দক্ষিণ কোরিয়ার চুংচ্যাং প্রদেশ, যা চুংনাম প্রদেশ নামেও পরিচিত। সময়টা মধ্যরাত। জনমানবশূন্য এক রাস্তায় চলতে থাকা কালো সেডানের পেছন পেছন ছুটে চলছে সাদা রঙের আরেকটা সেডান গাড়ি। কিছুদূর এগিয়েই কালো সেডানটার পেছনে দ্রুত গতিতে এসে সজোরে আঘাত করে সাদা সেডান। দুটো গাড়ির চাকা কর্কশ শব্দ তুলে রাতের নিস্তব্ধতা দূর করে যেন এক বিপদ সংকেত দেয়।
কালো সেডানের দরজা খুলে যন্ত্রণা লাঘবের আশায় ঘাড়ে হাত দেয়া এক ভদ্র লোক বেরিয়ে আসে। আর সাদা সেডান থেকে বেরিয়ে আসে হুডি জ্যাকেটে ঢাকা এক জীর্ণশীর্ণ ব্যক্তি। কালো সেডানের লোকটা সামান্য রাগে সাদা সেডানের চালককে বকে এবং পুলিশ অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে নিজের মোবাইলে ছবি তুলে নেয়। লোকটা ফিরে যেতে নিলে বিশাল এক চাকু হাতে অতর্কিত হামলা চালায় হুডি পরা লোকটা। ছুরিকাঘাতে লোকটার মৃত্যু হয় আর খুনির ঠোঁটের কোণে তৃপ্তির এক হাসি লক্ষ্য করা যায়।
পরের দিন সকাল। খুনের তদন্তের জন্য বের হয়ে যাত্রাপথে জ্যামে বসে আছে রগচটা পুলিশ অফিসার জ্যাং তেও সিও আর তার সহকর্মী। একে তো গ্রীষ্মের খরতাপে জ্যামে বসে থাকা; তার উপর রেডিওতে কোরিয়ান পুলিশদের নিয়ে সাংবাদিকদের তাচ্ছিল্য আর রাস্তার পাশে ক্যাসিনোর বাইরে দাঁড়িয়ে পাতি গুন্ডাদের ঠাট্টাতামাসা জ্যাংয়ের মেজাজ আরো খারাপ করে তোলে। ঘটনাস্থলে জ্যাং আসার সাথে সাথেই জানানো হয়, খুনি কোনো চিহ্নই রেখে যায়নি।
জ্যাং ঘুরে ঘুরে কালো সেডানটাকে দেখতে থাকে। আচমকা নজর পড়ে গাড়ির পেছনের বাম্পারে। কেমন যেন একটু চলটা উঠে গেছে। ফরেনসিক টিমের লোককে দেখানোর পর নিশ্চিত হয় যে, অন্য কোনো গাড়ি পেছন থেকে ধাক্কা মেরেছে। সিনিয়র অফিসের সাথে মিটিংয়ে বসে এই ঘটনাকে সিরিয়াল কিলারের কাজ বলে আখ্যা দেয় জ্যাং এবং ঐ প্রদেশেই কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া খুনের ঘটনার উপর তার গবেষণাও তুলে ধরে। কিন্তু কেউই তার কথায় সায় দেয় না।
চুংনাম প্রদেশসহ সারা দেশ জুড়েই উপরের সারির অন্যতম সেরা গ্যাংস্টার নামে পরিচিত বিশাল দেহের অধিকারী জাং ডং সু। এক বৃষ্টির রাতে ডং সু একা গাড়ি চালাচ্ছে আর ফোনে কথা বলছে। জনমানবশূন্য এক রাস্তায় ঢুকলে সেই সাদা সেডান গাড়িটাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিতে দেখা যায় আবারো। ডং সু গাড়ি থেকে নেমে আসে আর একই ভঙ্গিতে হুডি মাথায় নামে সিরিয়াল কিলার। কিলার ডং সু-কে জানায়, রাস্তা পিচ্ছিল হওয়াতে এমনটা হয়েছে। তাই সে দুঃখিত।
ডং সু তাকে চলে যেতে বলে গাড়ির দিকে ফেরে। আর তখনই পেছন থেকে হামলা করে খুনি। কিন্তু খুনির পাতলা দেহের গড়ন ডং সু-কে কবজা করতে পারে না। তবে এলোপাতাড়ি চাকু ঠিকই মারে সে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে খুনির চাকুই খুনির বুকে ঢুকিয়ে দেয় ডং সু। কোনোমতে নিজের গাড়িতে উঠে পালায় খুনি। এবং যাওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় ডং সুকে অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে ফেলে রেখে যায়।
