কেউ হয়তো আপনার সামনে একই কাজ বারবার করছে কিংবা ঘন ঘন একই ধরনের আচরণ করে যাচ্ছে, যার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই কিংবা যেটি আপনার কাছে অর্থবহ মনে হচ্ছে না। আবার, আপনি নিশ্চিত নন যে, ঐ ব্যক্তি যা করছেন, তা কি তিনি জেনে করেছেন, নাকি অবচেতন মনেই করে যাচ্ছেন। অথবা এমনও তো হতে পারে, আপনি নিজেই এমনটা করছেন!
যে-ই করে থাকুক না কেন, কাউকে যখন এরকম অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায়, তখন সেটাকে একই ধরনের কিছু শব্দ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। যেমন, বলা হতে পারে-
(১) এটি তার অভ্যাস।
(২) তিনি অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে বা শুচিবায়ুগ্রস্থ।
(৩) তিনি এই কাজটার প্রতি আসক্ত হয়ে গেছেন।
উপরের তিনটার মধ্যে যেকোনো একটি বক্তব্য সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে এ তিনটা বিষয়ের মধ্যে স্পষ্টভাবে পার্থক্য কীভাবে নির্ণয় করবেন? ধরুন, একজন ব্যক্তি দিনে বেশ কয়েকবার দাঁত ব্রাশ করেন। আপনি কি বলবেন, এটি তার অভ্যাস, নাকি সে শুচিবায়ুগ্রস্থ?
কিংবা ধরুন, কোনো এক ব্যক্তি কিছুক্ষণ পরপর মোবাইল বের করে ফেসবুকের নিউজ ফিডটা চেক করে দেখেন। আপনি তাকে শুচিবায়ুগ্রস্থ বলবেন, নাকি আসক্ত বলবেন?
কেউ কেউ হয়তো সঠিকভাবেই উত্তরগুলো দিতে পারবেন। তবে এই কাছাকাছি তিনটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে অনেকের মধ্যেই বিভ্রান্তি দেখা যায়। চলুন এই বিভ্রান্তি দূর করে নেওয়া যাক।
অভ্যাস
শুরুতেই ‘অভ্যাস’ এর বিষয়টাতে আলোকপাত করলে পুরো ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধা হবে। অভ্যাস এমন একটা বিষয়, যা আমরা ভালোমতোই অনুধাবন করতে পারি। কিন্তু অভ্যাস বলতে ঠিক কি বোঝায়? একে সংজ্ঞায়িত করাটা হয়তো আরেকটু কঠিন।
এমন কোনো কাজকে অভ্যাস বলা যায়, যা আপনি নিয়মিত অথবা একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর, কিংবা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে করে থাকেন। একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, অভ্যাসের বশে কোনো কাজ আপনি করে থাকলে, সেটি পুরোপুরি সচেতনভাবে করেন না। তবে যে প্রক্রিয়ায় অভ্যাসটি আপনার মধ্যে তৈরি হয়েছিল, সেই প্রক্রিয়াটি ছিল ইচ্ছামূলক এবং অত্যন্ত সচেতনভাবে বা ভেবেচিন্তেই আপনি সেই প্রক্রিয়াটি অবলম্বন করেছিলেন। পরবর্তীতে সে কাজটি আপনার দৈনন্দিন রুটিনের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে এবং অবচেতন মনে স্থায়ীভাবে গেঁথে গেছে।
অভ্যাস অনেক ধরনের হতে পারে, তবে আমরা সাধারণত অভ্যাসকে ‘ভালো অভ্যাস’ এবং ‘খারাপ বা বদঅভ্যাস’ হিসেবেই ভাগ করে থাকি। শুচিবায়ু ও আসক্তির সাথে অভ্যাসের মূল পার্থক্য হলো, সামান্য ইচ্ছাশক্তির দ্বারাই অভ্যাস পরিবর্তন করা যায় বা বাদ দেওয়া যায়।
উদাহরণ
(১) ধরুন, আপনি এমন কোনো ব্যবসা শুরু করেছেন, যেটার বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখার জন্য, প্রচার-প্রচারণার জন্য এবং আপনার ব্যবসায়িক পণ্যের অর্ডার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করাটা আবশ্যক। এক্ষেত্রে আপনি মাধ্যম হিসেবে ফেসবুককেই হয়তো প্রাধান্য দেবেন এবং এটির মাধ্যমে উপরিউক্ত কাজগুলো অনেক সহজেই করে ফেলতে পারবেন। এজন্য দিনের বেশিরভাগ সময়ই আপনাকে ফেসবুকে সক্রিয় থাকতে হবে। তখন দেখা যাবে অবসর সময়ে, বন্ধুদের সাথে আড্ডার মাঝে কিংবা ছুটির দিনেও আপনি বারবার ফেসবুকে প্রবেশ করে সবকিছুর খোঁজখবর রাখছেন।
