সিনেমা জগতের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে ভৌতিক সিনেমা। সিরিয়াস সিনেমার বাইরে, মূল ধারার পপ-কালচার সিনেমা জগতে ভৌতিক সিনেমার জনপ্রিয়তা বাড়ছে বৈ কমছে না। ভৌতিক সিনেমার মাঝেই আবার একটি সাব-জনরা আছে, যাকে ‘জোম্বি সিনেমা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। জোম্বিকে সংজ্ঞায়িত করা যায় দু’ভাবে। এরা হচ্ছে ‘জীবিত-মৃত’ অথবা ‘মৃত-জীবিত’। হ্যাঁ, জোম্বিরা হচ্ছে মৃত মানুষ, যারা কোনো কারণে মরে গিয়েও ভূত হিসেবে বেঁচে থাকে এবং জীবিত মানুষকে হত্যা করে। জোম্বি শব্দটির সাথে যে চিত্রটি আমাদের মগজে বদ্ধমূল হয়ে আছে সেটি অনেকটা এরকম যে, জামা কাপড় ছেড়া, মাথার খুলিতে একাধিক ছিদ্র, বের হয়ে আছে মস্তিষ্কের কিছুটা অংশ, হাত-পা ও শরীরে অন্যান্য অংশে এমন ক্ষত যা দেখে ধারণা করা যায় কেউ কামড়ে মাংস ছিঁড়ে নিয়েছে! সবশেষ, দু’হাত সামনে প্রসারিত করে কিছুটা খুঁড়িয়ে হাঁটতে শুরু করলে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায় যে সেটি একটি জোম্বি।
হঠাৎ অশুভ আত্মার আগমন, পেছন থেকে কাঁধে হাত দিয়ে ভয় পাইয়ে দেয়া, ভয়ানক চেহারার কোনো আত্মার আবির্ভাব আর হৃৎকম্পন বাড়িয়ে দেয়া মিউজিকে ভরপুর ভৌতিক সিনেমার চেয়ে সহজ সরল জোম্বি সিনেমাগুলোই ধীরে ধীরে হররপ্রেমীদের সব আকর্ষণ কেড়ে নিচ্ছে। সাধারণত, কয়েকজন বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনের একটি দল জোম্বিতে ভরপুর কোনো স্থান থেকে বেঁচে ফেরার মতো সোজাসাপ্টা গল্প নিয়ে নির্মিত এসব জোম্বি সিনেমার মূল মজা থাকে এর সাসপেন্সে ভরপুর দৃশ্যগুলোতে, যেখানে মৃত্যুর কাছাকাছি গিয়ে জোম্বিদের হার মানিয়ে বেঁচে ফেরেন সিনেমার মূল চরিত্রেরা। এরকমই ১০টি তুমুল জনপ্রিয় জোম্বি সিনেমার পরিচয় করিয়ে দিতে আজকের আয়োজন।
১০. [রেক] (২০০৭)
‘রেকর্ড’ শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ ‘রেক’ এই ৭৫ মিনিটের ছোট্ট সিনেমাটির নাম। সিনেমাটি ‘ফাউন্ড ফুটেজ’ পদ্ধতিতে নির্মাণ করা হয়েছিল। অর্থাৎ, পুরো সিনেমার সকল দৃশ্য এমনভাবে ধারণ করা হয়েছে যা দেখে মনে হবে কেউ একজন প্রকৃতপক্ষে ঘটনাগুলো ক্যামেরায় ধারণ করছেন। ফাউন্ড ফুটেজ পদ্ধতির সিনেমার প্রায় প্রথম দিককার একটি সফল প্রয়াস এই সিনেমাটি সমালোচকদের মন জয় করার পাশাপাশি বাণিজ্যিক সফলতাও লাভ করে। ছবিটির গল্প একজন সাংবাদিক ও তার সাথে থাকা ক্যামেরাম্যানের জীবনে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে লিখিত হয়েছে। বার্সেলোনার একটি বাড়িতে উদ্ধারকর্মীদের সাথে তারা যখন উদ্ধারকর্মের ভিডিও ধারণ করতে যায়, তখন নানান নাটকীয়তার পর তারা নিজেরাই সে বাড়িতে আটকে পড়েন। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছিল, তা জানতে অবশ্যই সিনেমাটি দেখে ফেলুন।
৯. জোম্বি ২ (১৯৭৯)
ইতালিয়ান পরিচালক লুসিও ফুলচির পরিচালনায় নির্মিত ‘জোম্বি ২’ সিনেমাটি জোম্বি ঘরনার ছবির জগতে একটি চমৎকার সংযোজন। ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি মূলত আগের বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডন অব দ্য ডেড’ সিনেমার সিকুয়্যাল। দেড় ঘন্টা দৈর্ঘ্যের এই ছবিটির মূল আকর্ষণ এর সাসপেন্সে ভরপুর দৃশ্যগুলো, যেগুলো প্রথম থেকেই দর্শককে সিনেমায় ডুব দিতে বাধ্য করবে। সিনেমা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায় একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানীর ব্যক্তিগত ইয়ট নিউ ইয়র্কে ফিরে এসেছে কোনো এক রহস্যময় ভয়ানক যাত্রী (জোম্বি) নিয়ে। সেই বিজ্ঞানী মূলত একটি ক্যারিবিয়ান দ্বীপে একটি মহামারী রোগ নিয়ে গবেষণা করছিলেন, যে রোগে সে দ্বীপের অধিকাংশই জোম্বিতে পরিণত হয়েছে। বাবার শূন্য ইয়ট রহস্য সমাধান করতে সেই দ্বীপে যাবার সিদ্ধান্ত নেন সেই বিজ্ঞানীর মেয়ে। এরপর কী হয় জানতে ছবিটি দেখতে হবে।
