Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

র‍্যাচেল নিকেল হত্যাকান্ড এবং ব্রিটিশ পুলিশের কুখ্যাত ‘হানিট্র্যাপ’ অপারেশন

জুলাই ১৫, ১৯৯২। দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের উইম্বলডন এলাকা। সকালের ঝকঝকে আবহাওয়া উপভোগ করতে দুই বছরের ছেলে অ্যালেক্স আর পোষা কুকুরকে নিয়ে বেরিয়েছেন ২৩ বছরের র‍্যাচেল নিকেল (Rachel Nickell), হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছেন উইম্বলডনের অপেক্ষাকৃত নির্জন অংশে। হঠাৎ কোত্থেকে ছুরি হাতে ছুটে এলো এক আগন্তুক, তরুণী কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে ঠেলে নিয়ে গেল রাস্তার পাশে মাটিতে। অ্যালেক্সকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে পাগলের মতো ছুরি চালালো লোকটা, প্রথম চোটেই প্রায় চিরে যায় নিকেলের গলা। তারপরেও থামল না খুনি, অ্যালেক্সের সামনেই এলোপাতাড়ি আঘাত করে সর্বমোট ঊনপঞ্চাশবার। এরপর ছুরি ফেলে মৃতদেহের ওপর বিকৃত কামনা চরিতার্থ করে পালিয়ে যায় সে।

সকাল সাড়ে দশটার দিকে নিকেলের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ খুঁজে পান এক পথচারী। নিজের গাড়ি থেকে দেড়শো মিটারের কিছুটা বেশি দূরত্বে পড়ে ছিল তরুণীর লাশ। ছোট্ট অ্যালেক্স বসে ছিল মায়ের জামা আঁকড়ে, বার বার ডাকছিল, “মা, উঠে পড়ো!”

ছেলের সাথে নিকেল; Image Source: bbc.co.uk

চাপে পুলিশ

উইম্বলডনের মতো এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে এমন নৃশংস হত্যাকান্ড! আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছিল? স্বভাবতই তুলকালাম শুরু হয়ে যায়। সব মিডিয়া উঠে-পড়ে লাগে খুনের সংবাদ পরিবেশনে। ওদিকে জনসাধারণ ক্ষোভে ফুঁসছে। ইংল্যান্ডের মতো দেশে, তা-ও আবার উইম্বলডনে এমন কিছু যদি হতে পারে তাহলে তো নিরাপদ নয় কেউই!

চারদিক থেকে প্রচন্ড চাপ তৈরি হয় পুলিশের ওপর, নির্দেশ দেয়া হয় দ্রুত এই ঘটনার নিষ্পত্তি করতে। ডিটেক্টিভ সুপারিন্টেন্ডেন্ট জন ব্যাসেটের (John Bassett) ওপর দেয়া হয় তদন্তের  ভার। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ পুলিশি অপারেশন প্রত্যক্ষ করে লন্ডন। কম করে হলেও ৫৪৮ জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন সময় গ্রেফতার করা হয় ৩২ জনকে, তবে কাউকেই দোষী বলে চিহ্নিত করা যায়নি। অবশেষে পুলিশের দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় কলিন স্ট্যাগের (Colin Stagg) দিকে।

কলিন স্ট্যাগ © Rebecca Reid

কলিন স্ট্যাগ

অকুস্থল থেকে অল্প দূরে বাস করতেন এই তরুণ। বেকার ভদ্রলোক নিয়মিতই উইম্বলডনে কুকুর নিয়ে হাঁটাহাঁটি করতেন। নিকেলের হত্যার দিনেও বের হয়েছিলেন তিনি। পারিবারিক ইতিহাসও তার বিরুদ্ধে। স্ট্যাগের এক ভাই ১৯ বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে জেল খাটছিল।

১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বরে স্ট্যাগকে প্রথম আটক করেছিল পুলিশ। তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ছুরি, কালো দস্তানা ইত্যাদি পাওয়া যায়। তার ঘরে পেন্টাগ্রাম নামে বিশেষ একধরনের প্রতীক আঁকা ছিল। এই প্রতীক শয়তান উপাসনার জন্য নাকি ব্যবহার করা হয়। কালোজাদু এবং অতিপ্রাকৃত বিষয়ের নানা বইও ছিল তার সংগ্রহে। কিন্তু সরাসরি নিকেলের খুনের সাথে তাকে জড়ানোর মতো কিছু পাওয়া যায়নি।  

