ভাবুন, আপনি বসে আছেন মারমারিসের একটি হোটেলের বেলকনিতে। সামনে অবারিত মারমারা সাগরের অপরূপ সৌন্দর্য। হাতে এক কাপ কফি হলে সময়টা নিশ্চয় আপনার খারাপ কাটবে না। অথবা ধরুন, খুব ভোরে হেটে চলেছেন সৌন্দর্যের ফুলঝুরি ছড়িয়ে বয়ে চলা বসবরাসের পাড় ধরে। অবলোকন করছেন প্রকৃতি আর কৃত্রিমতার মিশেলে গড়া এক স্বর্গীয় সৌন্দর্য। বসবরাসের স্নিগ্ধ খোলা হাওয়া খেতে খেতে দেখছেন শহরের বুকের উপর দিয়ে বয়ে চলা লঞ্চ, ছোট ছোট স্টিমার ও বড় বড় পণ্যবাহী জাহাজ। অদুরের ঝুলে আছে এশিয়া-ইউরোপ সংযোগী ফাতিহ সুলতান মুহাম্মদ সেতু। দিনের শুরুটা যদি এমনভাবে হয় তাহলে কার না ভালো লাগে!
বলছি ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ সৌন্দর্যময় রূপকথার শহর ইস্তানবুলের কথা। কত নামেই না ডাকা যায় ইস্তানবুলকে। ইউরোপের প্রবেশদ্বার, আন্তঃমহাদেশীয় শহর, ইউরোপের বৃহত্তম শহর, রোমান, বাইজেন্টাইন এবং অটোম্যান সাম্রাজ্যের রাজধানী ইত্যাদি। কী নেই ইস্তানবুলে! একপাশে ইউরোপ অপর পাশে এশিয়া। মাঝখানে বয়ে চলেছে বসবরাস প্রণালী। বসবরাসের নীল জল এবং এর দুই পাড়ের সৌন্দর্য যেকোনো ভ্রমণ পিপাসুকে মুগ্ধ করবে। মূলত ইস্তানবুলের সৌন্দর্যের মূল উৎসই হলো বসবরাস প্রণালী। এছাড়া অবসর সময়ে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মারমরা সাগর তো রয়েছেই।
বসবরাসের দুই পাড়ের দৃশ্য ছবির মতো সুন্দর। ইউরোপের আদলে গড়া ছোট ছোট লাল ছাদের বাড়িগুলোর সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে আপনাকে। বিশেষ করে এখানে এমন অনেক স্থাপনা রয়েছে যেগুলো সরাসরি ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত। বাইজেন্টাইন ও অটোমান সাম্রাজ্যের ঐতিহ্য ধারণ করা ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো আপনার নজর কাড়বে। ইস্তানবুলের এশিয়া ও ইউরোপ প্রান্তের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য বসবরাসের উপর দিয়ে সমান্তরালভাবে দুইটি নজর কাড়া ব্রিজ রয়েছে। একটি হলো বসবরাস ব্রিজ অপরটি ফাতিহ সুলতান মুহাম্মদ ব্রিজ।
আপনি যদি গাড়ি নিয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে ইস্তানবুলের ইউরোপ অংশ থেকে এশিয়া অংশতে ভ্রমণ করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই টোল দিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি এশীয় অংশ থেকে ইউরোপ অংশে প্রবেশ করেন তাহলে কোনো টোল দিতে হবে না।
ইস্তানবুল পর্যটকদের জন্য এক স্বপ্নের গন্তব্য। এই শহরের প্রতিটি স্থাপত্য থেকে শুরু করে খাবারের মাঝেও লুকিয়ে আছে অনেক জানা-অজানা ইতিহাস ও সংস্কৃতি। শরীর ও মনকে সতেজ করার জন্য ইস্তানবুল একটি আদর্শ শহর। প্রাণবন্ত এই শহরে রয়েছে বিনোদনের সবরকম ব্যবস্থা।
ইস্তানবুল পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন শহর গুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৩০ সালের পূর্বে এই শহরটি কন্সট্যান্টিপোল নামে পরিচিত ছিল। এরও আগে এই শহরটি বাইজেন্টিয়াম নামে পরিচিত ছিল। এটি ছিল তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সভ্যতা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী। ১৫৫৩ সালে সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহ সে সময়কার সবচেয়ে শক্তিশালী সভ্যতা বাইজেন্টাইনকে পরাস্ত করার পর ইস্তানবুলকে অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী ঘোষণা করেন।
