বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এ দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ এক্সেলারেটর প্রোগ্রাম ‘হাল্ট প্রাইজ’ এর অন-ক্যাম্পাস রাউন্ড। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে কুয়েটে বর্তমানে অধ্যয়নরত যেকোনো শিক্ষার্থী। তবে তাদেরকে ৩-৪ জনের দল গঠন করে নিজেদের বিজনেস প্ল্যান তৈরি করে টিম হিসেবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
‘হাল্ট প্রাইজ’ হলো এমন এক ইনকিউবেটর প্রোগ্রাম, যা মূলত তরুণদেরকে তাদের মেধা-মনন ব্যবহার করে সামাজিক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রদান করার মাধ্যমে নতুন এক আগামীর দিকে ধাবিত করতে উৎসাহিত করে। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুস হাল্ট প্রাইজকে “শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরষ্কার” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইতিমধ্যে হাল্ট প্রাইজ কর্তৃপক্ষ এ বছরের (২০১৯-২০) চ্যালেঞ্জ প্রকাশ করেছে। এ বছরের প্রতিযোগীদের মূল লক্ষ্য হবে ‘এমন একটি স্টার্টআপ দাঁড়া করানো, যেখানে প্রতি ডলার লভ্যাংশে পরিবেশের উপর উপযুক্ত প্রভাব পড়বে’।
এই বিষয়ে বিস্তারিত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে অবগত করার জন্য আগামী ০২ নভেম্বর কুয়েট বিজনেস এন্ড অন্ট্রাপ্রেনারশিপ ক্লাব (KBEC) হাল্ট প্রাইজ বিষয়ক একটি ওয়ার্কশপ এবং সেশন আয়োজন করতে যাচ্ছে। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গুগল বিজনেস গ্রুপ এর ব্যবস্থাপক আতাহার আনসারী। এছাড়া আইটি কোম্পানি ‘জাহাজী’র সিইও কাজল আব্দুল্লাহ উপস্থিত থাকবেন ব্যবসায়িক মডেল বিষয়ক সেশন নেওয়ার জন্য। সেই সাথে সবার সাথে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও উৎসাহ প্রদানের জন্য থাকবে ২০১৮-১৯ হাল্ট প্রাইজে ক্যাম্পাস রাউন্ডের রানারআপ এবং সেই সাথে মুম্বাইয়ের আঞ্চলিক ফাইনালিস্ট টিম ‘ওস্তাদ’ এর সেশন। সেই সাথে থাকবেন হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশনের বর্তমান ক্যাম্পাস ডিরেক্টর অভিষেক দে।
ওয়ার্কশপ আর সেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর অতি শীঘ্রই অন ক্যাম্পাস রাউন্ডের প্রতিযোগীতা শুরু হবে। সেখান থেকে সেরা ৩ বিজয়ী দল পরবর্তীতে কুয়ালালামপুর, মেlবোর্ন, সাংহাই, দুবাই, বোস্টন, লন্ডন মুম্বাইসহ মোট ২৫টি দেশের যেকোনো একটি শহরে রিজিওনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। অতঃপর সেখান থেকে গ্লোবাল ফাইনালিস্ট থেকে চ্যাম্পিয়ন টিমকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হবে তাদের সেই উদ্যোগটিকে বাস্তবে রুপদানের জন্য।
উল্লেখ্য, গত বছর শুধু কুয়েট অনলাইন রাউন্ডেই প্রায় সাড়ে তিনশ টিম অংশগ্রহণ করে। এর মধ্য থেকে বাছাইকৃত ২৪টি টিম পরের রাউন্ডে যায়। সেখান থেকে ৬ জন স্বনামধন্য বিচারক রানার-আপ এবং চ্যাম্পিয়ন নির্বাচন করেন।