Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

গানে গানে অন্তবিহীন নচিকেতা

নচিকেতা চক্রবর্তীর জন্ম হয়েছিল ১৯৬৫ সালের ১ সেপ্টেম্বরে, কলকাতায়। কলকাতা যেন জুড়ে আছে তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এ শহর তার গান, ভাবনা, আক্ষেপ ও তৃপ্তির জায়গা। কলকাতাকেন্দ্রিক মধ্যবিত্ত জীবনের গানগুলোতে তাই অনেক স্বচ্ছন্দ নচিকেতা। গানের সাথে লেখালেখিতেও আগ্রহ রয়েছে, তার প্রায় সব গান নিজেই লিখেছেন। গানটা তার ভেতরের সবটুকু হলেও, পেশা হিসেবে গানকে গ্রহণের পেছনের কারণ ছিল অর্থাভাব। তার ভাষ্যে,

জীবিকার প্রয়োজনে একজন শ্রমিক হাতুড়ি কেনে, একজন রাজনীতিবিদ মিথ্যে কেনে। আমার কাছে গান ছাড়া আর কিছু নেই।”

নিজেকে রাজনৈতিক মানুষ বলেই অভিহিত করেন তিনি। একসময় বাম রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তার মতে,

“আমি রাজনীতি করি না। তাহলে আজ আমি মন্ত্রী হতাম। আমি পলিটিক্যাল একটা মানুষ। আমার কথা-গান-জীবনযাত্রায় সেই পলিটিক্স ছায়া ফেলে। আমি রাজনীতি করি না তার কারণ, আমাদের এখানে রাজনীতি একটা পেশা। আর আমার পেশা গান”।

“আমার কাছে গান ছাড়া আর কিছু নেই”; Source: YouTube

জনপ্রিয়তার শুরুটা হয় ‘এই বেশ ভালো আছি’ অ্যালবামের সাথে। উত্তর কলকাতার মণীন্দ্র কলেজে পড়া গানপাগল নচিকেতা চক্রবর্তী এই অ্যালবামের মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে হয়ে যান জীবনমুখী বাংলা গানের অতি পরিচিত এক সুরসৈনিক নচিকেতা। একনামে তাকে চেনে সবাই, পদবীটার আর দরকার হয় না তেমন। তার গাওয়া বহুসংখ্যক গানের মধ্যে নিজের প্রিয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন ‘নীলাঞ্জনা’ সিরিজের ৩য় খণ্ডকে। তবে নীলাঞ্জনা কি সত্যিই তার প্রথম প্রেম? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি কখনোই কিছু বলেননি। রেখে দিয়েছেন রহস্যটাকেই জিইয়ে।

স্কুল বাসে করে দ্রুত চলে যাওয়া নীলাঞ্জনা, যাকে দেখতে রাস্তার মোড়ের দোকানিরাও ঘড়িতে দিতো দম। সেই নীলাঞ্জনাই বয়সের ভারে ক্লান্তি ঢাকতে নানান ছুতো খোঁজে। নিরাপত্তার চাদর তার পেয়েও যেন কখনো পাওয়া হয়ে ওঠে না। “খোলা বারান্দায়, এ নির্জনতায়, সিলিংয়ের বন্ধনে, মাটির ব্যবধানে দুলছে স্খলিতবসনা…নীলাঞ্জনা”, নাকি লাশকাটা ঘরের “হাজার প্রেমের স্বদেশভূমি” নীলাঞ্জনা- কোনটি বেশি সত্য? মোট চারটি গানে নীলাঞ্জনার শুরু থেকে শেষটা, পূর্ণতা থেকে শূন্যতার গল্পটা নচিকেতা লিখেছেন, বলেছেন তার নিজস্ব শৈলীতে। “হাজার কবিতা, বেকার সবই তা” যে নীলাঞ্জনার জন্য, প্রথম প্রেম সে-ই তো। কিন্তু আক্ষেপ, “তার কথা কেউ বলে না”! অঙ্কের খাতা ভরা থাকতো নীলাঞ্জনার মুখে ও নামে, তবু সে হারিয়েই যায় জীবনের আবর্তে, আঁধারের গর্তে। “হাঁটছে নচিকেতা, দু পায়ে বড় ব্যথা!”– নচিকেতাই শুধু রয়ে যায় তাকে ভাববার জন্য, লিখবার জন্য, গাইবার জন্য।