পরের দিন হাসপাতালে জ্ঞান ফিরলে দ্রুত স্কেচ আর্টিস্ট ডাকিয়ে খুনির একটা স্কেচ তৈরি করায় ডং সু। এই কেসের তদন্তে আসে সেই রগচটা পুলিশ অফিসার জ্যাং। ডং সু খুব সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দেয়, যে তার গাঁয়ে হাত তুলেছে তার মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু জ্যাং চায় খুনিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে।
ডং সুয়ের আছে প্রচুর টাকা আর প্রচুর জনবল। জ্যাং বুঝতে পারে- কোনো প্রমাণ যোগাড় না করা অবধি সরকারি তহবিল তাকে খুনিকে ধরার জন্য যাবতীয় সাহায্য করবে না। তাই একমাত্র উপায় ডং সুয়ের সাথে হাত মেলানো। এবং ডং সু-ও বুঝতে পারে- এমন চৌকশ বুদ্ধিসম্পন্ন কাউকে ছাড়া এমন হদিশবিহীন এক সিরিয়াল কিলারকে খুঁজে বের করা মোটেও চাট্টিখানি কথা নয়।
এই পর্যন্ত এসে মুভির বিরতিকালীন সময়। এরপর কী হয়? আপনি হয়তো ভাবছেন, পুলিশ আর গ্যাংস্টার আবার কি করে হাত মেলায়? আর যদি একসাথে হয়ও তাহলে এবার খুনি আর কোথায় পালায়? কিন্তু খুনির সম্পর্কে তাদের কি কিছু জানা আছে? আছে কেবল চেহারার এক সম্ভাব্য প্রতিকৃতি, তা-ও আবছা!
অন্যদিকে যদি তারা খুনিকে ধরে ফেলেও তাতেই বা কী? তাদের হাতে খুনিকে খুনি প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট কোনো প্রমাণও তো নেই? আর গ্যাংস্টার পুলিশের সাহায্য পেলে কতটা ভয়ানক হতে পারে তা কি আমাদের অজানা? তো কী হয় শেষমেশ? খুনি কার হাতে ধরা পড়ে? জ্যাং নাকি ডং সু? কার জয় হয়? আইনের নাকি বেআইনি পন্থার? ঠিক এই জায়গা দাঁড়িয়ে বলতে ইচ্ছে হয়, ওয়েলকাম টু দ্য ওয়ার্ল্ড অফ থ্রিলার।
আশা করি এরপর থেকে আপনি নিজেই ডুবে যাবেন গল্পের দ্বিতীয় ভাগে। কথা বলছিলাম, ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রকাশ পাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ান মুভি দ্য গ্যাংস্টার দ্য কপ দ্য ডেভিল নিয়ে। এক দুর্ধর্ষ গ্যাংস্টার, এক রগচটা পুলিশ অফিসার এবং ভয়ঙ্কর আর নৃশংস এক সিরিয়াল কিলারের অনবদ্য এক কোরিয়ান থ্রিলার মুভি। তবে অবাক করা হলেও এটাই সত্যি যে, মুভির শুরুতে উল্লেখ আছে যে এই গল্পটা সত্য ঘটনার উপর নির্মিত। যদিও প্রচুর খোঁজাখুঁজি করেও সত্যতা যাচাই করতে পারিনি। কেননা, সাধারণত এই ধরনের ঘটনাগুলো গোপনেই করা হয়ে থাকে। যেমন- ২০০৬ সালের ডি ক্যাপ্রিওর দ্য ডিপার্টেড মুভিটির কথা বলা যায়।
দ্য গ্যাংস্টার দ্য কপ দ্য ডেভিল সিনেমায় পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন ওয়ান তেই লি। পরিচালক হিসেবে এটা তার দ্বিতীয় সিনেমা আর চিত্রনাট্যকার হিসেবে তৃতীয়। প্রথম সিনেমা ২০১৭ সালে প্রকাশ পাওয়া ম্যান অফ উইল। এছাড়াও, ২০১৫ সালে প্রকাশ পাওয়া দ্য ম্যাজিশিয়ান এবং ২০১২ সালে প্রকাশ পাওয়া রাশিয়ান কফি মুভির চিত্রনাট্য তারই লেখা।
মুভিটিতে গ্যাংস্টার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় কোরিয়ান অভিনেতা ডং সেও মা কিংবা ডন লি নামেই যে সর্বাধিক পরিচিত। মূলত ২০০৮ সালে তার অভিনীত দ্য গুড দ্য ব্যাড দ্য উইয়ার্ড, ২০১৬ সালের ট্রেইন টু বুসান এবং ২০১৭ সালের দ্য আউট লজ মুভিগুলোতে তার অভিনয়ই তার খ্যাতি এনে দিয়েছে। তবে ডন লি এই মুভিতে গ্যাংস্টার চরিত্রে অভিনয় করে আগের সকল সিনেমার অভিনয়কে টপকে যেতে পেরেছেন নিঃসন্দেহে।