ধারণা করা হয়, বাইজান্টিয়াম নামটি এসেছে মেগারা শহর থেকে গ্রীকদের নেতা বাইজাসের নাম থেকে। কিংবদন্তি অনুসারে, গ্রীক নেতা বাইজাস খ্রিস্টিয় থ্র্যাসিয়ান জাতির কাছ থেকে উপদ্বীপটি দখল করে নিয়েছিলেন। এরপর খ্রিস্টপূর্ব ৬৫৭ সালে এই শহরটি তিনি গড়ে তোলেন রাজধানী হিসেবে। ১৯৬ খ্রিস্টাব্দে গৃহযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করার জন্য রোমানরা এই শহরটি ধ্বংস করে দেয়। এরপর রোমান সম্রাট সেপটিমিয়াস সেভেরাস তার পুত্র অগস্টা আন্তোনিয়ার সম্মানে এই শহরটির নামকরণ করেন। এরপর ৩৩০ খ্রিস্টাব্দে কন্সট্যান্টাইন দ্য গ্রেট এই শহরকে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন এবং একে নতুন রোম বলে অভিহিত করেন। সম্রাট কনস্টানটাইন নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মুদ্রাতে এই শহরটির নাম বাইজেন্টিয়াম নামেই উল্লেখ হতে থাকে। প্রায় সহস্রাধিক বছর পরে সম্রাট কনস্টানটাইনের নাম অনুসারে শহরটির নাম কন্সট্যান্টিপোলে রূপান্তরিত করা হয়।
১৯২৩ সাল পর্যন্ত কন্সট্যান্টিপোল ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী। ১৯২৩ সালে অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে তুরস্ক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর কন্সট্যান্টিপোল থেকে এর রাজধানী আঙ্কারায় স্থানান্তরিত করা হয়। এখন পর্যন্ত এটি তুরস্কের বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এই শহরটি ইউরোপ এবং এশিয়া অংশজুড়ে অবস্থিত হওয়ায় আন্তর্জাতিকভাবেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
ইস্তানবুুল রয়েছে অটোম্যান এবং রোমানদের তৈরি বিভিন্ন মসজিদ, গির্জা এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা। তুরস্কের সবচেয়ে বড় এবং সুন্দরতম মসজিদ হলো সুলেমানিয়া মসজিদ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সাতটি পাহাড়ের উপর একটি সুন্দর মুকুট। বিশাল জায়গা নিয়ে বানানো কমপ্লেক্সের মতো এই মসজিদের প্রাচীন অনেক ভবন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং বর্তমানে পুনঃব্যবহারের উপযোগী করা হয়েছে।
তুরস্কের ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলোর মধ্যে অন্যতম হাজিয়া সোফিয়া। মূলত এটি স্থাপন করা হয়েছিল অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে। এরপর অটোমানরা কন্সট্যান্টিপোল জয়ের পর এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করে। নামকরণ করা হয় ‘ইম্পেরিয়াল মসজিদ’। তৎকালীন সময়ে এই ইম্পেরিয়াল মসজিদটি তুরস্কের সবচেয়ে বড় মসজিদ হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৩৫ সালে মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক এই মসজিদটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করে যা বর্তমানেও বিদ্যমান রয়েছে।
