একদিন খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ)-এর এক মুরিদ তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল তাকে নিদারুণ হয়রানির শিকার করেছে এবং রাজ্য থেকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছে। দরিদ্র লোকটির যাওয়ার মতো আর কোনো জায়গা ছিল না। খাজা মঈনুদ্দিন তাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। লোকটি নির্বাসনের কথা বলতেই তিনি বলেন, আল্লাহ্ রাজ্যপালকে যথাযথ শাস্তি দিয়েছেন, এসব নিয়ে তাকে আর চিন্তা করতে হবে না। লোকটি বাড়ি ফিরে গিয়ে জানতে পারে, শিকার করতে গিয়ে ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে অবিচারক সেই শাসক।
এমন আরও অসংখ্য চমকপ্রদ ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছে গরিবে নেওয়াজ, সুলতানে হিন্দ হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) এর নাম। ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতীয় ধারার সবচেয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক তিনি, তাঁর হাত ধরেই তের শতাব্দীর শুরুর দিকে এখানে প্রথম চিশতী ধারা প্রতিষ্ঠিত হয় ও পরিচিতি লাভ করে। ভারতে চিশতী ধারার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক ধারা বা সিলসিলা এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে পরবর্তীতে বখতিয়ার কাকী, বাবা, ফরিদ, নিজামউদ্দিন আউলিয়াসহ তাঁর অনুসারীরা ভারতের ইতিহাসে সুফিসাধনাকে নিয়ে যান অন্য উচ্চতায়।
চিশতী মুইন আল দীন হাসান সিজ্জি, মুইন আল দীন চিশতী, শেখ মুইন আল দীন সহ আরও অসংখ্য নামে তিনি পরিচিত। জানা যায়, ১১৪১ খ্রিস্টাব্দে (৫৩৬ হিজরি) পূর্ব পারস্যের সিসটান রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ)। তার বাবার নাম সৈয়দ গিয়াস আল দীন। পারস্যের (বর্তমান ইরান) বুকেই তাঁর বেড়ে ওঠা। মাত্র পনেরো বছর বয়সে বাবা-মাকে হারান তিনি। উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার কাছ থেকে একটি উইন্ডমিল এবং ফলের বাগান লাভ করেন তিনি। কথিত আছে, একদিন তিনি তাঁর ফলবাগানে পানি দেয়ার সময় বিখ্যাত সুফি শেখ ইব্রাহীম কুন্দুজী সেখানে উপস্থিত হন। কিশোর মঈনুদ্দিন তাকে দেখে চমকে যান, কীভাবে তাকে আপ্যায়ন করা যায় তা নিয়ে তটস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি নিজের ফলবাগান থেকে কিছু ফল নিয়ে কুন্দুজীর সামনে পরিবেশন করেন। কুন্দুজী খুশি হয়ে এর প্রতিদান হিসেবে তাকে এক টুকরো রুটি খেতে দেন। সব মিলিয়ে তাঁর মনে ইসলামের প্রতি গভীর আকর্ষণ জন্ম নেয়। তিনি তাঁর যাবতীয় সম্পত্তি দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে সংসারের মায়া ত্যাগ করে জ্ঞানার্জন এবং উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে বুখারায় পাড়ি জমান। গরিবদের প্রতি তাঁর অসীম মমতা ছিল, সবসময় তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতেন তিনি। এ কারণেই তাকে ‘গরিবে নেওয়াজ’ বলে ডাকা হয়।
