Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ব্রহ্মাস্ত্র সিনেমার অজানা যত দিক

করোনা মহামারীর পর বক্স অফিস আধিপত্যে একপ্রকার খেই হারিয়ে ফেলে বলিউড। দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাগুলো একের পর এক সিনেমা হলের গলি দাপিয়ে বেড়ালেও করোনা অতিক্রান্ত হবার দেড় বছর পরেও বলিউড ভালোভাবে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি। ফোটাতে পারেনি হল মালিকদের মুখে হাসি। ‘বয়কট বলিউড গ্যাং’ সক্রিয় হবার পর পাশাপাশি অক্ষয় কুমার, সালমান খান, আমির খানের মতো প্রখ্যাত অভিনেতারাও বক্স অফিস কাঁপাতে ব্যর্থ হন।

ঠিক সেসময় বক্স অফিসে ব্যর্থতার তপ্ত প্রখরতা কাটিয়ে দেওয়া শীতল বৃষ্টির মতো বলিউডে আশীর্বাদ হয়ে আগমন ঘটল বহুল প্রতীক্ষিত এক সিনেমার। নাম ব্রহ্মাস্ত্র। বলিউডি চর্বিতচর্বণ রোমান্টিক ফর্মুলা এবং পৌরাণিক গল্পের সাথে আধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে ভিন্ন ধাঁচের এই সিনেমা, যা ফিরিয়ে এনেছে বলিউড সিনে ব্যবসার সোনালী অতীত। দৃষ্টিনন্দন হাজার হাজার ভিএফএক্স শটে নির্মিত এবছর বলিউডের অন্যতম সফল চলচ্চিত্র ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর অজানা কিছু দিক নিয়ে আজকের এই আলোচনা।

ব্রহ্মাস্ত্র সিনেমার পোস্টার; Image Source: IMDb/Dharma Productions.

গল্পের ধারণা

ব্রহ্মাস্ত্র সিনেমার ধারণা সিনেমার পরিচালক অয়ন মুখার্জির মাথায় আসে ২০১১ সালে, যখন তিনি ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার স্ক্রিপ্ট তৈরি করছিলেন। কল্পনায় মোটামুটি একটা প্লট দাঁড় করানোর পর তিনি প্রাথমিকভাবে এই সিনেমার নাম দেন ‘ড্রাগন’। যেহেতু ঘুরে-ফিরে বার বার আগুনের খেল-তামাশা ফিরে এসেছে কাহিনিতে, সেজন্য এই নাম দেওয়া হয়। কিন্তু সময় গড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আরও নিত্যনতুন আইডিয়া আসলো অয়ন মুখার্জির মাথায়, তিনি কাহিনিকে আরও জটিলতায় রূপ দিতে চাইলেন। তাই নিয়ে আসলেন সনাতন ধর্মের পৌরাণিক কাহিনিকে।

বলা যায়, সিনেমার আসল প্লট মূলত গড়ে উঠেছে এই ভারতীয় পুরানের অনুপ্রেরণাতেই। ২০১৪ সালে তিনি এই চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৭ সালে প্রযোজক করন জোহারের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধর্ম প্রোডাকশনের সাথে মিলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মুভির কাজ শুরু করেন। অর্থাৎ, এই প্লট সাজানোর পর থেকে সেলুলয়েডের ফিতায় সিনেমাটি প্রদর্শিত হতে সময় লেগেছে পাক্কা এগারো বছর।

ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি সিনেমার সেটে অয়ন মুখার্জি; Image Source: India Times.

রুমি বনাম শিভা

সিনেমার প্রধান অভিনেতা শিভার চরিত্রকে অয়ন মুখার্জি প্রথমে শুরুতে ত্রয়োদশ শতাব্দীর জগদ্বিখ্যাত পারস্য ধর্মতাত্ত্বিক, ইসলামী ব্যক্তিত্ব, সুফি সাধক, ও কবি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমির উপর ভিত্তি করে সাজাতে চেয়েছিলেন। মূলত, তার বিখ্যাত উক্তি ‘Love is the bridge between you and everything’ বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করে তাকে। সেজন্য, প্রথমদিকে রণবীর কাপুরের নাম শিভার পরিবর্তে ছিল রুমি। সেই অনুসারে চুলও বড় রাখতে হয় রণবীরকে। কিন্তু সিনেমা হিন্দু পুরাণভিত্তিক হওয়ার পাশাপাশি আরও নানা কারণ থাকায়, চরিত্রের নাম রুমি পরিবর্তন করে শিভা রাখা হয়।

রুমির উক্তি; Image Source: A-Z Quotes.