অটোমান শাসক সুলতান সুলেমানের নাম আমরা কমবেশি সবাই শুনেছি। সুলতান সুলেমানের বাসভবন ছিল টপকাপি প্যালেস। ১৪১০ সাল পর্যন্ত তার পরিবার এই প্যালেসেই বসবাস করত। এই প্যালেসের সৌন্দর্য আমরা টিভিতেই দেখে মুগ্ধ হই আর বাস্তবে কতটা সুন্দর তা হয়তো কেউ না গেলে বুঝতে পারবে না। এই প্যালেসটি মূলত চার ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে রয়েছে প্যারেড কোর্ট এবং আয়া ইরানি নামে একটি গির্জা। দ্বিতীয় অংশে রয়েছে সুন্দর একটি পার্ক যেখানে শুধু সুলতান সুলেমান এবং তার মায়েরই প্রবেশাধিকার ছিল। তৃতীয় ভাগে সুলতানের রাজকীয় ট্রেজারি ও সভা কক্ষ আছে। চতুর্থ ভাগে সুলতানের বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখানে বাগান, পুল ও টেরেস চোখে পড়বে।
তুরস্কের গ্র্যান্ড বাজারের নাম শোনেনি এমন লোক হয়তো খুব কম রয়েছে। রঙিন ও ব্যস্ততম এই বাজার শতাব্দী ধরে ইস্তাম্বুল শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সবার কাছে। ১৪৫৫ সালে নির্মাণকালীন সময়ে এটি ছিল ছোট্ট একটি গুদাম ঘর। আর এখন রয়েছে ৬১টি গলিতে প্রায় চার সহস্রাধিক দোকান। এর প্রধান ফটক ধরে হাঁটলে প্রাচীন আমলের বেশকিছু পান্থশালা নজরে পড়বে যেখানে কারিগরের সূক্ষ্ম কাজ দেখতে পাবেন। এখানকার প্রত্যেকটি দোকান ঝলমলে রঙিন আলো দিয়ে সাজানো। পাওয়া যায় প্রায় সব ধরনের জিনিসপত্র। সবকিছুতেই যেন একটা রাজকীয় স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়।
তুরস্কের পেরা মিউজিয়াম তুর্কি শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন। এই জাদুঘরে তুর্কি শিল্পীদের আঁকা বিভিন্ন আর্ট মুগ্ধ করবে আপনাকে। তুর্কিশ শিল্পী সুনা ও ইয়ান কাইরাসের ব্যাক্তিগত সংগ্রহশালা থেকে অনেক ছবি এখানে স্থান পেয়েছে। মূলত এই চিত্রশিল্প গুলো ১৭ থেকে ২০ শতাব্দীর মধ্যের সময়ে আঁকা।
বসফরাস প্রণালী তীর ধরে বেশ কিছু রাস্তা রয়েছে যেগুলো ‘দ্য বসবরাস স্ট্রেইট’ নামে পরিচিত। সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা হয়তো আর হতে পারে না। আর সময়টা যদি হয় গোধূলিবেলা তাহলে তো কোনো কথায় নেই। গোধূলির রক্তিম আলোয় যখন এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশকে দেখবেন তখন আপনার মনে হতেই পারে এই জন্যই বুঝি সাম্রাজ্যগুলো বার বার তাদের রাজধানী স্থাপনের জন্য এই শহরকে বেছে নিয়েছে।
ইস্তানবুল হলো ইস্তানবুল প্রদেশের রাজধানী। এটি একটি মেট্রোপলিটন পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত হয়। ইস্তানবুল এই প্রদেশের ৩৯টি জেলার সদর দফতর। সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছে একজন মেয়র এবং একাধিক কাউন্সিলর, যারা সরাসরি জনগণের ভোটে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। ইস্তানবুল শহরের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫৫ লক্ষ। ৫,৩৪৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ইস্তানবুল শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৩ হাজার জন। সমগ্র তুরস্কের মত ইস্তানবুলের জনসংখ্যারও সিংহভাগই মুসলমান। এখানে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৮.৩ শতাংশই জন্মগতভাবে মুসলমান। যদিও ধর্মেকর্মে অন্যান্য দেশের চেয়ে এ অঞ্চলের মানুষদের মনোযোগ কম, কিন্তু ধর্মীয় ঐতিহ্যের গর্ব সবার মধ্যেই বিদ্যমান। অধিকাংশ লোকই ইউরোপীয় ভাবধারায় সেক্যুলার জীবনযাপন করেন।