এছাড়া, রগচটা পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মু ইয়োল কিম। ২০১৭ সালের ফরগটেন মুভি ছাড়াও ২০১১ সালের ওয়্যার অফ দ্য অ্যারোস এবং ২০০৮ সালের ইলজিমাই মুভির জন্য সর্বাধিক পরিচিত এই অভিনেতা। আর সিরিয়াল কিলার চরিত্রে ছিলেন কিম সাং কিউও। ২০১৬ সালের টানেল কিংবা ২০১৭ সালের দ্য আউটলজ মুভির জন্য যে সর্বাধিক পরিচিতি। তবে কিমের পরিচয়টা এখন থেকে হয়তো এই মুভিটার নাম ধরেই আরো উপরের দিকে উঠে যাবে। এছাড়া, অন্যান্য চরিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার মুভিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনীত সচরাচর পরিচিত মুখই।
মুভিটির প্রযোজনায় ছিলেন সেরা সব প্রযোজক, যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন হলিউডের সুপারস্টার বা র্যাম্বো খ্যাত সিলভেস্টর স্ট্যালোন এবং তার বালবাও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া, হলিউডের ব্যাটলশিপ মুভির প্রযোজক ব্র্যাডেন আফটারগুড; বার্নিং এবং আনস্টপেবল মুভির সাথে জড়িত ক্রিস লি এবং কনফেশন অফ মার্ডার, মেমোয়ার্স অফ অ্যা মার্ডারার, আউটলজ, ফরগটেন এবং আনস্টপেবলের মতো মুভির প্রযোজক ওয়ান সিও জ্যাংও ছিলেন। মুভিটির বিশ্বব্যাপী পরিবেশনায় ছিল কে মুভি এন্টারটেইনমেন্ট এবং ওয়েল গো ইউএসএ এন্টারটেইনমেন্ট সহ আরো বেশ কয়েকটি নামীদামী সংস্থা।
১০৯ মিনিট দৈর্ঘ্যের মুভিটি এশিয়ার সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে সুইজারল্যান্ডের নুশাতেল ইন্টারন্যাশনাল ফ্যান্টাস্টিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হয়। এছাড়া, স্পেনের সিটজেশ – কাতালোনিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ফোকাস এশিয়া অ্যাওয়ার্ড পুরষ্কারেও ভূষিত হয়। সেই সাথে মুভিটির বড় অর্জন বলা যায় কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পর্দায় স্ক্রিনিং লাভের সুযোগ। এছাড়াও, বিভিন্ন দেশের নামীদামী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও নিজের জায়গা করে নিয়েছে এই মুভিটি।
কোরিয়ান সিনেমার প্রতি প্রথম ভালো লাগাটা আসে ২০০৩ সালে বন জু হু পরিচালিত মেমোরিস অফ মার্ডার এবং একই সালের পার্ক চ্যাং উকের পরিচালিত ওল্ডবয় মুভি দুটির মাধ্যমে। এরপর দ্য চেজার, আই স দ্য ডেভিল, স্নোপিয়ার্সার, ওকঝা, ট্রেইন টু বুসান এবং হালের জনপ্রিয় প্যারাসাইট মুভির কথা কে না জানে! অন্তত মুভিপ্রেমিদের কোরিয়ান মুভির তালিকায় উপরোক্ত নামগুলো বেশ পরিচিতই বটে। তবে এখন থেকে থ্রিলারপ্রেমী মুভি দর্শকদের তালিকায় যুক্ত হবে দ্য গ্যাংস্টার দ্য কপ দ্য ডেভিল মুভির নামটি।
শুধু তা-ই নয়, নাগরিক জঞ্জালসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতির খানিকটা হলেও ধারণা দিয়েছেন পরিচালক। এই যেমন, পুলিশের অসাবধানতায় অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়া; আর পুলিশের অসাবধানতার কারণ তাদের নিজস্ব সুযোগ-সুবিধার অভাব ইত্যাদি। আবার, শুরুর দিকে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে, পুলিশের বিশেষ সাইরেন বাজিয়েও জ্যামের মধ্যেই বসে থাকতে হয় পুলিশকেই। তাছাড়া, সর্বত্র ক্যাসিনোগুলোতে পুলিশের আগমন মানেই যে টাকা দিয়ে ঠাণ্ডা করা সেটাও পরিচালক দেখাতে ভুল করেননি। আদালত ঠিক কীভাবে একজন অপরাধীর চালে পড়ে তাকে নির্দোষ মেনে স্বাক্ষর করে, তা-ও খুব ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক।