পেন্টাগ্রাম; Image Source: freepnglogos.com

ডিসেম্বর মাসে এক নারী পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান স্ট্যাগের সাথে একসময় চিঠির মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তার। প্রায় এক বছর পত্র চালাচালি করেছিলেন তারা। কিন্তু স্ট্যাগের চিঠির ভাষা ক্রমেই যৌন সহিংসতার দিকে মোড় নিলে সম্পর্ক চুকে যায়। পুলিশ এবার কোমর বেধে লাগে স্ট্যাগকে দোষী প্রমাণ করতে।

ডিটেকটিভ কিথ পেডার (Keith Pedder) ছিলেন কেসের গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি ফরেনসিক মনোবিজ্ঞানী (forensic psychologist)) ডঃ পল ব্রিটনকে (Paul Britton) অনুরোধ করেন প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিকেলের হত্যাকারী প্রোফাইল বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য  নির্মাণ করতে। এই পদ্ধতি কিন্তু এখন অনেকেই ব্যবহার করে থাকে। কিথের উদ্দেশ্য ছিল ডঃ পলের নির্মিত প্রোফাইল স্ট্যাগের সাথে মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে কেস শক্ত করার চেষ্টা।

মনোবিজ্ঞানী জানালেন খুনী সম্ভবত সহিংস যৌন তাড়নায় ভুগছে, এবং সে কারণেই নিকেলকে আক্রমণ করেছিল সে। তিনি স্ট্যাগের সাথে খুনীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মেলে বলেও মত দেন। পুলিশ এবার নিঃসন্দেহ হয়ে যায় সে-ই খুনী। কিন্তু লাগবে অকাট্য প্রমাণ। এবং সেটা করতে গিয়ে এমন এক কাজ করে বসে তারা, যা লন্ডন পুলিশের ইতিহাসে কুখ্যাত হয়ে আছে।

অপারেশন এডজেল (Operation Edzell)

স্ট্যাগকে জালে আটকাতে তরুণী এক পুলিশ অফিসারকে নিযুক্ত করেন কিথ, যার সাংকেতিক নাম ছিল লিজি জেমস। লিজিকে নিয়ে আসা হয়েছিল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের বিশেষ ইউনিট থেকে (unit SO10)। স্ট্যাগের এক বন্ধুর বন্ধু হিসেবে লিজি তার ঘনিষ্ঠ হয়। কয়েকমাস ধরে দুজন দুজনকে চিঠি লেখে। এসব চিঠিতে স্ট্যাগের অনেক সহিংস যৌন ফ্যান্টাসি প্রকাশ পায় বটে, কিন্তু নিকেলকে হত্যার কোনো প্রমাণ মিলল না।

কিথ এসপার-ওসপার করতে লিজিকে নির্দেশ দেন। সে স্ট্যাগের সাথে ফোনে কথা বলতে নানাভাবে তাকে প্রলুব্ধ করতে থাকে। যৌনতা নিয়ে নিজের কল্পিত বিকৃত ফ্যান্টাসির কথা বলে প্রমাণ করতে চায় স্ট্যাগ আর তার মানসিকতা একই ধরনের। লন্ডনের হাইড পার্কে এক পিকনিকে সরাসরি স্ট্যাগের সাথে দেখাও করে লিজি। এখানে স্ট্যাগের বিশ্বাস অর্জন করতে আরো ভয়াবহ এক গল্প ফেঁদে বসে। শয়তান উপাসকদের এক অনুষ্ঠানে নরবলি দেখার পর নাকি জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ যৌনসুখ উপভোগ করেছিল সে। তবে আশানুরূপ প্রতিক্রিয়া হয়নি স্ট্যাগের, বরং লিজির গল্পে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে সে।