নাগার্জুনার প্রত্যাবর্তন

জনপ্রিয় দক্ষিণী অভিনেতা নাগার্জুনা আক্কেনেনি ব্রহ্মাস্ত্র সিনেমায় অজয় ভাশিষ্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই সিনেমার মাধ্যমে নাগার্জুনা বলিউডে ফিরে এসেছেন প্রায় দুই দশক পর। ১৯৯০ সালে রাম গোপাল ভার্মার ‘শিভা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে নাগার্জুনার। এরপর তিনি ‘ক্রিমিনাল’, ‘দ্রোহী’র মতো জনপ্রিয় বলিউড সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। নাগার্জুনার সর্বশেষ বলিউড মুভি ছিল ২০০৩ সালে। হিস্ট্রিক্যাল ওয়ার জনরার এই সিনেমার নাম ছিল ‘LOC Kargil’।

অয়ন মুখার্জি যখন ২০১৮ সালে নাগার্জুনার কাছে এই রোলের প্রস্তাব নিয়ে যান, তখন নাগার্জুনার শর্ত ছিল, সিনেমার কাহিনি পছন্দ না হলে তিনি এই চরিত্রে অভিনয় করবেন না। তাকে রাজি করানোর লক্ষ্যে পরিচালক সিনেমার গল্পখচিত এক গ্রাফিক নোভেল নিয়ে হাজির হন নাগার্জুনার কাছে। সেটা দেখে ভালো লাগায় গ্রিন সিগনাল দেন নাগার্জুনা।

নন্দী অস্ত্রের মালিক অজয় ভাশিষ্ট চরিত্রে দক্ষিণী সুপারস্টার নাগার্জুনা; Image Source: Dharma Productions.

দ্য চোজেন ওয়ান

সিনেমার গল্পে শিভাকে ফোকাস করা হয়েছে ‘চোজেন ওয়ান’ বা ‘ত্রাতা’ হিসেবে। সেজন্য ব্রহ্মাস্ত্র নির্মাণে অয়ন মুখার্জি সবচেয়ে বেশি অনুসরণ করেছেন হ্যারি পটার এবং দ্য লর্ড অভ দ্য রিংস ফ্র‍্যাঞ্জাইজিকে। কারণ, হ্যারি পটার এবং লর্ড অভ দ্য রিংসের ফ্রোডো ব্যাগিন্স উভয়েই আবির্ভূত হন ত্রাতা হিসেবে। তাই, গভীরভাবে লক্ষ্য করলে পুরো সিনেমায় হ্যারি পটার এবং লর্ড অভ দ্য রিংসের সাথে বহু সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

হ্যারি পটার এবং দ্য লর্ড অভ দ্য রিংস; Image Source: Warner Bros/New Line CInema.

স্বদেশ সিনেমার ইস্টার এগ

সিনেমাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে যে ক’টি জিনিস মূল উপজীব্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল বিজ্ঞানী মোহন ভারগব চরিত্রে শাহরুখ খানের ক্যামিও। অল্পসময় স্ক্রিনে থেকে যেভাবে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন, তাতে খান সাহেবকে বিশেষ প্রশংসায় ভাসানোই যায়। শুরুতেই তিনি বাড়িয়ে দিয়েছেন সিনেমার গ্ল্যামার। ভবিষ্যৎ সফলতার প্রবল সম্ভাবনায় অয়ন মুখার্জি ইঙ্গিত দিয়েছেন, মোহন ভারগব চরিত্রকে দর্শকের সামনে আরও বড় পরিসরে নিয়ে হাজির হবেন তিনি। শুধু বিজ্ঞানী মোহন ভারগব চরিত্রের উপর ভিত্তি করে ব্রহ্মাস্ত্রের অংশ হিসেবে আসবে আলাদা এক স্পিন-অফ মুভি।

ব্রহ্মাস্ত্র সিনেমায় শাহরুখ; Image Source: Dharma Productions.

আরেকটা মজার বিষয় হলো, আশুতোষ গোয়ারিকর পরিচালিত ‘স্বদেশ’ (২০০৪) সিনেমাতেও শাহরুখ খানের নাম ছিল মোহন ভারগব। ওই মুভিতেও তিনি ছিলেন একজন বিজ্ঞানী। সম্পর্কে অয়ন মুখার্জি হলেন আশুতোষ গোয়ারিকড়ের ভগ্নীপতি। পরিচালনা জগতে অয়ন পা রেখেছিলেন এই ‘স্বদেশ’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার মাধ্যমেই। কে ভেবেছিল, এই অয়ন মুখার্জি চল্লিশের কোটায় পৌঁছানোর আগেই ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেটের সিনেমা নির্মাণ করবেন! বলা যায়, মোহন ভারগবের মাধ্যমে তিনি স্বদেশ সিনেমাকে ছোটখাট এক ট্রিবিউটই দিয়েছেন।

ব্রহ্মাস্ত্র এবং স্বদেশ দুই সিনেমাতেই শাহরুখ ছিলেন বিজ্ঞানী, এবং তার নাম ছিল মোহন ভারগব; Image Source: Ashutosh Gowariker Productions/Dharma Productions.

