ভারতের মাটিতে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। পঞ্চাশ ওভারের এই বিশ্বকাপে শিরোপার জন্য লড়বে দশটি দল। শেষ পর্যন্ত শিরোপাটা উঠবে কোন দলের হাতে? দশ দলের ধারাবাহিক পর্যালোচনার দ্বিতীয় পর্বে আজ থাকছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আফ্রিকা দলের প্রিভিউ।
ঈপ্সু ইংল্যান্ড
ওয়ানডে ক্রিকেটকে কীভাবে বদলে দিয়েছে এই ইংল্যান্ড দলটা, সেই গল্প না হয় বাদই দিলাম, তবুও সাদা বলের দুই ফরম্যাটের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদেরকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। চার বছর আগের নাটকীয় ফাইনালে জয়ী ইংল্যান্ড দলটাতে বদল এসেছে বেশ কিছু, তবে মাঠের আক্রমণাত্মক ক্রিকেটটা তারা ধরে রেখেছে দারুণভাবে। বিশ্বকাপের দাবিদারদের তালিকায় তাই আরো একবার শিরোপাপ্রত্যাশী ইংল্যান্ডকে রাখতে হচ্ছে সামনের সারিতেই।
স্কোয়াড
জস বাটলার (অধিনায়ক), মঈন আলী, গাস আটকিনসন, জনি বেয়ারস্টো, স্যাম কারেন, লিয়াম লিভিংস্টোন, ডেভিড মালান, আদিল রশিদ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস, রিস টপলি, ডেভিড উইলি, মার্ক উড, ক্রিস ওকস।
শক্তিমত্তা
ব্যাটিং। বেন স্টোকস ফিরেছেন অবসর ভেঙে, গত বিশ্বকাপে খেলা জস বাটলার, জো রুট, জনি বেয়ারস্টো, মঈন আলীরাও রয়েছেন। নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ডেভিড মালান, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোনরা। ‘ব্যাটিং স্বর্গ’ উইকেটে প্রয়োজনে ৪০০+ রানও করতে পারে এই দলটি, আবার প্রয়োজনে খেলতে পারে সাবধানে, উইকেট বাঁচিয়ে। ব্যাটিং অর্ডারের গভীরতাটাও নিজেদের খেলাটা খেলতে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্টকে।
দুর্বলতা
ইংল্যান্ডের এই দলে দুর্বলতা খোঁজা আর খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মধ্যে বিশেষ কোনো তফাৎ নেই। দুর্বলতা হিসেবে একটা বিষয়কেই চিহ্নিত করা যেতে পারে, স্পিন বোলিংয়ে পর্যাপ্ত বিকল্পের অভাব। অফ স্পিনার মঈন আলী আর লেগ স্পিনার আদিল রশীদ দলে থাকলে বাড়তি স্পিনারের প্রয়োজন হয় না অবশ্য, কিন্তু বিশ্বকাপের শেষের দিকে দলে তৃতীয় স্পিনারের প্রয়োজন হলে জো রুট বা লিয়াম লিভিংস্টোনের দিকে তাকাতে হবে ইংল্যান্ডকে, যেটা হতে পারে দলের একটা দুর্বল দিক।
সম্ভাবনা
ক্রিস ওকস, রিস টপলি, ডেভিড উইলি, মার্ক উড, গাস আটকিনসন, বেন স্টোকস। বিশ্বমানের এই পেস বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র্য আর অস্ত্রের অভাব নেই। শুরুর দিকে সুইং বোলার, মাঝের দিকে গতির ঝড় তোলা ফাস্ট বোলার, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেওয়ার মতো বোলার, সবই রয়েছে ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণে।
শঙ্কা
যেহেতু বিশ্বকাপটা ভারতের মাটিতে, ইংল্যান্ডকে কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হবে। যেমন ব্যাটিংটাই ইংল্যান্ডের শক্তির জায়গা, সন্দেহ নেই। তবে এটাও ভুলে গেলে চলবে না, ভারতের মাটিতে অতি-আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বিপদের কারণ হতে পারে। এমনিতেই বিশ্ব আসরে ব্যাটসম্যান-বোলারদের সমান সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, এর ওপর বিশ্বকাপের শেষ দিকে পিচগুলো স্লো হয়ে স্পিনারদের বাড়তি সাহায্য করতে পারে। সর্বোপরি, পিচ বুঝে ব্যাটিং না করলে, বা পিচের চাহিদার তুলনায় অতি-আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
বাড়তি নজরে রাখবেন যাকে
জফরা আর্চার নেই বিশ্বকাপের মূল দলে, দ্য হান্ড্রেডে আলো ছড়ানো গাস আটকিনসন এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনভিজ্ঞ। মাঝের ওভারে গতির ঝড় তোলার দায়িত্বটা তাই মার্ক উডের ওপরই বর্তাবে। চলতি বছর মাত্র দুটো ওয়ানডে খেলেছেন উড, দুটোই বাংলাদেশের মাটিতে। তবে নিজের কার্যকারিতা দারুণভাবে প্রমাণ করেছিলেন চলতি বছরের অ্যাশেজে। সব মিলিয়ে, মাঝের ওভারে উইকেট তুলে প্রতিপক্ষের ইনিংসকে দ্রুত আটকে দেওয়ার কাজটার জন্য বাড়তি নজর দাবি করতেই পারেন মার্ক উড।
নির্ভীক নেদারল্যান্ডস