স্ট্যাগের থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ে কিথ যে ফাঁদ পেতেছিলেন তাকে বলা হয় ‘হানিট্র্যাপ’। সাদামাটাভাবে বলা যায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে কারো থেকে কথা আদায়ের পদ্ধতি (রোর বাংলায় ‘হানিট্র্যাপ’ নিয়ে পড়তে ক্লিক করুন এখানে)। এসপিওনাজ জগতে হানিট্র্যাপ বহুল ব্যবহৃত। তবে ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি আর পুলিশ তো আর এক নয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে পুলিশের বাধ্যবাধকতা অনেক বেশি, এবং এমন ফাঁদ পাতার আইনগত বা নৈতিক কোনো ভিত্তি ছিল না তাদের। কিন্তু কিথ ও তার লোকেরা ছিলেন ভয়ানক চাপে, এতদিনেও কেসের কূলকিনারা করতে না পারায় সইতে হচ্ছিল তুমুল সমালোচনা।   

পরবর্তীতে পুলিশ লিজি আর স্ট্যাগের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করেছিল। সেখানে লিজিকে বলতে শোনা যায় তার মতো মানসিকতার কারো সাথেই কেবল সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী সে। একসময় লিজি তাকে সরাসরি বলে বসে, যদি উইম্বলডনের খুনটা স্ট্যাগ করে থাকে তাহলে তাদের সম্পর্ক গড়তে কোনো বাধা থাকবে না। স্ট্যাগ আসলেই লিজির প্রতি আকৃষ্ট ছিল, কিন্ত সে জানিয়ে দেয় এই খুন সে করেনি।

স্ট্যাগের স্বীকারোক্তি আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে অদ্ভুত নানা পরিকল্পনা ভাঁজতে থাকে পুলিশ। কিথের দলের এক সদস্য প্রস্তাব দেয় স্ট্যাগের কুকুর অপহরণ করে স্বীকারোক্তির দিতে বাধ্য করা। তবে সুখের কথা হল দলের সবার মাথা একসাথে খারাপ হয়ে যায়নি, ফলে হালে পানি পায়নি এই ছন্নছাড়া পরিকল্পনা।

গ্রেফতার এবং মুক্তি

আর কিছু না পেয়ে সবেধন নীলমণি স্ট্যাগকে ১৯৯৩ সালের আগস্টে নিকেলের খুনের দায়ে আটক করে পুলিশ। পরবর্তী ১৩ মাস হাজতবাস করতে হয় তাকে। কিন্তু ১৯৯৪ সালে আদালতে তোলা হলে বিচারক ওগ্ন্যাল (Mr Justice Ognall) আঁতকে উঠলেন পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র দেখে। আইনানুগ না হওয়ায় হানিট্র্যাপের মাধ্যমে পাওয়া সকল তথ্য নাকচ করে দেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, পুলিশ তাদের বেধে দেয়া সীমানার বাইরে গিয়ে কাজ করায় তাদের তিরস্কারও করেন বিচারক। বিশেষ করে পল ব্রিটনের প্রোফাইলিং কাজের তীব্র সমালোচনা করেন বিচারক।

বিচারক ওগ্ন্যাল; Image Source: newparkcourt.co.uk

স্ট্যাগকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। তবে তার জীবন ততদিনে ধ্বংস হয়ে গেছে। পত্রপত্রিকায় তিনি চিহ্নিত হয়ে গেছেন র‍্যাচেল নিকেলের খুনী হিসেবে। কেউ কেউ তো লিখেই বসে আইনের ফাঁক গলে পার পেয়ে গেল অপরাধী।

প্রকৃত খুনী

নিকেলের হত্যার ১৬ মাস পরে অনেকটা একই কায়দায় খুন করা হয় সামান্থা বিসেট নামে এক নারী ও তার চার বছরের মেয়ে জ্যাযমিনকে। রবার্ট ন্যাপার (Robert Napper) নামে এক ব্যক্তি এজন্য দোষ স্বীকার করেন। স্কিৎজোফ্রেনিয়ার (schizophrenia) রোগী রবার্টকে পাঠানো হয় ব্রডমুর  (Broadmoor) মানসিক হাসপাতালে। বের হয় তিনি একজন ক্রমিক ধর্ষক, দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে প্রায় ৭০ জন নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন।  তার নাম হয়ে গিয়েছিল গ্রিন চেইন রেপিস্ট। নিকেলের জন্য পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহতালিকায় রবার্টও ছিলেন, কিন্তু স্ট্যাগের দিকে মনোযোগ দিতে গিয়ে তাকে ভুলে যায় পুলিশ।

