পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সাত বছর বয়সী জাইনাব আনসারির ধর্ষণ ও খুনের প্রধান সন্দেহভাজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।
হারিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পরে জানুয়ারির ৯ তারিখে জাইনাব আনসারিকে কাসুরে একটি আবর্জনার আস্তাকুড়ে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, তাকে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার এক পুলিশ কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, “সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি সেই একই এলাকায় বাস করে যেখানে জাইনাব বাস করত।” তিনি জানান, ব্যক্তিটি তার দোষ স্বীকার করেছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা এর আগেও একবার তাকে গ্রেফতার করেছিলাম। কিন্ত প্রমাণ না থাকায় তাকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। এরপর সে তার দাঁড়ি কামিয়ে ফেলে যেন কেউ তাকে চিনতে না পারে।”
স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, জাইনাবের ধর্ষণ ও খুন গত বছর কাসুর জেলায় ১২ তম ঘটনা। এ ঘটনায় কাসুরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুব্ধ প্রতিবাদে অন্তত দুজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।
২০১৫ সালে শিশু নির্যাতনের শত শত ভিডিও প্রকাশিত হলে কাসুর আন্তর্জাতিক শিরোনামের অন্তর্ভুক্ত হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ইউরোপের ওয়েবসাইটে শিশু পর্নোগ্রাফি বিক্রি করে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনকারী বেশ কিছু অপরাধীকে গ্রেফতার করে।
ফিচার ইমেজ: The Daily Star