“সংবাদ বা স্টোরি কি কোনো পার্থক্য গড়ে দিতে পারবে?” সাংবাদিকতা পেশায় যারা আছেন, তাদের প্রতিবারই সংবাদ নিয়ে কাজ করাকালে এই একটি প্রশ্ন মাথায় ঘোরে। অধিকাংশ সময়ই উত্তর স্পষ্ট থাকে না। বিশেষ করে পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকতা পেশায় যারা আছেন, তাদের ক্ষেত্রে উত্তর নেতিবাচকই থাকাই সাধারণ ঘটনা ছিল একসময়। কারণ এমন সংবাদের অভাব নেই যা দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রে চলে যেতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি ধারা বদলেছে, বদলেছে পরিবেশের চিরচেনা রূপও। তাই পরিবেশ বিষয়ক তথ্য কিংবা জলবায়ু ইস্যুতে সোচ্চার হয়ে ওঠার ঘটনা বেড়েছে দেশে দেশে। সেই সাথে ব্যস্ততা এবং গুরুত্বও বেড়েছে পরিবেশ সাংবাদিকতার। কিন্তু সেই একই প্রশ্ন, কতটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারছেন পরিবেশ সাংবাদিকরা?
সংবাদমাধ্যমে কতটা গুরুত্ব পায় পরিবেশ?
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকেই পরিবেশের নেতিবাচক প্রভাবগুলো দৃশ্যমান হতে শুরু করে। সেসব প্রভাব নিয়মিত খবরের শিরোনামও হতে থাকে তখন থেকেই। তবে সংবাদমাধ্যমে পরিবেশকে আলাদা বিভাগ হিসেবে গুরুত্ব দেওয়ার ঘটনা খুব বেশিদিনের নয়। গেল দশক থেকে এই ধারা শুরু হতে দেখা যায়। ঠিক কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবেশ বিষয়ক খবরকে তার একটি উদাহরণ হতে পারে ব্রিটিশ প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
২০১৯ সালে গার্ডিয়ান তাদের করা একটি অঙ্গীকার পাঠকদের সামনে নিয়ে আসে। পত্রিকার কর্তৃপক্ষ সে সময় ঘোষণা করে, পরিবেশ বিষয়ক সংবাদকে তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করবে।
পরের বছর গার্ডিয়ান জানায়, তারা তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিগত এক বছরে প্রায় তিন হাজার পরিবেশ বিষয়ক সংবাদ প্রকাশ করেছে। এর মানে- গড়ে প্রতি তিন ঘন্টায় পত্রিকাটি একটি করে পরিবেশ বিষয়ক সংবাদ প্রকাশ করেছে। এই সংবাদগুলো পড়েছেন ১০ কোটি পাঠক। শুধু গার্ডিয়ানের জন্যই নয়, এই মাইলফলক পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হয়।
গার্ডিয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে , একটি স্বাধীন সংবাদ সংস্থা হিসেবে জলবায়ু গুরুত্ব বিষয়ে তাদের প্রতিবেদনগুলো কখনোই বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক স্বার্থ দ্বারা প্রভাবিত হয়নি, এবং হবেও না। এর পরিবর্তে তারা সাংবাদিকতার মাধ্যমে ভুল এবং চাঞ্চল্যকর তথ্য মোকাবিলা করে সর্বদা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
পরিবেশ সাংবাদিকতার গুরুত্ব এখন দৃশ্যমান সংবাদমাধ্যমগুলোতেই। আগে পরিবেশ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশে অনাগ্রহী দেখা যেত মিডিয়া হাউজগুলোকে। এখন সেই ধারা বদলেছে। সংবাদমাধ্যমে এখন আলাদা বিভাগই দেখা যায় পরিবেশ বিষয়ক সংবাদের জন্য। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম নিয়মিত পরিবেশ বিষয়ক ফিচার বা নিবন্ধও প্রকাশ করছে। হচ্ছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কাজও। পরিবেশ সাংবাদিকতা পেশার চাহিদাও তাই বাড়ছে দিনে দিনে।
পেশা হিসেবে পরিবেশ সাংবাদিকতা
