সেন্ট্রাল আমেরিকার ৭টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে ছোট এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হচ্ছে এল সালভাদর, যার উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে গুয়াতেমালা, উত্তর-পূর্বপার্শ্বে অবস্থিত হন্ডুরাস এবং দক্ষিণপার্শ্বে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর। প্রধানত কৃষি নির্ভর হলেও কফিসহ আরো অন্যান্য দ্রব্যাদি রপ্তানি করার ক্ষেত্রে দেশটি এগিয়ে আছে। যদিও সেখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা কখনোই খুব বেশি উন্নত করা সম্ভব হয়নি, যার কারণে বর্তমানে তাদের জিডিপি ২.৫ শতাংশের কাছাকাছি। দেশটির এক-তৃতীয়াংশ জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে এবং বেকারত্ব ব্যাপকভাবে তাদের সমাজ ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।
পনের শতকের শুরুর দিকে স্প্যানিশ দখলদাররা এই অঞ্চলে আসে এবং ১৮২১ সাল পর্যন্ত তাদের রাজত্ব বজায় ছিল। এভাবে প্রায় তিনশ বছরের ঔপনিবেশিক রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে এল সালভাদরসহ সেন্ট্রাল আমেরিকার কয়েকটি দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। তারপর একটি দীর্ঘ সময় যাবৎ দেশটিতে তথাকথিত ‘কফি বিপ্লব’ এর সূচনা ঘটে, যার উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক অবস্থাকে চাঙ্গা করে তোলা। এরপর ১৯৩২ সালের পর থেকে একটা দীর্ঘ সময় একটির পর একটি সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে এল সালভাদরের রাজনৈতিক পরিবেশ খুবই দোদুল্যমান ছিল। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালের পর টানা ১২ বছর দেশটিতে গৃহযুদ্ধ বিরাজমান ছিল, যেখানে সরকারি বাহিনীর হাতে ৭৫ হাজার সাধারণ জনতা নিহত হয়। সেই গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটিতে নানা রকম পরিবর্তন আসে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অপরাধ প্রবণতার বৃদ্ধি, দলবদ্ধ সহিংসতা, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং সংকটাপন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা।
এল সালভাদর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হত্যাকান্ডের হারের দিক দিয়ে অন্যতম অবস্থানে আছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ হত্যাকান্ডই দলবদ্ধ বা গ্যাং সহিংসতার কারণে হয়ে থাকে। গত কয়েক দশকে হাজার হাজার মানুষ এজন্য নিহত হয়েছে। সংগঠিত অপরাধচক্র দেশটির একটি গুরুতর সমস্যা। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার সালভাদর নাগরিক নিহত হয়েছে, যা একই সময়ে লিবিয়া, সোমালিয়া এবং ইউক্রেনের মতো যুদ্ধের জায়গাগুলোয় হওয়া সহিংস হত্যাকান্ডের তুলনায় বেশি। ২০১৫ সালে হত্যার হার প্রতি ১ লক্ষ অধিবাসীতে ১০৩ জন, ২০১৭ সালে তা নেমে আসে প্রায় ৬০ জনে। এসব হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত অপরাধী হচ্ছে মারাস, দেশটির মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী, ব্যাপক বিস্তারপ্রাপ্ত গ্যাং।