বুখারা আর সমরকন্দে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করে সেসময়কার বিশিষ্ট পণ্ডিতদের কাছ থেকে ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন খাজা মঈনুদ্দিন। ভ্রমণকালে তিনি মুহাম্মাদ আল বুখারী এবং আবু মানসুর আল মাতুরিদির মাজার জিয়ারত করেন বলেও জানা যায়। তাঁরা দুজন সুন্নী তরিকার বিশেষ শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। ইরাক যাওয়ার পথে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী বোখারা থেকে আগে নিশাপুরে আসেন। সেখানে চিশতীয়া তরিকার অপর প্রসিদ্ধ সুফি সাধক খাজা উসমান হারুনীর সংস্পর্শে আসেন খাজা মঈনুদ্দিন। তাঁর নিকট শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তাঁর মুরীদের দলে যোগ দেন তিনি। প্রায় বিশ বছর ধরে খাজা উসমানের সেবায় একাগ্রভাবে নিয়োজিত থাকা মঈনুদ্দিনকে খেলাফত প্রদান করেন তাঁর গুরু। এই দীর্ঘ সময়ে দলের সাথে দেশ থেকে দেশে ঘুরে বেড়ান তিনি। দলের বাইরে একাকীও বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শনকালে তাঁর সাথে দেখা হয় বিশিষ্ট সব সুন্নী বিশেষজ্ঞ, পণ্ডিত ও দার্শনিকদের। তাদের মধ্যে ছিলেন আবদুল কাদির জিলানী (রহঃ), নাজমুদ্দিন কুবরা, আব্দাল কাহির সোহরাওয়ার্দী, আবু সাঈদ তাবরিযী প্রমুখ।
বড় পীর হিসেবে সুপরিচিত আবদুল কাদির জিলানী (রহঃ)– এর সাথে তাঁর সম্পর্ক এতোই ভালো ছিল যে, কিছু কিছু জায়গায় খাজা মঈনুদ্দিনকে তাঁর ভাগ্নে বলেও উল্লেখ করা হয়। তাঁর জীবনীতে বর্ণিত আছে, ইরাকের বাগদাদে আবদুল কাদির জিলানীর সাহচর্যে ৫৭ দিন অবস্থান করেন তিনি। এ সময় জিলানী তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “ইরাকের দায়িত্ব শেখ শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দীকে আর হিন্দুস্তানের দায়িত্ব আপনাকে দেয়া হলো।”
সে সময় বাগদাদ, তাবরিয, ইস্ফাহান, বালখ, গজনী, আস্তারাবাদসহ মুসলিম সংস্কৃতির প্রায় সব বিশাল কেন্দ্রই তিনি পরিদর্শন করেন, যার ফলে তাঁর জ্ঞানভাণ্ডারে মধ্যযুগীয় মুসলিম জীবনের প্রায় সব তথ্যই সন্নিবেশিত হয়। ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে তিনি ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। পথিমধ্যে লাহোরে সুন্নী আইনশাস্ত্রের পণ্ডিত এবং বিশেষ শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি আলী হুজুরির মাজার জিয়ারত করেন। লাহোর থেকে সোজা আজমিরের পথে পা বাড়ান তিনি। আজমিরে এসে তিনি বিয়ে করেন। সপ্তদশ শতাব্দীর ঐতিহাসিক আব্দাল দিহলাঈয়ের মতে খাজা মঈনুদ্দিনের দুজন স্ত্রী ছিলেন। বলা হয়, স্থানীয় হিন্দু এক রাজার কন্যাকে তিনি স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন। আবু সাঈদ, ফাখর আল দীন এবং হুসাম আল দীন নামক তিন পুত্র আর বিবি জামাল নামক এক কন্যার পিতা ছিলেন তিনি। ভাই-বোনদের মধ্যে শুধুমাত্র বিবি জামালই বাবার সিলসিলা রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন এবং স্থানীয় সুন্নী তরিকার দিকপাল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
আজমিরে স্থায়ী হওয়ার পর চিশতী তরিকা আরও সুদৃঢ় করতে এবং তার ব্যাপ্তি বাড়াতে তৎপর হন খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ)। তাঁর হাত ধরে ভারতে বহু মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। তাঁর একটি বিখ্যাত গ্রন্থ রয়েছে, যার নাম ‘আনিসুল আরওয়াহ’। বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের বর্ণনা থেকে পাওয়া যায়, খাজা মঈনুদ্দিনের সদয় আর নম্র ব্যবহার স্থানীয়দের মন ছুঁয়ে যায়। দিল্লীতে চিশতীয়া তরিকার প্রসার ঘটাতে বাখতিয়ার কাকীকে নিযুক্ত করেন তিনি।