১৯৯৬, ২০০৩, ২০০৭ আর ২০১১ সালের পর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বমঞ্চে আবারও জায়গা করে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। বিশ্বকাপে অবশ্য ভালো রেকর্ড নেই দলটির, আগের চার আসর মিলিয়ে তাদের জয় মাত্র দুটো ম্যাচে। তবুও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ডকে পেছনে ফেলে বাছাইপর্বের দ্বিতীয় স্থান দখল করা দলটা পাখির চোখ করছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালকে।
স্কোয়াড
স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), ম্যাক্স ও’ডাউড, বাস ডে লিডে, বিক্রম সিং, তেজা নাদামানুরু, পল ফন মিকেরেন, কলিন অ্যাকারম্যান, রোয়েলফ ফন ডার মারউই, লোগান ফন বিক, আরিয়ান ডাট, রায়ান ক্লেইন, ওয়েসলি বারেসি, সাকিব জুলফিকার, শারিজ আহমেদ, সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট।
শক্তিমত্তা
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ১৪তম দলটির শক্তির জায়গা খুঁজে পাওয়াটা খুব সহজ কাজ নয়। নেদারল্যান্ডসের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা প্রায় একই, শক্তির জায়গা বললে তাদের পেস আক্রমণকেই বলতে হবে। পল ফন মিকেরেন, বাস ডে লিডে, রায়ান ক্লেইন, লোগান ফন বিকরা রয়েছেন পেস আক্রমণে, নিজেদের দিনে কিছু একটা ঘটিয়েও ফেলতে পারেন তারা। গত টি২০ বিশ্বকাপেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চমৎকার বল করে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন নেদারল্যান্ডসের পেসাররা।
দুর্বলতা
স্পিন আক্রমণ। ওয়ানডে খেলার খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই এই দলটির, স্পিনারদের ওয়ানডে বোলিংয়ের সামর্থ্য নিয়েও সংশয় রয়েছে। অভিজ্ঞতম স্পিনার রোয়েলফ ফন ডার মারউই ২০২১ সালের পরে আর খেলেননি ওয়ানডে, শারিজ আহমেদ-আরিয়ান ডাটদেরও অভিজ্ঞতা খুব বেশি নয়। বোলিং গড় আর ইকোনমি বিবেচনাতেও পেসারদের তুলনায় ডাচ স্পিনারদেরই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানোর সম্ভাবনা বেশি প্রতিপক্ষের।
সম্ভাবনা
ব্যাটিং। বাছাইপর্বে নেদারল্যান্ডের সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিল তাদের ব্যাটিং। টপ অর্ডারে ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, স্কট এডওয়ার্ডসরা রান পেয়েছেন নিয়মিত। ওয়েসলি বারেসি, তেজা নিদামানারুরাও বড় ইনিংস খেলতে পারেন, বাস ডে লিডে বা লোগান ফন বিকরা জিতিয়ে দিতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচ। সব মিলিয়ে ভালো কিছু করতে হলে ভালো ব্যাটিংটা খুব বেশি দরকার নেদারল্যান্ডসের।
শঙ্কা
সম্ভাবনাও ব্যাটিং, শঙ্কাও ব্যাটিং। বাছাইপর্বের পর আর কোন ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি নেদারল্যান্ডস, ম্যাচ প্রস্তুতির ঘাটতি তাই রয়েছেই। পাশাপাশি ভালো বোলিংয়ের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের ব্যাটসম্যানদের অসহায়ত্ব দেখা গেছে বাছাইপর্বেও, শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা সহজেই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ডাচ ব্যাটিং লাইনকে। ব্যাটিং নিয়ে তাই একটা বাড়তি শঙ্কা থাকতেই হবে নেদারল্যান্ডসের টিম ম্যানেজমেন্টকে।
বাড়তি নজরে রাখবেন যাকে
তেইশ বছর বয়সী ব্যাটিং অলরাউন্ডার বাস ডে লিডে। ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, ডান হাতে করেন মিডিয়াম ফাস্ট বোলিংটাও। চলতি বছরে ৭ ইনিংসে ৪৭.৫০ গড়ে রান করেছেন ২৮৫, স্ট্রাইক রেট ১০১। বল হাতে এই সাত ইনিংসে পেয়েছেন পনেরো উইকেট, উইকেটপ্রতি রান খরচ করেছেন বাইশ, ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৫.৬৫ করে। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের একটা ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি আর পাঁচ উইকেট পেয়ে আলোচনায় আসা এই বাস ডে লিডেই হয়ে উঠতে পারেন নেদারল্যান্ডসের তুরুপের তাস।
দুঃসাহসী দক্ষিণ আফ্রিকা
‘চোকার’ দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে দুঃসাহসী শব্দটা ঠিক যায় কি না, সেটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, তবে গত কয়েক সিরিজ ধরে যে তারা সাহসী ক্রিকেটটাই খেলছে, সেটা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই বললেই চলে। চোট-আঘাত না থাকলে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া যেত প্রোটিয়াদের, তবে এখনও সেমিফাইনালের দৌড়ে তাদের এগিয়ে রাখছেন অনেক ক্রিকেটবোদ্ধাই।