পরিবেশ নিয়ে নিবন্ধ বা সংবাদ লেখা শুরুর আগে প্রচুর গবেষণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ভ্রমণ বা প্রকৃতি বিষয়ক লেখার চেয়ে পরিবেশ বিষয়ে লেখার জন্য গবেষণাক্ষেত্র বেশ বিস্তৃত হতে হয়। কারণ পরিবেশ শুধু একটি নির্দিষ্ট বিষয় ঘিরেই থাকে না। পরিবেশ যে বিষয়ের উপরই লেখা হোক না কেন, তার সাথে জড়িয়ে থাকে পারিপার্শ্বিক আরও অসংখ্য বিষয় ও প্রভাব। তাই এই বিষয়ক গবেষণায় জানার পরিধি বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হয়।
বিষয়বস্তুর গুরুত্ব এবং বাস্তবসম্মত ক্ষেত্র হিসেবে পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকদের তাদের প্রতিবেদনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাত্কার এবং অনুসন্ধানমূলক দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হয়। এক্ষেত্রে বিষয় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়। আপনাকে এমন একটি বিষয়বস্তু নির্বাচন করতে হবে যা সম্পর্কে অন্য কেউ এখনও লেখেনি বা আপনার নিবন্ধটি সেসব প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার কাজকে তুলে ধরবে যারা পরিবেশকে অবহেলা করে প্রকৃতিকে ক্রমেই নেতিবাচক প্রভাবের দিকে ঢেলে দিচ্ছে।
পরিবেশ বিষয়ক লেখকরা তাদের অনন্য কণ্ঠস্বর এবং লেখার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ প্রভাবক বিষয়বস্তুর গভীরে গিয়ে তুলে আনেন অজানা তথ্য। এমন করে তারা পরিবেশ এবং একে রক্ষা করার উপায় সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় অবদান রাখেন। তারা পরিবেশগত সমস্যার উভয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গবেষণা করেন, এবং নৈতিক ও বাস্তবসম্মত উপায়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। যদিও তারা যুক্তির উভয় দিকই পরিচয় করিয়ে দেন, এরপরও মূল সমস্যার প্রভাবকে কমতে দেন না নিজেদের লেখায়। সমুদ্রে মাইক্রো-প্লাস্টিক দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের নতুন বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান, নির্দিষ্ট বন্যপ্রাণী প্রজাতির উপর মানুষের কার্যকলাপের প্রভাব বা অন্যান্য যেসব বিষয়েই আলোকপাত করেন না কেন, পরিবেশ সাংবাদিকরা পাঠকদের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে এমন একটি বোধগম্য উপায়ে তথ্য সাজান তাদের লেখায়।
পৃথিবী বিবর্তনীয় প্রকৌশলের একটি অসাধারণ অংশ, যা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে স্বনিয়ন্ত্রিত উপায়ে নিজেকে বিকশিত করেছে। কিন্তু এই ধারা এখন মানুষের ক্রিয়াকলাপ দ্বারা অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। সেই জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে দ্রতই। বের করতে হবে সমাধানের পথ, এবং একইসাথে সেই পথে হাঁটাও শুরু করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। এই জায়গায় কাজের সুযোগ আছে সাংবাদিকদের।
সাংবাদিকরা স্থানীয় এবং বৈশ্বিক সংযোগ করতে পারেন, যা যেকোনো সমাধানের অপরিহার্য একটি অংশ। জলবায়ু সংকট, প্রাকৃতিক জীবনের সমন্বিত ব্যবস্থার পতন, সংক্রামক নানা রোগের উত্থান, এবং বায়ু, পানি ও মাটি দূষণের মতো নানা ঘটনা প্রায়শই দূরবর্তী অঞ্চল এবং দরিদ্র সম্প্রদায়গুলোতে প্রথম স্পষ্ট হয়, যদিও চূড়ান্ত পরিণতিগুলো ধনী এবং আরও ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলেই ঘটতে দেখা যায়। কোভিড-১৯-ই এর জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ। মহামারীকালে আমরা দেখেছি, যদি না সমস্যাগুলো প্রাথমিক এবং স্থানীয় পর্যায়ে চিহ্নিত করা হয়, এবং সেগুলো মোকাবেলায় দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক খরচগুলো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে সময় নেয় না। কারণ সেগুলো পরবর্তীতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং ক্রমেই প্রসারিত হয়।