এল সালভাদরে মারাসের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী দলগুলো হচ্ছে এমএস-১৩ এবং বারিও ১৮, যাদের দুটি পৃথক চক্র রয়েছে। এই দুটি গ্যাং একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এলাকা ভিত্তিতে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। পুলিশের বিভিন্ন প্রাপ্ত তথ্যানুসারে এই গ্যাংগুলোতে প্রায় ৬৫ হাজার সদস্য রয়েছে সমগ্র এল সালভাদর জুড়ে। তাদের প্রধান অপরাধমূলক কর্মকান্ডগুলো হচ্ছে রাস্তা বা এলাকাভিত্তিক মাদক বিক্রয়, চাঁদাবাজি, অস্ত্র পাচার, ভাড়া করে হত্যা, গাড়ি ছিনতাই এবং সড়কভিত্তিক ছোট অপরাধ। ২০১৫ সালের দিকে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, দেশটির গৃহযুদ্ধের সময়কার অথবা সামরিক বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও বিস্ফোরকগুলোর উপর দলগুলোর হাত পড়েছে। গ্যাংগুলো এবং অন্যান্য অপরাধমূলক চক্র চুরি বা ডাকাতির জন্য সমৃদ্ধ এলাকাগুলোকে লক্ষ্য করে এবং বাধার সম্মুখীন হলে সহিংসতায় জড়াতে পিছপা হয় না। বেশিরভাগ গ্যাং বেকার তরুণদের দিয়ে তৈরি, যারা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে মারাত্মক শক্তি ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করে না।
এল সালভাদরের ২৬২টি পৌরসভার মধ্যে ২৪৭টিই এসব গ্যাংয়ের ছায়ায় আবদ্ধ হয়ে আছে। তারা নিজস্ব অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ করে দেয় এবং সেসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে জানা যায়। সেখানকার অধিবাসীদের নিরাপত্তার জন্য তারা যেমন হুমকি, তেমনই তাদের উপর কর্তৃত্বও স্থাপন করে রাখে গ্যাংগুলো। রাস্তাঘাটে চলাচল করার সময় বিভিন্ন জায়গায় কিছু ছোট বাচ্চা চেকপয়েন্টের মতো রাস্তা আটকিয়ে সবার কাছ থেকে ডলার আদায় করে। গ্যাংগুলোর সদস্য এসব ছোট বাচ্চাদের বান্দেরা বলে ডাকা হয়। কেউ ডলার না দেয়ার সাহস দেখায় না। এটি মূলত পরিবহন, স্কুল অথবা মার্কেটের আশেপাশে বেশি হতে দেখা যায়। অন্যদিকে দলগুলোর বয়স্ক সদস্যরা বিভিন্ন দোকানপাটে সপ্তাহে একদিন ঢুকে চাঁদাবাজি করে এবং প্রতিবাদ করলে মৃত্যু নিশ্চিত। তাদেরকে ডাকা হয় মারেরোস বলে।
গ্যাং-সম্পর্কিত হত্যাকান্ড বাসায় পরিবারের মধ্যে, স্কুলে শিশুদের মধ্যে এবং বারে পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে দৈনন্দিন কথোপকথনের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি সালভাদরীয় নাগরিক কাউকে না কাউকে জানেন, যে গ্যাং সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছে বা গুলি করেছে। অনেক সালভাদরীয় মানুষ জনবহুল জায়গার কাছ থেকে দূরে থাকেন এবং এমনকি রাস্তায় হাঁটাও কমিয়ে দিয়েছে। ধনীরা সাধারণত বাড়ির গেট আটকিয়ে ভেতরে থাকতে নিরাপদবোধ করেন। সূর্যাস্তের পর, সান সালভাদরের (দেশটির রাজধানী) বেশিরভাগ রাস্তা নির্জন হয়ে যায়। রাতের সময়টা বিশেষ করে মারাসের লোকদের জন্য যারা বেশিরভাগ হত্যাকান্ড রাতে সম্পন্ন করে। অন্যদিকে পুলিশ বা সামরিক বাহিনীও রাতের সময়টা গ্যাংগুলোর লোকদের ধরার জন্য উপযুক্ত সময় মনে করেন। এমনকি তারা একটি কাপড় দিয়ে তাদের মুখ ঢেকে রাখেন যাতে অপরাধীরা তাদের চিহ্নিত করে তাদের পরিবারের উপর হামলা না করতে পারে।