প্রি-পোডাকশন

সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের (কনসেপ্ট আর স্ক্রিপ্টিং) কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল ২০১৪ সালেই। কিন্তু এর মেইন ফিল্মিং অর্থাৎ প্রিন্সিপাল ফটোগ্রাফি শুরু হয় ২০১৮ সালে। ওই বছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মুভিটি বুলগেরিয়া, লন্ডন, এডিনবার্গ, স্কটল্যান্ড, এবং নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন জায়গার শুট করা হয়। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেনারসের রামনগর কেল্লা এবং শেঠ সিং কেল্লায় শুরু হয় ২০ দিনের শুটিং।

করোনা মহামারির সময় কাজ বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। প্রথমত চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের বড়দিনে। বিভিন্ন জটিলতায় তারিখ পিছিয়ে দিতে হয় ২০১৯ সালের আগস্টের মাঝামাঝিতে, স্বাধীনতা দিবসে। এরপর আবার পিছিয়ে যায় মুক্তি তারিখ। ঠিক করা হয় বড়দিনকে। এরপর দুই দফায় ২০২০ সালের গ্রীষ্ম, এবং ২০২০ সালে ৪ঠা ডিসেম্বর মুক্তির তারিখ ঠিক করা হলেও, মহামারির কারণে তা হয়ে ওঠেনি। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ আলিয়া ভাট তার ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে জানান, ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট ওয়ান শুটিংয়ের সমাপ্তি টেনেছে। সিনেমাটি মুক্তি পায় এর ৬ মাস পর, ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর।

শুটিং সেট; Image Source: Brahmastra/Instagram.

ভিএফএক্স

ব্রহ্মাস্ত্র সিনেমার আলাপে বার বার উঠে আসবে এর দুর্দান্ত ভিএফএক্স শটের কথা। মোট বাজেটের কত অংশ ভিএফএক্সের পেছনে খরচ করা হয়েছে, তা নিয়ে নির্ভুল কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে হিন্দুস্তান টাইমসের এক আর্টিকেলে বলা হয়েছে, ভিএফএক্সের পেছনে খরচ করা অর্থের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি ভারতীয় রূপি। সিনেমার ভিএফএক্সের কাজ সামলেছে DNEG কোম্পানি। বলে রাখা ভালো, এই DNEG হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস পার্ট টু, ব্লেইড রানার ২০৪৯, ইন্টারস্টেলার, ডুন, ইনসেপশন, ডানকার্ক, দ্য ডার্ক নাইট রাইজেজের মতো তুমুল জনপ্রিয় সিনেমায় ভিএফএক্স দিয়েছে। এই মুভিতে প্রায় ৪,৫০০ এর কাছাকাছি ভিএফএক্স শট ব্যবহার করা হয়েছে, যা অ্যাভেঞ্জার এন্ডগেমের চেয়েও সংখ্যায় ২,০০০ বেশি।

ব্রহ্মাস্ত্র সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বহু ভিএফএক্স শট; Image Source: Dharma Productions.

রাজামৌলির সম্পৃক্ততা

ব্রহ্মাস্ত্র ছিল একটি প্যান ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট। অর্থাৎ, হিন্দির পাশাপাশি এটি মালায়লাম, তামিল, তেলুগু, এবং কন্নড় ভাষাতেও ডাবিং করা হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের এই সকল অংশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বাহুবালি সিনেমার পরিচালক এসএস রাজামৌলির হাতে। গুঞ্জন আছে, এর জন্য করন জোহার রাজামৌলিকে দশ কোটি রূপি দিয়েছেন। তেলুগু ভার্সনে সিনেমার ন্যারেশন ভয়েজ দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান তেলুগু অভিনেতা চিরঞ্জীবী

(বাঁ থেকে) নাগার্জুনা, রণবীর কাপুর, এবং রাজামৌলি; Image Source: The Hindu.

কুম্ভমেলায় ব্রহ্মাস্ত্র

সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশের পাশাপাশি পূজা-অর্চনা সারতে ২০১৯ সালে কুম্ভমেলার সময় কুম্ভের আকাশে ব্রহ্মাস্ত্রের চিহ্ন দেখানো হয়। এজন্য ব্রহ্মাস্ত্র টিম ব্যবহার করে মোট ১৫০টি ড্রোন

কুম্ভ মেলায় টিম ব্রহ্মাস্ত্র; Image Source: Brahmastra/Instagram.

