ঘর আলো করে আসে আমাদের ছোট্ট অতিথি, নিয়ে আসে জীবনে একরাশ আনন্দ আর হৃদয়ে কোমলতম প্রশান্তি। তাই ওদের প্রতি আমাদের দায়িত্বগুলোও পালন করতে হবে কমনীয়তার সাথে। শিশুর যত্নে ব্যবহার্য সকল কিছুই হতে হবে তার উপযোগী।
শিশুর দৈনন্দিন সকল প্রয়োজন মিটিয়ে ফেললেও একটা ব্যাপার রয়েই যায়— ভেজা কাঁথা বা ডায়াপার, যা শিশুর নানা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাতের নির্ঝঞ্ঝাট ঘুম থেকে সারাদিনের চাঞ্চল্য; শিশুকালের পুরোটা জুড়েই আছে এর প্রভাব। তাই অনেক মা-বাবাই ডায়াপার ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
ডায়াপারের প্রচলন বেশ আধুনিক হলেও এর উৎপত্তি কিন্তু প্রাচীন ন্যাপকিন বা কাঁথা থেকেই। শিশুদের চলাফেরা করতে দিতে বিশ্বজুড়ে মা-খালারা আগে থেকেই নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছেন। উনিশ শতকেই পাওয়া যায় এমন নানা উদাহরণ। উলের আবরণীতে কাপড়, রাবারের বা প্লাস্টিকের তৈরি আবরণে কাপড়ের তৈরি নানা প্রচেষ্টা আমাদের চোখে পড়ে। বিংশ শতকের মাঝামাঝি এসে ডিসপোজেবল ডায়াপারের প্রচলন, এবং পঞ্চাশের দশকে শুরু আধুনিক ডায়াপারের প্রথম বাজারজাতকরণ। সময়ের সাথে সাথে সেফটি-পিন, বোতামে আটকানো, ফিতা, বেল্ট পেরিয়ে এখনকার প্যান্ট-সিস্টেম ডায়াপার আজ ঘরে ঘরে মায়েরা তুলে নিচ্ছেন।
স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থেকে সহজেই ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া, ঠাণ্ডা-কাশি, নিউমোনিয়া, হাঁপানি বা অ্যাজমাসহ ত্বকেরও নানা সমস্যা শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। রাতে কাঁথা ব্যবহার এ কারণে খুব বিপদজনক হয়ে যায়, ডায়াপার এ সময়ে হয়ে দাঁড়ায় অপরিহার্য। রাতের বেলায় অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয় এমন ডায়াপার ব্যবহার করা উচিত, যেন স্যাঁতস্যাঁতে ভাবের জন্য বাচ্চাদের ঘুমে কোনো বিঘ্ন না ঘটে কিংবা সর্দিও না লাগে। সেই সাথে নজর দিতে হবে গুণগত মানের দিকেও। ভালো ব্র্যান্ডের ডায়াপার পরতে যেমন আরামদায়ক, তেমনি বাচ্চার নাজুক ত্বকেও কোনো ক্ষতি করে না। শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়, ফলে ডায়াপার র্যাশ বা ত্বকের লাল ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যা বেড়ে যায়। এ কারণে অনেকেই ডায়াপার পরানোর আগে পাউডারের বদলে লোশন বা পেট্রোলিয়াম জেলি জাতীয় উপাদান ব্যবহার করে থাকেন। এতে সমস্যার লাঘব হলেও প্রয়োজন হয় শতভাগ তুলার তৈরি ডায়াপারের। সেই সাথে শিশুর অস্বস্তি কমাতে প্রয়োজন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতাসম্পন্ন ডায়াপারের, এবং সময়মতো পরিবর্তনের।
বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে অনেক নামকরা ব্র্যান্ডের ডায়াপার। দেশি-বিদেশি উভয় ধরনের কোম্পানিই রয়েছে এসব ব্র্যান্ডের মধ্য। ওজনের বিভিন্ন গ্রুপভেদে, বিভিন্ন সাইজের প্যাকেজিংয়ে ডায়াপার বিদ্যমান বাজারে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডায়াপার এক প্যাকেটে ৪-১২টি থেকে ৫০-৭২টি পর্যন্ত পাওয়া যায়। আবার দামের পার্থক্যও লক্ষ্য করা যায় ব্র্যান্ডভেদে। ক্ষেত্রবিশেষে ১০ টাকা থেকে ৫৫ টাকার মতো তফাতও হতে পারে ডায়াপারের মূল্যে। এক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের মধ্যে ব্যবধান লক্ষণীয়। দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর মূল্য ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকার আশপাশে থাকলেও, বিদেশি ব্র্যান্ডের প্রতি পিস ডায়াপারের দাম ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকার মতো হয়।