অভিনয়ের ব্যাপারে বলতে গেলে সবার উপরে রাখবো গ্যাংস্টার ডং সু বা ডন লি। কেননা এরকম একটি চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে নয় বরঞ্চ চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলা চাট্টিখানি কথা নয়। দৈহিক গঠন, বাস্তব জীবনের এক গ্যাংস্টারের মতোই শরীর জুড়ে ট্যাটু আঁকা; সব মিলিয়ে গ্যাংস্টার হওয়ার জন্য যে আউটলুক প্রয়োজন, তার সব কিছুর ব্যবহার যেন ডন লিয়ের চরিত্রটিকে একজন সত্যিকারের গ্যাংস্টারের পরিপূর্ণতা দিয়েছে।
এরপরই রাখতে হয় ‘কে’ নামক সিরিয়াল কিলারকে, যে কি না আদতে কিম সাও কিউও। একজন সাইকো যে মানুষ খুন করে তৃপ্তি পায়; যার ভেতরে অনুভূতি বা মায়া-মমতা বলতে অবশিষ্ট কিছু নেই; আছে কেবল নৃশংসতা আর বর্বরতা। যাকে কি না শাস্তির কথা বললে হেসে ওঠে। এরকম এক চরিত্রে কিম দুর্দান্ত অভিনয় করেছে। কেননা, সিনেমাতে দুটো কি তিনটে খুনের দৃশ্য দেখানো হয়েছে, কিন্তু কিম তার অভিনয়ের মাধ্যমে একজন খুনির ভয়াবহ অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলেছেন। কিমের অভিনয় দেখে অনেকের হয়তো আই স দ্য ডেভিল মুভির খুনি কিয়ুনের কথা মনে পড়ে যাবে।
আর সবার শেষে রাখছি, রগচটা পুলিশ অফিসার জ্যাং বা মু ইয়োল কিম। তার মানে এই না যে, মু ইয়োলের অভিনয় বাকিদের তুলনায় খারাপ হয়েছে কিংবা গল্পে তাকে প্রাধান্য কম দেয়া হয়েছে। মু ইয়োলের চরিত্র হচ্ছে এমন একটা চরিত্র, যে কি না খুবই রগচটা স্বভাবের একজন পুলিশ অফিসার; তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ পালনে যিনি বাধ্য নয়; যে কি না কোনোভাবেই অপরাধ আর অপরাধীকে সহ্য করতে পারে না এবং অপরাধীকে সাজা দিতে যেকোনো কিছু করতেও প্রস্তুত। এমন চরিত্রে মু ইয়োল দারুণভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। গল্পের শুরুটা তৈরি করে দিয়েছে ডন লি আর কিম; তবে গল্পের শেষটায় দারুণ এক টুইস্ট নিয়ে হাজির হয় মু ইয়োল কিম।
সব কথাই ইতিবাচক ধারায় বলা হয়ে গেল। নেতিবাচক কিছুই বলা সম্ভব হলো না। কেননা, সেরকম কিছু আসলে চোখে পড়েনি এই টান টান উত্তেজনার মুভিটিতে। তবে হ্যাঁ, সবার দৃষ্টিভঙ্গি যেহেতু আলাদা, তাই অনেকের খারাপও লাগতে পারে। তবে এক কথাতেই শেষ করছি,
কখনো কি কোনো সিনেমায় সিরিয়াল কিলারের চোখে স্পষ্ট ভয় দেখেছেন? না দেখে থাকলে দেখে ফেলুন দ্য গ্যাংস্টার দ্য কপ দ্য ডেভিল।
প্রিয় পাঠক, রোর বাংলার ‘বই ও সিনেমা’ বিভাগে এখন থেকে নিয়মিত লিখতে পারবেন আপনিও। সমৃদ্ধ করে তুলতে পারবেন রোর বাংলাকে আপনার সৃজনশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত লেখনীর মাধ্যমে। আমাদের সাথে লিখতে চাইলে আপনার পূর্বে অপ্রকাশিত লেখাটি সাবমিট করুন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/