প্রথম অ্যালবাম, ১৯৯৩ সালে; Source: soundcloud.com

জীবনমুখীতার হাজার গল্প, প্রেম-বিচ্ছেদ, জীবন-মরণের সমাজের অসামাজিক আচরণ, সবকিছুকে সঙ্গে নিয়েই তিনি বলছেন “এই বেশ ভালো আছি!”। মাঝে মাঝে ডুব মারেন, বেশ অনেকদিনের জন্য, তবে ডুবসাঁতারে হারিয়ে যাননি জীবনমুখী বাংলা গানের অন্যতম এই স্তম্ভ। নচিকেতাকে ঘিরে থাকা গানের চরিত্র নীলাঞ্জনা যেমন মুখ্য, তেমনি ভোলা যায় না অনির্বাণকেও। কী করে যাবে? সে মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চবিত্ত কর্পোরেট জীবনে পড়ে যাওয়া বিকেলের আলোতে আক্ষেপের সুর এঁকে দিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাসের উপহারে। গাড়ির কাঁচের এপার থেকে বন্ধুটি আত্মগ্লানিতে ডুবে যায় অনির্বাণের আজও রাস্তায় থেকে যাওয়া দেখে। আমরা বহু শপথ করি তারুণ্যের স্বপ্নমাখা চোখে, বয়স বাড়তে না বাড়তেই সে স্বপ্ন ঢাকা পড়ে হাজারও বাড়তে থাকা কারণে অকারণে চাহিদা-বিলাসিতায়। সাম্যবাদটা তখন শুধু বইয়ের পাতায় কিংবা ফেলে আসা দিনেই যেন মানায়। অনির্বাণ সেই দ্বিচারিতায় একটা নিছক করাঘাত বৈ আর কিছু কি!

“অনির্বাণ, তুই এখানে?

-তাই তো কথা ছিল বন্ধু, আমাদের তো এখানেই থাকার কথা ছিলো”

নেপথ্যের সুরের সাথে তাল মিলিয়ে বলা এই কথাগুলো কতটা মরমে আঘাত করে, তা নচিকেতার শ্রোতারা ভালোই জানেন ও বোঝেন। অনেকের জীবনেই এমন কোনো না কোনো বন্ধু, পরিচিত, শুভাকাঙ্ক্ষী থাকে যারা নিজেদের চেয়ে বেশি পথের ধুলোমাখা ক্লান্ত ঘর্মাক্ত মুখের কথা ভাবে। কিন্তু তাদের সঙ্গী হওয়া বড় কঠিন এই চাকচিক্যের জগতে। তাদের পথচলা ভাগ করে নেওয়া হয় না হয়তো, শুধু দূর থেকে মনের শ্রদ্ধাটুকু দেওয়া হয়। অনির্বাণও মানবীর প্রেমে মগ্ন হয়, তাকে আকণ্ঠ পাবার আকাঙ্ক্ষা তারও হয়। কিন্তু সমগ্র মানবসভ্যতার প্রতি যার দায় সীমাহীন, সে কি স্বতন্ত্র কোনো সত্তার জন্য থামতে পারে? “তোকে নিয়ে ঘর বাঁধবার স্বপ্ন আমার অন্তহীন, তবু বাধ সাধে আরেক আশা/ ফুটপাতে যাদের বাসা, আগে তাদের জন্য একটা ঘর বানাই!” স্বপ্ন-বাস্তবতার সীমা লঙ্ঘনকারী মানবী শতরূপাকে অনির্বাণ চিঠি লিখেছে অন্ধ্র প্রদেশের এক প্রত্যন্ত স্থান থেকে। শতরূপাও সেই চিঠিকে আশ্রয় করে জেগে আছে নিজস্ব ভূমিকায়, হয়তো বাক্যে সে অপেক্ষা জাহির করা হয় না। তবু প্রেম জেগে রয় অনির্বাণ। অনির্বাণ আসলে কে? এ প্রশ্নের উত্তরে নচিকেতা বলেছেন, “হারানো দিনের আক্ষেপ।