ইস্তানবুল তুরস্কের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। ইস্তানবুলের মোট জিডিপি প্রায় ২৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মাথাপিছু আয় প্রায় ১৭ হাজার মার্কিন ডলার। ইস্তানবুল পৃথিবীর ২৯তম বৃহৎ অর্থনীতির শহর।
‘ইস্তানবুল বিমানবন্দর’ পৃথিবীর সর্ব বৃহত্তম বিমানবন্দর। ২০১৮ সালের ২৯শে অক্টোবর তুরস্কের ৯৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এ বিমানবন্দরটি উদ্বোধন করেন। বর্তমানে এতে বৎসরে ১৫ কোটি যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা রয়েছে এবং ভবিষ্যতে বাৎসরিক ২০ কোটি যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা সম্পন্ন হবে। ৭৬ মিলিয়ন বর্গমিটার ভূমির উপর বিমানবন্দরটি অবস্থিত। পুরোদমে চালু হলে প্রতিদিন ২৫০টি প্লেন যাতায়াত করবে ৩৫০টি গন্তব্যস্থলে। ইস্তানবুল বিমানবন্দরের টার্মিনালটিও হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টার্মিনাল।
শিক্ষা খাতে ইস্তানবুলের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। ‘ইস্তানবুল ইউনিভার্সিটি’ ইস্তানবুলের সবচেয়ে প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা ১৪৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় পাঁচ হাজারের উপরে স্কুল রয়েছে শুধু ইস্তানবুল মেট্রোপলিটনের মধ্যে। পাবলিক এবং প্রাইভেট মিলে প্রায় ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া রয়েছে অসংখ্য কলেজ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ইস্তানবুল শহর ভূমিকম্প, হামলা, আক্রমণ কিংবা দাবানলের প্রভাবে অসংখ্যবার ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। যদিও এ সমস্ত বিপর্যয়ের চিহ্নগুলো প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। তারপরেও অসংখ্য স্মৃতিচিহ্ন এখনো শহরের অলিতে গলিতে দৃশ্যমান। রাস্তাগুলো প্রশস্ত হয়েছে, বাড়িগুলো পুনঃর্নির্মাণ করা হয়েছে, সবকিছুতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া, কিন্তু পুরনো এবং প্রাচীন ঐতিহ্যকে সম্পূর্ণরূপে ঝেড়ে ফেলতে পারেনি এ শহর।
ইস্তানবুলের প্রতিরক্ষা দেওয়ালগুলো এখনো সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান রয়েছে। মূল ভূখণ্ড থেকে উপদ্বীপকে পৃথককারী প্রধান দেওয়ালটি একবারই মাত্র আক্রান্ত হয়েছিল। সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহ ১৪৫৩ সালে বাইজেন্টাইনকে পরাস্ত করার সময় যে কামানের আঘাত করেছিল তাতে এ দেওয়াল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ দেওয়ালটি পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ভেদ্য দেওয়ালগুলো মধ্যে অন্যতম। ৩০ ফুট উচ্চতার এ দেওয়ালের পুরুত্ব প্রায় ১৬ ফুট।
প্রতিবছর ঐতিহ্য ও সভ্যতার শহর ইস্তানবুল ভ্রমণ করতে সারা পৃথিবী থেকে ছুটে আসে প্রায় ৫ কোটির অধিক পর্যটক। পর্যটন শিল্প তুরস্কের অর্থনীতির অন্যতম বৃহৎ খাত। ২০১৯ সালে তুরস্ক সরকার শুধুমাত্র পর্যটন খাত থেকে আয় করেছে ৩৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।