স্কোয়াড
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), জেরাল্ড কোয়েটজি, কুইন্টন ডি কক, রিজা হেনড্রিকস, মার্কো ইয়ানসেন, হেনরিখ ক্লাসেন, কেশব মহারাজ, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিডি, আন্দিলে ফেলুকায়ো, কাগিসো রাবাদা, তাব্রেইজ শামসি, রাসি ফন ডার ডুসেন, লিজাড উইলিয়ামস
শক্তিমত্তা
ব্যাটিং। কুইন্টন ডি কক ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন বিশ্বকাপের পরই, তিনি চাইবেন শেষ বিশ্বকাপকে নিজের রঙে রাঙাতে। সেই পথেই এগোচ্ছেন তিনি। এর বাইরে চলতি বছরে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাও, ৭৯ গড় আর ১০৪ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাট করেছেন এই বছরে তিনি। রিজা হেনড্রিকস, ডেভিড মিলার, হেনরিখ ক্লাসেনের সাথে চিরকালই পাদপ্রদীপের আলোর বাইরে থাকা রাসি ফন ডার ডুসেনও রয়েছেন চমৎকার ফর্মে। এই চমৎকার ব্যাটিংটাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ জেতালো, এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছে বিশ্বকাপে অন্তত শেষ চারে যাওয়ার।
দুর্বলতা
ফর্ম আর সামর্থ্য বিবেচনায় দক্ষিণ আফ্রিকা সব বিশ্বকাপেই খেলতে যায় ফেবারিট হিসেবে, এবারও যাচ্ছে নিঃসন্দেহে। তবে টুর্নামেন্টের বা ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দুর্ভাগ্যের শিকার হওয়া বা ভুল করে বসার অভ্যাসটা নতুন না তাদের জন্য। এবার বিশ্বকাপের আগেই চোটের কারণে ছিটকে গেছেন পেসার আনরাইখ নর্কিয়া আর সিসাড মাগালা, দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে সেটা। তবুও এই দলের সামর্থ্য আছে ভালো কিছু করার, গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচে অদ্ভুতভাবে হেরে যাওয়ার অভ্যাসটা বদলাতে পারলে বদলে যেতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার ভাগ্যটাও।
সম্ভাবনা
গত কয়েক সিরিজ ধরেই সাহসী ক্রিকেটের চর্চা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটো ম্যাচে হেরেও শেষ তিন ম্যাচ জিতেছে প্রোটিয়ারা, চতুর্থ ম্যাচে তুলেছে চার শতাধিক রান। আর এই শেষ তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই এসেছে তিন শতাধিক রান, ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করছেন শতাধিক স্ট্রাইক রেটে। এই সাহসী ক্রিকেটটা এবারের বিশ্বকাপে বেশ এগিয়ে দেবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
শঙ্কা
পেস বোলিং আক্রমণে দুর্বলতা। আনরাইখ নর্কিয়ে আর সিসাড মাগালা চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য যা বড় ধাক্কা। লিজাড উইলিয়ামস আর জেরাল্ড কোয়েটজির অনভিজ্ঞতার কারণে পেস আক্রমণে লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদা আর মার্কো ইয়ানসেনের ওপর অনেক বেশি ভরসা করতে হবে প্রোটিয়াদের। বড় ম্যাচে এই অনভিজ্ঞতাটা হতে পারে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ব্যাপার, অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। স্পিন আক্রমণ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাথাব্যথা কম, কেননা রয়েছেন নিয়মিত বাঁহাতি চায়নাম্যান বোলার তাব্রেইজ শামসি, বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ এবং অনিয়মিত হিসেবে অফ স্পিনার এইডেন মার্করাম।
বাড়তি নজরে রাখবেন যাকে
হেনরিখ ক্লাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলের অন্যতম ক্লিন হিটার তিনি। স্বপ্নের মতো একটা বছর কাটাচ্ছেন তিনি, চলতি বছরে ১০ ইনিংসে ৫৮.৫৫ গড় আর ১৫১.৪৩ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫২৭ রান। একবার থেমেছেন পঞ্চাশ পেরিয়ে, দুবার পেরিয়েছেন একশ। দুটো সেঞ্চুরিই এসেছে ঝড়ো গতিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬১ বলে ১১৯, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৩ বলে ১৭৪। এই মারকাটারি ব্যাটিংটাই দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিতিয়ে দিতে পারে কিছু নিশ্চিত পরাজয়ের ম্যাচ, আর এই সামর্থ্যই আলাদা করে নজর রাখতে বাধ্য করবে ক্লাসেনের ওপর।