স্পেডকে স্পেড বলাই নচিকেতার স্বভাব; Source: banglanews24.com

নচিকেতার গানে অভাব হয় না এমন চরিত্রের, যারা জীবনটাকে কাঁচের ওপার থেকে নয়, জীবনের মধ্যে ঢুকে দেখেছেন। যারা উপন্যাসের তৃতীয় চরিত্র কিংবা নেপথ্য বক্তা নয়, তারা জীবনের মধ্যে সংগ্রাম খুঁজে বেঁচে আছেন তুমুল করে। ‘এই তুমি কি আমায় ভালোবাসো?’ গানে উত্তাল প্রেমিকটি এক অদ্ভুত প্রস্তাব দিচ্ছে, বলছে, ভালোবাসতে হলে শুধু তাকে ভালোবাসলে হবে না। সে বলছে, প্রেমিকার খোঁপায় সকল স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে কোনো কুমারের ধার করা গানে গায়ক হতে পারবে না! প্রেমিকাকে ছুঁড়ে দিচ্ছে জীবনের আহ্বান, জানাচ্ছে, “আমার চলার পথের বাঁকেতে পড়ে জীবনের দাম/ যেসব মানুষ সেই দাম খোঁজে, সবকিছু জেনে সবকিছু বুঝে মুছে দাও যদি সেই সব মানুষের ঘাম/ তবেই আমায় ভালোবাসো!” শর্তের পর শর্তে ঘেরা প্রেমের এই আহ্বান তথাকথিত যেকোনো নিঃশর্ত প্রেমের চেয়ে অনেক বেশি আবেদন রাখে জীবনের। “জেনো তোমার জন্য ধুলোমাখা পথ, অপলকে চেয়ে জীবনের রথ…সবকিছু ছেড়ে তুমি কি আসতে পারো না?”, এ কথার উত্তরে মানবীর উত্তরটি জানাননি শিল্পী। হয়তো সে আসে, হয়তো তারা দুজন একসাথে আজও দিনের শেষে তৃপ্তি খোঁজে নিজেদের উসকোখুসকো চেহারায়, হয়তো হাজারো মানুষের সাথে তারা আজো পথেই মিশে আছে। এমনও হতে পারে, সে আসেনি। একাই চলছে নচিকেতার এই প্রেমিক-মানবের অন্তবিহীন পথ চলা। “প্রতিদিন ঘরে ফিরে অনেক হিসেব করে এ জীবন চাই না তা বলাই জীবন” মূলনীতিতে আজ তার অখণ্ড বিশ্বাস, হতেই পারে! নচিকেতার দেওয়া জীবনের বহুমাত্রিক সংজ্ঞায় আমরা শুনি “যে মেয়েটি রোজ রাতে বদলায় হাতে হাতে, তার অভিশাপ নিয়ে বাঁচাই জীবন”

