জনিত জটিলতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালীন তার পরিবারের সকলেই জীবিত ছিলেন। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় তার সম্মানে আমেরিকার সকল টেলিফোন বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীকালে শব্দের তীব্রতার একক তার নামে ‘বেল’ রাখা হয় যার ক্ষুদ্রতর একক ‘ডেসিবেল’।
Featured Image Source: history.com