১২৩৬ সালে বৃদ্ধ খাজা সাহেব একবার নামাজ পড়তে তাঁর ঘরে ঢোকেন। অনুসারীদের তিনি বলে যান, কেউ যেন তাঁর ঘরে প্রবেশ না করে বা ঘরের দরজা না খোলে। কিন্তু ছয়দিন পরও যখন তিনি ঘর থেকে বের হলেন না কিংবা মুরিদদের শত ডাকের কোনো উত্তর দিলেন না, তখন তারা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে খাজা মঈনুদ্দিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ কারণেই প্রতি বছর আজমির শরীফে ১ রজব থেকে ৬ রজব টানা ছয়দিন ব্যাপী তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী বা ওরস পালিত হয়, সঠিক তারিখটি কেউই জানে না। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ছেলে খাজা ফখর আল দীন চিশতী তাঁর জানাজার নামাজের ইমামতি করেন। তাঁর মৃতদেহ আজমির শরীফে দরগাহে দাফন করা হয়। মুহাম্মদ বিন তুঘলক, সম্রাট আকবর সহ আরও অনেক নামজাদা ব্যক্তি তাঁর মাজার শরীফ জিয়ারত করতে আসেন। এখনো পর্যন্ত মুসলিমদের মধ্যে আজমির শরীফে গিয়ে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) এর মাজার জিয়ারত করার একটি চল রয়েছে। খাজা মঈনুদ্দিনের সাথে সম্পৃক্ত আরেকটি অলৌকিক ঘটনার কথা এখানে বর্ণনা করা হলো।
হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) তাঁর কয়েকজন অনুসারীকে সাথে নিয়ে আনা সাগর নামক একটি খালের পাড়ে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেন। মহান এই সুফি সাধকের অনুসারীরা সেখান থেকে পানি সংগ্রহ করতেন, মাছ ধরতেন আর মাঝেমধ্যে আনা সাগরের পাড়ে গরু জবাই করে খাওয়ার ব্যবস্থা করতেন। সেসময় ভারতবর্ষের শাসক ছিলেন পৃথ্বীরাজ চৌহান। ইসলাম প্রচারের জন্য বাগদাদ থেকে হিন্দুস্তানে চলে এসেছেন বলে এমনিতেই তাঁর উপর কিছুটা রুষ্ট ছিলেন রাজা। কাজেই আনা সাগরের পাড়ে অবস্থিত মন্দিরের পুরোহিতরা যখন এমন অধর্মের বিরুদ্ধে রাজার কাছে নালিশ জানালেন, তাৎক্ষণিকভাবে চিশতী (রহঃ)-কে তাঁর অনুসারীদের নিয়ে চলে যেতে বললেন রাজা। সুফি সাধকরা হিন্দুস্তানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে, এমন কথা প্রচার হয়ে গেল চারদিকে।
রাজার সমর্থন পেয়ে স্থানীয়রা দাবি করে বসলো, শুধু আনা আগরের পাড়ই নয়, মুসলিমদের খালি করতে হবে আজমিরের মাটি। আজমির ছাড়ার এই হুকুমে কিছুটা নাখোশ হন মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ)। তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা) এর প্রদর্শিত পথ অনুযায়ী মহান আল্লাহর ইচ্ছায় আজমিরের মাটিতে পা রাখেন। সেখান থেকে তাকে ও তাঁর অনুসারীদের তাড়িয়ে দেবার এমন চক্রান্তের কথা শুনে যারা তাদের বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয় মহান এই সুফি সাধকের।
আনা সাগরের পাড় ঘিরে ছিল বেশ কিছু মন্দির। সেসব মন্দিরের পুরোহিতরা খাজা মঈনুদ্দিনকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালান বলে জানা যায়। হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) কিছুটা বালি হাতে তুলে নেন আর ক্রুদ্ধ ব্রাহ্মণদের দিকে তা ছুঁড়ে দেন। এতে কয়েকজন চোখের দৃষ্টি হারান আর বাকিরা সেখান থেকে দৌড়ে পালান। রাজার কানে যখন এই কথা গেল, তিনি প্রচণ্ড বিরক্ত আর হতাশ হয়ে পড়লেন। মুসলিম ফকির এবং তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে কঠোর এক সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ব্রাহ্মণদের অনুরোধে তাদের জন্য আনা সাগরের পানি ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
