- মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তেতে তিনটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে।
- ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার বোমা বিষ্ফোরণের এ ঘটনাটি ঘটে।
- এ ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে।
শনিবার সকাল পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি। এ হামলার পিছনে কে বা কারা জড়িত তা নির্ণয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ জানায় তিনটি বোমার মাঝে একটি রাখাইন রাজ্যের সরকারি সচিব তিন মং সুয়ের বাড়ির পিছনের উঠোনে স্থানীয় সময় ৪.৩০ এ বিস্ফোরিত হয়। তিন মং সুয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সবচেয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একজন। অপর দুটি বোমার একটি হাইকোর্ট ও একটি ভূমি অফিসের নিকটে বিষ্ফোরিত হয়।
পুলিশের মুখপাত্র কর্ণেল মায়ো থু সু বলেন, “সন্দেহভাজন রয়েছে, কিন্তু এখন কথা বলার সময় নয়। বোমার গঠন বিশ্লেষণ করে পুলিশ সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।” তিনি জানান শহরটিতে আরও তিনটি অবিষ্ফোরিত হাতে বানানো বোমা পাওয়া গেছে। রাখাইনের পুলিশ প্রধান জানান, শহরটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ সিত্তে থেকে বহির্গমনের রাস্তাগুলোয় তল্লাশি চালাচ্ছে।
এ বিষ্ফোরণটি মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বের শহর লাশিতে বোমা হামলার তিনদিনের মাথায় সংগঠিত হলো। লাশির বোমা হামলায় দুজন ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হন এবং প্রায় ২৪ জন আহত হন। শহরটিতে কিছু বিদ্রোহী দল সামরিক বাহিনীর সাথে লড়াই চালাচ্ছে।
সিত্তে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী। গত বছর সেখানে সামরিক বাহিনীর দ্বারা জাতিগত নিধনের কারণে প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণ করে। জাতিসংঘ এ জাতিগত নিধনের বিপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও অন সাং সু চির সরকার জাতিসংঘের অনুসন্ধানকারীদের সে অঞ্চলে যেতে বাধা প্রদান করে।
রাখাইনের উত্তরে এক শহরে পুলিশ ৭ জন আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করার ফলে গত মাসের মাঝামাঝি থেকেই রাখাইনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সে ঘটনায় আরও ১২ ব্যক্তি আহত হয়। স্থানীয়রা প্রাচীন প্রথা উদযাপনে একত্রিত হলে সেখানে সহিংসতা শুরু হয়।
রাখাইন রাজ্য আরাকান স্যালভেশন আর্মির আবাসস্থল। রোহিঙ্গা বিদ্রোহী দল বা আরাকান স্যালভেশন আর্মি- কেউই এ পর্যন্ত তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে শনিবারের হামলা সম্পর্কে কোনোকিছু লেখেনি।
ফিচার ইমেজ: New Straits Times