গৃহযুদ্ধের সময় সালভাদরীয় জনগণ যেভাবে ঝাঁকে ঝাঁকে দেশ ছেড়ে অন্যান্য দেশ, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ বাঁচানোর জন্য গিয়েছিল, সেভাবেই এসব সংগঠিত অপরাধী দলগুলোর কারণে প্রাণ রক্ষার জন্য এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে এসব থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য তারা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে। অথচ এই গ্যাংগুলোর আগমন ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন অভিবাসন নীতিমালার আংশিক ফলাফল হচ্ছে এল সালভাদরের এসব অপরাধী দল। ৩০ বছর আগে গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা তরুণেরা লস অ্যাঞ্জেলসের রাস্তায় এমএস-১৩ এর সূচনা করে। বারিও ১৮-ও আমেরিকার একটি প্রভাবশালী গ্যাং। ১৯ শতকের শেষ ও ২০ শতকের প্রথমভাগে ওয়াশিংটন তাদের অভিবাসন নীতিমালা শক্ত করে ফেলার ফলাফল হিসেবে সালভাদরীয় লোকজন পুনরায় দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বাধ্য হলো, তখন হাজার হাজার এমএস-১৩ ও বারিও ১৮ দলের সদস্যরাও ফিরে এলো। এভাবে এল সালভাদরে গ্যাং সংস্কৃতি উজ্জীবিত হয়ে ব্যাপক সমস্যা তৈরি করেছে। এমনকি একই সময়ে গুয়াতেমালা ও হন্ডুরাসেও এই কুখ্যাত দলগুলো বিস্তার লাভ করেছে।
যুদ্ধ-পরবর্তী দেশটির অবস্থা খুবই নড়বড়ে ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকটের বেড়াজালে আটকে থাকায় সদস্য নিয়োগের জন্য গ্যাংগুলো একদম সঠিক পরিবেশ পেয়ে গেলো। হাজার হাজার কিশোর/তরুণেরা কোনো কাজ বা চাকরির অভাবে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতো। গ্যাংগুলো তাদেরকে ডেকে নিয়ে জীবনে একটা লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দিলো, তাদেরকে একটি পথ দেখিয়ে দিলো এবং যা মানসিকভাবে প্রতিহত করার মতো কোনো অবস্থা তাদের ছিল না। এভাবে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা কিশোরেরা দলগুলোর প্রধান লক্ষ্য হিসেবে পরিণত হয় এবং কিশোরীদেরকে যৌন দাসী হিসেবে ব্যবহার করতো তারা। সদস্যদের শরীরের বিভিন্ন রকম ট্যাটু আঁকা থাকে।
এমএস-১৩ এর অনেক সদস্য এবং সহানুভূতিশীলেরা, শিক্ষক, আইনজীবী, স্থানীয় সরকারী কর্মকর্তা এবং এমনকি পুলিশ অফিসার হিসেবে চাকরিতে প্রবেশ করে, যারা গ্যাংয়ের স্বার্থ অনুসারে সব কাজ করে। তাদের প্রভাব এত ব্যাপক যে এল সালভাদর এবং হন্ডুরাসের প্রতিটি প্রধান রাজনৈতিক দল নির্বাচনের সময় গ্যাংগুলোকে অর্থ প্রদান করে থাকে। এমনকি কারাগারগুলো এসব গ্যাংয়ের লোকদের দিয়ে পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে এবং সেখানেও একরকম আধিপত্যের বিষয় দৃশ্যমান।
এই সংঘবদ্ধ অপরাধী দলগুলোর সহিংস কর্মকান্ড প্রতিরোধ করার জন্য এল সালভাদর সরকার বিভিন্ন সময় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে মানো দুরা নীতি, যা রাষ্ট্রপতি ফ্লোরেস তার আমলে ২০০৩ সালে প্রয়োগ করেন। ৬ মাসের জন্য হাতে নেয়া এই জরুরি ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল গ্যাংদের অবস্থান বেশি থাকা এলাকায় পুলিশী অভিযান বৃদ্ধি, আটককৃত গ্যাং সদস্যদেরকে কঠিন শাস্তির রায় দিয়ে