৮. জোম্বি ৩ (১৯৮৮)
সিকুয়্যালের ক্ষেত্রে একটি প্রচলিত কথা এই যে, সিকুয়্যালগুলো প্রথম সিনেমার প্রত্যাশা ধরে রাখতে পারে না। কিন্তু ‘জোম্বি ২’ এর সিকুয়্যাল ‘জোম্বি ৩’ সে ধারণার বিপরীতেই আছে। ‘ডন অব দ্য ডেড’ এর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এর অনানুষ্ঠানিক সিকুয়্যাল ‘জোম্বি ২’ নির্মাণ করে সফল হন পরিচালক লুসিও ফুলচি। সেই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়েই কাজ শুরু করেন ‘জোম্বি ৩’ সিনেমার। অবশ্য ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটির অর্ধেক দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হবার পরই ফুলচি এর কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। অবশ্য পরিচালক ব্রুনো মাতেই বাকি অর্ধেক বেশ ভালোভাবেই শেষ করেন, যার ছাপ পড়েছিল বক্স অফিসে আর সমালোচকদের মাঝেও। সামরিক পরীক্ষা ব্যর্থ হলে একটি দ্বীপ জোম্বি আক্রান্ত হয় আর সেখানকার একটি রিসোর্টে আটকা পড়ে একদল তরুণ। তাদের বেঁচে ফেরার লড়াই এ সিনেমার মূল উপজীব্য।
৭. শন অব দ্য ডেড (২০০৪)
জনপ্রিয় ব্রিটিশ চলচিত্রকার এডগার রাইটের ‘শন অব দ্য ডেড’ সিনেমাটি জায়গা করে নিয়েছে আমাদের তালিকার সপ্তম স্থানটি। ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি বক্স অফিসে ঝড় তুলতে না পারলেও সমালোচকদের মন জয় করে নেয়। হরর, অ্যাডভেঞ্চার, কমেডি, সবকিছুর মিশেলে চমৎকার এই সিনেমার গল্পটা বেশ সাদামাটাই। লন্ডনের একটি ছোট শহরে বসবাসকারী বোকাসোকা শন এই সিনেমার মূল চরিত্র। পুরো শহর জোম্বি আক্রান্ত হলে তার সামনে নিজের জীবন রক্ষার চেয়েও অধিক প্রাধান্য পায় তার মা এবং প্রেমিকাকে উদ্ধার করা। এই দুঃসাহসিক উদ্ধার অভিযান আর বিভিন্ন দৃশ্যে হাস্যরসপূর্ণ ডায়লগ এই ছবিটির প্রাণ।
৬. ট্রেন টু বুসান (২০১৬)
খুব সংখ্যক ভৌতিক সিনেমাই ‘ট্রেন টু বুসান’ এর মতো সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ানোর পাশাপাশি এতো ভালো ব্যবসা করতে পারে। ছোট বাজেটের এই ছবিটি বিশ্বব্যাপী ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করে নেয়। আর করবেই না কেন, বাজেট অল্প হলেও যে সিনেমাটি তৈরি হয়েছে বৃহৎ স্কেলেই। সিনেমাটি শুরু হয় দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল শহরের একটি ট্রেনের মধ্যে, যেটি যাত্রা করে পার্শ্ববর্তী বুসান শহরের উদ্দেশ্যে। ট্রেনে ছাড়ার পর থেকেই বিভিন্ন রহস্যজনক ঘটনার সম্মুখীন হতে থাকেন ট্রেনের যাত্রীরা। শেষতক তারা উপলব্ধি করতে পারেন যে পুরো সিউল জুড়ে মহামারী আকারে জোম্বি আক্রমণ হয়েছে আর জোম্বিরা ঢুকে পড়েছে ট্রেনের ভেতরও! এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সকলের চিন্তাভাবনায় কেবল একটি বিষয় প্রাধান্য পায়, আর সেটি হলো বুসান পৌঁছানো পর্যন্ত বেঁচে থাকা! কেননা, কোরিয়ান সৈন্যরা ইতোমধ্যে সশস্ত্র প্রহরায় বুসান রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। তবে সে পর্যন্ত প্রাণ নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে তো?