ফেলে আসা প্রেমে, জীবনে অভিমানে আমরা খুঁজে বেড়াই ফেলে আসা দিনের কিছু ফেলে আসা মুখ। অন্যমনে এই দিনে পথে হাঁটতে গিয়ে আমরাও ভেবে ফেলি, “যদি হঠাৎ আবার দেখা হয় দুজনার…কোনো পথের বাঁকে, বহু কাজের ফাঁকে!” তখন আর কিছুই হবে না, “শুধু জানতে চাইবো, আজো মনে আছে কি? মনে আছে কি স্মৃতি, নাকি দিয়েছে ফাঁকি?” এভাবেই মেঘের সীমানায় ডাকা হয়ে যায় অতীতের জঞ্জালকে চারকোণা মনের কুঠুরিতে। “সেদিনের রাজপথ, পথ ভোলা জেনে বুঝে, অবিরাম হেঁটে যাওয়া নির্জনতার খোঁজে”– এখন আর নেই। বর্তমানের ত্রস্তব্যস্ত সকল বাসিন্দা এক ফাঁকে ভেবে বসেন, “ভালো ছিল দিনগুলো!”

জীবনমুখী বাংলা গানের অন্যতম স্তম্ভ তিনি; Source: bdnews24.com

‘সরকারি কর্মচারী’ গানটিতে যেন আমাদের অতি চেনা সরকারি অফিসের চেহারাই ধরা দেয়। দুর্নীতির বেড়াজালের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশটা খুব সহজেই নচিকেতা বলে দেন, “প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ, ঘুষ খাওয়া কখনোই নয়!” ভঙ্গুর ব্যবস্থার স্বীকারোক্তি বারবার ফুটে ওঠে সরকারি কর্মচারীর “নিপাট নির্দ্বিধায়” ভাষ্যে। শুধু এই গানই নয়, আমাদের সমাজের কপটতা ধরা পড়ে আরো বহুভাবে ‘চোর’ গানেও। “ছোট ছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে গ্রন্থকীটের দল বানায় নির্বোধ/ এরপর চুরি গেলে বাবুদের ব্রিফকেস অথবা গৃহিণীদের সোনার নেকলেস সকলে সমস্বরে একরাশ ঘৃণাভরে চিৎকার করে বলে ‘চোর চোর চোর’!” শোনার পর ভাবনায় পড়তেই হয়, সত্যিকারের চোর কারা? “প্রতিদিন চুরি যায় মূল্যবোধের সোনা, আমাদের স্বপ্ন, আমাদের চেতনা”। কিন্তু আমাদের সব আক্রোশ বস্তুবাদী চুরিতেই, মানবিক চুরিতে এ সমাজের কপটবাসীদের কিছুই আসে যায় না। ঠিক এই অবস্থায় “আমি ভবঘুরেই হবো, এটাই আমার অ্যাম্বিশন” বলা লোকটাও হয়তো ধরা পড়ে যায় সরকারি কর্মচারী হবার ফাঁদে। ‘বৃদ্ধাশ্রম’ গানে পিতার আক্ষেপে একটু কি নাড়া খায় বহু ‘সফল’ সন্তানের বিবেকটা? “ছেলে আমার মস্ত বড় মস্ত অফিসার/ মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার”, তবু এক কোণে জায়গা হয় না পিতা-মাতার, খুব পরিচিত গল্প, নয় একটুও অচেনা!

নচিকেতার গান কিংবা কথায় হয়তো ধরা পড়ে যায় বিদ্যমান ব্যবস্থার প্রতি বিচ্ছিরি বিতৃষ্ণা ও হতাশা। স্পেডকে স্পেড বলেন তিনি, মাখনের পুতুল গড়ে চেপে যান না সত্যটা। মঞ্চ থেকে শ্রোতাদের বলেন, “ছেলেমেয়েদের আমরা পড়াশোনা শেখানোর চেষ্টা করি, আপনারাও করছেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে কি? আল্টিমেট তো সেই চাপরাশিই হবে”। কারণ আমরা বাস করি ‘উল্টো রাজার দেশে’। এখানে ‘দেশ’ নির্দিষ্ট সীমায় বন্দী নয়, পৃথিবীটাই তো দেশ-বিদেশের সীমায় বিভক্ত ‘উল্টো রাজার দেশ’। সোজা পথের ভাত নেই, বাঁকা পথই সই। “দিনের মধ্যে পঞ্চাশবার মিথ্যেটাও যদি আপনাকে বোঝানো হয়, আপনি বুঝতে বাধ্য যে ওটাই সত্যি”– বিজ্ঞাপন নিয়ে, ভোগবাদী সমাজ নিয়ে এমনটাই ভাবেন নচিকেতা। তার ভাবনায় নেই কোনো স্ববিজ্ঞাপনের রাখঢাক। এমন সমাজে নচিকেতা অমৃতের বদলে বিষ চান ‘বিষ শুধু বিষ দাও’ গানে। কারণ, সে বিষ অমৃতের মতো কৃত্রিম রূপ নিয়ে আসবে না।