কারাগারে প্রেরণ এবং এছাড়াও শুধুমাত্র শরীরের গ্যাং সম্পর্কিত ট্যাটু আছে কি না তা দেখে আটক করা। তার পরের বছর রাষ্ট্রপতি সাকা সুপার মানো দুরা নীতি গ্রহণ করে যা আরো বেশি ভয়ানক ছিল। এই নীতি অনুসারে গ্যাংগুলোর সদস্যদের পাশাপাশি এর সাথে জড়িত এমন যে কাউকে গ্রেফতার করার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এতে করে পুরো পরিকল্পনা অকার্যকরী হিসেবে পরিণত হলো। খুনের হার উল্টো বেড়ে গেলো।
দলগুলো এই দমন পীড়নের সাথে খাপ খাইয়ে ধরা পড়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সমর্থ ছিল। এমনকি কারাগার তাদের জন্য পুনর্বাসনের সুযোগের তুলনায় অপরাধী হিসেবে অপরাধ করার সম্পূর্ণ শিক্ষা অর্জনের স্থানে পরিণত হলো, যেখান থেকে বের হয়ে সমাজে গিয়ে নতুন করে উন্নত পদ্ধতিতে তারা অপরাধ করতো। আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে কোনোটিই পুরোপুরি ফলপ্রসূ হয়নি।
তাই ২০১২ সালে এল সালভাদর সরকার ও সংঘবদ্ধ অপরাধী দলগুলোর মধ্যে একটি সংঘাত বিরতি ঘোষণা করা হলো। এর বেশ কিছু ভালো-খারাপ দিক রয়েছে। ভালো দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে আশ্চর্যজনক হারে হত্যার পরিমাণ কমে যাওয়া। এমনকি ২০১২ সালের এপ্রিলে একদিন এমনও গেছে যে, পুরো দেশে কোথাও কোনো হত্যাকান্ড ঘটেনি, যা কল্পনাও করা যায় না, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো একে অপরের সাথে রেষারেষি করতে গিয়ে খুব সহজেই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ফেলে। সরকার পক্ষ ও গ্যাংগুলোর মধ্যে একধরনের আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছিল। কীভাবে বন্দী গ্যাং সদস্যদের সুন্দর গোছানো জীবনব্যবস্থা প্রদান করা যায়, এই বিষয়ে কী ধরনের কৌশল অবলম্বন করা যায় ইত্যাদি নিয়ে সরকার নতুন করে ভাবার সুযোগ পেলো।
অন্যদিকে এর খারাপ কিছু দিকও রয়েছে। যেমন- হত্যাকান্ডের হার কমেছে ঠিকই, কিন্তু সেই সময়ে অন্যান্য অপরাধ সমান তালে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চাঁদাবাজি, মাদক চোরাচালান, মাদক বিক্রয়সহ আরো অনেক কিছু। পাশাপাশি যে আস্থার জায়গা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সেটিও খুব তাড়াতাড়ি কমে যেতে থাকে। রাজনৈতিকভাবে পুরো বিষয়টিতে কোনো পক্ষের লাভবান হওয়ারও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালের দিকে সংঘাত বিরতিটি ভেস্তে যায় এবং নতুন করে হত্যার হার বাড়া শুরু করে।
সাধারণ মানুষ ফলাফল চায় এবং এরকম সহিংস গ্যাং সংস্কৃতির বেড়াজাল থেকে মুক্তি চায়। এমনকি তারা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা সংঘটিত বিচার বহির্ভূত হত্যায় সমর্থন পর্যন্ত জানায়। সোম্ব্রা নেগ্রা নামে একটি ডেথ স্কোয়াড রয়েছে, যাদের কাজই হচ্ছে গ্যাংগুলোর ত্রাস সৃষ্টিকারী দোষীদের বের করে মেরে ফেলা। সেজন্য দেশটির এসব বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য নানা মহল সমালোচনা করে থাকে। মনে করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে আরো কঠোরভাবে এসব সংবদ্ধ অপরাধী দলকে নির্মূল করার বিভিন্ন প্রোগ্রাম হাতে নেবে এল সালভাদর সরকার।