খেয়াল করুন, এটি আসক্তি বা শুচিবায়ু নয়, এটি আপনার অভ্যাস। কেননা, আপনি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজটিকে আপনার দৈনন্দিন রুটিনের অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছেন এবং অবচেতন মনেই কিছুক্ষণ পর পর কাজটি করে যাচ্ছেন।
(২) মনে করুন, আপনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি। প্রতিবেলায় ভাত খাওয়ার পরপরই আপনার ধুমপান করতে ইচ্ছা হয় এবং আপনি তা করেনও। এটিও অভ্যাস, কেননা এ কাজটি আপনি জেনেশুনেই শুরু করেছেন এবং একটু চেষ্টা করলে এই ‘নিয়ম’টা বদলাতে বা বাদ দিতে পারবেন।
(৩) বেশিরভাগ মানুষই অভ্যাসের বশে দাঁত ব্রাশ করে থাকেন। ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যগত কারণে বাবা-মা সন্তানদের মাঝে এই অভ্যাসটি গড়ে তোলেন। এটি একসময় এতোটাই স্বয়ংক্রিয় হয়ে যায় যে, আমরা অনেকসময় ঘুম থেকে উঠে অবচেতন মনে প্রথমেই টুথব্রাশটা হাতে নিয়ে এতে টুথপেস্ট লাগিয়ে ওয়াশরুমে প্রবেশ করি।
শুচিবায়ু
বাংলায় আমরা যেটাকে ‘শুচিবায়ু’ বলে থাকি, সেটা বিশেষ একটা মনস্তাত্ত্বিক রোগের নাম। যাকে ইংরেজীতে ‘অবসেসিভ-কমপালসিভ ডিজঅর্ডার’ (Obsessive-Compulsive Disorder বা সংক্ষেপে OCD) বলা হয়। তবে এই রোগের লক্ষণগুলো চরম পর্যায়ে পৌছালে অথবা দৈনন্দিন জীবনে এই উপসর্গগুলোর নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু করলে তবেই একে ওসিডি বলা যাবে।
তীব্রভাবে শুচিবায়ুগ্রস্থ ব্যক্তি বার বার একই ধরনের কাজ বা আচরণ করে যান এবং তিনি হয়তো বুঝতেও পারেন যে, এই কাজ বা আচরণটি বার বার করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, কিংবা কাজটি আসলে অর্থহীন। কিন্তু তবুও তিনি কাজটি না করে থাকতে পারেন না। অর্থাৎ, নিরর্থক সে কাজটি করার জন্য তিনি প্রচন্ড রকমের তাড়না অনুভব করেন।
আবার, এ কাজটি করে তিনি আনন্দ পান তাও কিন্তু নয়। ভালো করে খেয়াল করুন, অভ্যাসের সাথে এর পার্থক্য হলো, অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও শুচিবায়ুকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হলে এই তাড়না আরও তীব্র হয়ে উঠে।
শুচিবায়ুগ্রস্ত ব্যক্তি হয়তো কিছুক্ষণ পর পর হাত ধৌত করেন, বার বার ঘর ঝাড়ু দেন, ঘুমানোর আগে কয়েকবার দরজা লাগানো হয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখেন কিংবা এধরনের কোনো কাজ, যা একাধিকবার করার প্রয়োজনীয়তা নেই, সেটিই বার বার করেন। তার কার্যকলাপ দেখলে মনে, তার ভেতর এক ধরনের অপ্রাপ্তি বা খচখচে অনুভূতি কাজ করছে। তবে একথা মনে রাখতে হবে, সামান্য মাত্রায় খুঁতখুঁতে স্বভাব একজন মানুষের মধ্যে থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
শুচিবায়ু তীব্র পর্যায়ে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু মাঝে মধ্যে এটি তীব্র না হলেও একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন কার্যকলাপকে বিঘ্নিত করতে পারে।
কিছু লক্ষণ ও ধরন
