আজকের খেলার আগ থেকেই অনেকেই ধারণা করে বসেছিলেন, ম্যান. সিটির মতো ম্যান. ইউনাইটেডকেও গুঁড়িয়ে দিতে চলেছে জার্গেন ক্লপের লিভারপুল। একে তো দলের ফরাসি দুই তারকা ফুটবলার ইঞ্জুরিতে (পগবা ও মার্সিয়েল)। অন্যদিকে লিভারপুলে যোগ দেয়ার পর থেকে যেভাবে একের পর এক গোল করে চলেছেন মোহাম্মাদ সালাহ, তাতে এমন ধারণা করাটা মোটেও ভুল কিছু নয়।
ম্যাচ শুরুর আগপর্যন্ত ৬২ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুলের (৬০) ঠিক উপরেই অবস্থান করছিল ম্যান. ইউনাইটেড। আর আজকের ম্যাচে জিতলেই লিগ পয়েন্ট টেবিলের দুই নাম্বার পজিশনে উঠে যেত লিভারপুল। তাই আটঘাট বেঁধেই খেলতে নেমেছিল ওল্ড ট্রাফোর্ডে। কিন্তু বিধি বাম! নিজেদের মাঠে তাদের জন্যে অন্য পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন জোসে মরিনহো আর তার দল।
প্রথমার্ধের ১৪ মিনিট গড়াতে না গড়াতেই দলের স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকুর পা থেকে পাওয়া বলে চমৎকার এক গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান ইংলিশ ফরোয়ার্ড মারকাস রাশফোর্ড। সেই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই, ঠিক মিনিট পরে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন রাশফোর্ড। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে আক্রমণ চালাতে শুরু করে লিভারপুল। কিন্তু কপাল খারাপ হলে যা হয় আর কি, মোট ১৩টি কর্নারের একটিও কাজে লাগাতে পারেনি আজ অল রেডরা। পরে ৬২ মিনিটের মাথায় এরিক বেইলির পা থেকে জালে গড়ানো গোলে ১ গোলের ব্যবধান কমে দু’দলের মধ্যে।
প্রথমার্ধ থেকেই মাঠের সর্বক্ষেত্রে লিভারপুল থেকে এগিয়ে ছিল ইউনাইটেড। তবে বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে নাটকীয় পরিবর্তন দেখা যায় লিভারপুলের খেলার ধরনে। তাদের অনবরত আক্রমণের ফলে খানিকটা চাপের মুখেই পড়ে যায় ইউনাইটেডের রক্ষণভাগ। তবে আশানুরূপ ফল আসেনি তাতে।
বেশ কিছু টানা আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের পর শেষমেশ ২-১ গোলের ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় মরিনহোর ইউনাইটেড। এই ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে লিগের তৃতীয় ও চতুর্থ দলের সাথে ব্যবধান বাড়ালো রেড ডেভিলরা। গত ২৬ ডিসেম্বরের পর এই বছর এই প্রথম গোল করলেন রাশফোর্ড। তার দু’গোলের সাথেই পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার রোমালু লুকাকু।
Featured Photo: Peter Powell/EPA