- চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর দায়িত্বের মেয়াদ ২০২৩ সালের পরেও বাড়ানোর প্রস্তাবনা দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল কম্যুনিস্ট পার্টি।
- প্রেসিডেন্ট দুবার ক্ষমতায় থাকতে পারবে সংবিধানের এরকম একটি ধারা বাতিল করার মাধ্যমে তার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করে দলটি।
- রবিবার এ প্রস্তাবটি দেওয়া হয়।
চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া থেকে জানা যায়, এই প্রস্তাবটি দলের সেন্ট্রাল কমিটি থেকে করা হয়েছে। এতে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ নিয়েও বলা হয়েছে।
বর্তমানে সংবিধান অনুযায়ী দুই বার ৫ বছর পূর্ণ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার পরে শি জিনপিংকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। প্রথমবার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার শেষের দিকে তিনি ৫ মার্চ চীনের বাৎসরিক পার্লামেন্ট উদ্বোধনীর দিন দ্বিতীয়বারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হবেন।
দলীয় বেসামরিক প্রধান হিসেবে তার মেয়াদের নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই, যদিও সর্বোচ্চ ১০ বছর হচ্ছে সাধারণ নিয়ম। তিনি দলীয় ও সামরিক প্রধান হিসেবে গত অক্টোবরে দলীয় সভার পরে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্বগ্রহণ করেন। দলীয় সভাটি প্রতি পাঁচ বছরে একবার করে অনুষ্ঠিত হয়।
ইতিহাসবেত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঝ্যাং লিফান জানান, এই সংবাদটি অপ্রত্যাশিত কিছু নয় এবং শি জিনপিং ঠিক কতদিন ক্ষমতায় থাকবেন তা অনুমান করা কঠিন ছিলো। জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুগাবের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “তাত্ত্বিকভাবে তিনি মুগাবের চেয়েও অধিক সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন, কিন্তু বাস্তবে কেউ নিশ্চিত না যে কি হবে।” গত নভেম্বরে সেনাবাহিনী ও পূর্ববর্তী রাজনৈতিক মিত্রদের চাপে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট মুগাবের ৪০ বছরের ক্ষমতার অবসান হয়।
গত বছর তার দল মাও সে তুং এর পরে তাকে সবচেয়ে ক্ষমতাশীল শাসক হিসেবে আবির্ভূত হতে দেখে। দলীয় সংবিধানেও তার চিন্তাধারা সন্নিবেশিত হয়। তিনি ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কম্যুনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তিনি ১৯ ৭৪ সালে দলে যোগদান করেন এবন ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন অর্থনৈতিক সংস্কার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রচারণা সংগঠিত হয়।
সোমবার বেইজিংয়ে দলটির সেন্ট্রাল কমিটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বৈঠক বসবে যেখানে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে। ৫ মার্চ চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের পূর্ণ অধিবেশনে আইনপ্রণেতাদের সামনে এ প্রস্তাব উত্থাপিত হবে।
ফিচার ইমেজ: Foreign Brief