অস্ত্রাভার্স

ব্রহ্মাস্ত্র সিনেমার কনসেপ্টকে নিয়ে আলাদা এক ইউনিভার্স গড়ে তুলতে চান অয়ন মুখার্জি। এই ইউনিভার্সের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অস্ত্রাভার্স’। ব্রহ্মাস্ত্র সিনেমাকে ট্রিলজি আকারে রূপ দেওয়ার ইচ্ছা তার। সেই হিসেবে প্রথম কিস্তি হলো, ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান – শিভা’, দ্বিতীয় ধাপে আসতে যাচ্ছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট টু – দেব’, যা মুক্তি পেতে পারে ২০২৫ সালে। তৃতীয় পার্টের নাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। অয়ন মুখার্জির ভাষায়, আগামী দশ বছর তিনি অস্ত্রাভার্স নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের পরিকল্পনা অনুসরণ করে এগোচ্ছেন তিনি। সেজন্য অস্ত্রাভার্সের অংশ হিসেবে আগামী বছরগুলোতে বিভিন্ন টেলিভিশন সিরিজ, স্পিন-অফ মুভি, গেম ইত্যাদি আসবে।

অয়ন মুখার্জির অস্ত্রাভার্স; Image Source: Dharma Productions.

বক্স অফিস

চলতি বছরে একাধিক প্রত্যাশিত বলিউড সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়লে এই সিনেমা নিয়েও অনেকের মনে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে বক্স অফিসে সমানে তাণ্ডব চালিয়ে গেছে ব্রহ্মাস্ত্র। রিপোর্ট অনুসারে, সিনেমার বাজেট প্রায় ৪১০ কোটি রূপি। তবে, রণবীর কাপুর মুখ খোলার পর কিছু জিনিস পরিষ্কার হয়ে সামনে এসেছে। তিনি বলেন,

মোট বাজেট শুধুমাত্র একটা সিনেমার জন্য নয়, বরং গোটা ব্রহ্মাস্ত্র ট্রিলজির জন্যই বরাদ্দ। ভিএফএক্সের পেছনে ঢালা অর্থে যে অ্যাসেট তৈরি করা হয়েছে (ফায়ার ভিএফএক্স, অন্যান্য সুপার পাওয়ার এবং অস্ত্রশস্ত্রের ভিজুয়াল ইফেক্ট), তা বাকি দুই সিনেমাতেও ব্যবহার করা যাবে। অয়ন প্রথম পর্ব থেকে শিখে নিয়েছে কীভাবে এই ধরনের সিনেমা নির্মাণ করতে হয়। এখন আমরা খুব সহজেই পার্ট ২ আর পার্ট ৩ বানিয়ে ফেলতে পারব।

যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন অস্ত্র ধারণ করে আসছেন অস্ত্রের ধারকগণ; Image Source: Dharma Productions.

ভারতে ৩৬ কোটির এক বাম্পার ওপেনিং দেয় ব্রহ্মাস্ত্র। ওপেনিং উইকেন্ডের শেষে ১২০.৭৫ কোটি রূপি পকেটে পুরে নেয় সিনেমাটি। প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে শেষে যথাক্রমে ১৬৯ কোটি এবং ২২২.৩০ কোটি রূপি আয় হয়। সাত সপ্তাহ শেষে ভারতে ব্রহ্মাস্ত্রের লাইফটাইম কালেকশন গিয়ে দাঁড়ায় ২৫৭.৪৪ কোটি রূপিতে। সিনেমাটি তার লাইফটাইমে সর্বোচ্চ আয় করে মুক্তির তৃতীয় দিনে, ৪৩.২৫ কোটি রূপি। অঞ্চলভিত্তিক কালেকশনে সর্বোচ্চ তিন আয়কৃত অঞ্চল হলো মুম্বাই (৫১.৮১ কোটি), দিল্লি (৪৭.৪৪ কোটি), এবং পাঞ্জাব (২০ কোটি)। ভারতের বক্স অফিসে গ্রস কালেকশন ছিল ৩০৬.৪৮ কোটি রূপি, এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড গ্রস কালেকশন ৪১৯ কোটি রূপি।

অনেক ফিল্ম ট্রেড বিশ্লেষকের মতে, এই সিনেমা বক্স অফিসে সফলতার মুখ দেখার অন্যতম কারণ ন্যাশনাল সিনেমা ডে। ওই দিনে মাত্র ৭৫ রূপিতে টিকেট মিলেছে। এর ফলে তৃতীয় সপ্তাহে টিকিট বিক্রি বেড়েছিল প্রায় ২৫%। নবরাত্রি উপলক্ষে টিকিটের দাম কমিয়ে ১০০ রূপি করা হয়েছিল। এতেও লাভ হয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকে।

This is a Bangla article about the unknown facts of Brahmastra movie.

Related Articles