এখন পেশাগত সাংবাদিকতার বাইরেও ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে অনেক সংবাদমাধ্যমে। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পরিবেশ সংক্রান্ত নিবন্ধগুলো খুব সহজেই বিভিন্ন প্রকাশনায় জমা দিতে পারেন। পরিবেশ নিয়ে আগ্রহ থাকার জায়গা থেকে যদি আপনি পরিবেশের জন্য কিছু অবদান রেখে যেতে চান, সেক্ষেত্রে পরিবেশগত বিষয়গুলোতে নিবন্ধ প্রকাশ করা আপনার কাজের পটভূমিতে একটি ভাল সংযোজন হতে পারে।
বাংলাদেশের চিত্র কেমন?
পরিবেশ সাংবাদিকতা দেশীয় এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ঠিক কতটা গুরুত্ব পায় তা নিয়ে নিয়মিতই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ পেতে দেখা যায় আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোয়। বিগত বছরগুলোয় বাংলাদেশের পত্রিকাগুলো নিয়েও গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। ২০১১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক এবং জাপানের শিনসু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের যৌথ গবেষণায় বাংলাদেশের তিন জাতীয় দৈনিক- প্রথম আলো, ইত্তেফাক এবং ডেইলি স্টারের তিন বছরের পরিবেশ বিষয়ক সংবাদ বিশ্লেষণপূর্বক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গবেষকরা সেসময় দেখতে পান, পত্রিকাগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ইস্যু নিয়মিতভাবে গুরুত্ব পায় না। বরং সময়ের সাথে বৈশ্বিক ধারার সাথে তাল মিলিয়ে পরিবেশ বিষয়ক সংবাদ প্রকাশ পায়। তবে গবেষকরা এই ধারা ক্রমেই বদলাচ্ছে বলে আভাস পেয়েছিলেন গবেষণা সময়ের শেষদিকে।
গেল বছর (২০২১) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সালের তথ্য নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখতে পান- ইট ভাটা, দূষণ এবং বায়ু দূষণ সম্পর্কিত খবরেই বেশি মনোযোগ বাংলাদেশী সংবাদমাধ্যমগুলোর। এই তিন ক্ষেত্রের সংবাদগুলোই সবচেয়ে পুনরাবৃত্ত বিষয় হিসেবে আসে সংবাদপত্রের পাতায়। এর বাইরে কালেভদ্রে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বায়ুর মান বিষয়ক কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোকপাত করা হয় সংবাদমাধ্যমে।
২০২০ সালে রাজধানীর ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর গবেষণামূলক প্রবন্ধে উঠে এসেছে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর পরিবেশ বিষয়ক সংবাদের চালচিত্র। প্রবন্ধটিতে তিন জাতীয় দৈনিক- প্রথম আলো, কালের কন্ঠ এবং ডেইলি স্টারের সেই বছরের পুরো জুন মাসের পরিবেশ বিষয়ক প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, তিনটি পত্রিকাতেই মোট প্রকাশিত সংবাদের মাত্র ৫ শতাংশ প্রকাশিত হয়েছে পরিবেশ বিষয়ক সংবাদ। এর মধ্যে সেই মাসে সবচেয়ে বেশি ৫৫টি পরিবেশ বিষয়ক সংবাদ প্রকাশ করে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার।
বিপদজনক হয়ে উঠছে পরিবেশ সাংবাদিকতা?