(১) বার বার নিজেকে পরিষ্কার করার চেষ্টা করা। এজন্য কোনো ব্যক্তি ঘন ঘন হাত-পা ধৌত করতে পারেন, কিংবা গোসল করতে পারেন। অথবা অনেকেই ঘরের মেঝেতে কিংবা বিছানার চাদরে সামান্যতম ময়লা বা ধুলাবালি আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখেন এবং বারবার ঝাড়ু দিয়ে থাকেন। এটিও শুচিবায়ুর লক্ষণ হতে পারে। তবে অনেকেই পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে কোনো খুব সচেতন, তাদের ব্যাপারটা ভিন্ন।
(২) সবকিছু একদম সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে গুছিয়ে রাখার প্রবণতা। ধরুন শুচিবায়ুগ্রস্থ কেউ টেবিলের উপর বই সাজিয়ে রাখলেন, তিনি হয়তো বার বার পরীক্ষা করে দেখবেন যে, সবগুলো বইয়ের কিনারাগুলো একদম বরাবর সাজানো হয়েছে কিনা। না হলে আবারও সেটা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করবেন। অন্যান্য জিনিস গুছিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
(৩) কারণে-অকারণে কেনাকাটা করা। এ ধরনের ব্যক্তি চোখের সামনে পছন্দসই কিছু একটা পেলেই সেটি কিনে নেওয়ার প্রবণতা দেখান অথবা বারবার বাজারে যেতে চান কেনাকাটার জন্য; প্রয়োজন থাকুক বা না-ই থাকুক। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই সেই ব্যক্তিটি নিজের সামর্থ্যের কথা ততটা গভীরভাবে চিন্তা করে দেখেন না। ফলে পরবর্তীতে তাকে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হতে পারে।
(৪) বারবার কিছু একটা পরীক্ষা করে দেখা। কেউ হয়তো ঘুমাতে যাবেন, কিন্তু বার বার তার মনে হতে থাকবে, “দরজাটা ঠিকমতো লাগিয়েছি তো?” দুয়েকবার দরজা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুনরায় তিনি সন্দেহের মধ্যে পড়তে পারেন, “এর আগেরবার ঠিকমতো চেক করেছিলাম কি? যাই, আবার দেখে আসি“। সাধারণত সতর্ক থাকাটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু এটি যখন অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যায়, তখন তা নিয়ে ভাবতে হবে।
(৫) প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ইচ্ছামতো সংগ্রহ করা। ছোটোবেলায় আমরা অনেকেই শখের বশে অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিসও সংগ্রহ করে থাকি, যা হয়তো আমাদের কখনোই কাজে লাগে না। শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রে এটা অতি স্বাভাবিক। কিন্তু একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যখন বছরের পর বছর এধরনের কাজ করে যান, তখন তার আচরণকে কিছুটা অস্বাভাবিকই বলা চলে।
(৬) অস্বাভাবিক যৌন আচরণ করা। উল্লেখ্য, এটি যৌনতার প্রতি আসক্তি কিংবা যৌনকর্ম করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা নয়। বরং এমতাবস্থায় একজন ব্যক্তি প্রায় সার্বক্ষণিক তার পরিপার্শ্বের সকল কিছুকেই যৌন অনুভূতির দ্বারা ব্যাখ্যা করার প্রবণতা দেখান অথবা প্রায় সবকিছুতেই যৌনতা খুঁজে পান। একে ‘হাইপার-সেক্সুয়াল ডিজঅর্ডার’ বলা হয়ে থাকে। এর কারণে ব্যক্তিজীবনে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
আসক্তি
কেউ কেউ ভেবে থাকেন, কোনো ক্ষতিকর কাজ বার বার করলে সেটাই আসক্তি। তবে এ ধারণাটি পরিপূর্ণ নয়। যেকোনো প্রকার আসক্তির সাথে অবশ্যই কোনোকিছুর ‘নির্ভরশীলতা’ যুক্ত থাকবে। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি যখন ‘কোনোকিছু’র উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন, সেটি বার বার করতে চাইবেন এবং এর বিনিময়ে আনন্দ লাভ করার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করবেন, তখন সেটাকে আসক্তি বলা চলে। সেই ‘কোনোকিছু’টা হতে পারে কোনো বস্তু বা কোনো কাজ।