মাঝে মাঝে ডুব মারলেও গানের জগতে তিনি ফিরে আসেনই; Source: voicecox.com

নচিকেতার একক অ্যালবামগুলো-

  • এই বেশ ভালো আছি (১৯৯৩)
  • কে যায়? (১৯৯৪)
  • কী হবে? (১৯৯৫)
  • চল যাবো তোকে নিয়ে (১৯৯৬)
  • কুয়াশা যখন (১৯৯৭)
  • আমি পারি (১৯৯৮)
  • দলছুট (১৯৯৯)
  • দায়ভার (২০০০)
  • একলা চলতে হয় (২০০২)
  • এই আগুনে হাত রাখো (২০০৪)
  • আমার কথা আমার গান (২০০৫)
  • তীর্যক(২০০৭)
  • এবার নীলাঞ্জন (২০০৮)
  • হাওয়া বদল (২০১০)
  • সব কথা বলতে নেই (২০১২)
  • দৃষ্টিকোণ (২০১৪)
  • আয় ডেকে যায় (২০১৫)

উপরের অ্যালবামগুলো ছাড়াও, ২০১৭ সালের ২৩ জুন ‘বেঁচে থাকার মানে’ নামে নচিকেতার একটি একক অ্যালবাম বেরোয়। এতে তার নিজের লেখা কোনো গান নেই। বাংলাদেশের গীতিকবি জুলফিকার রাসেলের লেখা গানে ও নচিকেতার কণ্ঠে-সুরে এই অ্যালবামটি পূর্ণ। অন্যের কথায় গান গাইবার কারণ জানতে চাইলে নচিকেতা বলেন,

“দেখুন আমি একটা বিষয় লক্ষ করেছি- ঢাকায় খুব বেশি গান লেখার মানুষ নেই। আমি অন্তত খুঁজে পাইনি। যে দু’একজন আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম জুলফিকার রাসেল। তার আসলে গানটা লেখা হয় কিংবা আমি যা চাই তা তার লেখায় সেটা খুঁজে পাই। সেজন্যই গেল ক’বছর ধরে আমরা নিয়মিত গান করে আসছি নিজেদের খেয়ালে। আমাদের সেই যৌথ ভাণ্ডার থেকে এবার সাতটি গান দিলাম। দুই বাংলার ভালো লাগবে- আশা তো করতেই পারি।”

এর আগে নচিকেতার শেষ একক অ্যালবাম ছিল এর দু’বছর আগে, আট বছরের অনুপস্থিতি শেষে, ‘আয় ডেকে যায়’। তার ঝঙ্কারমাখা কথায় ও কণ্ঠে বাংলা জীবনমুখী গান আরো সমৃদ্ধ হবে, বাস্তব চিত্র আরো বেশি স্পষ্ট হবে। মুছে যাবে দেশ-কাল-ব্যক্তির সীমারেখা। সাম্যবাদের স্বপ্ন চোখে অনির্বাণের পদক্ষেপে তিনি হেঁটেই যাবেন, আরো একবার, বারবার!

ফিচার ইমেজ- lyricsall1.blogspot.com

Related Articles