পৃথ্বীরাজ চৌহান তাঁর সেনাবাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়ে দেন, মুসলিমরা কেউ যেন আনা সাগরের পানি স্পর্শ করতে না পারে। খাজা মঈনুদ্দিনের অনুসারীরা আনা সাগরে পানি নিতে এসে দেখেন চারপাশে রাজার সৈন্যরা দাঁড়িয়ে আছে। তারা পানি নিতে গেলে তাদেরকে বাধা দেয় সৈন্যরা। অনুসারীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে খাজা মঈনুদ্দিনের কাছে ফিরে আসেন খালি পানির পাত্র নিয়ে। পাত্র কেন খালি, তা জানতে চাইলে তারা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দেন কেন পানি আনতে পারেননি।
সব শুনে প্রচণ্ড কষ্ট পান হযরত মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ)। তিনি নিজে কুজা (পানির পাত্র) নিয়ে বেরিয়ে পড়েন আনা সাগরের উদ্দেশে। খাজা মঈনুদ্দিন আনা সাগরে পৌঁছাতেই রাজার এক সৈন্য তাকে পানি নিতে বাধা দেয়। হযরত মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) তার মুখের দিকে দৈব চোখে তাকিয়ে ছিলেন। সৈন্যটি তাঁর এই রাগত মুখের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারল না। বিচলিত হয়ে বেহুঁশ সৈন্যটি মাটিতে গড়িয়ে পড়ল। তার হাত থেকে তলোয়ার ছিটকে পড়ল। হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) তখন কুজায় করে আজমির শহরের সব পানি বয়ে আনেন, যার মধ্যে সমগ্র আনা সাগরের পানিও ছিল। এই কথার সত্যতা পাওয়া না গেলেও শহরের সব জলাশয়ের পানি যে হঠাৎ করে গায়েব হয়ে যায় তা নিশ্চিত করেন ঐতিহাসিকরা।
আকস্মিক এই পানিশূন্যতা নজরে পড়ে পৃথ্বীরাজ চৌহানেরও। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নগরবাসী। এই অলৌকিক ঘটনায় তাদের মানসিকতায় বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। খাজা মঈনুদ্দিনকে তারা আল্লাহ্র ওলী বলে মেনে নেয়। কাজেই তাঁর হাত ধরে বিশাল সংখ্যক মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। ব্যাখ্যাতীত এই অলৌকিক ঘটনার বদৌলতে তাঁর প্রতিপক্ষও কম নাজেহাল হয়নি। রাজা হিসেবে নিজ শহরে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারায় নগরবাসীও তাঁর সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তিনি জলাশয়ে পানি ফিরিয়ে আনতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত পৃথ্বীরাজ চৌহান ব্যক্তিগতভাবে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) এর সাথে দেখা করেন এবং তাঁর কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ হন যে, ভবিষ্যতে আর কখনো তিনি মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর জন্য পানি সরবরাহ বন্ধ করবেন না। পানি যে প্রকৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার, তা তিনি বুঝতে পেরেছেন। মহান এই সুফিসাধকের কাছে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং তার কিছুক্ষণ পরেই জলাশয়গুলো আবার পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এভাবেই খাজা মঈনুদ্দিন তাঁর চারিত্রিক কারিশমা দিয়ে সবার মন জয় করে নেন।
তথ্যসূত্রঃ
Amir khwurd, siyaru’l – auliya, delhi,1885,pp.45-47
Blain Auer, “Chishtī Muʿīn al-Dīn Ḥasan”, in: Encyclopaedia of Islam, THREE, Edited by: Kate Fleet, Gudrun Krämer, Denis Matringe, John Nawas, Everett Rowson
M. Ali Khan and S. Ram, Encyclopaedia of Sufism: Chisti Order of Sufism and Miscellaneous Literature (Anmol, 2003), p. 34