শুচিবায়ুর সাথে আসক্তির মূল পার্থক্য হলো ‘কোনোকিছুর উপর নির্ভরশীলতা’ এবং ‘আনন্দ লাভ করার আশা’- যা শুচিবায়ুর ক্ষেত্রে থাকবে না। কোনোকিছুর প্রতি আসক্ত ব্যক্তি সাধারণত অনুধাবন করতে পারেন না যে, কাজটা হয়তোবা তার জন্য ক্ষতিকর। কিংবা খানিকটা অনুধাবন করতে পারলেও পারতপক্ষে এর ক্ষতিকর দিকগুলো স্বীকার করতেই চান না বা চিন্তা করতে চান না।
কিছু লক্ষণ ও উদাহরণ
(১) অবশ্যই কোনোকিছুর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটি হয়ে থাকে কোনো নেশা দ্রব্য কিংবা কোনো ওষুধ, যা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই সেবন করা হয়। আবার আসক্তিটা ক্যাফেইনের প্রতিও হতে পারে, যা চা কিংবা কফি থেকে পাওয়া যায়। কেউ কেউ আবার জুয়াতেও আসক্ত হয়ে থাকেন অথবা কোনো ব্যক্তির প্রতিও আসক্তি কাজ করতে পারে।
(২) শুনতে অবাক লাগলেও, অনেক সময় মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার করার অভ্যাসটাও কিছুটা আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। কেউ যখন দেখেন, অন্যের কাছ থেকে অর্থ ধার নিয়ে সেটা ইচ্ছামতো উপভোগ করা যাচ্ছে, তখন প্রায়ই তিনি ভুলে যান যে, সে অর্থটা ফেরত দিতে হবে, কিংবা অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা ততটা গভীরভাবে তিনি ভেবে দেখেন না। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যারা অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার করেন, তারা প্রায় নিয়মিতই অনেক মানুষের কাছ থেকেই ধার করে থাকেন। পরবর্তীতে ধার করা টাকা ফিরিয়ে দেন কিনা, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। এর কারণ আসক্তি। আর যাদের এ আসক্তি নেই, তারা পারতপক্ষে ধার করেনই না।
(৩) কোনোকিছুর প্রতি আসক্তির আরেকটি লক্ষণ হলো সেই জিনিসটি পূর্ব-পরিকল্পনার চেয়ে বেশি পরিমাণে করা এবং দীর্ঘ সময় ধরে করা। ধুমপানে আসক্ত একজন ব্যক্তি ভাবতে পারেন যে, তিনি দিনে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক সিগারেট ব্যবহার করবেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধুমপায়ীরা তা মেনে চলতে পারেন না। আবার একজন সিনেমাপ্রেমী ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখতে পারেন যে, তিনি দিনে ২ ঘন্টার বেশি সিনেমা দেখবেন না। কিন্তু এমনও হতে পারে, তিনি দিনের অধিকাংশ সময় সিনেমা দেখার পেছনেই ব্যয় করছেন। এর কারণও আসক্তি।
উপরিউক্ত বিষয়গুলো মনস্তাত্ত্বিক এবং মানুষের মনস্তত্ত্ব বোঝা অনেক কঠিন ব্যাপার। আমাদের দেশে শারীরিক সমস্যাকেই শুধুমাত্র রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়; মানসিক কিছু ব্যাপারও যে সময়ের সাথে সাথে ভয়াবহ অবস্থায় রূপ নিতে পারে, তা এখনো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয় না আমাদের সমাজে। উপরিউক্ত মনস্তাত্ত্বিক কোনো একটি সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করলে এবং তা আপনার জীবন-যাপনে নেতিবাচক প্রভাব ফেললে আপনার উচিত হবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হওয়া।