৫. টুয়েন্টি এইট ডেজ লেটার (২০০২)
লন্ডনের বিখ্যাত ‘সেইন্ট থমাস’ হাসপাতালে টানা ২৮ দিন কোমায় থাকার পর জেগে ওঠেন জিম। কিন্তু বিস্ময়করভাবে লক্ষ্য করেন, পুরো হাসপাতাল জুড়ে কোনো মানুষ নেই। জিমের এই বিস্ময় দ্রুতই হতাশায় পরিণত হয় এবং শেষতক ভয়ে, যখন তিনি দেখতে পান যে কেবল হাসপাতালই নয়, পুরো শহরই জনমানবহীন! তবে ভাগ্যক্রমে তিনি শহরে কিছু জীবিত মানুষের সন্ধান পান যারা লুকিয়ে আছেন শহরের ভেতরেই। তাদের কাছে জিম জানতে পারেন যে, দুর্ঘটনাবশন শহরব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল একটি ভয়ানক ভাইরাস, যা পুরো শহরকেই জনমানবশূন্য করে দিয়েছে। এরপর শুরু হয় জিম ও বাকিদের প্রাণ নিয়ে শহর থেকে পলায়নের মিশন। এই গল্পটিকে সেলুলয়েডের ফিতায় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ধারণ করেন ব্রিটিশ পরিচালক ড্যানি বয়েল। আপনি যদি হররপ্রেমী হয়ে থাকেন, তাহলে ‘টুয়েন্টি ডেজ লেটার’ ছবিটি আপনার জন্যই।
৪. পন্টিপুল (২০০৮)
কানাডিয়ান পরিচালক ব্রুস ম্যাকডোনাল্ডের ‘পন্টিপুল’ সিনেমাটি এই তালিকার সবচেয়ে ভিন্নধর্মী জোম্বি সিনেমা। জোম্বি সিনেমায় আমরা সাধারণ দেখি যে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মানুষ জোম্বিতে পরিণত হয় এবং পরে সেসব জোম্বির কামড়ে সুস্থ মানুষও জোম্বিতে পরিণত হয়। কিন্তু পন্টিপুলে জোম্বিতে পরিণত হবার জন্য কোনো শারীরিক সংস্পর্শের প্রয়োজন নেই। এ সিনেমায় জোম্বি ভাইরাস হচ্ছে একটি ভাষার কিছু নির্দিষ্ট শব্দ! হ্যাঁ, শুনতে অদ্ভুত ঠেকলেও চমৎকার একটি ধারণার উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমা। কোনো ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট কিছু শব্দ উচ্চারণ করেন, তাহলে তিনি আক্রান্ত হবেন জোম্বি ভাইরাসে। এই কল্পনার পেছনে আছে প্রাযুক্তিক উৎকর্ষের যুগে হলুদ মিডিয়া সংক্রান্ত শিক্ষা। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন ব্যাঙের ছাতার মতো নিত্যনতুন গজিয়ে ওঠা মিডিয়াগুলোও পৌঁছে যাচ্ছে বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে। আর তাদের প্রচার করা মিথ্যা, বানোয়াট আর অসত্য তথ্যেই বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ঠিক যেভাবে শব্দ শুনে বা উচ্চারণ করে জোম্বিতে পরিণত হয় পন্টিপুলে! কানাডার পন্টিপুল নামক একটি শহরের ঘটনা নিয়ে নির্মিত এই সিনেমাটি একই সাথে বিনোদনমূলক এবং শিক্ষামূলক।
৩. ডেড অ্যালাইভ (১৯৯২)
‘লর্ড অব দ্য রিংস’ আর ‘দ্য হবিট’ এর মতো সিরিজের পরিচালক পিটার জ্যাকসন হরর সিনেমা তৈরিতেও কম যান না। ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডেড অ্যালাইভ’ সিনেমাটি তারই প্রমাণ। ১০৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ ছবিটির চিত্রনাট্য এতো চমৎকারভাবে লেখা হয়েছে যে ছবির শুরু থেকে শেষতক অসংলগ্নভাবে হাস্যরস আর উদ্বেগ, দুই-ই কাজ করবে। ভেরা কসগ্রোভ একজন অতিমাত্রায় সন্দেহপ্রবণ নারী, যিনি তার পুত্র লিওনেলের বিভিন্ন কাজে সন্দেহের বশে নজরদারি করে থাকেন। দুর্ঘটনাবশত একদিন ছেলের পিছু নিতে গিয়ে চিড়িয়াখানায় একটি সুমাত্রান বানরের কামড় খান ভেরা। এ ঘটনার পর ধীরে ধীরে জোম্বিতে পরিণত হন তিনি। মায়ের অবস্থা বুঝতে পেরে তাকে বাড়ির বেজমেন্টে নিরাপদে আটকে রাখেন লিওনেল। কিন্তু, ভেরা সেখান থেকে বারংবার পালিয়ে যেতেন। এভাবে ভেরার কল্যাণে শহরে বাড়তে থাকে জোম্বির সংখ্যা। এরপর কী হয়? জানতে হলে সিনেমাটি দেখুন।
২. রিটার্ন অব দ্য লিভিং ডেড (১৯৮৫)
‘রিটার্ন অব দ্য লিভিং ডেড’ সিনেমাটি দুটি কারণে বিখ্যাত হয়ে আছে। প্রথমটি এর সাউন্ডট্র্যাক, যা আশির দশকের পুরো শেষভাগে রাজত্ব করেছে। দ্বিতীয়টি, এর ভিন্ন ধরনের জোম্বি যারা কেবল মানুষের মস্তিষ্ক খায়। বাদবাকি কাহিনী বেশ সাদামাটা। ফ্র্যাংক একটি গুদামের কর্মী। নতুন কর্মী ফ্রেডিকে কিছুটা বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য তিনি নিয়ে যান কিছু সামরিক পরীক্ষার পরিত্যাক্ত সরঞ্জামের নিকট, যেগুলো ব্যর্থ হয়েছিল এবং বিপজ্জনক হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল। কিন্তু, দুর্ঘটনাবশত ফ্র্যাংক একটি রাসায়নিক গ্যাস বিমুক্ত করে ফেলেন, যা ঐ সামরিক পরীক্ষার সরঞ্জামাদির মধ্যে থাকা মৃতদেহগুলোকে জোম্বিতে পরিণত করে পুনরায় জীবিত করে তোলে! মার্কিন পরিচালক ড্যান ওব্যাননের পরিচালিত এই সিনেমাটি এর গল্প, সাউন্ডট্র্যাক আর টানটান উত্তেজনায় পূর্ণ ক্লাইম্যাক্সের জন্য অবশ্যই দেখে নিন।
১. ডেড ট্রিলজি (১৯৬৮-১৯৮৫)
সাতজন ব্যক্তি ঘটনাক্রমে পেনসিলভানিয়ার একটি ফার্মহাউজে আটকা পড়েন। ফার্মহাউজটি আবার চারদিক থেকে রাক্ষুসে সব জোম্বিতে ঘেরা। তারা পাড়বেন কি সেই ফার্মহাউজ থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যেতে? এরকম সংক্ষিপ্ত, সাদামাটা গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হলেও ‘নাইট অব দ্য লিভিং ডেড’ সহজেই যেকোনো জোম্বি সিনেমার তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে নেয়। গুনী পরিচালক জর্জ এ রোমেরো একাই এ ছবির পরিচালনা, চিত্রগ্রহণ এবং সম্পাদনা করেছেন। বলা বাহুল্য, একটি সাদামাটা গল্পকে এতটা অসাধারণভাবে তিনি ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন যে তা জোম্বি সিনেমার ইতিহাসে সকল পরিচালকের আদর্শ হয়ে আছে। জোম্বি ঘরনার চলচ্চিত্রকে নতুন পথ দেখিয়েছিল এই ছবিটি। তবে এই জর্জ এ রোমেরো নির্মিত ডেড সিরিজের পরের দুটি ছবি ‘ডন অব দ্য ডেড’ (১৯৭৮) এবং ‘ডে অব দ্য ডেড’ (১৯৮৫) এর কথা উল্লেখ না করলে তালিকাটি অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। এ দুটি ছবিও পরিচালনা করেছেন জর্জ এ রোমেরো এবং সিরিজের প্রথম ছবিটির মতো এ দুটি ছবিও ছিল অসাধারণ। তাই তালিকার এক নম্বরে রোমেরো ‘ডেড ট্রিলজি’ পুরোটাই রাখতে হচ্ছে।