তবে বাংলাদেশি ব্র্যান্ডগুলোর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাবার অন্যতম কারণ এর উপযোগিতা। এ দেশের শিশুদের প্রয়োজন ও তার পিতামাতার সামর্থ্যের কথা ভেবেই মানসম্পন্ন ডায়াপার বাজারে আনায় চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম খরচে ভালো পণ্য পাওয়ার সুবিধার কথা চিন্তা করে তাই অনেক মা-বাবা এখন ঝুঁকছেন দেশি ব্র্যান্ডগুলোর দিকে।
দেশি যে ব্র্যান্ডটি বাজারে সাড়া ফেলে দিয়েছে এর অনন্য বৈশিষ্ট্যে, তা হলো এসিআই-এর স্যাভলন টুইংকেল বেবি প্যান্ট ডায়াপার। ২০১৭ সালে বেল্ট সিস্টেম বেবি ডায়াপার বাজারজাতকরণের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে স্যাভলন টুইংকেল। সাশ্রয়ী মূল্যে গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রাখায় বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলে স্যাভলন টুইংকেল বেবি ডায়াপার। আর এরই ধারাবাহিকতায় নতুন প্যান্ট স্টাইল বেবি ডায়াপার বাজারে এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তারা। বেশ কয়েক বছর যাবতই প্যান্ট স্টাইল ডায়াপারের বাজারে বহুল চাহিদা। আর তাই ফ্যান্টাস্টিক ফিচার সমৃদ্ধ স্যাভলন টুইংকেল বেবি প্যান্ট ডায়াপারের বিশাল রেঞ্জের পণ্যগুলো সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। নামকরা এই ব্র্যান্ড তার অন্যান্য সকল পণ্যের মতোই মানসম্পন্ন ও সাশ্রয়ী। যেসব সুবিধা স্যাভলন টুইংকেল বেবি প্যান্ট ডায়াপার আপনার শিশুকে দেবে, তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ওয়েটনেস ইন্ডিকেটর। এটি বলে যে কখন ডায়াপার পরিবর্তন করতে হবে। মা-বাবাদের জন্য এক বিরাট স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিয়েছে এই ইন্ডিকেটর। শিশুর যেমন অস্বস্তিতে কান্না করে জানান দিতে হবে না মাকে, তেমনি, বেড়াতে গেলে কোনো অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে হবে না মা-বাবার। এরপর আসে এর কটনি সফট বৈশিষ্ট্য। এই ডায়াপারের উপরের শীট এবং পিছনের শীট উভয়ই তুলার মতো নরম, তাই শিশুরা সারাদিন আরামে থাকে। আর তাই কোমল ত্বকে কোনো ধরনের র্যাশ বা চুলকানি দেখা দেয় না।
স্যাভলন টুইংকেল বেবি প্যান্ট ডায়াপারে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের এসএপি প্রযুক্তি, যা ডায়াপারের শোষণক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশুর ত্বককে রাখে শুষ্ক ও সতেজ। প্রতিটি ডায়াপার সুগন্ধিযুক্ত হওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়ানোর ভয় থাকে না। তাই নিশ্চিন্তে বেরিয়ে আসা যাবে বাবুকে নিয়ে, থাকবে না কোনো সংকোচ। প্রতিটি ডায়াপার UV রশ্মির অধীনে মেশিনে জীবাণুমুক্ত করা হয়। ফলে জীবাণু থেকে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণই নেই।
নবজাতক বা হামাগুড়ি দেওয়া কিংবা গুটি গুটি পায়ে দৌড়ানো চোখের মণির সঠিক যত্নে দরকার সঠিক পণ্য। সারাদিন ছুটে বেড়ানো ও রাত্তিরে একটানা ঘুম খুবই প্রয়োজন শিশুর সঠিক বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে। তাই সঠিক পণ্য পছন্দে দুশ্চিন্তাহীন থাকবে মা-বাবা, আর ছোট্ট সোনামণি থাকবে স্বতঃস্ফূর্ত ও হাসিখুশি, সবসময়।