পরিবেশগত সমস্যাগুলো বৈশ্বিক সমস্যার বহিঃপ্রকাশ হয়ে ওঠে। ধনী দেশগুলোর নিরন্তর কার্বন নিঃসরণ সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেয় অপেক্ষাকৃত নিচু অঞ্চলের মানুষদের। তাই পরিবেশগত সমস্যার গভীরে যেতে হলে, এবং এর সমাধান খুঁজতে বৈশ্বিক যোগাযোগেও সচেষ্ট থাকতে হয় পরিবেশ সাংবাদিকদের।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিষয়ক অধ্যাপক এরিক ফ্রেডম্যান বলছিলেন, “সাংবাদিকতা পেশার অন্যতম বিপজ্জনক একটি ক্ষেত্র পরিবেশ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা। ” তার পক্ষে অবশ্য পরিসংখ্যানও দিচ্ছে সায়। ২০০৫-১৬ এর মধ্যবর্তী সময়ে পরিবেশ বিষয়ক সংবাদ প্রকাশের জেরে বিশ্বব্যাপী ৪০ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত্যুর এই সংখ্যা একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তানে চলমান যুদ্ধে মারা যাওয়া সাংবাদিকদের (৩১ জন) চেয়েও বেশি।
পরিবেশ নিয়ে প্রায়ই আমরা নানা বিতর্ক লক্ষ্য করি। এই বিতর্কে জড়িয়ে থাকে প্রভাবশালী ব্যবসা, অর্থনৈতিক স্বার্থ, রাজনৈতিক যুদ্ধ, অপরাধমূলক কার্যকলাপ, সরকারবিরোধী বিদ্রোহী বা দুর্নীতির মতো প্রভাব।
ধনী এবং উন্নয়নশীল উভয় দেশেই সাংবাদিকরা এই প্রভাবগুলো মাথায় রেখেই পরিবেশের নানা দিক নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন, খোঁজেন অন্তরালের অজানা তথ্যও। এই কাজ করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিককেই মানসিক অসুস্থতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। অনেকের চাকরিজীবনই পড়ে হুমকির মুখে।
মানসিক শাস্তি কিংবা নির্যাতনের ঘটনা সারাবিশ্বেই কম-বেশি ঘটলেও ফ্রান্সভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)’ বলছে, এমন ঘটনার ৬৬ শতাংশই ঘটছে এশিয়া ও আমেরিকা অঞ্চলে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আছে তালিকার শীর্ষস্থানে। এরপর যথাক্রমে কলাম্বিয়া, মেক্সিকো, ফিলিপাইন এবং মায়ানমার রয়েছে।
কিন্তু সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখতে শারীরিক সহিংসতাই একমাত্র অস্ত্র নয়। আরএসএফ বলছে, “যারা শক্তিশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলোর মদতে ধ্বংসাত্মক অনুশীলনের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে সত্য প্রকাশ করার চেষ্টা করে, মানহানি আইন প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বা ফৌজদারি কার্যধারায় আনার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।” গ্রেফতার করা এবং জেলহাজতে নেওয়া হচ্ছে পরিবেশগত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে সাধারণ সংবাদ স্বাধীনতা লঙ্ঘন।
উদাহরণস্বরূপ, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ২০১৬-২০ সালের মধ্যে কয়েক ডজন সাংবাদিককে পাইপলাইন নির্মাণ এবং পৈতৃক জমিতে একটি বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করার সময় গ্রেপ্তার করা হয়।
পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিক হওয়া কঠিন কাজ, তবে এতে বিশ্বে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই পৃথিবীতে, পরিবেশের যত্ন নেওয়ার ব্যাপার এর আগে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। গুরুত্ব তৈরির জায়গায় বিশাল পার্থক্য গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে পরিবেশ সাংবাদিকদের। সময়ের সাথে সেই কাজ কতটা এগোয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।