২০০২ সালে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড পুনরায় নিকেলের কেস নিয়ে কাজ শুরু করে। মৃতদেহ থেকে ১৯৯২ সালে আলাদা করা হয়েছিল ডিএনএ নমুনা, কিন্তু এত কম পরিমাণ তৎকালীন প্রযুক্তি বিশ্লেষণে সক্ষম ছিল না। ২০০৬ সালে সেই সক্ষমতা অর্জিত হলে তৎপর হয়ে ওঠে ইয়ার্ড। ডিএনএ মিলে যায় ন্যাপারের সাথে।

পুলিশ ন্যাপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে স্বীকার করে নিকেলকে খুনের কথা। ২০০৭ সালে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়। প্রথমে ন্যাপার দোষ স্বীকার করতে রাজি হয়নি, তবে সরকারি উকিল শাস্তির ব্যাপারে নমনীয়তা প্রদর্শনের আশ্বাস দিলে মত পাল্টায় সে।

আদালত বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয় ন্যাপারের মানসিক অসুস্থতার প্রতি। দুজন সাইকিয়াট্রিস্ট তার অসুখের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেন। ব্রডমুরের চিকিৎসক ড. নাটালি (Dr Natalie Pyszora) বিচারককে জানান ন্যাপারকে আটকে রেখে চিকিৎসা করা দরকার, কারণ তার মানসিক অবস্থাই এমন যে ছেড়ে দিলেই নারীর প্রতি যৌন সহিংসতায় প্রবৃত্ত হবে সে। আত্মহত্যার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।

নিকেলের খুনী রবার্ট ন্যাপার; Image Source: thesun.co.uk

আদালতে বিচারক ন্যাপারের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। ৪৯ বার তুমি হতভাগ্য নারীকে ছুরিকাঘাত করেছো, ৪৯ বার! তা-ও তার শিশুসন্তানের চোখের সামনে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর সেই সন্তান জানতে পারল তার মায়ের হত্যাকারী কে। দেরিতে হলেও তার জীবনের সবথেকে কষ্টকর এক প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে সে। ন্যাপারকে তিনি ফেরত পাঠান ব্রডমুরের কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। তার উকিল স্বীকার করেছেন সেখান থেকে জীবিত অবস্থায় বের হবার সম্ভাবনা তার নেই বললেই চলে।

ক্ষতিপূরণ

ন্যাপারের মাধ্যমে র‍্যাচেল নিকেলের হত্যাকান্ডের জট খুলল বটে, কিন্তু নির্দোষ স্ট্যাগ যে এতকাল লোকের চোখে অপরাধী হয়ে ছিলেন তার কী হলো? হানিট্র্যাপের অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি আগেই। ক্ষতিপূরণ আদায় করেছিলেন ৭,০৬,০০০ পাউন্ড। ন্যাপারের পর লন্ডন পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।

লিজি জেমসও ১৯৯৯ সালে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। ঊর্ধ্বতনদের আদেশে স্ট্যাগের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে গিয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর প্রায় দেড় বছর ছুটিতে থাকতে হয়েছিল, কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের পর্যাপ্ত উন্নতি না হওয়ায় আগেভাগেই অবসর নিয়ে ফেলতে হয় তাকে। তাকে দেয়া ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হয় সেটা ১,২৫,০০০ পাউন্ডের আশেপাশে হবে। স্ট্যাগ আর লিজি মিলিয়ে এত বিশাল অর্থের ক্ষতিপূরণ খুব কমই দিতে হয়েছে পুলিশকে।

পল ব্রিটনকে মুখোমুখি হতে হয় ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির রিভিউ কমিটির । তিনি অবশ্য সবসময়ই নিজের নির্দোষিতা দাবী করে এসেছিলেন। সোসাইটির রিভিউতেও তাকে দোষী করা যায়নি, কারণ উপযুক্ত কোনো প্রমাণ ছিল না।

র‍্যাচেল নিকেলের হত্যাকান্ড চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার ঝুঁকি। নির্দোষ একজন ব্যক্তি বছরের পর বছর যেভাবে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন, সেটার ক্ষতিপূরণ আসলে টাকা দিয়ে করা অসম্ভব। বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলেও শেষ পর্যন্ত খুনীকে চিহ্নিত করা গেছে, সেটাই সান্ত্বনা।

This is a Bengali languagae article about the killing of Rachel Nickell. The article describes the circumstances of her killing and the subsequent police operation. Necessary references are hyperlinked.
Feature Image: thetimes.co.uk

Related Articles